সড়কের গর্তে পড়ে গাড়ির এক্সেল ভেঙে চাকা খুলে গেছে। খালের এক পাশে গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চালক মোহাম্মদ সজিব। খানাখন্দে ভরা আনোয়ারা উপজেলার কৈখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা (রহঃ) সড়কে প্রায়ই গাড়িচালকদের সজিবের মতো অবস্থার শিকার হতে হচ্ছে।
সোমবার (৩জুলাই) সকালে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নে মাহাতা এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সার এক্সেল ভেঙ্গে ড্রাইভারসহ তিন জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন, ড্রাইভার মো. সজিব (২৮),পরৈকোড়া ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা কামরুন নাহার কমু (৪৫),মো.ফয়সাল আহম্মেদ(২৪)।
জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভোগ ছিলেন পরৈকোড়া ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা কামরুন নাহার (কমু)। তার ছেলেকে নিয়ে মামুরখাইন বাংলা বাজার থেকে যাচ্ছিলেন শহরে ডাক্তার দেখানোর জন্য।হঠাৎ সিএনজি অটোরিক্সার এক্সেল ভেঙ্গে তারা গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে।বর্তমানে তারা চাতরী চৌমুহনী শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান মো.ফয়সাল।
চালক-যাত্রীদের অভিযোগ, সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ-পাথর সরে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। জনদুর্ভোগ লাগবে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কটিতে। সড়কের এই বেহাল দশায় পণ্য পরিবহনসহ যাতায়াতে দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কটিতে চলাচলকারী রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশার যন্ত্রাংশ। ফলে নষ্ট গাড়ি মেরামত করতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চালকের। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, কৈইখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা সড়ক অনেক বিশাল বড় রাস্তা। সড়কের বেশকিছু স্থানে ছোট, বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ঐ সড়কটা আমাদের নজরে আছে, অতিশ্রীগ্রই হয়ে যাবে।