প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন নেই। তারপরও বিএনপি ওই নির্বাচনের পর ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছিল। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা আমাদের ২১ হাজার কর্মীকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে সুযোগ দিয়েছিল বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পারছি। জনগণকে বলবো, সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। এরা সৃষ্টি নয়, ধ্বংস করতে পারে। লুটপাট করতে পারে, কিন্তু মানুষকে কিছু দিতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের আখাউড়া-লাকসাম অংশে নির্মিত ৭২ কিলোমিটার দুই লেনের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এদিন বেলা ১২টা ১১ মিনিটে উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি সবুজ পতাকা নাড়ালে একটি বিশেষ ট্রেন লাকসাম থেকে আখাউড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) এই আখাউড়া-লাকসাম রেলপথে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। আমরা রেলওয়েতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আজকে যে ডাবল লাইন উদ্বোধন হচ্ছে, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২১ দফা দাবিতে সেটি ছিল। আমরা এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেনে ভ্রমণ আনন্দদায়ক। এতে সময় ও অর্থ খরচ কম হয়। খুব সহজে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ করা যায়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শে রেলপথকে বন্ধ করতে চেয়েছিল। আমি যখন যমুনা সেতুর ওপর রেললাইন নির্মাণ করতে যাই, তখনও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাধা দেয়। এখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকই আমাদের বিভিন্ন কাজে অর্থায়ন করছে।’
চালকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই রেলপথে ঘণ্টায় ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ১২০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অনেক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। তাই ট্রেন চালানোর সময় সতর্ক হতে হবে। এলাকা বুঝে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে।’
কুমিল্লার লাকসাম জংশনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ সময় আখাউড়া থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।