আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বন্দর ও কারখানায় ভবিষ্যৎ খুঁজছে হুয়াওয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য বিরোধে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী টেলিকম নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ও স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হুয়াওয়ের ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি রুখতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

ফলে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে হুয়াওয়ের ব্যবসা কার্যক্রম অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। নিজেদের পণ্য উন্নয়নে মার্কিন অংশীদারদের কাছ থেকে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও সেমিকন্ডাক্টর পণ্য ক্রয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ব্যবসা ফেরাতে এবার বন্দরগুলোয় স্মার্ট টার্মিনাল নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বন্দর ও কারখানায় অটোমেশনে মনোযোগী চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিটি। হুয়াওয়ের এ স্মার্ট টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে বেইজিংয়ের পূর্বে তিয়ানজিন বন্দরে। এটি মূলত একটি ডাটা নেটওয়ার্ক। যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। গাড়িসহ হুয়াওয়ে এখন শিল্পের সরবরাহকারী হিসেবে নিজেদের কর্মকাণ্ড বাড়াতে চাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের বিপরীতে তাদের এ ধরনের কার্যক্রমগুলো খানিকটা কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

এদিকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি শিল্পে অটোমেশনে আগ্রহী। গাড়ি থেকে শুরু করে উৎপাদন খাতে তারা অটোমেশন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিতও করেছে। দেশটির বৃহত্সংখ্যক শ্রমশক্তিরই বয়স বেড়েছে। তাই অটোমেশনে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আগ্রহী দেশটি। হুয়াওয়ের পরিচালকরা বলছেন, স্মার্ট টার্মিনাল তিয়ানজিনের ২০০ স্কয়ার কিলোমিটার (৭৭ বর্গমাইল) বন্দরের অংশ। এখানে ২০০ জন কর্মচারী স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূলত ৮০০ জনের কাজ করতে সক্ষম।

হুয়াওয়ের বন্দরভিত্তিক ব্যবসায়িক ইউনিটের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ইউ কুন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি তিয়ানজিন বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানোর সমাধানটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি। এটি অন্যান্য বন্দরে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড মূলত ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ব্যবসায়িক অবস্থান ধরে রাখতে রীতিমতো লড়াই করছিল। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল, হুয়াওয়ে তাদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি। কেননা এটি চীনা গুপ্তচরবৃত্তির সুবিধার্থে বিদেশী ফোন নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ বারবার অস্বীকার করা হয়।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর তাদের মিত্র রাষ্ট্র যেমন জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশ তাদের ফোন নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ করে। তাছাড়া হুয়াওয়ের ফোন থেকে গুগল মিউজিক, ম্যাপসহ অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর চীনের বাইরে প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোন বিক্রিতেও বড় ধরনের ধস নেমেছে। নিষেধাজ্ঞা থেকে আলাদা করে বিক্রয় পুনরুজ্জীবিত করার আশায় ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর অনার ব্র্যান্ডটিকে পর্যন্ত বিক্রি করে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রায় দুই লাখ কর্মীর প্রতিষ্ঠানটি চীন ও অন্যান্য বাজারে বিক্রয়ের ওপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্ক পরিষেবায় নেতৃত্ব ধরে রেখেছে। শিল্প বিশ্লেষক পল বুড্ডে মনে করেন, ডাটা নেটওয়ার্ক ব্যবসায় হুয়াওয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও পাকা খেলোয়াড়। যাদের রয়েছে জ্ঞানের বিস্তৃত ভাণ্ডার। বিদেশের বাজারে স্মার্টফোন বিক্রিতে ধস নামার পর কারখানা, খনি, হাসপাতাল, বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য শিল্প গ্রাহকের দিকে মনোযোগ দিতে হুয়াওয়ে ২০টি আলাদা দল তৈরি করেছে। সংস্থাটি বলছে, তাদের অটো ইউনিটে কাজ করছে তিন হাজার লোক। এছাড়া ২০২০-২১ সালে তারা প্রযুক্তিতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

নিউজ ট্যাগ: হুয়াওয়ে

আরও খবর



পাইলট আসিম জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে এই বীর সৈনিককে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সেওতা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, সকালে জন্মভিটা মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের নিষ্প্রাণ দেহ ফিরে। বাবা-মার একমাত্র সন্তান এই বৈমানিকের মরদেহ পৌঁছানোর খবরে এক নজর দেখার জন্য পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ছাত্রজীবনের তুখোড় মেধাবী এ বীর সৈনিকের মরদেহ দেখে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয়রা জানান, আসিম জাওয়াদ তাদের গর্ব, তাদের অহংকার। তিনি ছাত্রজীবনে নানান স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। কর্মজীবনেও ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। তার এ চলে যাওয়া আমাদের জন্য, দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

এর আগে সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে আসিম জাওয়াদের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা ও ফিউনারেল প্যারেডের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বীর সৈনিক স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে গুরুতর আহত হন উইং কমান্ডার সোহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসিম। পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ।

আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে।

তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১০ সালের  ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাস করেন আসিম।

চাকরিকালে আসিম বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পেশাদারী দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মফিজ ট্রফি’, বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমান বাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীর কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ Chief of Air Staffs Trophy for Best in Flying (Indian Air Force)  অর্জন করেন।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তথ্য পেলেই অভিযান: র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর



সন্ধ্যায় আ.লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক, আলোচনা হবে যেসব বিষয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহীর এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কার্যনির্বাহী বৈঠকে।

এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার, বিশৃঙ্খলা ও নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেছেন তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে বৈঠক থেকে। ৮ মে দেশে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



তাপমাত্রা কমাতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিলেন হিট অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

নগরীর ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এবার তা তাপপ্রবাহ কমিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বুশরা আফরিন বলেন, নগরে বনায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের প্রয়োজন। তবে তার জন্য এখন কিছু না করে বসে থাকার মানে নেই। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য। একই সঙ্গে কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বলেন, গত এক বছরে আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ, তারা অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। এসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে এবং এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরসহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি এবং এনজিওর সঙ্গে আমরা শিগগিরই যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।

জানা গেছে, নিষ্প্রাণ প্রকৃতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। কৃত্রিম বৃষ্টি-র দেখা মিলবে প্রতিদিনই। তীব্র দাবদাহে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা কৃত্রিম বৃষ্টির দেখা পাবে নগরবাসী। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিরদেখা মিলবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর তাপপ্রবাহ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির তৈরির জন্য ব্যবহার করছে বড় বড় জলকামান। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার।


আরও খবর



সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর