আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আলু-পেঁয়াজের দামে নাভিশ্বাস, চড়া চালের বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

রাজধানীর বাজারে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশ চড়া। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে। বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাকে ডিমের ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। পাইকারিতে ডিমের পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পাড়া-মহল্লায় ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা।

রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছায় করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া আলুর দাম উঠেছে ৬৫ টাকা প্রতিকেজি, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। কমেনি কাঁচা মরিচের দামও, বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

বাজারের বেশিরভাগ সবজি চড়া দামে আটকে রয়েছে। প্রতিকেজি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কিছু। ওই দামের মধ্যে আছে পটল, ঢ্যাঁড়স, কাঁচা পেঁপে। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি। এছাড়া করলা ও বড় তালবেগুনের দাম ১০০ টাকা বা তার চেয়েও বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

এদিকে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।

ভিন্ন অজুহাতে চালের দাম বস্তায় ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিলমালিকদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।

রাজধানীর কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ার তথ্য মিলেছে।

জানা গেছে, খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি দেশি বাসমতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি মানের বিআর ২৮ ও ২৯ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ৫৪ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগে এসব চালের দাম কেজিতে মানভেদে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত কম ছিল।

বাবুবাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ জানান, চালের বাজার গত এক দেড় মাস ধরে স্থিতিশীল ছিল। কারণ এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে সরবরাহও ভালো ছিল। ঈদের পর হঠাৎ চালের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন কিছু মিলমালিক। এতে বাজারে চালের সরবরাহ কিছুটা স্থবির।


আরও খবর



মানুষের ওপর বোঝা চাপানোর বাজেট: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের ওপর আরও বোঝা চাপাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাজেট প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাজেটকে লুটের বাজেট উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই বাজেট লুট করার জন্য। তথাকথিত বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। সাধারণ মানুষের ওপর সমস্ত বোঝা চাপাবে। ব্যাংক ও বিদেশিদের ওপর ঋণ আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, বাজেটের সঙ্গে সবকিছুর দাম আবার বাড়বে। বিদ্যুৎ খাতে চুরির বিষয়টি সবাই জানে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষ তো আর পারছে না। নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। পুরো বাজেট বাংলাদেশ বিরোধী বাজেট। জনগণের জন্য কিছু নেই। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতির জন্য এই বাজেট।


আরও খবর



ঈদকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা হুমকি নেই : র‍্যাব ডিজি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র‍্যাব ডিজি।

মো. হারুন অর রশিদ বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রীক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র‍্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে। প্রতিটা বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটি দলকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্ত না হয় আমরা নজর রাখছি।

তিনি বলেন, ঈদের দিনে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। চামড়া নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘিরে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা-নাশকতার তথ্য নেই। তবে কোনো আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না, সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা প্রতিরোধ করতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে, যেকোনো গুজব প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরেও যদি এমন কিছু হয়ও আমরা প্রস্তুত আছি। যেকোনো ঘটনা প্রতিহত করতে র‍্যাবের প্রস্তুতি রয়েছে। র‍্যাব বর্তমানে ত্রিমাত্রিক এলিট ফোর্সে পরিণত হয়েছে। জলে-স্থলে-আকাশে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। নিশ্চয়তা দিচ্ছি শোলাকিয়ায় হামলার মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।


আরও খবর



মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এই বিতর্ক শুরু হয়। চার বছর পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি এ বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন ও ট্রাম্প।

বিতর্কের শুরুতে আসে অর্থনীতি ইস্যু। এরপর একে একে গর্ভপাত অধিকার, কর, স্বাস্থ্যসেবা এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বিতর্কে জড়ান বাইডেন ও ট্রাম্প। প্রসঙ্গক্রমে আসে করোনাভাইরাসের সময় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও।

এবার বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয় টেলিভিশন স্টুডিওতে। আগের বিতর্কগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি থাকলেও এবার তেমনটা ছিল না। ফলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সরাসরি পাওয়া যায়নি। বাইডেনের প্রচার দলের অনুরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ ছাড়া এবারের বিতর্কে একজনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বরাদ্দ সময়ে অন্যজনের মাইক্রোফোন বন্ধ ছিল। সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতেই এটি করা হয়েছে। ২০২০ সালে বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম বিতর্কের সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।

এদিকে বিতর্ক মঞ্চে উঠলেও প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কেও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে করমর্দন করেননি দুজন।

এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, তার বিশ্বাস ভ্লাদিমির পুতিন একজন যুদ্ধাপরাধী। পুতিন পুরোনো সোভিয়েত সাম্রাজ্য আবার প্রতিষ্ঠা করতে চান বলেও অভিযোগ তোলেন বাইডেন।

বিতর্কে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থের চেয়ে বেশি অস্ত্র দেওয়ার কথাও জোরালোভাবে বলেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এসব কারণেই আমরা শক্তিশালী।

এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের শর্ত নিয়ে ট্রাম্পকে প্রথমে একবার প্রশ্ন করেন সিএনএনের সঞ্চালক ডানা বাশ। প্রথমবার ট্রাম্প এর উত্তর এড়িয়ে যান। এরপর বাশ দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, পুতিনের শর্তগুলো আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য কি না? এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, না, এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।

পুতিন বলেছেন, মস্কোর নিজেদের বলে দাবি করা চারটি অঞ্চল কিয়েভ ফিরিয়ে দিতে রাজি হলে ও ন্যাটোতে যোগ দেওয়া থেকে সরে আসলে ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধ থামাবে। এসব শর্ত নিয়েই ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন ডানা।

ট্রাম্প বলেন, তিনি নির্বাচনে জিতলে ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাবেন। নির্বাচনী প্রচারেও ট্রাম্প এমনটা বলে থাকেন। তবে তিনি কীভাবে যুদ্ধ থামাবেন তা স্পষ্ট করেননি।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের যে ছুটি চলছে, তা কমিয়ে আনা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৬ জুন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে এবার ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়েছে ১৩ জুন, যা চলার কথা ২ জুলাই পর্যন্ত।

এর আগে মাধ্যমিক-১ শাখার একজন উপসচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বছরের শুরুতে তীব্র শীত ও মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। নতুন কারিকুলামে জুলাই মাসে যে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন হবে, তার প্রস্তুতি ভালো হয়নি। আমাদের কাছে খবর আছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাই পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। অর্থাৎ, ২৪ জুন থেকে তারা ক্লাস নেবেন। ওইদিন অথবা একদিন আগে বা পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুললে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া শনিবার পুনরায় ছুটি দেওয়া হতে পারে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরীও সেরকম ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা (শিক্ষাবর্ষের) ক্যালেন্ডারের হিসাব নিয়েছি।

বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়। এটি শিক্ষাপঞ্জি নামে পরিচিত।


আরও খবর



রাফায় বিস্ফোরণে নিহত ৮ ইসরায়েলি সেনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গত প্রায় দুমাস আগে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এই প্রথম সেখানে একসঙ্গে এতজন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুসারে, শনিবার ভোর ৫টার দিকে রাফার তেল আল-সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের একটি সামরিক সাঁজোয়া গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত ওই আট সেনা ওই গাড়িতে ছিলেন। সাঁজোয়া গাড়িটির কোনো যাত্রী আর বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে হামাস দাবি করেছে, তেল আল সুলতানের যেখানে সাঁজোয়া যানটি বিস্ফোরিত হয়েছে, সেখানে মাটির নিচে মাইন পাতা ছিল। বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই মাইনের প্রভাবেই। শুক্র-শনিবারের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন ১৯ জন ফিলিস্তিনিও।

রাফার সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে। গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই সীমান্ত শহরে জড়ো হন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এ কারণে গত এপ্রিলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যখন রাফায় অভিযান শুরু করতে চান বলে ঘোষণা দেন, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল।

তবে সেই আপত্তি উপেক্ষা করে রাফায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। কারণ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, এ শহরটিতে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তেল আল সুলতান এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, সেখানে হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে যে প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তাকে আরও জটিল করতে পারে এই ৮ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু।

কারণ গাজা অভিযান নিয়ে ইসরায়েলে দ্বিধা-বিভক্তি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন সভার অন্যতম সদস্য এবং সাবেক সেনা অধিনায়ক জেনারেল বেনি গান্টজ। তার অভিযোগ, গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহুর কোনো স্পষ্ট ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি জরিপের ফলাফল যদিও বলছে যে হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করতে গত আট মাস ধরে যে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন রয়েছে সাধারণ ইসরায়েলিদের। তবে গত কয়েক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহের শনিবার ইসরায়েলের প্রধান শহর তেল আবিবে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের ফেরত আনতে অনতিবিলম্বে গোষ্ঠীটির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে ইসরায়েলের সরকারকে।

তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করেই জিম্মিদের উদ্ধার করতে হবে এবং এই মুহূর্তে এই অভিযান থামানোর কোনো সুযোগ নেই।


আরও খবর