আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বিএনপির চোখে ঘুম নেই, ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, বিএনপির চোখে ঘুম নেই, ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফখরুলের চোখে অশান্তির আগুন। লন্ডন থেকে ফরমান আসে। ইন অর আউট।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে কখন? তারা নিজেরা নিজেদের কে বিশ্বাস করে না। কেউ কাউকে পছন্দ করে না, বলে সরকারের এজেন্ট। একেকজন আরেকজন কে বলে সরকারের এজেন্ট। তাদের আন্দোলন ভুয়া।

বিএনপি এক দফা কোথায় গেল প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, গেল রে গেল, সব নাকি ইন্ডিয়া হয়ে গেল। গেল রে গেল, স্বাধীনতা গেল, গেল রে গেল সার্বভৌমত্ব গেল। কোথায় গেল? তিপ্পান্ন বছর আমরা স্বাধীনতা নিয়ে টিকে আছি। কোথায় যাব? ভারত আমাদের বন্ধু।

বিএনপি ভারতের দাসত্ব চেয়েছিলো মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনে আছে, নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় আসে প্রথম দিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বিএনপি নেতারা ভারতের হাই কমিশনের সামনে হাজির। হাই কমিশন বন্ধ, মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা ভারত বিরোধীতা করে কিন্তু ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের ইচ্ছায় গ্যাস বিক্রি করার অঙ্গীকার করে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছেন বলেই আজকে ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়, আরেকটা বাংলাদেশের সমান সমুদ্র সীমা আমরা ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে পেরেছি, শান্তিপূর্ণভানে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে।

এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি।


আরও খবর



নড়াইলে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

নড়াইলে ইজিবাইক কেনার প্রলোভনে পলাশ মোল্যাকে (২৫) অপহরণ ও হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ আদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা, জয়পুর ইউনিয়নের মরিচপাশা গ্রামের মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া এবং নোওয়াগ্রাম ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের আকুব্বার শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার।

রায় ঘোষণার সময় জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি আনারুল মোল্যা ও নাজমুল সিকদার পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ জুন সকালে লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা (২৫) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনারুল মোল্যা, জিনারুল ইসলাম এবং নাজমুল শিকদার। তারা ৪০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যাকে অপহরণ করেন। ২৬ জুন পুলিশ মাগুরার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীরের পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে এবং ছবি দেখে তার লাশ সনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী লোহাগড়া থানায় প্রথমে নিখোঁজের জিডি এবং পরে অপহরণ করে হত্যার মামলা করেন।

নড়াইলের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ইমদাদুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের পর উচ্চ আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে রায় কার্যকর হবে।


আরও খবর



ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহার আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ জুন)। বাড়ি ফেরার তাড়ায় লোকজনের ভিড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে লোকজনকে বেশ খানিকটা সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী, কল্যাণপুর, তেজগাঁও, সাতরাস্তা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকে। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দারুস সালাম এলাকায়‌ সরেজমিন দেখা যায়,‌ ঢাকা ঢোকার প্রবেশপথে পবর্তা সিগন্যালে আটকে যাচ্ছি ঈদ যাত্রীকে নামিয়ে আসা ফিরতি বাসসহ সব পরিবহন। পর্বতা সিগন্যাল থেকে দারস সালাম মাজার রোড পর্যন্ত যানজট। দীর্ঘসময় গাড়ি আটকে থাকছে সিগন্যালের কারণে। অন্যদিকে ঈদযাত্রার বাসসহ অন্যান্য পরিবহন একইভাবে টেকনিক্যাল, মাজার রোড ক্রসিং, গাবতলী বাস টার্মিনাল হয়ে পর্বতা সিগন্যাল পার হতে সময় লাগছে অন্তত আধা ঘণ্টা।

ডিএমপি‌র ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুব আলী বলেন, আজ ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। স্বাভাবিকভাবে আজ অন্যদিনের তুলনায় সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। সকাল থেকে দারুস সালাম, মাজার রোড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদযাত্রার গাড়িগুলোর চাপ রয়েছে রাস্তায়। বেলা যত গড়াচ্ছে যানজট ততই বাড়ছে। ঈদযাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট থাকবে।

এদিকে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে একদিক দিয়ে যানজট পৌঁছেছে বনানী পর্যন্ত। অন্যদিক দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে যানজট তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা হয়ে সাতরাস্তা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া রাস্তায়ও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকে।

এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রনি বলেন, আজ ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস, যানজট হবে এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া মহাখালীতে আন্তঃজেলা একটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। সকাল থেকে বাস টার্মিনাল থেকে ঈদযাত্রার দূরপাল্লার গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে মহাখালী থেকে শুরু করে এর আশপাশ এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডিএমপির নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ জুন থেকে। এতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ১৯ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ট্রাফিকের কুইক রেসপন্স টিমও থাকবে। এরপরও তাদেরকে নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মুনিবুর রহমান।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. পরীক্ষার হলে রওনা দেয়ার আগে অবশ্যই প্রশ্নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সঙ্গে নিতে হবে।

২. পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থানটি ভালো করে জেনে এবং বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে।

৩. পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

৪. বাসা থেকে এমনভাবে বের হতে হবে যেন ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়।

৫. যেসব সড়ক পারাপারে রেল ক্রসিং আছে, তা বিবেচনা করে বাসা থেকে সময় নিয়ে রওনা দেয়া জরুরি।

৬. বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি খোঁড়াখুঁড়ি বা মেরামত কাজ চলে, তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওনা দিতে হবে।

৭. পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।

৮. কোনো অবস্থায়ই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করা যাবে না।

৯. যেসব পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে, তারা অবশ্যই নিরাপত্তার কারণে হেলমেট পরতে হবে।

১০. পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীরা যানজট বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে।

১১. ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে, প্রয়োজনে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার এবং পুলিশের সহায়তা নিতে হবে।

১২. রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে তা ব্যবহার করতে হবে।

১৩. পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক বা পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন কেন্দ্র থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে পার্কিং করতে হবে।

১৪. পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। এ জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেন্দ্রের সম্মুখে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়াতে হবে।

১৫. পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

১৬. গত এক বছরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন রাখতে পারে।

১৭. ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন থেকে আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

১৮. বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে। অবশ্যই ছাতা, রেইনকোর্ট কিংবা বৃষ্টি থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

১৯. যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করতে হবে।


আরও খবর



বেনজীর-আজিজ আওয়ামী লীগের কেউ না: কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেনজীর ও আজিজ আওয়ামী লীগের কেউ না। তাদের দুর্নীতির বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদ আমাদের দলের লোক নয়। সিনিয়রিটি নিয়ে সে আইজিপি হয়েছে। আজিজ আহমেদও আমাদের দলের লোক নয়। সেনাপ্রধান হয়েছেন নিজ যোগ্যতায়, সিনিয়রিটি নিয়ে। আমরা তাকে বানাইনি। যখন কোনো অপরাধ করে সরকারের কাছে খবর আসে, তার বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে।

এসময় সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনা, র‌্যাব বা প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। ৮ জনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈন উদ্দিনকে কে সেনাপ্রধান বানিয়েছে? বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক আইজিপি শামসুল হুদা, এসপি কহিনুর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল ভুলে গেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অস্ত্র মামলায় দশ বছর, অর্থপাচারে আজ পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বিদেশে একজন সৎ রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় সাজা স্থগিত করে বাসায় বসে চিকিৎসা নিতে পারছেন। আজ সেই বিএনপি দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে দুর্বৃত্তের জন্মদাতা। আমাদের দলের নেতৃত্বে কোনো দুর্নীতি থাকলে তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসেন। আজ বিএনপি তাদের দুর্নীতিবাজ পলাতক আসামি তারেক রহমানকে ভালো লোক সাজানোর চেষ্টা করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, টিআইবি আর সুজন, ফখরুল-গয়েশ্বর যে সুরে কথা বলে, তারাও সেই সুরে কথা বলে। টিআইবি আর সুজন কি বিএনপির বি টিম? একই সুরে কথা বলে। কোনো পার্থক্য নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করছেন। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ আমূল পরিবর্তন। শেখ হাসিনা যেটা করেছেন সেটা হলো উন্নয়ন। যার কোনো তুলনা নেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেল- বাংলাদেশের যে দিকে তাকাই শুধু উন্নয়ন।

বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, কষ্টে থাকলে জানাবেন, অপকর্ম করবেন না। আমাদের নিজের দুর্বলতার খবর শত্রু জানলে নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলল পেন্টাগন

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর মনে করে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে পেন্টাগন অ্যাক্রেডিটেড সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে আমি কী তা জানতে পারি?

জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে সেখানে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে বিভাগটি (পেন্টাগন)।

তিনি আরও বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।

গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।


আরও খবর