আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সোমবার (২৪ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এরপর জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী সবার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন সেনাপ্রধান। পরে পরিদর্শন করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।

এ সময় সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনাপ্রধান। এরপর সেনাকুঞ্জে যান তিনি। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেয় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল।

এর আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। রোববার (২৩ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন।

এ ছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন।


আরও খবর



রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি: বিপুল রাজস্ব ফাঁকি সাদিক অ্যাগ্রোর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ওপর গড়ে তোলা পশুর খামার সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মো. ইমরান হোসেন, গবাদি পশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী। তাঁর খামারে বিভিন্ন প্রজাতির গরু-মহিষ-উটের দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করা হয় কোটি টাকা। তবে ছাগল ইস্যুতে ফার্মটি দেশজুড়ে বিপুল আলোচনায়।

অথচ কর দেওয়ার সময় কোটি টাকায় বিক্রি করা গরুর দাম দেখানো হয়েছে ১৪ হাজার টাকারও কম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রদর্শন করা হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে আয় মাত্র ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা। সাদিক অ্যাগ্রোর প্রদর্শিত বার্ষিক আয় প্রতিষ্ঠানটির একটি গরু বিক্রির টাকার চেয়েও কম। এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশ্লেষকরা।

ইমরান হোসেন কর অঞ্চল-৬-এর ১৩১ নম্বর সার্কেলে তাঁর কর রিটার্ন জমা দেন। তাঁর করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর ৫৬৫০৩৭৯১০৬৭০। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭৩২৩৯৮৯২২১৫। ২০২২-২৩ করবর্ষের নথি সূত্রে জানা গেছে, সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও তিনি ইমরান হোসেন ফিশ ফার্মের স্বত্বাধিকারী।

এ ছাড়া জালালাবাদ স্টিল লিমিটেড, জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেড, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড ও লাকি স্টিল করপোরেশনের পরিচালক। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বনানীর ১৩ নম্বর রোডের ই ব্লকের ১০৩ নম্বর বাসায় থাকেন। তবে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা : বাসা নম্বর-৮৬, কলাবাগান।

২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সাদিক অ্যাগ্রোর মোট বিক্রির পরিমাণ দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকা। তবে এই সময়ে তিনি বাছুর কেনা বাবদ খরচ করেছেন ছয় লাখ ১২ হাজার ৪৭০ টাকা।

পশুখাদ্য কিনেছেন ৫১ লাখ সাত হাজার ৮১০ টাকার। ওষুধ কেনার খরচ আট লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৬ টাকা। কর্মীদের মজুরি দিয়েছেন ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪২৫ টাকা। এভাবে রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং অন্যান্য খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছেন ৮৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ টাকা। এর সঙ্গে অন্য সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁর বাৎসরিক আয় ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা।

কিন্তু তাঁর এই হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার বিশাল ফারাক। শুধু কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করেই তাঁর দেড় হাজার পশু বিক্রি হয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহমা, ইন্দো ব্রাজিল, হোলস্টাইন, দেশাল, শাহীওয়ালসহ বেশ কয়েকটি জাতের গরুর পাশাপাশি মহিষ ও ছাগল। এ ছাড়া তাঁর ফার্মে উটও বিক্রি করা হয়।

তাঁর ফার্মে বেশির ভাগই কোটি টাকা দামের গরু। বছরজুড়ে দেড় হাজার গরু বিক্রি করলেও সাদিক অ্যাগ্রোর বছরের আয়ের হিসাবের সঙ্গে করের হিসাব মেলানো দুষ্কর। ইমরানের বিক্রয়ের তথ্যানুযায়ী, দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকায় তিনি দেড় হাজার গরু বিক্রি করেছেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি গরুর দাম পড়েছে ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা। বর্তমান বাজারে এই দামে একটি মাঝারি মানের ছাগলও কিনতে পাওয়া যায় না। তাঁর ফার্মের একটি ছাগল ১২ লাখ টাকায় বিক্রির ইস্যুতে পুরো দেশ এখন সরগরম।

অন্তত ১০ লাখ টাকা গড়ে প্রতিটি গরু বিক্রি করলেও দেড় হাজার গরুর দাম দাঁড়ায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে তিনি কর দিতে গিয়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকার তথ্য গোপন করেছেন। এর আগেও এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইমরানের কর ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করেছিল। ওই অনুসন্ধানে কর ফাঁকির তথ্য প্রমাণিত হয়েছিল। তবে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আবার তদন্ত হতে পারে। আগের তদন্তের চেয়ে এখন তাঁর বিষয়ে অনেক বেশি তথ্য হাতে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ইমরান খুবই চতুর ব্যক্তি। সাদিক অ্যাগ্রো কম্পানি হিসেবে ২০১৭ সালে নিবন্ধিত হলেও কম্পানির নামে কোনো রির্টান নেই। এ ছাড়া তিনি জটিলতা এড়িয়ে যেতে ব্যাংক হিসাবে খুব বেশি টাকা রাখেন না। সম্ভবত তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কৌশলে টাকা পাচার করেন। অথবা আত্মীয়-স্বজনের নামে সম্পদ কিনে রাখেন।

সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে ৮১ লাখ টাকা আয়কে অবাস্তব বলে মনে করেন কর অঞ্চল ৬-এর কমিশনার মো. লুত্ফুল আজিম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি জানি না তাঁর ফাইলে তিনি কিভাবে হিসাব দেখিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর ফাইলটা আমার সামনে নেই, ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ঢাকা শহরের ভেতরে এত বড় অ্যাগ্রো ফার্ম আছে সেটাও আমাদের জানা ছিল না। এখন বিষয়টা জানলাম। এখন আমরা অনুসন্ধানে যাব। তবে দুগ্ধখামারের ওপর করহার কম।

তিনি বলেন, সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়ে আগেও সিআইসি থেকে তদন্ত হয়েছিল। এরপর অ্যাসেসমেন্ট কী হয়েছে তা আমি জানি না।

ইমরানের দেখানো হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর স্থায়ী ও চলতি সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা। ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ ৯১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮ টাকা। ব্যাংক দায় ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৬ টাকা। চলতি দায়ের পরিমাণ ১৫ লাখ ১২ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বমোট ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা।

ইমরানের সম্পত্তির বিবরণীতে দেখা গেছে, সাভারের জামুর মুচিপাড়া মৌজায় বিভিন্ন দলিল নম্বরে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৫০ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে তাঁর। একই এলাকার বিলামালিয়া মৌজায় ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৫২৫ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়া মালিকানা ও পরিচালক হিসেবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ২৯ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেডে তাঁর মালিকানামূল্য ৪০ লাখ টাকা, জালালাবাদ স্টিল লিমিটেডে এক কোটি পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, সাদিক অ্যাগ্রোতে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এক বছরে ইমরান সম্মানি বাবদ পেয়েছেন ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সুবিধা যোগ করলে তাঁর আয়ের পরিমাণ ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৬০ টাকা। বেতন বাবদ তাঁর করযোগ্য আয় দেখিয়েছেন ২৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬০ টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাত থেকে আয় বাবদ (সাদিক অ্যাগ্রো) ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৯ লাখ ৯ হাজার ৮৮৩ টাকা, ফার্মের লাভের অংশ হিসেবে পেয়েছেন ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৭০ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় এক লাখ আট হাজার ৭৪৭ টাকা। বছর শেষে তাঁর মোট আয় এক কোটি ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৯ টাকা। এর বিপরীতে তাঁর প্রদেয় কর ১৭ লাখ ২২ হাজার ৮৯২ টাকা। সেই হিসাবে তাঁর কর দাঁড়ায় ১৮ লাখ চার হাজার ৩৬৬ টাকা। সব ধরনের মওকুফ বাদ দিয়ে তাঁর করের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৬ টাকা। এই টাকা তিনি ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে চেকের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পরিশোধ করেছেন। চেক নম্বর এমসিএইচ ০৬৮৮১৭৮।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, দৃশ্যত এটি যৌক্তিক বলে মনে হয় না। এখানে আয় লুকানোর একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার। একটা অবৈধ জায়গায় তারা ফার্ম করেছিল। বছরে ৮১ লাখ টাকা আয় প্রকৃতপক্ষে তাদের বাস্তব আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে সম্ভাব্য বড় কর ফাঁকির ঝুঁকি রয়েছে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর



উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট কাজ করেছে। শনিবার (১ মে) দুপুর ১২টায় তাজিমারখোলা ক্যাম্প ১৩ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে গত শুক্রবার একই ক্যাম্পের ডি ব্লকে আগুন লাগে। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিটের ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


আরও খবর



মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ভোগান্তির ঘটনায় মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি কর্মীদের ভোগান্তি সৃষ্টির ঘটনায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ জুন বঞ্চনায় শেষ মালয়েশিয়ার স্বপ্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।

স্বপ্রণোদিত অভিযোগটিতে মানবাধিকার কমিশন উল্লেখ করে, ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও উড়োজাহাজের টিকিট সঙ্কটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো উড়োজাহাজে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা এর জন্য দায়ী করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে। তারা বলছেন, গত মার্চেই মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী প্রবেশের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় ১৬ মে। ফলে শেষ মুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের তীব্র সংকট তৈরি হয়।

অন্যদিকে ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ডেটলাইনকে ঘিরে মে মাসের শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সময়সীমার শেষ দিনে গত শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার শেষ চেষ্টা করতে টিকিট ছাড়াই ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় জমান হাজারো মানুষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে না পেরে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানা যায়, মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে থেকে দেশটিতে আর নতুন বিদেশি শ্রমিক ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে আবারও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। ফলে শেষ দিনে সকাল থেকে রিক্রুটিং এজেন্সির আশ্বাসে উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই বিমানবন্দরে ছিলেন হাজারও মালয়েশিয়াগামী। তাদের কেউ কেউ দুই-তিন দিন ধরে বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। এসব কর্মীর মধ্যে বেশির ভাগই জমি বা শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ও ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জোগাড় করেন। নির্দিষ্ট সময় শেষে টিকিট না পেয়ে নিদারুণ স্বপ্নভঙ্গের মাধ্যমে তাদের সে আশা শূন্যে মিলিয়ে গেছে। মালয়েশিয়া গিয়েও সিন্ডিকেটের প্রতারণার কারণে কাজ না পেয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বেকার জীবনযাপন করছেন অনেকেই।

মানবাধিকার কমিশন সুয়োমটোতে আরও উল্লেখ করে, মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন তারা মালয়েশিয়ার ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না। জমি বিক্রি করে ও চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জোগাড় করেও শেষ পর্যন্ত যেতে না পেরে তারা এখন নিঃস্ব। শেষ দশ দিনে বিমানের টিকিটের অজুহাতে ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর থেকে অর্থ আদায়ের বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সক্রিয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের হয়রানি ও তাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং সেই দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা যায়।

এতে চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে তাদের মানবাধিকার। কমিশন মনে করে, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে অনতিবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ অভিযোগে উল্লিখিত শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন।

সুয়োমটোতে তিন বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের আদেশ

১. মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শেষ সময়সীমাকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মে মাসের শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে বিমানের টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।

২. সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লিখিত ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও যথাসময়ে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ। ভিসা প্রাপ্ত শ্রমিকদের মালয়েশিয়া প্রেরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।

৩. প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায়পূর্বক নাম-সর্বস্ব কোম্পানিতে শ্রমিকদের প্রেরণ এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার পর কাজ না পাওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বলা হলো। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।

আরও খবর



বিশ্ব নেতাদের সামনে গাজা ইস্যুতে যা বললেন সৌদি যুবরাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গতবছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধের পর থেকে খুব কম সময়েই কথা বলেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তার নিরবতা নিয়ে মুসলিম দেশগুলোতে চলে নানা আলোচনা সমালোচনা। এবার ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সির (ইরনা) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান গাজা উপত্যকায় ইহুদিদের আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ-এর বরাত দিয়ে ইরনা জানায়, সোমবার মিনা প্রাসাদে রাষ্ট্রীয় অতিথি বিভিন্ন  ইসলামি দেশের রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিনিধি দলের প্রধানদের বার্ষিক হজ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিন সালমান এই আহ্বান জানান।

এ সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক রেজুলেশনগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন কারাবন্দী ৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের জেলে বন্দী থাকা ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। রোববার (৯ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তারা। এর আগে শনিবার (৮ জুন) সকালে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে শহরের জেলে বন্দী এসব নাগরিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসা মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ওই ৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সর্বশেষ ও বৃহত্তম প্রত্যাবর্তনে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতওয়ের কর্মকর্তাগণ রাখাইনের সিতওয়েতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এসব নাগরিকদের পরিচয় যাচাই ছাড়াও তাদের জন্য ভ্রমণের অনুমতি প্রদান (ট্রাভেল পারমিট) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করেন।

প্রসঙ্গত, এই দফায় ৪৫ জনসহ গত এক বছরে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস মোট ২৪৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর