আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ব্যথার ওষুধ খাবেন নাকি ফিজিওথেরাপি নেবেন?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্যথার ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। দীর্ঘমেয়াদে এই ওষুধ খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ব্যাথানাশক ওষুধ, বিশেষ করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে এমন ওষুধ গ্রহণের বিরোধী। এখন চিকিৎসার উদ্দেশ্য কেবল রোগ ভালো করা নয়, একটি রোগ ভালো করতে গিয়ে যাতে শরীরের অন্য ক্ষতি না হয়ে যায় সে দিকেও খেয়াল রাখেন চিকিৎসকরা। যেমন শারীরিক ব্যথা; ব্যথাবিরোধী ওষুধগুলো আমাদের শরীরে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে, যা অনেক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

ব্যথায় ওষুধ খাবেন নাকি ফিজিওথেরাপি নেবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আলী।

শারীরিক ব্যথার ধরন : যেসব শারীরিক ব্যথা আমাদের বেশি ভোগায় তার মধ্যে ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কাঁধ, হাতের কুনুই, পায়ের গোড়ালি এবং পিঠ ব্যথা অন্যতম। চল্লিশোর্ধ্ব নারী-পুরুষ সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকেন। যারা দীর্ঘ সময় অফিসে বসে কাজ করেন অথবা প্রতিদিন অফিসে যাতায়াতের জন্য যানবাহনে বসে থাকেন তাদের মধ্যে ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের ঘাড়, কোমর, হাঁটু ও কাঁধ ব্যথা বেশি হয়। তাছাড়াও যারা ভারি কাজ অথবা সংসারের কাজ যেমন কাপড়কাঁচা ঘরমোছা ইত্যাদি অত্যধিক পরিমাণে করে থাকেন তাদেরও ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

ব্যথার ওষুধ কীভাবে কাজ করে : ব্যথার ওষুধ গ্রহণের ফলে এর উপাদান পাকস্থলি থেকে রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায় এবং কোষ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটায় যা বিভিন্ন মেকানিজম (যেমন- পেইন গেট থিউরি)-এর মাধ্যমে ব্যথার স্থানের প্রদাহ কমাতে চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যথার ওষুধ পাকস্থলি ও কিডনির মাধ্যমে শরীরে ছড়ায় বলে তা পাকস্থলিতে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে অথবা আগে থেকেই পাকস্থলিতে ক্ষত বা আলসার থাকলে তা বাড়িয়ে দিতে পারে। একইভাবে দীর্ঘদিন কিডনি দিয়ে ব্যথার ওষুধ নিঃসরণ হলে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া ব্যথার ওষুধ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন- ঘাড় ব্যথার জন্য কেউ ব্যথানাশক সেবন করল, তা কি শুধু ঘাড়েই ছড়াবে? না, এই ওষুধের উপাদানগুলো রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে পৌঁছে যাবে এবং শরীরের সুস্থ অংশে অনাকাক্সিক্ষত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। বিষয়টি মশা মারতে কামান দাগার মতোই অনভিপ্রেত। তাই দীর্ঘদিন ব্যথানাশক সেবন করলে তা শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবেই।

ফিজিওথেরাপি কীভাবে কাজ করে : ফিজিওথেরাপি স্থানীয় বা লোকাল চিকিৎসা। অর্থাৎ শরীরের যে অংশ ব্যথায় আক্রান্ত সাধারণত সেই অংশেই ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। শুধু ব্যথা নিরাময় ফিজিওথেরাপির উদ্দেশ্য নয়, ব্যথার কারণ নির্ণয় করে তা নির্মূল করাই এর লক্ষ্য। ধরুন, পিএলআইডি বা কোমরের কশেরুকার চাকতি সরে গিয়ে তা স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে কোমর ও পায়ে ব্যথা সৃষ্টি করল। এ ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধের কাজ কি? ব্যথানাশক কেবল সাময়িকভাবে ব্যথা কমাতে পারবে কিন্তু স্নায়ুর ওপর যে চাপ সৃষ্টি হল তা সরানোর ক্ষমতা ব্যথার ওষুধের নেই। পক্ষান্তরে ইলেক্ট্রোথেরাপির মাধ্যমে সাময়িক ব্যথা নিয়ন্ত্রণ এবং ম্যানিপুলেটিভ থেরাপির মাধ্যমে স্নায়ুর চাপ সরানো সম্ভব। অর্থাৎ ফিজিওথেরাপি ব্যথা ও ব্যথার কারণ দুটোর উপরেই কাজ করে। তাই এটি দ্রুত ও কার্যকরি এবং যেহেতু এটি কিডনি ও পাকস্থলির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না, তাই এটি গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।

অন্যান্য রোগে ফিজিওথেরাপি : ব্যথা ছাড়াও স্ট্রোক পারালাইসিস, বেলস পালসি ইত্যাদিতেও ফিজিওথেরাপি বেশ কার্যকর। মুখ বেঁকে যাওয়া বা বেলস পালসিতে রোগীরা প্রদাহ ও ভাইরাসবিরোধী ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ফিজিওথেরাপি নেয়া শুরু করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আর স্ট্রোক প্যারালাইসিস রোগীরা একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নিলে স্ট্রোক নিরাময় হয়ে আবার কর্মক্ষমতা ও সচলতা ফিরে পেতে পারেন।

কোথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পাবেন : সঠিক ফিজিওথেরাপির প্রথম ধাপ হল সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়। ঠিক কি কারণে আপনার শরীরে ব্যথা হচ্ছে তা নির্ণয় করতে না পারলে কখনই ফিজিওথেরাপি ফলপ্রসূ হবে না। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়; হার্টের রোগ বা প্রেসার থেকে অনেক সময় ঘাড় কাঁধ বা বুক ব্যথা হতে পারে কিন্তু কারণ না জেনেই যদি এসব ক্ষেত্রেও ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করা হয় তা কি কাজ করবে?

তাই প্রথমেই ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞকে রোগ নির্ণয় করার সুযোগ দিতে হবে। আবার অনেকেই ফিজিওথেরাপির নামে না জেনে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসাজ বা মালিশ বা টানাটানি করে থাকেন। এটিও হিতে বিপরীত ফল আনতে পারে। তাই একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ফিজিওথেরাপি নিলেই তা সবচেয়ে ভালো ফল দেবে। যত্রতত্র গজিয়ে উঠা সেন্টারে ফিজিওথেরাপি না নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ফিজিওথেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। এ চিকিৎসা নিয়ে অবহেলার সুযোগ নেই। একজন রোগীর সুস্থ হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ফিজিওথেরাপি নেয়া উচিত। অনেই মনে করেন সাময়িক আরাম পাওয়ার জন্যই ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। সাময়িক ব্যথা মুক্তির জন্য আপনি ব্যথানাশক খেতে পারেন, কিন্তু ফিজিওর মূল্য উদ্দেশ্য হল রোগীকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যথা ও ব্যথার কারণ মুক্ত করা এবং প্যারালাইসিসসহ অন্যান্য অচল রোগীর সচলতা ফিরিয়ে দেয়া।

নিউজ ট্যাগ: ফিজিওথেরাপি

আরও খবর



অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কুইন অব ফুটবলখ্যাত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা ইতোমধ্যে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। এখন কেবল ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোটা বাকি। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডিঅরজয়ী এই তারকা ফুটবলার এবার অবসর নেওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন। তার তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের শেষদিকেই ফুটবলকে বিদায় বলবেন মার্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মার্তা বলেন, এটি আমার শেষ বছর, আমি ইতোমধ্যে এর নিশ্চয়তা দিয়েছি। এমন মুহূর্ত থাকে যখন আমরা বুঝতে পারি সেই সময় (বিদায়ের) এসে গেছে। এ নিয়ে আমি শান্ত আছি, কারণ তরুণ অ্যাথলেটদের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মাধ্যমে ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আমি অনেক আশাবাদী।

এই বছর শেষেই অবসরের কথা বললেও, আরও একটি অলিম্পিকে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে তোলার আশা করছেন মার্তা। এর আগে তিনি পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দুবার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন (২০০৪ এবং ২০০৮)। আবারও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মার্তা বলেন, আমি যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কারণ সেটি অলিম্পিক হোক কিংবা অন্যকিছু, এটি ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার শেষ বছর। ২০২৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে মার্তা বলে কোনো অ্যাথলেট থাকবে না।

বর্তমানে একেবারে নতুন একটি দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। আর্থুর ইলিয়াসের ডাকে শেষবার কনকাক্যাফ গোল্ড কাপের দলে ছিলেন মার্তা। এখন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকার ফিফার পরবর্তী মের উইন্ডোতে ডাক পাওয়ার আশায় আছেন। সেটি হবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আগে খেলোয়াড়দের যাছাইয়ের শেষ সুযোগ কোচের সামনে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের (১৭) রেকর্ড রয়েছে মার্তার দখলে। তবে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়ে গেছে এই সেলেসাও কিংবদন্তির। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি। অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। এছাড়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন তিনবার।


আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত তার জামিন মঞ্জুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামীকাল (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে।

সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে।   সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙ্গরস্থলে আবদ্ধ রাখা হবে।

মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রে কোন প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌ পুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনাতামূলক বিশেষ বার্তা টিভি স্ক্রলে ও বেতারে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে তিনটি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে।  স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে গাজীপুরে বেঁকে গেছে রেললাইন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জের আড়িখোলা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আপ রেললাইনটি বেঁকে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত রেললাইন মেরামত কাজ শুরু করেছে।

পূবাইল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলমান দাবদাহে অতিরিক্ত গরমে পূবাইল আড়িখোলা এলাকায় অন্তত ১০ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা, কাঁদামাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ওই অংশ মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে গন্তব্যে চলে গেছে। এছাড়া ডাবল লাইনের অন্য একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর