আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

বছরে ৫ লাখ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের লক্ষ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিবছরই বাড়ছে আমদানি-রপ্তানি। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নিমার্ণ করা হচ্ছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। এই প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে ফিনিশিং। এই টার্মিনালের মাধ্যমে বছরে অন্তত ৫ লাখ টিইইউ (টুয়েন্টি ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ২১ জুলাই খোলা পণ্যের জাহাজ ভেড়ানোর মধ্যে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে টার্মিনালটির কার্যক্রম। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক এ বিষয়ে বলেন, পিসিটি চালু হলে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমবে, টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমবে, আমদানি ও রপ্তানি গতিশীল হবে। এক কথায় দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ টার্মিনাল।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৯.৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এবং ২২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ডলফিন জেটিতে একটি তেলবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে। যার ধারণক্ষমতা প্রায় ৬  হাজার টিইইউ কনটেইনার। আর এ টার্মিনালের জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালের পর নতুন কোনো জেটিতে প্রথম জাহাজ ভিড়তে যাচ্ছে।

বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বড় হচ্ছে। সে অনুযায়ী আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাচ্ছি। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম। এর কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। ২১ তারিখ পরীক্ষামূলকভাবে একটি জাহাজ ভেড়ানো হবে। চূড়ান্ত উদ্বোধন মাস দুয়েক পরে করা হবে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের চারটি জেটির মধ্যে তিনটি কনটেইনারবাহী, আর একটি তেলবাহী। কনটেইনারবাহী তিনটি জেটি চালু হলে আমরা বছরে প্রায় ৫ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারব। এর ফলে আমদানি-রপ্তানিও গতিশীল হবে, জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমবে, টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমবে। সর্বোপরি দেশের আমদানি-রপ্তানিতে গতি আসবে।  বিভিন্ন সময়ে শুনি জাহাজ অপেক্ষমাণ থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণে টাকা গচ্চা দিতে হয়। সেটা আর হবে না বলে আশা করছি।। জাহাজ আসার সঙ্গে সঙ্গে বার্থিং হবে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল মোহনা থেকে কাছেই। জাহাজের  বার্থিং পেতে সাধারণত যে সময় লাগে, সেটাও কম লাগবে পিসিটিতে।

চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটি থেকে ভাটির দিকে ড্রাই ডক এনং বোটক্লাবের মধ্যবর্তী প্রায় ২৬ একর জায়গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে এ কনটেইনার টার্মিনাল। জানা গেছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন প্রকল্পটির জন্য আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। টার্মিনাল অপারেশন পরিচালনা ও বিনিয়োগ প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল, দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ভারতের আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড ও সিঙ্গাপুরের পিএসএ এ ক্ষেত্রে নিজেদের আগ্রহ দেখিয়েছে। 

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের অপারেটর নিয়োগের বিষয়ে বন্দর সচিব  বলেন, এই জেটিতে একসঙ্গে চারটি জাহাজ ভিড়তে পারবে। প্রথমত চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব জনবল ও যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। সরকারি পর্যায়ে গ্লোবাল অপারেটর নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে পিপিপি অথরিটির মাধ্যমে। এটা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্দরের নিজস্ব জনবল দিয়ে চালাবো।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে পরীক্ষামূলক জাহাজ ভেড়ানো হবে ২১ জুলাই। এর মাধ্যমে জেটিতে যেসব যন্ত্রপাতি সংযোজন হয়েছে সেগুলো দেখার জন্য কিছুদিন পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম চলবে। তারপর সেপ্টেম্বরে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের চিন্তা-ভাবনা করছি। চট্টগ্রাম বন্দরের গ্রোথ বাড়ছে। গ্রোথ সামাল দেওয়ার জন্য বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি, জেটি, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করতে হয়। বন্দরের যে গ্রোথ সেটাকে সামাল দেওয়ার জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু করতে চাচ্ছি। এর ফলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে। একসঙ্গে চারটি জাহাজ বার্থিং করা যাবে পিসিটিতে। চট্টগ্রাম বন্দরে এর ফলে বেশি পরিমাণে কনটেইনার রাখা যাবে ও একসঙ্গে বেশি পরিমাণে জাহাজ বার্থিং করা যাবে।  এ টার্মিনালের জন্য সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পোশাক শিল্প।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম দিনে বাল্ক জাহাজ ভেড়ানোর মাধ্যমে ইয়ার্ডের কার্যক্রম চালু করা হবে। পরবর্তীতে কনটেইনারবাহী জাহাজও ভেড়ানো হবে। তবে এক্ষেত্রে গিয়ারড জাহাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পিসিটিতে ভেড়ানোর সুযোগ পাবে। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ইকুইপমেন্টের পাশাপাশি জাহাজের ক্রেন দিয়ে পণ্য লোডিং ও আনলোডিং করা হবে। তাই সমস্যা হবে না। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ করার পরিকল্পনা আছে। কয়েকটি গ্লোবাল অপারেটরের সঙ্গে কথা চলছে।  অপারেটর নিয়োগ করার আগ পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেই সক্ষমতা বন্দরের রয়েছে।  ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ  ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যর জাহাজ ভেড়ানোর জন্য কাজ করছি। এর ফলে একসঙ্গে বেশি কনটেইনার পরিবহন ক্ষমতাও বেড়ে যাবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফট ও ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়তে পারে।

ডিপিএম (সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি) পদ্ধতিতে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল  প্রকল্পের কার্যাদেশ পায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ২০১৭ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু করলেও গত বছরের শুরুতে তা চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা ডিসেম্বরে চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বরেও তা সচল করতে না পারার পর এবার তা জুলাইয়ে এসে পরীক্ষামূলকভাবে সচল হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশেরও বেশি চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে হ্যান্ডলিং হয়। যদিও এ বন্দরে বর্তমানে জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নামের তিনটি টার্মিনালে মোট ১৯টি জেটি রয়েছে। পাশাপাশি তেল খালাসের জন্য রয়েছে চারটি ডলফিন জেটি। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোর পাশে ইয়ার্ড এলাকার মোট পরিমাণ ৮ লাখ বর্গমিটার। এ বন্দরের মাধ্যমে গেল অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।


আরও খবর



ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১ মে ৯৬ স্কোর নিয়ে ১৬ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় বসতঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস হাওলাদারের বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপির পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিদ মক্কি ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সুজন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থ প্রদান করা হয় এবং বসত ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে টিনসহ যাবতীয় কিছু যা দরকার তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চা বানাতে ইউনুস হাওলাদার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়, এতে ইউনুস আগুনে দগ্ধ হয়। ওই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে মালামালসহ বসতঘরটি সম্পূর্ণ পড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ঘরে থাকা স্বর্ণ অলঙ্কার নগদ ৫০ হাজার টাকা পুড়ে হয়ে গেছে বলে জানায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এতে অন্তত ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার।


আরও খবর



লক্ষীপুরের ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসার।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৩৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চশমা প্রতীকে ৬৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর হুসাইন ভুলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। তিন ধাপে আবেদন চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

সকল ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

২০২৪ সালে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পছন্দ তালিকায় ন্যূনতম পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ রাখতে পারবে শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে আবেদন জমা দিতে ১৫০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। তবে এমপিওভুক্ত, নন এমপিওভুক্ত, ইংলিশ ভার্সন, বাংলা ভার্সন, মহানগর, জেলাশহর, গ্রাম বিবেচনায় ভর্তি ফি আলাদা হতে পারে, কত হবে তা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নীতিমালায় বলা আছে। তিন ধাপের প্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সোমবার এ উদ্দেশ্যে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্তমন্ত্রী।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ণ, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রাথমিকভাবে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে, ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ২ হাজার ১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ২য় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫ হাজার ৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫ হাজার ৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী রাজধানীর কড়াইল বস্তি ও টি এন্ড টি কলোনীর বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।

৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানান উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

উল্লেখ্য যে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দের সাথে বসবাস করছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।


আরও খবর