স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় এখন ছোট-বড় সবাই কমবেশি ভুগছেন। তবে বাড়তে থাকা মেদ ও দেহের ওজন নিয়ে যদি মানুষ এখনই সচেতন না হন, তাহলে আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক স্থূলতায় ভুগবেন। এমনটিই জানাচ্ছে ‘ওয়াল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন’।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ২.৬ বিলিয়ন মানুষ, বা বিশ্বের জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশই অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় ভুগছেন। তবে যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে ১২ বছরের মধ্যে ক্লিনিক্যালি স্থূল মানুষের সংখ্যা ৪ বিলিয়নেরও বেশি হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা বিশ্বের জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রচারের উপর ট্যাক্স ও সীমাবদ্ধতার মতো ব্যাপক কৌশল প্রয়োগ করা না হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে ক্লিনিক্যালি স্থূল মানুষের সংখ্যা সাতজনের মধ্যে একজন থেকে চারজনের মধ্যে একজনে বৃদ্ধি পাবে। এর অর্থ প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ বিশ্বব্যাপী স্থূলতার সাথে বসবাস করবে। যা ক্যানসার, হৃদরোগ ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, শিশু ও তরুণদের মধ্যে স্থূলতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২০ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালে স্থূল মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলেদের মধ্যে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, ফলে ২০৮ মিলিয়ন স্থূলতায় আক্রান্ত হবে। একই বয়সী মেয়েদের মধ্যে এটি ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। যা তাদের মধ্যে ১৭৫ মিলিয়ন স্থূলতা বাড়াবে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশে দিন দিন বাড়ছে স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা। তবুও এই রোগের মোকাবিলা করার জন্য সবচেয়ে কম প্রস্তুত। আগামী বছরগুলো আফ্রিকা ও এশিয়ার ১০ নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশের মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থূলতার সমস্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। এর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও নাইজেরিয়া এই তালিকার একেবারে উপরের দিকেই আছে। পাশাপাশি মেক্সিকো, ব্রাজিল ও তুরস্কও কিন্তু পিছিয়ে নেই। বিশেষ করে শিশু ও তরুণদের মধ্যে মোটা হয়ে যাওয়ার এই প্রবণতা কিন্তু ভীতিজনক।