আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানা এখন গাজীপুরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্লোবাল লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের আরএমজি ফ্যাক্টরি। গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত এসএম সোর্সিং ফ্যাক্টরি মোট ১১০-এর মধ্যে ১০৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করে। খবর বাসসের।

এর আগে ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেড ইউনিট চতুর্থ স্থান দখল করেছিল। বাংলাদেশ গার্মেন্ট খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি র‌্যাঙ্ককৃত কারখানার ৫৪টি এখন এখানে অবস্থিত। বিশ্বের শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি এখানে।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই অর্জন আরও বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্ব আকর্ষণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, যা টেকসই উৎপাদনে বিশ্বনেতা হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে মজবুত করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন ২০৬টি এলইইডি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে, যার মধ্যে ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড-রেটেড রয়েছে, যা পরিবেশগত স্টুয়ার্ডশিপের প্রতি তার অঙ্গীকারকে দৃঢ় করেছে।

তিনি আরও বলেন, মাত্র গত ছয় মাসে ১৬টি প্লাটিনাম ও ৮টি গোল্ডসহ ২৪টি নতুন কারখানার প্রত্যয়ন প্রাপ্তির এই দ্রুত বৃদ্ধি পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনে দেশকে বিশ্ব নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান ভূমিকা প্রদর্শন করে।

রুবেল বলেন, বাংলাদেশে এলইইডি-প্রত্যয়িত সবুজ কারখানার দ্রুত বৃদ্ধি পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রতি পোশাকশিল্পের অটল প্রতিশ্রুতির একটি স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষ ফল।

মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, স্থায়িত্বের প্রতি এই নিবেদন কেবল প্রশংসার যোগ্যই নয়, আমাদের শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা ও সাফল্য নিশ্চিত করার জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এলইইডি হলো বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম। সব ধরনের বিল্ডিংয়ের জন্য এটি ভার্চ্যুয়ালি পাওয়া যায়। এলইইডি স্বাস্থ্যকর, দক্ষ ও ব্যয়-সাশ্রয়ী সবুজ বিল্ডিংয়ের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। এলইইডি সার্টিফিকেশন টেকসই অর্জন ও নেতৃত্বের একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত প্রতীক।


আরও খবর



সিলেটে হিটস্ট্রোকে রিকশাচালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটে হিটস্ট্রোকে আবু হানিফ মিয়া (৩০) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আবু হানিফ মিয়া হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শিবপুর গ্রামের করম আলীর ছেলে।

ইয়ারদৌস হাসান বলেন, রোববার সকাল ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে রিকশাচালক হানিফ মিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, নিহত রিকশাচালকের মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এভাবেই আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।

বুধবার (১ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা শুধু বিএনপির সংগ্রাম নয়, এটা দেশের মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে মে দিবস পালন করছি, যখন দেশটা দৈত্য-দানবের কবলে পড়ে সমস্ত কিছু তছনছ হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মে দিবসে দেশের সকল মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, এখন আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনব। এই হোক আজকের মে দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এসএসসির ফল রোববার, জানা যাবে যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে রোববার (১২ মে)। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

ফল জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নার-এ ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সবার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর ৩৩ দিনের অপেক্ষা। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ মের এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। সেই ধারাবাহিকতায় সবার আগে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতির মাধ্যমে কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করে  বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে শক্তিশালী এক দল ঘোষণা করেছে কিউইরা।

টপঅর্ডারে আছেন ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, রাচীন রবীন্দ্রর মতো তারকা ব্যাটাররা। এছাড়াও মার্ক চাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের মতো পরীক্ষিতরাও দলটির বড় ভরসা। স্পিন বোলিংয়েও আছে বৈচিত্র্য। ফিট থাকায় আছেন ইশ শোধি, মিচেল স্যান্টনার, রাচীন রবীন্দ্রর মতো বোলারদের পাচ্ছে কিউইরা।

আর পেস ডিপার্টমেন্ট তো রীতিমত ভয়ঙ্কর। স্কোয়াডে আছেন অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, টিম সাউদি, জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেল, লকি ফার্গুসনের মতো বিশ্বসেরা পেসাররা। যারা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেলকে দলে নেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

কেন উইলিয়ামসন, ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচীন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ শোধি ও টিম সাউদি।


আরও খবর



জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশীকাঁথার জিআই সনদ তুলে দেওয়া হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মেহনতি মানুষ শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি বা টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা।

এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী।


আরও খবর