স্ব-স্ব কর্মস্থলে
যোগদান ও করোনাকালীন বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে
শুরু হওয়া এ কর্মসূচি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না
হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কয়লা খনির গেটে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণাও দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত
১১ এপ্রিল কয়লা খনির শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে স্মারকলিপির
মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে ১৫ রমজান পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ ওই
সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আজ থেকে তিন দিনব্যাপী আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচির
ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ সকালে খনির
প্রধান গেটে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। তবে রমজানের কারণে বেলা ১টার দিকে
বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা
বলেন, অবিলম্বে সকল শ্রমিককে তাঁদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানের সুযোগ দিতে হবে, করোনাকালীন
সময়ের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে। এ ছাড়াও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও
খনি অভ্যন্তরে শ্রমিকদের অবরুদ্ধ করে রাখা ও ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা কাজ করানোর
বিষয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া
কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কারুজ্জামান খান বলেন, শ্রমিকদের কাজে
ফেরানোর বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।বকেয়া বেতনের বিষয়ে প্রকৌশলী
বলেন, করোনাকালীন সময়ে তো শ্রমিকেরা কাজই করেননি। কাজ না করলে বেতন পাবেন কীভাবে?
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, বড়পুকুরিয়া শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান।