আইসল্যান্ডের
রাজধানী রেইকজাভিক থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি হঠাৎ জেগে
উঠেছে। ভেঙেছে ৮০০ বছরের ঘুম। এ ঘটনায় আশপাশের বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
রয়েছে। দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে বাসিন্দাদের।
আবহাওয়া দফতর
সতর্কবার্তা দিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্পের ফলে রাজধানী ও তার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়
ভূমিধস দেখা দিতে পারে।
দুই টেকটোনিক
প্লেটের মাঝামাঝি অবস্থানের কারণে আইসল্যান্ডে নিয়মিতই মৃদুমাত্রার ভূমিকম্প হয়।
হেলিকপ্টার থেকে
কোস্টগার্ডের ধারণকৃত ছবিতে দেখা যায়, ফাগরাদালফজাল পর্বতের কাছে অবস্থিত জেলডিংডালুর
থেকে আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রেকইকজেনিস পর্যন্ত বয়ে আসছে উত্তপ্ত লাভা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে
জানানো হয়, আগ্নেয়গিরির কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত গ্রিনদাবিক বন্দরে বিপদ এড়াতে
মানুষের প্রবেশ ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমও) জানিয়েছে,
এখন পর্যন্ত বিপজ্জনক মাত্রায় উদগিরণ শুরু হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ ও
কোস্টগার্ড।
শেষ বার ১২৪০
সালে আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় ছিল বলে জানিয়েছে আইএমও। সে হিসাব অনুযায়ী, ৭৮১ বছর পর আগ্নেয়গিরিটি
থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাউন্ট কেইলিরের কাছে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার
ভূমিকম্পের পর থেকেই অঞ্চলটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। ওই ভূমিকম্পের পর ৫০
হাজারের বেশি মৃদু কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলছেন পরিবেশবিদরা।