আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ
ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের
আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান
বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস বিএনপির
রাজনীতির মূল অস্ত্র। এখন তারা তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের আড়ালে পুনরায় সন্ত্রাসের
পথ বেছে নিয়েছে।’
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির শিষ্টাচার বহির্ভূত মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন>> ‘সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,
‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের
মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এ দেশে গণতন্ত্রের
উন্মেষ, বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা যতটুকুই হয়েছে তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। বিএনপি নিজেদের
গণতন্ত্রকামী শক্তি হিসেবে দাবি করলেও মজ্জাগতভাবে তারা গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী একটি
অপশক্তি। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিএনপি প্রধান শত্রু
জ্ঞান করে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর
তথাকথিত সমাবেশের নামে বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত তাণ্ডবলীলা গণমাধ্যমে
প্রকাশিত ছবি ও সংবাদের মাধ্যমে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ
থাকার পরও বিএনপির নেতারা নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করছে। তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা
কীভাবে হাসপাতাল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের
হত্যা করেছে, তার প্রমাণও প্রকাশিত হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চিত্র ধারণ
ও প্রচার করায় তারা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও ন্যক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে।’