আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বাউফলে রেমালের তাণ্ডবে ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে মৎস্য, কৃষি, সড়ক, বিদ্যুৎ, বনজ ও গ্রামীণ অবকাঠামোগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেসরকারী হিসেব অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২শ কোটি টাকা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, রেমালের প্রভাবে উপজেলা ৪ হাজার পুকুর, ৫০টি মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। ৭০ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামোসহ মোট ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাস জানান, ২ হেক্টর আউশ বীজতলা ২.৫ হেক্টর তিল, কাচা মরিচ ৩ হেক্টর, শাকসবজি ৮০ হেক্টর,পান ২ হেক্টর, পেঁপে ২ হেক্টর, কলা ৩ হেক্টর ও ৩ হেক্টর জমির আমসহ মোট ৪ কোটি ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামান খান জানান, একটি ম্যানগ্রাপ, নার্সারিসহ ৬ লাখ ১৩ হাজার ৩শ চারা, রাস্তায় বাগানের ৮১ হাজার চারা ও ৪১ হাজার নার্সারি চারাসহ মোট ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮শ ৬৪ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৮-১০ হাজার ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডিজিএম মজিবুর রহমান জানান, উপজেলার  বিভিন্ন এলাকায় তাদের ১৫টি খুটি ভেঙ্গে গেছে এবং ২শ পয়েন্টে তার ছিড়ে গেছে। এ ছাড়াও ২শর বেশি ইনসোলেটর বিনষ্ট হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব বিশ্বাস জানান, উপজেলায় ১৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধাপাকা ও টিনসেট ভবন সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়েছে। আংশিক বিধস্ত হয়েছে ১ হাজার ১শ ৩৪টি ভবন। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় ধুলিয়া, চন্দ্রদ্বিপ ও নাজিরপুর ইউনিয়নে ৮ কিলোমিটার কাঁচা সড়কসহ মোট ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলকাস মোল্লা জানান, তেঁতুলিয়ার মধ্যবর্তী তার ইউনিয়নের ১৪ কিলোমিটার বেড়ি বাধের খানকা বাজার থেকে দক্ষিণে ছালাম হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার, দিয়ারা কচুয়া খেয়া ঘাট থেকে উত্তরে স্লুইজ গেট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার চর নিমদি খেয়াঘাট থেকে দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার বেড়ি বাধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও চরব্যারেট ফারুক খানের বাড়ি থেকে পশ্চিমে সেকান্দার দর্জির বাড়ি পর্যন্ত একটি কাঁচা রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে।

বাউফল প্রকৌশলী মানিক হোসেন জানান, উপজেলায় মোট পাকা ও কাঁচা মিলিয়ে ১শ ৬৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সড়কগুলো পুনঃনির্মাণ ও মেরামত করতে মোট ১শ ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমেলে তেঁতুালিয়া নদীর তীরবর্তী কালাইয়া টু মমিনপুর জিসিআর সড়ক কাম বেড়ি বাধটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সড়কের ৮টি পয়েন্টে ভেঙ্গে গেছে।

এ ছাড়াও রেমালের প্রভাবে চন্দ্রদ্বিপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া, আদাবাড়িয়া, দাশপাড়া, বাউফল পৌর এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে। অধিকাংশ পানিবন্দি মানুষের কাছে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছায়নি। বেড়িবাধের বাইরে এলাকাগুলোর পানি নেমে গেলে ভিতরের এলাকগুলোর পানি বেড় হতে না পারায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তিন হাজার পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে শুকনো খাবার, ১০ কেজি করে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজসহ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সরকারের কাছে আরও চাহিদা দেয়া হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান বলেন, ঝড়ের দিন সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয়কৃত মানুষের মাঝে স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজের নির্দেশে সুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হয়।

জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসম ফিরোজ এমপি বলেন, বাউফল উপজেলা সাগর উপকূলীয় হওয়ায় এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার অধিক ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলায় এলাকায় যে ধরণের সাহায্যে প্রদান করবেন আশা করি আমার উপজেলায়ও একই ধরণের সাহায্য প্রদান করবেন। যাদের ঘর বিধস্ত হয়েছে তাদের মাঝে টিন বিতরণের জন্য তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে প্রায় ৯শ ব্যান্ডেল ঢেউটিন মওজুদ রয়েছে। সেখান থেকে অধিক ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে কঠিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

বুধবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছি। বর্তমানে ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী পাঠানোর।

সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বে চলমান যুদ্ধ আজ শান্তিতে বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের হামলায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ইত্যাদি মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, এসব অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবনও তত বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নারী-শিশু, তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এই অর্থ যদি ক্ষুধার্ত মানুষের আহারের ব্যবস্থায়, শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো তাহলে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হতো, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারত।


আরও খবর



রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি: বিপুল রাজস্ব ফাঁকি সাদিক অ্যাগ্রোর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ওপর গড়ে তোলা পশুর খামার সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মো. ইমরান হোসেন, গবাদি পশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী। তাঁর খামারে বিভিন্ন প্রজাতির গরু-মহিষ-উটের দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করা হয় কোটি টাকা। তবে ছাগল ইস্যুতে ফার্মটি দেশজুড়ে বিপুল আলোচনায়।

অথচ কর দেওয়ার সময় কোটি টাকায় বিক্রি করা গরুর দাম দেখানো হয়েছে ১৪ হাজার টাকারও কম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রদর্শন করা হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে আয় মাত্র ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা। সাদিক অ্যাগ্রোর প্রদর্শিত বার্ষিক আয় প্রতিষ্ঠানটির একটি গরু বিক্রির টাকার চেয়েও কম। এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশ্লেষকরা।

ইমরান হোসেন কর অঞ্চল-৬-এর ১৩১ নম্বর সার্কেলে তাঁর কর রিটার্ন জমা দেন। তাঁর করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর ৫৬৫০৩৭৯১০৬৭০। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭৩২৩৯৮৯২২১৫। ২০২২-২৩ করবর্ষের নথি সূত্রে জানা গেছে, সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও তিনি ইমরান হোসেন ফিশ ফার্মের স্বত্বাধিকারী।

এ ছাড়া জালালাবাদ স্টিল লিমিটেড, জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেড, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড ও লাকি স্টিল করপোরেশনের পরিচালক। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বনানীর ১৩ নম্বর রোডের ই ব্লকের ১০৩ নম্বর বাসায় থাকেন। তবে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা : বাসা নম্বর-৮৬, কলাবাগান।

২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সাদিক অ্যাগ্রোর মোট বিক্রির পরিমাণ দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকা। তবে এই সময়ে তিনি বাছুর কেনা বাবদ খরচ করেছেন ছয় লাখ ১২ হাজার ৪৭০ টাকা।

পশুখাদ্য কিনেছেন ৫১ লাখ সাত হাজার ৮১০ টাকার। ওষুধ কেনার খরচ আট লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৬ টাকা। কর্মীদের মজুরি দিয়েছেন ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪২৫ টাকা। এভাবে রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং অন্যান্য খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছেন ৮৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ টাকা। এর সঙ্গে অন্য সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁর বাৎসরিক আয় ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা।

কিন্তু তাঁর এই হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার বিশাল ফারাক। শুধু কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করেই তাঁর দেড় হাজার পশু বিক্রি হয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহমা, ইন্দো ব্রাজিল, হোলস্টাইন, দেশাল, শাহীওয়ালসহ বেশ কয়েকটি জাতের গরুর পাশাপাশি মহিষ ও ছাগল। এ ছাড়া তাঁর ফার্মে উটও বিক্রি করা হয়।

তাঁর ফার্মে বেশির ভাগই কোটি টাকা দামের গরু। বছরজুড়ে দেড় হাজার গরু বিক্রি করলেও সাদিক অ্যাগ্রোর বছরের আয়ের হিসাবের সঙ্গে করের হিসাব মেলানো দুষ্কর। ইমরানের বিক্রয়ের তথ্যানুযায়ী, দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকায় তিনি দেড় হাজার গরু বিক্রি করেছেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি গরুর দাম পড়েছে ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা। বর্তমান বাজারে এই দামে একটি মাঝারি মানের ছাগলও কিনতে পাওয়া যায় না। তাঁর ফার্মের একটি ছাগল ১২ লাখ টাকায় বিক্রির ইস্যুতে পুরো দেশ এখন সরগরম।

অন্তত ১০ লাখ টাকা গড়ে প্রতিটি গরু বিক্রি করলেও দেড় হাজার গরুর দাম দাঁড়ায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে তিনি কর দিতে গিয়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকার তথ্য গোপন করেছেন। এর আগেও এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইমরানের কর ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করেছিল। ওই অনুসন্ধানে কর ফাঁকির তথ্য প্রমাণিত হয়েছিল। তবে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আবার তদন্ত হতে পারে। আগের তদন্তের চেয়ে এখন তাঁর বিষয়ে অনেক বেশি তথ্য হাতে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ইমরান খুবই চতুর ব্যক্তি। সাদিক অ্যাগ্রো কম্পানি হিসেবে ২০১৭ সালে নিবন্ধিত হলেও কম্পানির নামে কোনো রির্টান নেই। এ ছাড়া তিনি জটিলতা এড়িয়ে যেতে ব্যাংক হিসাবে খুব বেশি টাকা রাখেন না। সম্ভবত তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কৌশলে টাকা পাচার করেন। অথবা আত্মীয়-স্বজনের নামে সম্পদ কিনে রাখেন।

সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে ৮১ লাখ টাকা আয়কে অবাস্তব বলে মনে করেন কর অঞ্চল ৬-এর কমিশনার মো. লুত্ফুল আজিম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি জানি না তাঁর ফাইলে তিনি কিভাবে হিসাব দেখিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর ফাইলটা আমার সামনে নেই, ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ঢাকা শহরের ভেতরে এত বড় অ্যাগ্রো ফার্ম আছে সেটাও আমাদের জানা ছিল না। এখন বিষয়টা জানলাম। এখন আমরা অনুসন্ধানে যাব। তবে দুগ্ধখামারের ওপর করহার কম।

তিনি বলেন, সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়ে আগেও সিআইসি থেকে তদন্ত হয়েছিল। এরপর অ্যাসেসমেন্ট কী হয়েছে তা আমি জানি না।

ইমরানের দেখানো হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর স্থায়ী ও চলতি সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা। ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ ৯১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮ টাকা। ব্যাংক দায় ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৬ টাকা। চলতি দায়ের পরিমাণ ১৫ লাখ ১২ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বমোট ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা।

ইমরানের সম্পত্তির বিবরণীতে দেখা গেছে, সাভারের জামুর মুচিপাড়া মৌজায় বিভিন্ন দলিল নম্বরে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৫০ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে তাঁর। একই এলাকার বিলামালিয়া মৌজায় ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৫২৫ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়া মালিকানা ও পরিচালক হিসেবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ২৯ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেডে তাঁর মালিকানামূল্য ৪০ লাখ টাকা, জালালাবাদ স্টিল লিমিটেডে এক কোটি পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, সাদিক অ্যাগ্রোতে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এক বছরে ইমরান সম্মানি বাবদ পেয়েছেন ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সুবিধা যোগ করলে তাঁর আয়ের পরিমাণ ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৬০ টাকা। বেতন বাবদ তাঁর করযোগ্য আয় দেখিয়েছেন ২৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬০ টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাত থেকে আয় বাবদ (সাদিক অ্যাগ্রো) ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৯ লাখ ৯ হাজার ৮৮৩ টাকা, ফার্মের লাভের অংশ হিসেবে পেয়েছেন ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৭০ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় এক লাখ আট হাজার ৭৪৭ টাকা। বছর শেষে তাঁর মোট আয় এক কোটি ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৯ টাকা। এর বিপরীতে তাঁর প্রদেয় কর ১৭ লাখ ২২ হাজার ৮৯২ টাকা। সেই হিসাবে তাঁর কর দাঁড়ায় ১৮ লাখ চার হাজার ৩৬৬ টাকা। সব ধরনের মওকুফ বাদ দিয়ে তাঁর করের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৬ টাকা। এই টাকা তিনি ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে চেকের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পরিশোধ করেছেন। চেক নম্বর এমসিএইচ ০৬৮৮১৭৮।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, দৃশ্যত এটি যৌক্তিক বলে মনে হয় না। এখানে আয় লুকানোর একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার। একটা অবৈধ জায়গায় তারা ফার্ম করেছিল। বছরে ৮১ লাখ টাকা আয় প্রকৃতপক্ষে তাদের বাস্তব আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে সম্ভাব্য বড় কর ফাঁকির ঝুঁকি রয়েছে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর



দস্যুতা না ছাড়লে কাউকে ক্ষমা করা হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দস্যুদের যারা এ পেশা ত্যাগ করবেন না তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবেন সেটা মহান আল্লাহ জানেন। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। সন্ত্রাস নির্মূল করতে গিয়ে র‍্যাবের ৩৩ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার র‍্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। অনেকের অঙ্গহানিও হয়েছে। তাই আমরা যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে সে কাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করছে। জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাত মুক্ত করব।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা র‍্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সিকিউরিটির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আজ এখানে একজন নারী জলদস্যুও আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

তিনি বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরাও তাদের বাধ্য করেন এসব কাজে জড়াতে। জনগণের কাছে র‍্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সুন্দরবনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় ২০১২ সালে র‍্যাবকে টাস্ক ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‍্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়। দস্যুরা যাতে আর সে কাজে ফিরতে না পারে তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আজ তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। কেউ ব্যবসা করছে বা অন্য কাজ করছে। পাবনায় ৬০০ ও সিরাজগঞ্জে ৩০০ এর অধিক চরমপন্থি গ্রুপের নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরও সরকার সহযোগিতা করেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ও খুনের মামলা আছে তাদের কোনোভাবে সহযোগিতা করা হবে না। অন্য মামলাগুলো থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কাজ করা হবে।

অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আত্মসমর্পণের পর আমরা দস্যুদের দিকে খেয়াল রাখছি। যদি তারা পুনরায় আগের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সব সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের কথার বরখেলাপ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, আমরা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। আজকে যারা আত্মসমর্পণ করছেন সবাইকে আমি স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানাই। এর আগে সুন্দরবন দস্যু মুক্ত হওয়ায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করছি। সুন্দরবন থেকে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পেশার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম র‍্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। এছাড়া আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।

র‍্যাব জানায়, সংস্থাটির চট্টগ্রাম ইউনিটের উদ্যোগে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এটি অন্যান্য জলদস্যুদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একপর্যায়ে চট্টগ্রামে বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের জলদস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম র‍্যাব তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।


আরও খবর



ট্রেনে ঈদযাত্রা: ১৩ জুনের টিকিট বিক্রি চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রবিবার (২ জুন) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ১৩ জুনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সোমবার (৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের অনলাইনের মাধ্যমে এই টিকিট কিনতে হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হয়।

এ ছাড়া আগামী ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন এবং ১৬ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে ৬ জুন।

এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ১০ জুন থেকে। ওইদিন ২০ জুনের আগাম ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১১ জুন ২১ জুনের, ১২ জুন ২২ জুনের, ১৩ জুন ২৩ জুনের এবং ১৪ জুন বিক্রি হবে ২৪ জুনের ফিরতি টিকিট।

যেভাবে কাটবেন টিকিট

এবারও বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এজন্য রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। আর যারা আগেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা সরাসরি লগইন করেই টিকিট কাটতে পারবেন।

যাদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা নেই তারা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ওপরের দিকে রেজিস্ট্রেশন’ লেখা অংশে ক্লিক করতে হবে। পরে রেজিস্ট্রেশন নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুলভাবে দিতে হবে। এরপর মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) চলে আসবে। সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করলেই সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন হয়ে যাবেন। এরপর টিকিট কাটতে পারবেন।

টিকিট কেনার জন্য প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। কেউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন না হয়ে থাকলে ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। এরপর যে পেজ আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, যাত্রা শুরুর স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরের পেজে ট্রেনের নাম, সিট খালি আছে নাকি নেই এবং ট্রেন ছাড়ার সময় দেখাবে। সেখান থেকে ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস’ বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের আসন নির্বাচন করে কন্টিনিউ পারচেজে’ ক্লিক করতে হবে।

পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলেও টিকিটের একটি কপি চলে যাবে। পরে ই-মেইলের ইনবক্স থেকে টিকিট প্রিন্ট করে ফটো আইডিসহ ই-টিকিট প্রদত্ত টিকিট প্রিন্ট দিয়ে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার আগে ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। তবে টিকিট প্রিন্ট না করলেও সমস্যা নেই, মোবাইল থেকে দেখালেও হবে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ২০ জেলায় ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রবিবার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি বলেন, আমরা গত কয়েকদিন থেকেই দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পরদিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয়দের খোঁজখবর নিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণকার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, দপ্তর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।


আরও খবর