আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্যাংক হিসাবে চার্জ নির্ধারণ করে নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমানতকারীদের ব্যাংকিং সেবা তথা ব্যাংক হিসাব খোলা, রক্ষণাবেক্ষণ ফি সহ গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের চার্জ কর্তনের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে।

নির্দেশনাটি দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকের পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

যেসব বিষয়ে চার্জ ও কমিশন নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

আমানত সংক্রান্ত হিসাব খোলা: সঞ্চয়ী হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং চলতি হিসাব খোলার ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে নিজ নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন গ্রাহক। তবে, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম জমার বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত থাকবে।

হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি:

সঞ্চয়ী হিসাবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যাংকে থাকলে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় করা যাবে না।

১০ হাজার টাকার উপরে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাসে সর্বোচ্চ সার্ভিস চার্জ ১০০ টাকা।

২৫ হাজার টাকার উপরে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, দুই লাখ টাকার উপরে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার বেশি আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা ফি আদায় করা যাবে।

চলতি হিসাবে প্রতি ষান্মাসিকে সর্বোচ্চ ৩০০  টাকা ও স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিটের (এসএনডি) হিসাবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে। তবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাবে কোনো প্রকার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় করা যাবে না।

অন্য শাখায় হিসাব স্থানান্তর:

একই ব্যাংকের অন্য শাখায় হিসাব স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একই জেলায় সর্বোচ্চ ৫০ টাকা এবং অন্য জেলায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ফি আদায় করা যাবে। অ্যাকটিভেশন অব ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট বাবদ কোনো চার্জ বা ফি আদায় করা যাবে না।

বিভিন্ন মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) বা এফডিআর বা অন্য কোন মেয়াদি আমানত মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে নগদায়ন ফি বা অনুরূপ ফি আরোপ করা যাবে না।

হিসাব বন্ধ করতে চার্জ হিসেবে সঞ্চয়ী হিসাবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, চলতি হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা এবং এসএনডি হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা আদায় করা যাবে। তবে, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাবসমূহে হিসাব বন্ধকরণ বাবদ কোনো ফি আদায় করা যাবে না।

চেক বই ইস্যু:

চেক বই হারানোর ক্ষেত্রে নতুন চেক বই ইস্যু বাবদ প্রকৃত খরচ ছাড়া অতিরিক্ত চার্জ বা প্রসেসিং ফি আদায় করা যাবে না।

অন্যান্য ফি:

বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাবে আরোপিত ন্যূনতম ব্যালেন্স ফি, ইনসিডেন্টাল চার্জ, লেজার ফি, সার্ভিস চার্জ, কাউন্টার ট্রানজেকশন ফি বা অনুরূপ ফি আদায় করা যাবে না।

ঋণ প্রদান সংক্রান্ত:

ঋণ প্রসেসিং ফি হিসেবে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে মোট মঞ্জুরিকৃত ঋণের সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ আদায় করা যাবে, তবে এর পরিমাণ ১৫ হাজার টাকার অধিক হবে না। ৫০  লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণের ক্ষেত্রে এ হার হবে সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ তবে এর পরিমাণ ২০ হাজার টাকার অধিক হবে না। তবে ঋণ আবেদন ফি  নামে কোন ফি আদায় করা যাবে না।

কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই) এবং কৃষি খাতে ঋণ:

পুনঃতফসিলিকরণ/ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ঋণ প্রসেসিং/ পুনঃতফসিলিকরণ/ পুনর্গঠন ফি ইত্যাদি নামে কোনো ফি/ চার্জ/ কমিশন আদায় করা যাবে না। তবে, সিএমএসএমই ও কৃষি খাত ব্যতীত অন্যান্য খাতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ/ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে পুনঃতফসিলিকরণ/ পুনর্গঠন ফি বাবদ সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ আদায় করা যাবে, তবে এর পরিমাণ ১০ হাজার টাকার অধিক হবে না। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ডকুমেন্টেশন ফি, সিআইবি চার্জ, স্ট্যাম্প চার্জ এবং আইনী ও জামানত মূল্যায়ন ফি প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

রপ্তানি ঋণসহ যে কোনো ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সুদ/ মুনাফা হারের অতিরিক্ত কোন সার্ভিস চার্জ, ঋণ ব্যবস্থাপনা ফি, মনিটরিং/সুপারভিশন চার্জ, ঝুঁকি প্রিমিয়াম বা অনুরূপ অন্য যে কোন নামে অতিরিক্ত কোন চার্জ/ ফি / কমিশন আরোপ/ আদায় করা যাবে না।

গ্রাহকের গৃহীত ঋণ নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে পরিশোধের ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণের সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ আর্লি সেটেলমেন্ট ফি বা অনুরূপ ফি আদায় করা যাবে। তবে, কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে প্রদত্ত ঋণ এবং চলতি ঋণ বা ডিমান্ড লোন এর ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির পূর্বে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে আর্লি সেটেলমেন্ট ফি বা অনুরূপ ফি আদায় করা যাবে না।

স্থানীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য/রেমিট্যান্স সংক্রান্ত:

১০০ শতাংশ নগদ মার্জিনে এলসি খোলার কমিশন প্রতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ দশমিক ২৫ শতাংশ, ডেফার্ড/ ইউজান্স এলসি খোলার কমিশন প্রতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাইট ও ব্যাক টু ব্যাকসহ অন্যান্য এলসি খোলার কমিশন প্রতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ দশমিক ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা যাবে।

এলসি ট্রান্সমিশন, এলসি অ্যামেন্ডমেন্ট, কনফারমেশন, ক্যানসেলেশন, ফরেন করেসপন্ডেন্ট চার্জের ক্ষেত্রে মেইলিং, কুরিয়ার, টেলেক্স, সুইফট ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে চার্জ নির্ধারণ করা যাবে।

এলসি অ্যাডভাইসিং চার্জ, এলসি অ্যামেন্ডমেন্ট চার্জ ও এলসি ট্রান্সফার চার্জ বাবদ সর্বোচ্চ ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা যাবে। এলসি অ্যাকসেপটেন্স চার্জ প্রতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং এলসি কনফারমেশন চার্জ প্রতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ দশমিক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা যাবে।

ফরেন করেসপন্ডেন্ট চার্জ (স্থানীয় অংশ), ডাটা ম্যাক্স, হ্যান্ডেলিং চার্জ, কপি ডকুমেন্ট অ্যানডোর্সমেন্ট চার্জ, এলসি বাতিল কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ অব্যবহৃত এলসি চার্জ আদায় করা যাবে না।

রপ্তানি বিল নেগোসিয়েশন কমিশন ও রপ্তানি বিল কালেকশন কমিশন সর্বোচ্চ দশমিক ১৫ শতাংশ নির্ধারিত হবে। তবে, রপ্তানি বিল নেগোসিয়েশন ও কালেকশনের ক্ষেত্রে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ এগেইন হয় সেক্ষেত্রে কমিশন বাবদ ৫০০ টাকার অধিক আদায় করা যাবে না।

ব্যাক টু ব্যাক এলসি সার্টিফিকেট ইস্যুর চার্জ, সিঅ্যান্ডএফ সার্টিফিকেট ইস্যুর চার্জ, রপ্তানি মূল্য আদায়ের সার্টিফিকেট ইস্যুর চার্জ ৫০০ টাকার বেশি আদায় করা যাবে না।

ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানের ক্ষেত্রে কমিশন বাবদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সর্বোচ্চ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ন্যূনতম এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা যাবে।

এলসি খোলা/এলসি অ্যাকসেপটেন্স/ এলসি কনফারমেশন/ ব্যাংক গ্যারান্টি এক ত্রৈমাসিক বা এর চেয়ে কম সময়ের জন্য প্রদত্ত হলে সেক্ষেত্রে ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় সর্বোচ্চ এক ত্রৈমাসিকের সমপরিমাণ চার্জ/ কমিশন আদায় করতে পারবে। তবে, মেয়াদ যদি এক ত্রৈমাসিকের চেয়ে বেশি সময়ের জন্য হয় সেক্ষেত্রে যে তারিখে মেয়াদ পূর্ণ হবে শুধুমাত্র ঐ নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত সময়কালের জন্য চার্জ/ কমিশন আদায় করা যাবে।

বৈদেশিক মুদ্রায় ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি), টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (টিটি), মেইল ট্রান্সফার (এমটি) প্রভৃতি ইন্সট্রুমেন্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে এক লাখ টাকা নিচে বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং এক লাখ এক টাকা থেকে অনধিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, পাঁচ লাখ এক টাকা থেকে অনধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার উপরে সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা চার্জ/ ফি আদায় করা যাবে। ইনস্ট্রুমেন্টসমূহ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ/ ফি আদায় করা যাবে।

হিসাব সংক্রান্ত ও অন্যান্য:

স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ ফি ষান্মাসিক ও বাৎসরিক ভিত্তিতে অর্থাৎ বছরে দুবার ব্যাংকের আমানত ও ঋণ হিসাবধারী প্রত্যেক গ্রাহককে হিসাবের স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ (হিসাব বিবরণীসহ) প্রদানের জন্য কোনো চার্জ/ফি আদায় করা যাবে না। তবে, গ্রাহককে বছরে দুবারের বেশি এ সনদ (হিসাব বিবরণীসহ) গ্রহণ করতে হলে সে ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ/ ফি আদায় করা যাবে।

স্বচ্ছলতা সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ/ ফি আদায় করা যাবে। চেক ফেরতের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ আদায় করা যাবে।

বিও একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে বিও সনদ প্রদানের চার্জ সর্বোচ্চ ১০০ টাকা আদায় করা যাবে।

হিসাব/চেকে প্রদত্ত অর্থ প্রদান নির্দেশনা স্থগিতকরণ চার্জ প্রতিবার অনুরোধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং অর্থ প্রদান নির্দেশনা স্থগিতকরণ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার অনুরোধে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা আদায় করা যাবে।

পে-অর্ডার ইস্যুর ক্ষেত্রে অনধিক ১০০০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ টাকা, এক হাজার এক টাকা থেকে অনধিক এক লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০ টাকা এবং এক লাখ টাকার বেশি পরিমাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। পে-অর্ডার বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে।

ডিমান্ড ড্রাফট,  টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার, মেইল ট্রান্সফার প্রভৃতি ইনস্ট্রুমেন্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনধিক এক হাজার টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ টাকা, এক হাজার এক টাকা থেকে অনধিক এক লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, এক লাখ এক থেকে অনধিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০০ টাকা,  পাঁচ লাখ এক টাকা হতে অনধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার বেশি পরিমাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। ইনস্ট্রুমেন্টসসমূহ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে।

সিডিউল অব চার্জেস এর সর্বশেষ হালনাগাদকৃত পূর্ণ তালিকা স্ব স্ব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, সকল শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটসমূহের দর্শনীয় স্থানে/নোটিশ বোর্ডে এবং ব্যাংকের ওয়েবসাইটের হোম পেজে প্রদর্শন করতে হবে। ঘোষিত/প্রকাশিত তালিকা বহির্ভূত কোন চার্জ/ফি/কমিশন আরোপ করা যাবে না।

প্রতিবছর ৩০ জুন ও ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে (ষান্মাসিক ভিত্তিতে) পরবর্তী ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ও জানুয়ারিজুন) ঘোষিত চার্জ/ফি/কমিশনের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করতে হবে।

ইতোপূর্বে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং- ১৯/২০০৯, ০৯/২০১০, ১৯/২০১০, ৩০/২০১০, ০২/২০১৭, ০৯/২০১৮, ০৭/২০১৯ ও বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং- ০২/২০২০ এ সার্কুলার দ্বারা রহিত করা হলো। তবে, ২০২১ পঞ্জিকা বছরে সঞ্চয়ী হিসাবের আদায় সংক্রান্ত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং- ২১/২০২১ এর নির্দেশনা বহাল থাকবে।


আরও খবর



কাল থেকে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা এই ধর্মঘট চলবে।

গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. মুছা বলেন, চুয়েটে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের দুই ছাত্র নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।

এরই মধ্যে গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। পরবর্তীকালে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। ওই বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনও করে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন। যদিও জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।


আরও খবর



ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এনবিআর মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে, এটা হতে পারে না, ভুল সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, ভারতে মেট্রোরেলে কি ভ্যাট আছে? ভারতে ভ্যাট নেই আমরা কেন করবো? আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

রবিবার (১৯ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা মেট্রোরেলের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে। আমি মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ঢাকা সিটি, যেটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। বাংলাদেশের রাজধানী এখন ইকোনমিস্টের পর্যবেক্ষণে মোস্ট আন বিলিভ্যাবল সিটি অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

বহির্বিশ্বের পরিবহনের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, এই শহরে যে বাসগুলো চলে, এখানে এত গরিব বাস। টিভিতে দেখি আফ্রিকান ছোট ছোট গাড়ি চলে, সেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। অথচ এই শহরের বাসগুলো জরাজীর্ণ।

কাদের বলেন, এই জরাজীর্ণ বাস নিয়ে আমরা মিটিং করে বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলেও সমাধান করতে পারিনি। ঢাকার সঙ্গে এসব যায় না। আজ আমাদের বুড়িগঙ্গা শেষ, কর্ণফুলীও শেষ।

তিনি বলেন, আমাদের মেট্রোরেল অনেক সুন্দর, শব্দদূষণ নেই। অথচ পিলারগুলো পোস্টার দিয়ে ভরা। অপরিচ্ছন্ন নোংরা। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ৬টি এমআরটি লাইনের যে কাজ শেষ হবে। ১ ও ৫ এর গ্রাউন্ড ম্যাপিং হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্রেইনে আজ মেট্রোরেল, এলিভ্যাটেড এক্সপ্রেস। এই বাংলাদেশ নিয়ে তার যে বহুমুখী পরিকল্পনা। এই ঢাকা তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি মেয়রের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাকে সহযোগিতা করুন। যে বাসগুলো চলে, ভীষণ খারাপ লাগে। এত আধুনিক মেট্রোরেল থেকে নেমে যখন গরিব, জীর্ণশীর্ণ বাস দেখতে কেমন লাগে। আমাদের মালিকরা কি লজ্জা পায় না। তারা কি বিদেশে যান না, দেখেন না।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশে প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহোদি।


আরও খবর



কত ভোটে হারলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর। তবে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত এ নারীর বাক্সে ভোট পড়েছে ১৭০ টি।

এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হেরেছেন সুজাতা আজিম, সঞ্জু জন, স্বপ্না, সাইফ, মো. সাইফুল, মো. ফিরোজ মিয়া, বাদল শেখ, পীরজাদা শহীদুল হারুন, নাদের চৌধুরী, নিরঞ্জন সরকার, নাসরিন, তানভীর তনু, জেসমিন আক্তার, সাদিয়ায় মির্জা, ইউসুফ খান।

নিপুণের হাত ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। সেসময় অভিযোগ উঠেছিল নীতিমালা না মেনে এই তাকে শিল্পী সমিতির সদস্য পদ দিয়েছে সদ্য ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেয়া হয়।

নির্বাচনে অংশ নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি।

সেসময় তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য হওয়ার খবরে নিন্দা জানান শিল্পীরা।


আরও খবর



মেহেরপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহাজনপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন।

দুই প্রার্থীর একজন হলেন- মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা।

রফিকুল ইসলাম তোতার দাবি, শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক মহাজনপুর বাজারে তাদের একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তার ৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্যরা হলেন- রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০)। তাদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আমাম হোসেন মিলুর দাবি, তার সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তোতার কর্মী-সমর্থকরা তার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার ৮ কর্মী-সমর্থক রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭) ও হাবিবুর রহমান (২২) আহত হয়। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু ও রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি-শোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরকে দোষারোপ করছেন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।


আরও খবর



হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল বাসস্ট্যান্ডে লঙ্কাকাণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ এলাকায় লঙ্কাকাণ্ড ঘটছে। গত শনিবার দুপুরে হর্ন বাজানো নিয়ে বাস চালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সহকর্মীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে সেখানকার বাস শ্রমিকরা। রাতে সেই সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে।

এরপর দফায় দফায় মারামারি, হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে একাধিক যানবাহন ভাংচুর করেছে দুই পক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে নথুল্লাবাদ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে বেলা ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১৫/২০ থ্রি-হুইলার (মাহেন্দ্র টেম্পো) ও ৩/৪টি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। তারা এক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। তবে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর থেকে এসে আটকে পড়া যাত্রীবাহী বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

থ্রি-হুইলার চালক সোহেল বলেন, বাস শ্রমিকরা নিজেরা মারামারি কইর‌্যা বাস বন্ধ করেছে। মোরা পাবলিক সার্ভিস দেতেয়াসেলাম। এর ফিন্নে (এ সময়) বাস শ্রমিকরা আইয়্যা মোগো উপারে হামলা করছে। পঞ্চাশটার বেশি থ্রি-হুইলার ভাইঙ্গ্যা হালাইসে।

গৌতম রায় নামে আরেক থ্রি-হুইলার চালক বলেন, অহেতুক তারা আইস্যা আমাদের উপারে হামলা করসে। বাস শ্রমিকরা তারা গাড়ি ভাঙছে, শ্রমিকদের মারছে, খাবার হোটেলও লুট কইর‌্যা লইয়্যে গেসে।

তিনিসহ থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের দাবি, তাদের গাড়ি যখন ভাংচুর করে বাস শ্রমিকরা, পুলিশ কিছু বলেনি। উল্টো পুলিশ এসে থ্রি-হুইলার চালক শ্রমিকদের পিটিয়েছে। এ সময় তাদের বেশকিছু শ্রমিক আহত হয়। তাদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

গৌতম আরও বলেন, তারা নথুল্লাবাদ থেকে ৭টি রুটে থ্রি-হুইলার চালান। ক্ষতিপূরণ না পেলে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখাসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন।

এদিকে বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা আকস্মিক তাদের ওপর সন্ধ্যার পর হামলা চালায়। যা প্রতিহত করতে গেলে টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় থাকা ১০-১২ টি বাস ভাংচুর করে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবির বলেন, সন্ধ্যার দিকে দুপুরের ঘটনা সমাধান করে বাস চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় আবার বাস ও থ্রি হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান বলেন, শ্রমিকদের একটি গ্রুপ প্ররোচনা দিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। তাই এখনও বাস চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস চলাচল শুরু করার চেষ্টা চলছে।

বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে শেবাচিমে ২৬ জন শ্রমিক ভর্তি হয়েছে বলে উভয় পক্ষ জানিয়েছে। এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে বরিশাল নগরের বৈদ্যপাড়ার প্রবেশ মুখ থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত সড়কে বিপুল সংখ্যক বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আটকা পড়ে। রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনের যানবাহন চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর