আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

‘বেনজিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থায় সরকার সম্মত, আজিজের বিচার সেনাবাহিনী করবে’

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে সরকারের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির তথ্য থাকলে, তার বিচার সেনাবাহিনী করবে।

রোববার (২৬ মে) সকালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক Krishnamurthy Venkara Subramanian এর সঙ্গে বৈঠক শেষের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি ঋণ খেলাপিদের ধরতে চাই।

এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, ঋণ খেলাপিরা অনেক শক্তিশালী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আপনি পারবেন কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেখা যাক পারা যায় কিনা। এরপর মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখছেন সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার কি ক্ষমতা কম ছিল?

এ সময় আগামী অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও রাজস্ব আহরণ বাড়ানো প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমাদের অর্থনীতিতে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে, সেগুলো ওভারকাম করতে হবে এবং আগামী বাজেটে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণকে যে ইস্তেহার দিয়েছিল, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, আই এম এস এর রিনা তৃতীয় কিস্তি জুন মাসেই ছাড় করা হবে।


আরও খবর



স্থগিত ১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের স্থগিত ১৯টি উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এর আগে চার ধাপে ভোট সম্পন্ন করেছে ইসি।

এবারে নেত্রকোণার খালিয়াজুরী, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

তবে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাঠিপাড়া কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় প্রার্থীর এক এজেন্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

এই ১৯টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জনসহ মোট ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ইসি জানিয়েছে, ১৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন এবং ১ হাজার দুইটি কেন্দ্রে ভোটের দিন অর্থাৎ আজ সকালে ব্যালট গেছে।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন কমিশন

আরও খবর



আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস এবং ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা করে। আমাদের দল জন্মলগ্ন থেকেই দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। আমি তৃতীয় বারের সাধারণ সম্পাদক। আমাদের একটা সম্মেলন কেউ বলতে পারবে না সময় রেখা অতিক্রম করেছে। আমরা ডিসেম্বরের সময় সীমার মধ্যেই জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন করি। আগামী সম্মেলনও ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে আমাদের জাতীয় সম্মেলন হবে।

ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ মহানগরের বিভিন্ন কমিটি গঠনের বার্তা নিয়ে এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দেরিতে হলেও এই কাজটি অনেক দিন ধরে নেতাকর্মীদের আশা আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। মহানগর দক্ষিণও আমাকে জানিয়েছে দু একদিনের মধ্যে কমিটি জমা দেবে। প্রধান প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছে। উত্তর আগেই কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শেষ করেছে।

এই সময় উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা এই প্রস্তাবিত কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পৌঁছাবেন। ৭ জুন আমরা সারা দেশে ৬ দফা দিবস পালন করবো। এর পরেই সবার হাতে কমিটি চলে যাবে। এনিয়ে কেউ শোরগোল করতে পারবেন না। কোনো কথা থাকলে লিখিত অভিযোগ আমাদের সভাপতির ধানমণ্ডি অফিসে জমা দেবেন।

প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এসময় উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়েও একজন গর্বিত কৃষক ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান তিনি। তার রয়েছে আরও একটি পরিচয়, কৃষক। সাত একর জায়গায় তার একটি খামারও রয়েছে। বাগানটিতে রয়েছে দেশি বিদেশি ৩৬ জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গাছ। এছাড়াও রয়েছে, গরুর খামার, মাছের খামার এবং জৈব সারের প্লান্ট।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুলের বাজারে নিজের বাগানে চাষ করা ১৬ কেজি কচুর লতি বিক্রি করছিলেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বাজারে একটি প্লাস্টিকের টুলের ওপর বসে কচুর লতি বিক্রি করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ছবিসহ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। বিষয়টি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। এই সুবাধে গত ৯ বছর ধরে তিনি কৃষিকে ভালোবেসে এই গ্রামেই বাণিজ্যিকভাবে ৭ একর জমিতে কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার।

জানা যায় খামারে রয়েছে, ড্রাগন ফল, মাহালিশা, কিউজাই, ব্রুনাই কিং, বাউ-৪, কাঁচামিঠা, তাইওয়া গ্রিন, কাটিমন, পালমার, মল্লিকাসহ ১০ প্রজাতির আম, চায়না থ্রি, মঙ্গলবারিসহ তিন প্রজাতের লিচু, মিসরীয় শরিফা, স্ট্রবেরি, চেরি, থাই পেয়ারা, আম, লেবু, জাম্বুরা, লটকন, মাল্টা, সফেদা, আতাফল, কদবেল, আমলকী, ডেউয়া, ডুমুর, কাঠবাদাম, জামরুল, থাই জাম্বুরা, লটকন, মল্টা ও কলা ইত্যাদি ফলগাছ।

এছাড়াও মাছের খামারও রয়েছে। পুকুরে দেশি প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়। পুকুর পাড়ে রাজহাঁস আর চীনা হাঁসের ছোট্ট একটি খামারও আছে। মাছের জন্য বাজার থেকে আলাদা খাদ্য কিনতে হয় না। পুকুরপারে একটি শেডে কিছু গবাদি পশুও লালন-পালন করছেন।

দেশের তরুণদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে তাঁর এ প্রচেষ্টা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে দাবি সুশীল সমাজের।

উল্লেখ্য যে, ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলে। বাবার সেনাবাহীতে চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় সেনা নিবাসে বসবাস করতেন তিনি। ২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন। এরপর ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেন তিনি।

বর্তমানে তিনি বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



যমুনায় বাড়ছে পানি, ভাঙন আতঙ্কে চরের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনাসহ সবকটি নদীতে পানি বাড়ছে। বিরাজ করছে বন্যা আতঙ্ক। চর ও নিচু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করছে। যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি যোকারচর পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা যায় চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ী এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েক দিন ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষগুলো।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। বিগত ভাঙনের পর যেটুকু সম্বল বেঁচে ছিল, সেটিও ভাঙনের আশঙ্কায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন নদীপাড়ের শতশত ভাঙন কবলিত মানুষ। ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।

নদীপাড়ের মানুষের অভিযোগ, গেল বছর ভাঙনরোধে খানুরবাড়ী, চিতুলিয়াপাড়াসহ বিভিন্নস্থানে নামমাত্র জিও ব্যাগ ফেলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেগুলো এখন ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে নিজ নিজ বাড়ির সামনে জিওব্যাগ ফেলে। দরিদ্র পরিবারের বাড়ির সামনে জিওব্যাগ ফেলা হয় না।

পাটিতাপাড়ার গ্রামের বাসিন্দারা জানান, যমুনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে পানি বাড়ছে। এতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। গত বছর বসতভিটা ভেঙে যেটুকু থাকার জায়গা ছিল সেটি এবারও চোখের সামনে নদী গর্ভে বিলীনের পথে।

গত বছর বন্যায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা গাইড বাঁধের জিওব্যাগ আনলোড ড্রেজারগুলোর কারণে ধসে যাচ্ছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধ-পাকা সড়ক, গাইড বাঁধ বসত-বাড়ি, মসজিদ-মন্দির, ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, কিছু দিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন দপ্তরে অবগত করাসহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভূঞাপুরে ভাঙনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভাঙন এলাকাগুলোর মধ্যে গোবিন্দাসী ও নিকরাইলের জন্য একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার ইকোনোমিক জোনের কাজ শুরু হলে স্থায়ী বাঁধ হয়ে যাবে।


আরও খবর



ঢাকার ৯৫ শতাংশ বাড়িঘর অনুমোদনহীন: গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকার প্রায় ৯৫ শতাংশ বাড়িঘর অনুমাদনহীন বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‌আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। টেকসই শহর তৈরি: বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও বাধা শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

সেমিনারে স্থপতি ইকবাল হাবিবের বরাত দিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেছেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৯৫ শতাংশ বাড়িঘর অনুমোদনবিহীন। এ অনুমোদনবিহীন বাড়িঘরগুলোকে যাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদনের আওতায় আনা যায়, এজন্য একটি কমিটি আছে। এমন একটি কমিটি আছে, তা গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার আগে আমি জানতামই না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকাই বাংলাদেশ নয়, ঢাকার বাইরেও বাংলাদেশ আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা যারা ঢাকায় থাকি, তারা ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ আছে, সেটা বুঝতে চায় না। এমনকি যারা গ্রামে থাকে তারাও মনে করে ঢাকায় চলে যাওয়া ভালো, ওটাই বাংলাদেশ। নগরায়নকে শুধু বিল্ডিং তোলা এবং কিছু মানুষের বসবাসের সুবিধা ও জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত করলে চলবে না। নগরায়নের সঙ্গে এখন প্রকৃতির বিস্তৃতির কথাও খেয়াল রাখতে হবে। ইকো-ফ্রেন্ডলি একটি অবস্থান তৈরি করতে হবে।

প্রকৃতিকে ধ্বংস করে দিয়ে নগরায়ন করা হচ্ছে মন্তব্য করে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, নগরায়ন করতে গিয়ে প্রকৃতির কথা খেয়াল রাখা হচ্ছে না। নগরায়নের ক্ষেত্রে শুধু বিল্ডিং তুললেই হবে না, আরো অনেক কিছু দেখতে হবে। আমরা নগরায়নের নামে বুড়িগঙ্গাকে শেষ করে দিয়েছি। শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, পুরো পানি ব্যবস্থাটাকেই আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি। এটাকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়, সেটাকেও নগরায়নের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা চিন্তা করতে হবে।

প্রতিদিন কৃষিজমি নগরায়নের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা নগরায়ন করতে গিয়ে যত কৃষি জমি আছে, যত জলাশয় আছে, সব তো ধ্বংস করে দিয়েছি। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন। তাই বলে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য মহাপরিকল্পনা দরকার।

তিনি বলেন, প্রকৃতি ধ্বংস না করে নগরায়ন করা সম্ভব, শুধু যারা কাজটি করবেন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। তাদের এ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হব, দেশটা তার এবং তার ভবিষ্যৎ বংশধরদের। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মনমানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এক জায়গা থেকে সব পরিকল্পনা হওয়া উচিত। সেটা না হলেও অন্তত সমন্বয় থাকা উচিত। আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমের জায়গা থেকে বিষয়গুলো দেখা উচিত।

তিনি বলেন, প্রকৃতি ধ্বংসের দায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টির ওপর চাপিয়ে দিলে হবে না। এ কাজটি আমরা সবাই মিলে করেছি। আমরা সবাই মিলে যে দুষ্কর্মটা করেছি, সেই দুষ্কর্ম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। নিজেদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

বিআইআইএসএস এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খানের স্বাগত বক্তব্যে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএস এর গবেষণা পরিচালক শেগুফতা হোসেন।

এছাড়া বিআইআইএসএস এর চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ (সিইউএস) এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ঈশিতা আলম অবনী, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার শাব্বির আহমেদ।

সেমিনারে আলোচকরা বলেছেন, টেকসই শহর তৈরি করা বিশ্বব্যাপী একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। দ্রুত নগরায়ন, অবকাঠামোগত অগ্রগতি ও শহরমুখী অভিবাসন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করেছে, যার ফলস্বরূপ শহরগুলোতে প্রকৃতি, মানব জীবন এবং সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশের বড় শহরগুলো যানজট, জলাবদ্ধতা, বায়ু-জল-মাটি দূষণ এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে ভুগছে। পরিকল্পিত এবং টেকসই নগরায়ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত এবং এসডিজি ১১ এ বর্ণিত এই প্রয়োজনীয়তাকে বাংলাদেশ গুরুত্ব প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সরকার সেই লক্ষ্যগুলি বাস্তবায়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা অর্জনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সরকারের এসব প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে।

বক্তা ও প্যানেলিস্টরা নগরায়ণের ফলে উদ্ভূত সমস্যাদি মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং অন্যান্য মহানগরের ক্ষেত্রে গৃহীত সর্বোত্তম কার্যপদ্ধতিগুলো থেকে শিক্ষালাভের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের প্রসারের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।


আরও খবর