আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব জেলিফিশ দিবস। প্রতিবছর ৩ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী দিনটি উদযাপন করা হয়। তবে বাংলাদেশে এবারই প্রথম দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (বিওআরআই) দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে থেকে পৃথিবীতে জেলিফিশের বাস। মানুষের চেয়ে আদিম এই প্রাণীর সম্মানার্থে দিবসটি পালন করা হয়। যদিও কখন থেকে দিবসটির উত্পত্তি, তা অস্পষ্ট। তবে বিভিন্ন সূত্র মতে ২০১৪ সাল থেকে দিবসটি নিয়মিত পালিত হয়ে আসছে।
দক্ষিণ গোলার্ধে যখন বসন্তকাল তখন বিশ্ব জেলিফিশ দিবসটি পালন করা হয়। কারণ এই মৌসুম থেকেই প্রাণিগুলো উত্তর গোলার্ধের দিকে অভিবাসন শুরু করে। সামুদ্রিক এই প্রাণির নাম জেলিফিশ হলেও আসলে এরা মাছ নয়। এমনকি বাহ্যিক গঠনে এদের সঙ্গে মাছের কোনোরূপ মিল পাওয়া যায় না।
জেলিফিশের কিছু কিছু প্রজাতি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে মানুষের খাদ্যের অংশ হয়ে উঠেছে। চীন, জাপান ও কোরিয়ার মতো বেশ কিছু জায়গায় এটি খুব মজার খাবার হিসেবে বিবেচিত। সালাদে, নুডলসে এবং সয়া সস দিয়ে প্রায়ই এদের খাওয়া হয়। থাইল্যান্ড প্রতিবছর জেলিফিশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মদ্রা অর্জন করছে। এ ছাড়া জেলিফিশ কোলাজেনের উত্স হিসেবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়, ওষুধশিল্পে এবং বিশ্বজুড়ে পাবলিক অ্যাকোয়ারিয়ামে প্রদর্শিত হয়।
সামুদ্রিক বিজ্ঞানী এবং বিওআরআইয়ের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, জেলিফিশ সমুদ্রের নিচের খাদ্যশৃঙ্খলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এটি যদিও অপেক্ষাকৃত ছোট ও সহজ প্রাণি।