আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আবারও বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের ব্যবধানে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকার নাম। রোববার সকাল পৌনে ৮টায় বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৬৭ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।

এ তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৬২ ও ১৬১ একিউআই নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এর আগে শনিবার (২৭ মে) ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯২, সে অনুযায়ী বাতাসের মান মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য পর্যায় ছিল।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

আরও পড়ুন: ‘শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে’

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন- প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।

পরিবেশ অধিদফরের গবেষণায় প্রকাশ, ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটার ধোঁয়া ৫৮ শতাংশ দায়ী। বাকি ৪২ শতাংশের জন্য দায়ী নির্মাণ ও মেরামতকাজের সঙ্গে আসা ধুলা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন থেকে বের হওয়া ধোঁয়া।


আরও খবর



কিশোরগঞ্জে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় আনোয়ারা মার্কেটের তৃতীয় তলায় প্রগতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ মাসুমা আক্তার।

আজকের দর্পণ এর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খান লিপন এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও কালের নতুন সংবাদ এর সম্পাদক খায়রুল ইসলাম'র সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ইত্তেফাক'র জেলা প্রতিনিধি সুবীর বসাক, কিশোরগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিট'র সভাপতি ও ডেইলি মর্নিং গ্লোরী'র কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ফাইজুল হক গোলাপ।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাওর টাইমস'র সম্পাদক মোঃ খায়রুল ইসলাম ভূইয়া, আউচ সংবাদ সম্পাদক এফ এম আব্বাস উদ্দীন, কবি ও সাহিত্যিক সাদেক আহমেদ, দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠের বার্তা সম্পাদক শামসুল আলম শাহীন।

এছাড়াও সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের সময় জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কাসেম, সাপ্তাহিক সবুজ সময়ের স্টাফ রিপোর্টার সাইদুর রহমান, দৈনিক একুশে বাণী'র জেলা প্রতিনিধি আজিজুল হক ফাহিম, দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র'র জেলা প্রতিনিধি মাসুদ মিয়া, আউচ সংবাদ' নির্বাহী সম্পাদক সুরমা আক্তার সুমি, বাংলাদেশ সমাচারের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি তানজিল হাসান, দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ'র জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান জুয়েলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আজকের দর্পণ পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।আলোচনা শেষে কেক কেটে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯২ রানের লক্ষ্য দিল শ্রীলঙ্কার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর দ্রুতই তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

৪০ বলে ৪১ রান করে নিশাঙ্কা, ৩৫ বলে ৩২ রান করে করুনারত্নে ও সাদিরা সামাবিক্রমা ৮ বলে ৩ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ১০২ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস।

দলীয় ১৮৮ রানে ৪৩ বলে ৩৬ রান করে আসালাঙ্কা ফিরে গেলেও ফিফটি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। এরপর ক্রিজে আসা ধানাঞ্জায়া ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মেন্ডিস। তবে দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন মেন্ডিস। ৮৪ বলে ৯২ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকসানা মিলে লঙ্কানদের রানের চাকা সচল রাখেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।


আরও খবর



এডিসি হারুনকাণ্ড

তদন্ত কমিটিতে এডমিন ক্যাডার ও ছাত্রলীগকে রাখার দাবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় আলোচিত পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনায় নাম উঠে এসেছে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদার।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, এডিসি সানজিদাকে নিয়েই রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা।

ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও পাঁচ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে তদন্ত কমিটি। পুলিশের গঠন করা তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডিএমপি সদরদপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) আবু ইউসুফকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

তবে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন তদন্ত কমিটিতে এডমিন ক্যাডার ও ছাত্রলীগকে রাখার দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এ দাবি করেন তিনি।

নিচে তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

সমাজের কিছু মানুষ, সবকিছুতেই মাঝপথ দিয়ে চলেন। জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ে, সত্যকে সত্য বলেননা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেননা। নিজের ছাড়া, ওনারা জাতীর কি উপকারে আসেন জানিনা।

যাহা সত্য-তাহা সত্য, যাহা মিথ্যা-তাহা মিথ্যা। সত্য-মিথ্যার মাঝখানে কিছু নেই। কিন্তু, নিরপেক্ষ ভাব নেয়ার জন্য, এরমধ্যে তারা একটা ধূসর লাইন খুঁজে বেড়ান, দুইপক্ষকেই খুশি করার জন্য। যদিও, এটা কোন টেকসই পদ্ধতি না।

পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তিনজন জলজ্যান্ত মানুষকে থানায় ধরে নিয়ে কুকুরের মত পিটালো, দুইজনের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার করে দিলো, এরপরও তারা বলেন, আসলে কে দোষী তা এখনই নয়, তদন্তের পর বলা যাবে। সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র আপনারা!

মানলাম, নিষিদ্ধ পুরুষ এডিসি হারুনকে নিজের স্ত্রীর পাশে দেখে আজিজ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এর প্রতিশোধ কি দুজন তরুনের জীবন পঙ্গু করে দেয়া? ভবিষ্যৎ জীবন দুর্বিসহ করে তোলা?

আগে হট্টগোল যদি আগে হয়েও থাকে, সেটা থানার বাইরে। ইসিজি-ইটিটি রুমের পর্দার ভিতরে, (ভিডিওতে দেখলাম) সিভিল পোশাকে, এডিসি হারুনকে পেয়ে যদি গায়ে কেউ হাত দিয়ে থাকে, এটার জন্য তিনি মামলা করতে পারতেন। কোন নাগরিককে ধরে এনে থানায় পিটানোর অধিকার দেশের আইনের কোথাও নাই।

এডিসি হারুন যে মার খেয়েছে, তাকে দেখে একবারও কি তা মনে হয়েছে? ছাত্রলীগ মারামারি করতে চাইলেতো এতক্ষনে শাহবাগ থানা ওখানে আস্ত থাকতো না, তারা তিনজন যেতেন না, চার/পাঁচশো ছাত্র নিয়ে যেতেন।

এক শেয়ালের লেজ কাটা গেছে, এখন সবার লেজ কাটতে হবে। মিডিয়াকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সেই অপচেষ্টাই করে যাচ্ছে। কে প্রথমে হট্টগোল তৈরী করেছে, এটা প্রতিষ্ঠিত করে যারা শাহবাগ থানার পৈশাচিক ঘটনাকে জায়েজ করতে চাচ্ছেন, তারা এডিসি হারুনের মতোই অপরাধী।

আরেকটি কথা, তদন্ত কমিটিতে যারা সদস্য তারা শুধুই পুলিশ ক্যাডারের, কমিটিতে এডমিন ক্যাডার এবং ছাত্রলীগকেও রাখা উচিত। কারণ, ঘটনার সাথে তিনটা পক্ষ জড়িত। নয়তো রিপোর্ট একতরফাই হবার সম্ভাবনা বেশি।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে পুত্রবধূ সিঁথি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন ও শাশুড়ি খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন তার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। বর্তমানে সিঁথি খালেদা জিয়ার শয্যাপাশেই রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে দুপুরে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন সিঁথি। বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দুপুর ১টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর বনানী ডিওএইচএসে মায়ের বাসায় যান। সেখান থেকে খালেদা জিয়াকে দেখার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি।

শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। তিনি হাসপাতালের ৭২০১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আথ্রাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া তার মেরুদণ্ড, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।

সিঁথির ঢাকায় আগমনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমি শুনেছি তিনি এসেছেন। তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

গত মার্চে খালেদা জিয়াকে দেখতে ঢাকায় এসেছিলেন সিঁথি। এর আগে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর শাশুড়িকে দেখতে ঢাকায় আসেন তিনি। কিছুদিন পর তার বড় মেয়ে জাহিয়া রহমানও ঢাকায় আসেন।

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় স্বামী আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর লন্ডনে চলে যান সিঁথি। দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানেই থাকেন তিনি। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও পরিবারসহ লন্ডনে অবস্থান করছেন।


আরও খবর



চট্টগ্রাম ডিসি পার্কের পাশে গড়ে উঠবে নৌকা মিউজিয়াম

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মনীষা আচার্য্য, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, হাজার বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে নৌকাগুলো রয়েছে সেগুলোর স্মৃতি নিয়ে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকার ২৫ একর জায়গার উপর গড়ে উঠা ডিসি পার্কের পাশে একটি নৌকা মিউজিয়াম করা হবে। সেখানে বড় আকারে ময়ুর-পঙ্খী, বজরা, সাম্পান, বিভিন্ন ধরণের নৌকার রেপ্লিকা থাকবে। ভবিষ্যতে এগুলোতে থ্রিডির মাধ্যমে এগুলোর ফ্যাসিলিটিস রাখার বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে করে ঝড়ের সময় জেলে ও মাঝি-মাল্লারা নৌকা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা সাজাতে পারেন। আমাদের দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হবে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার পূর্বে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এরপর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়-পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে পর্যটকদের সুবিধার্থে অনলাইন টিকেট বুকিং সিস্টেমের স্মারক ডাক টিকেটের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক বলেন, গুলিয়াখালী বীচ ও খৈয়াচড়া বীচের রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। পতেঙ্গা সী-বীচের বেহাল অবস্থা। সেখানে টয়লেট-ওয়াশরুম স্থাপন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, লকার রুম, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ব্রেস্টফিডিং কর্ণার স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। পর্যটন এলাকা হিসেবে শুধু পতেঙ্গা সী-বীচে নয়, প্রত্যেক পর্যটন স্পটে ট্যুর আপারেটরদের নিয়ে হোটেল-রেস্টুরেন্ট উন্নতমানের খাবারের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এস.এম সফিউল্লাহ, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু রায়হান দোলন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জামশেদ আলম রানা, পর্যটন হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক মোঃ সারেয়ার উদ্দিন, চিটাগাং অনলাইন ট্রাভেল এডমিন গ্রোজ (কট্যাগ) এর সদস্য রাশেদুল হাসান ইমন। জেলা প্রশাসন, পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) বলেন, আমাদের ভালো থাকার জন্য ট্যুরিজম প্রয়োজন। গার্মেন্টস সেক্টর ও বৈদেশিক রেমিটেন্সের বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভর করে। গার্মেন্টস সেক্টর কর্মসংস্থানের জন্য একটি বড় ধাপ। প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ এ খাতে কাজ করে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্রান্সপোর্ট সেক্টরসহ বিভিন্ন আরও যে সেক্টরগুলো রয়েছে সেগুলোতে মিলিয়ন মানুষকে কাজে লাগানো যাবে। সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। একইভাবে পর্যটন খাতকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, চাঙ্গা করতে পারি তাহলে অর্থনীতিতে বাংলাদেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

ডিসি বলেন, শ্রীলংকা দুবছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কারণ তাদের ট্যুরিজম সেক্টর প্রসারিত হয়েছে। তাদের সে সুযোগটি রয়েছে, বেশি ইনভেস্টমেনেরও প্রয়োজন নেই। এ দেশে আগের তুলনায় আমাদের ডোমেস্টিক ট্যুরিজম অনেকটা প্রসারিত হয়েছে। আমাদের চট্টগ্রামে যে ট্যুরিস্ট স্পটগুলো রয়েছে সেগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। আমাদের পতেঙ্গা সী-বীচে যাওয়ার জন্য জনসাধারেণের অনেক ভোগান্তি হয়। সেটির কথা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসির সাথে যোগাযোগ করেছি। সৌভাগ্যবশত সড়ক ও মহাসড়কে বিভাগের সচিবের সাথে যোগাযোগ করার পর বিআরটিসির চেয়ারম্যান সাথে সাথে রাজি হয়ে ২টি পর্যটক বাস দিয়ে দিয়েছেন (১টি ছাদ খোলা)।

ট্যুরিস্ট স্পটে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসক বলেন, আমি আরও ৪টি বাস চেয়েছি, এর মধ্যে একটি ছাদ খোলা বাস গতকাল এসেছে। আমরা আশা করছি, আরও কিছু ছাদ খোলা বাস চট্টগ্রামে পাবো এবং ট্যুরিস্টদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। বিআরটিসির কাছে মেয়েদের জন্য ৪টি ডেডিকেটেড বাস চেয়েছি, আশাকরি সেগুলো আমরা পাবোই।

চলতি মৌসুমে রিভার ক্রুজ চলা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ১ থেকে দেড় মাস অর্থ্যাৎ আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আমরা রিভার ক্রুজ চালু করবো, এ ব্যাপারে ওয়েস্টার্ন মেরিন ও কর্ণফুলি নামক দুটি বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে। তারা আমাদেরকে তাদের দুটো জাহাজ দেবে এবং আমরা প্রাথমিকভাবে শুক্র-শনিবারে এগুলো চালু করবো।

তিনি বলেন, যারা প্রাইভেট ট্যুর অপারেটর আছে তাদেরকে নদীতে ডে ট্যুর বোট চালু করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছিলাম। আমরা সার্ভিস প্রোভাইডার না হলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো। আমরা যখন পর্যটক বাস চালু করি, তার আগে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম। কেউ সাড়া দেননি। আপনাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে, দুএকবার ফেল করবেন, তারপর সাকসেস হবেন। সাহস করতে হবে।

প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরদের উদ্দেশ্যে ডিসি বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের ব্যবসা করার কথা নয়, ছোট ইনভেস্টমেন্ট করেন, লস হওয়ার চান্স নেই, যদি লোন লাগে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আমি অনুরোধ করবো। ট্যুরিজমের জন্য বেসরকারী পর্যায়ে সদরঘাট টু কাপ্তাই পর্যন্ত নদী পথে ছোট ছোট বোটকে টার্গেট করতে পারেন। কাপ্তাই রুটে একটি চমৎকার নদী পথ রয়েছে। আপনারা বোট চালু করলে লসের কোন চান্স নেই। চট্টগ্রাম সিটি বেইজ ট্যুরিজমের কিছু সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বরেন, কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে। এটি চালু হলে আমরা পার্কি বীচসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটের জন্য ডে ট্যুর চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি এসি বাস বিআরটিসির কাছে চেয়েছি। এগুলো দেয়া হলে টানেলভিত্তিক ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করতে চাই।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতবর্ষের যে বিদ্রোহের সুতিকাগার চট্টগ্রাম। ইউরোপিয়ান ক্লাব, মাস্টার দা সূর্য সেনের পৈত্রিক ভিটা, ফয়স লেক, চিড়িয়াখানা আছে, সেগুলো নিয়ে আপনারা ট্যুরিজমের চিন্তাভাবনা করতে পারেন। অনেক দেশি-বিদেশী এখান থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চায়। কাট্টলীর রানী-রাসমনি ও আকমল আলী ঘাটে জেলে পল্লী আছে, তাদেরকে নিয়ে কথা বলতে পারেন। ৫/১০টি পরিবার নিয়ে তাদের লাইফ স্টাইল নিয়ে আপনারা কাজ করতে পারেন, তাবু নিয়ে অবস্থান করে দেখতে পারেন যে তাদের জীবন কেমন কাটে। তাদের খাবারের ব্যবস্থাসহ সেখানে কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম করতে পারেন। ট্রাইবাল কমিউনিটি, ফিস মার্কেট, টি গার্ডেন নিয়ে কাজ করতে পারেন, এগুলো চট্টগ্রামের ঐতিহ্য।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩