আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বিষখালী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
Image

বামনা(বরগুনা) প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরগুনার বামনা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় পানি ঢুকে সাধারণ জনগণের ব্যপক ক্ষতি হয়। অধিকাংশ জায়গায় বেড়িবাঁধ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বামনা উপজেলার চলাভাঙ্গা, রামনা ও চেচান এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সংরক্ষিত ১৪ আসনের মহিলা সদস্য মোসাঃ ফারজানা সুমি, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আঃ ছালাম পিপিএম।

মন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে পাথরঘাটা আসেন। পাথরঘাটা থেকে স্প্রিডবোট যোগে বরগুনা জেলার বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা ও বরগুনা সদর উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রাপ্তি ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন’

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন।

শনিবার (৮ জুন) সকালে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও শেষে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্মার্ট পদ্ধতিতে ভূমিসংক্রান্ত সকল সেবা দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্তভাবে জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি অন্যতম ক্ষেত্র। একই সঙ্গে, পিতা-মাতা ও পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের নিরাপদভাবে থাকার জন্য বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের আহ্বান জানাই।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহম্মেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ঘশ চৌধুরী সৈয়দ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সিলেটে বন্যায় পানিবন্দি সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ আটটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন মানুষ।

প্লাবিত হয়েছে সুরমা নদী তীরবর্তী সিলেট নগরীর নিম্নাঞ্চলও। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৪ হাজার পরিবার।

শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সিলেটে পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠা লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলার ১৩টি উপজেলায় বন্যা প্রস্তুতি হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৫৪৭টি। বন্যা কবলিত আট উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দেয় সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায়।

শুক্রবার নতুন করে প্লাবিত হয় সিলেট সদর উপজেলা। এদিন বিকালে সরেজমিনে সিলেট নগরীর তালতলা, যতরপুর, মাছিমপুর ও উপশহরের রাস্তাঘাটে পানি দেখা গেছে। ময়লা পানি মাড়িয়ে নগরবাসীকে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বেশি প্লাবিত হয়েছে উপশহরের কয়েকটি ব্লক।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দিনভর কর্মতৎপর ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা। শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

পানিবন্দি মানুষের জন্য ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও পাশ্ববর্তী একটি পাঁচ তলা খালি বিল্ডিংয়ে একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনির ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, বিভিন্ন কাউন্সিলরদের দেয়া তথ্যমতে ইতিমধ্যে নগরীতে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার পরিবার। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিসিক।

এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর ১৫, ২২ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের, সুবহানীঘাট, উপশহর, তেররতন এলাকা পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, স্থানীয় কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির সুহিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ নদীর পানির বেড়ে ইতিমধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি শহরের দিকে ধেয়ে আসছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তত্ত্বাবধানে সংকট মোকাবেলা করতে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এর আগে বন্যা পরিস্থিতি মোকবেলায় বৃহস্পতিবার জরুরি সভা করে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা সিলেট শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার, কানাইঘাট পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা জকিগঞ্জ পয়েন্টে বিদৎসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর সিলেটের অন্য নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে বেশি পানিবন্দি হয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়েছে। আর ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ২৪২ জন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছেন ৯৩ হাজার মানুষ। উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৩ জন মানুষ।

কানাইঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে নয়টি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন ৮০ হাজার ৬০০ মানুষ। ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন।

জৈন্তাপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। এ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৪৮টি। সেখানে ৬৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

জকিগঞ্জ উপজেলায় নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ জন। উপজেলার ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ১৯৮ জন।

বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে বন্যা হয়েছে; এখানে পানিবন্দি হয়েছেন ৫ হাজার ৫০০ মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭টি; আশ্রয় নিয়েছেন ৬০ জন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ মানুষ। উপজেলায় ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

নতুন করে প্লাবিত সিলেট সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন ১ হাজার ৬২০ জন। এই উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯টি; এখনও কেউ আশ্রয় নেয়নি।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডি: ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের টানা চার শিরোপা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আবারও বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা চারবার শিরোপা বুঝে নিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আজ নেপালের বিপক্ষে তিনটি লোনাসহ ৪৫-৩১ পয়েন্টে জিতে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির শিরোপা ধরে রেখেছে স্বাগতিকরা।

টানা চার আসরেই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, তাও অপরাজিত; বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেই এটি বিরল ইতিহাস। স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবত ক্রীড়ার কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে টানা চারবার শিরোপা জেতেনি বাংলাদেশ। চারটি টুর্নামেন্ট মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজিত বাংলাদেশ।

সেমিফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে নেপাল। তবে কঠিন সেই ম্যাচ খেলার ২২ ঘণ্টা পর ফাইনাল খেলতে নামায় নেপালি খেলোয়াড়দের শরীর ও চোখে-মুখে ছিল ক্লান্তির ছাপ। তবে ফাইনালে বাংলাদেশের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের পেছনে এটা বড় কোনো বিষয় ছিল না। আবদুল জলিল, সুবিমল দাসের শিষ্যরা এবার একটা দল হয়ে খেলেছে। পেয়েছে ১০ হাজার আসনের মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারির সমর্থন। বাংলাদেশকে হারানোর মতো শক্তি যেমন নেপালীদের ছিল না, পিছিয়ে ছিল দক্ষতা, কৌশলেও।

সেমিফাইনাল জেতার পর কেনিয়াকে নিয়ে পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নেপাল জেতার পরই তাদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করতে নামেন আবদুল জলিল, সুবিমল দাসেরা। নিজেদের কাবাডির ইতিহাসে প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠায় এমনিতেই স্নায়ুচাপে ছিল নেপাল। তার ওপর স্বাগতিক দর্শকের চাপ।

নেপাল মূলত খেলেছে ঘনশ্যাম রোকা মাগার ওপর নির্ভর হয়ে। সেমিফাইনালে কেনিয়া তার কৌশলের সাথেই কুলিয়ে উঠতে পারেনি। ফাইনালের আগে স্বাগতিকরা তাকে নিয়ে হোমওয়ার্কের সুফল পেয়েছে ম্যাচের শুরু থেকেই। কোর্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় প্রথম রেইড থেকেই। মাত্র ৮ মিনিটে প্রথম লোনা, চাপ কাটিয়ে উঠতে না পারায় প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে ২৪-১০ পয়েন্টে, শেষ পর্যন্ত ৪৫-৩১ পয়েন্ট ম্যাচ জয়। ফাইনালে ঘনশ্যাম রোকা মাগারকে কড়া মার্কিংয়ে রাখায় স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি তিনি। তারপরও সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচবার ম্যাচ সেরা হয়ে পেয়েছেন আসর সেরার স্বীকৃতি। বাংলাদেশের মিজানুর রহমান হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা রেইডার, রোমান হোসেন সেরা ক্যাচার।

বিদায়ী ম্যাচে ফাইনাল সেরা বাংলাদেশ অধিনায়ক আরুদুজ্জামান মুন্সী বলেন, এবার আমাদের দলটা আগের তিন আসরের চেয়ে গোছালো, শুরু থেকে এক দল হয়ে খেলতে পারায় প্রতিটি ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে পেরেছি। কোরিয়া, জাপান, কেনিয়ার মতো বড় দল থাকলেও আমরা চাপমুক্ত থেকে খেলার চেষ্টা করেছি, সেভাবেই সফল হয়েছি।

ম্যাচ শুরুর আগে মুকুট পরিয়ে আরুদুজ্জামান মুন্সীর আন্তর্জাতিক কাবাডিকে বিদায় জানানোকে স্মরণীয় করে দেয় কাবাডি ফেডারেশন। এটাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সোনালি ট্রফিতে অধিনায়কের বিদায়টাকে আরও বেশি রাঙিয়ে দিয়েছেন সতীর্থরা।

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির আগের তিন আসরের মধ্যে প্রথম দুইবার (২০২১ ও ২০২২) কেনিয়াকে (৩৮-২৮ ও ৩৪-৩১) এবং ২০২৩ সালে গত আসরে চাইনিজ তাইপেকে ৪২-২৮ পয়েন্টে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।

ফাইনাল শেষে কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

চ্যাম্পিয়ন: বাংলাদেশ

রানার্সআপ: নেপাল

ফাইনাল সেরা: আরুদুজ্জামান মুন্সী (বাংলাদেশ)

টুর্নামেন্ট সেরা: ঘনম্যাশ রোকা মাগার (নেপাল)

সেরা রেইডার: মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ)

সেরা ক্যাচার: রোমান হোসেন (বাংলাদেশ)।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামীর জনতার পক্ষে সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শনিবার (১ জুন) বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে চট্টগ্রামের প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে, তাদের দেয়া অর্থ আর অস্ত্রে ফিলিস্তিনে যে হত্যায্জ্ঞ ইসরাইলি দখলদার বাহিনী চালাচ্ছে, এটা নিছক গণহত্যা নয়। এটা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। গত আট মাসে ৩৬ হাজার মানুষকে ইসরাইলিরা হত্যা করেছে। আর তাদের দোসর আমেরিকা নানা ছলাকলায়, কথার জাল বুনে এ অপরাধকে বৈধতা দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি তৈরি করে সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ঘটানোই আমেরিকা-ইসরাইলের কৌশল। এ দুই দেশকে মানবতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্বের সকল বিবেকমান মানুষকে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশ্বের সকল শান্তিকামী রাষ্ট্রকে যুদ্ধবাজ আমেরিকা-ইসরাইলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশকেও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার পাশে দাঁড়াতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে।

খেলাঘরের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রমেন দাশগুপ্তের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কথাসাহিত্যিক-সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, নারীনেত্রী নূরজাহান খান, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা ও  সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সিপিবি দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যাপক কানাই দাশ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, বোধন আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ, খেলাঘর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য রথীন সেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি লাকী দাশ, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী, ছড়াকার অধ্যাপক অ্যালেক্স আলীম, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দিলীপ দাশ, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক দেবপ্রিয় বড়ুয়া অয়ন, চট্টগ্রাম জেলা যুব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির, চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি টিকলু কুমার দে, অগ্নিবীণা পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সানি চৌধুরী এবং মুক্তধারা পাঠাগারের সংগঠক হামিদ উদ্দিন।

সভাপতির বক্তব্যে খেলাঘর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, '১৯৪৮ সালে ইসরাইল নামে এ লাঠিয়াল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদের শেকড় বিস্তৃত হয়েছে। আরব রাষ্ট্রগুলোতে যখন গাদ্দাফি বা সাদ্দাম হোসেনের মতো শাসক যারা সাম্রাজ্যবাদকে নির্দ্বিধায় কুর্নিশ করে না, তাদের মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তেমনি ভাবে আমেরিকা হামাসের মতো একটি সংগঠন জম্ম দিয়ে তাদের মাধ্যমে উসকানি সৃষ্টি করে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার এবং মধ্যেপ্রাচ্যেকে ক্রমাগতভাবে সাম্রাজ্যবাদের নখরের মধ্যে আটকে রাখার পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে চলেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে ও সহযোগিতায় ইসরাইল এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, সেটাকে আমি শুধু গণহত্যা বলতে রাজি নয়। আর কত হাসপাতালে, শরনার্থী শিবিরে, ত্রাণের লাইনের দাঁড়িয়ে থাকা নারী ও অবুঝ শিশুকে বোমা মেরে হত্যা করলে সেটা গণহত্যা হবে ? মার্কিন সাম্রাজ্যেবাদের মতো নিষ্ঠুর প্রকৃতির শাসকগোষ্ঠী এ নীতিবাক্যের কোনো জাবাব দেবে না। তার বিরুদ্ধে একমাত্র জবাব আমরা মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সারা পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ মানুষ আজ এ সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অশোক সাহা বলেন, 'সাত দশক ধরে প্যালেস্টাইনের জনগণ যে জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম করছে সেটাকে টুটি টিপে হত্যা করার শেষ আয়োজন চলছে গাজায়। এ ইসরাইলি জায়নবাদ আমেরিকার দালালরা দীর্ঘকাল ধরে প্যালেস্টাইনের লাখ লাখ মানুষ খুন করেছে। তারাই চক্রান্ত করে প্যালেস্টাইনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতকে খুন করেছে।'

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন জাতিসত্ত্বাকে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরাইল। জাতিসত্ত্বা এমন এক জিনিস জবরদখল বা জবরদস্তি করে, বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় না। দুনিয়ার যত অঘটন ঘটে, যত যুদ্ধের দামামা হয় সেখানেই আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ। এ আমেরিকা দেশে দেশে খুনোখুনি কম করেনি। আমাদের বাংলদেশেও  পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসররা যতরকমের বর্বর কাজ করেছে সব কিছুর হোতা এ আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ। এ চক্রান্তকারী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা সবাই প্রতিবাদ না জানালে সংকটের সমাধান হবে না।'

সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, 'ইসরাইলের ইহুদিরাও বিভিন্ন দেশে আজ ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এ যে মনোভাব একজন ইসরাইলি ইহুদির সে মনোভাব আজ সারা পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের। সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতাসীনেরা কারও কথা শুনে না। তারা পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে যুদ্ধকে ছড়িয়ে রেখেছে। গাজায়ও তাদের অস্ত্রের ঝনঝনি আমরা শুনতে পায়। আমাদের এ প্রতিবাদ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের প্রতিবাদের সঙ্গে একাকার হয়ে যাক।'

নারীনেত্রী নূরজাহান খান বলেন, ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে সেটা অমানবিকতার শীর্ষ পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশই এ বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিরোধিতা করেছে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরাও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার পাশে আছি।'

উদীচী চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশ বলেন, 'ফিলিস্তিনে গণহত্যা আজ একদিন ধরে চলছে না। দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। গাজা থেকে হামাসের পক্ষ থেকে যে হামলা চালানো হয়েছে সেটা একটি মার্কিনীদের কৌশল। এ হামলাকে কেন্দ্র করে আজ সেখানে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে এটাকে কেউই মেনে নেবে না। গাজা আজ শিশুদের কবরে পরিণত হয়েছে।'

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, সপ্তাহজুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাসহ কয়েক বিভাগে ভারি বর্ষণ হতে পারে। শনিবার (৮ জুন) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

ঝড়বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের এ প্রবণতা সপ্তাহজুড়েই অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যদিও আগামী দুদিন সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চাঁদপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়াও রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবতী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

কুমিল্লায় শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় ঢাকাসহ দেশের বেশ কিছু স্থানেও বৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর