আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কম শুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। চার দফায় এ পর্যন্ত ৯ লাখ ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমতি নিয়ে এখন চাল আনা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকার শুল্ক কমানোর সুবিধা দেওয়ার পরে ভারত চালের দাম বাড়িয়েছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্যও বেড়ে গেছে। এ দুই কারণ মিলিয়ে আমদানি করা চাল বাজার পর্যন্ত আনতে যে খরচ হবে, সেটি স্থানীয় বাজারের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে বেশি। এ কারণে চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা।

আমদানির অনুমতি পাওয়া কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ভারত এখন প্রতি টন মাঝারি মানের চাল ৪০০ থেকে ৪২০ ডলারে বিক্রি করছে। সরকারের ২৫ শতাংশ শুল্কায়নের পরে যা দাঁড়ায় ৫০০ থেকে ৫২৫ ডলার। অর্থাৎ প্রতি টন চালের দাম টাকার অঙ্কে (৯৮ টাকা ডলার হিসাবে) দাঁড়ায় ৪৯ হাজার থেকে ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা। এরপর এলসি প্রসেসিং, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি টন চালে খরচ হবে আরও ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে দেশের বাজারে এ চালের আমদানি মূল্য হবে ৫৩ থেকে সাড়ে ৫৬ টাকার মতো। কিন্তু দেশের মিলগুলোতে এরচেয়ে কম দামে মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে। একই হিসেবে সরু মিনিকেট বা নাজিরশাইল চাল আমদানিতে খরচ হবে ৬৫ টাকার বেশি। যেখানে মিলগেটে সরু এসব চাল এখন ৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে মোটা চাল। এ ধরনের চাল আমদানি করলে তার খরচ দাঁড়াবে ৪৫ টাকার মধ্যে। দেশের মিলগুলোতে এর চেয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

৪ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি নেওয়া নীলফামারীর শামসুল অটো রাইস মিলের কর্ণধার শামসুল হক বলেন, ভারত মোটা চাল ছাড়া সব চালের দাম বাড়িয়ে রেখেছে। ফলে সেখান থেকে গুটি স্বর্ণা বা স্বর্ণা-৫ ছাড়া অন্য কোনো চাল এনে সুবিধা করা সম্ভব নয়। সে জন্য মোটা চাল আনা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু মোটা চালের আবার উত্তরবঙ্গ ছাড়া চাহিদা কম। সব মিলিয়ে উভয়সংকট তৈরি হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে যে দাম তা পাইকারি বিক্রেতাদের মাধ্যমে হাতবদল হয়ে খুচরা বাজারে আসতে খরচ আরও অনেক বেড়ে যায়। মিলে একই মানের চাল কম দামে পাওয়া গেলে আমদানিকারকরা চাল আনলেও তাদের কাছ থেকে কিনতে চাইবেন না ব্যবসায়ীরা। এসব হিসাব করে আমদানির অনুমতি নিলেও এখনই চাল আনছেন না অনেক ব্যবসায়ী।

এদিকে ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের বিষয়টি পরিষ্কার হচ্ছে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণেও। প্রথম দফায় শুল্ক কমানোর পর বেসরকারি উদ্যোগে চার লাখ নয় হাজার টন চাল আমদানি করতে ৯৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এই অনুমোদনের ভিত্তিতে ৩০ হাজার টন আতপ চাল এবং তিন লাখ ৭৯ হাজার টন সিদ্ধ চাল আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে আমদানির এলসি করতে শর্ত দেওয়া হয়। এছাড়া ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানি করা এসব চাল বাজারজাত করারও নির্দেশ রয়েছে। অর্থাৎ এলসির সময় শেষ হয়ে এলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত এলসি খোলা হয়নি। আর বাজারজাত করার সময় অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও দেশে চাল এসেছে মাত্র ২ হাজার টনেরও কম।

সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত চাল আমদানি হয়েছে ১ হাজার ১০০ টন। আর বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার চাল এসেছে ৫১২ টন। এ প্রসঙ্গে খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা যে পরিমাণ আমদানির অনুমতি দিয়েছি, সে পরিমাণ এলসি হচ্ছে না সেটা ঠিক। তবে এখনো সময় আছে। দেখা যাক কী পরিস্থিতি হয়। প্রথম ধাপের সময় রয়েছে আরও কয়েকদিন। অন্যান্য ধাপে বেশ কিছুদিন সময় রয়ে গেছে। এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, বেসরকারিভাবে যে চাল আমদানি হয় তার ৮০ ভাগেরও বেশি আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তান থেকেও চাল আমদানির সুযোগ রয়েছে। তবে এসব দেশ থেকে চাল আমদানি করতে হলে পরিবহন খরচ আরও বাড়বে। কারণ এর আগে কার্গো সংকটে পরিবহন খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহিদুর রহামন পাটোয়ারী ৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি নিয়েছেন। কিন্তু এখনো তিনি কোনো এলসি খোলেননি। তিনি বলেন, গত বছরের এই সময়ে ডলারের বিপরীতে খরচ হয়েছে ৮৪-৮৫ টাকা। এবার সেটা কিনতে হচ্ছে ৯৮ টাকায়। এছাড়া ভারত ছাড়া অন্য দেশে পরিবহন খরচ আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। সেজন্য চালের আমদানি বাড়াতে শুল্ক আরও কমানো দরকার।

তবে এ দাবি নাকচ করে দিয়ে খাদ্য সচিব বলেন, আমরা এ পরিস্থিতি ঠিক মনে করছি। ব্যবসায়ীদের কথায় শুল্ক আরও কমানো যাবে না। প্রয়োজনে আমরা হিসাব করে দেখবো। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এলসি খোলার পর ভারত থেকে চাল আমদানি করা যায় এক সপ্তাহের মধ্যেই। কিন্তু ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত চাল এসেছে ২ হাজার টনেরও কম। যেখানে প্রথম দফায় যারা অনুমতি পেয়েছেন তাদের আড়াই সপ্তাহ কেটে গেছে।

এদিকে তথ্য বলছে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কম শুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়ার পরও এর সুফল বরাবরই পাওয়া যায় না। কারণ গত অর্থবছরের ১৭ আগস্ট থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সংকট কাটাতে ৪১৫টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসময় চাল আসে মাত্র ৩ লাখ ৩১ হাজার টন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান বলেন, শুল্ক কমালে ব্যবসায়ীরা চাল আনবেন কি না সেটি তার মজুত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। নিজেদের মজুত চাল থাকলে আমদানির কারণে বাজারে দাম পড়ে যাক সেটা তারা কখনো চাইবেন না। ফলে অনাগ্রহ দেখাবেন। আবার সংকট মোকাবিলার কথা তারা কখনো ভাববেন না, লাভটা আগে হিসাব করবেন। ধান-চালের হিসাব এত সোজা নয়। ব্যবসায়ীদের ভরসা করে তাদের মাধ্যমে দাম কমবে- এ ভাবনায় বসে থাকা ঠিক হবে না। তাদের সাপ্লাই বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই। তারা মুনাফা ছাড়া কিছুই করেন না। আমদানি সংকট সরকার কীভাবে মোকাবিলা করবে সেটা দেখার বিষয়।

নিউজ ট্যাগ: চাল আমদানি

আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংকের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকের নতুন পর্ষদের পক্ষ হতে কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহবান জানান এবং শ্রেনীকৃত ঋণ আদায় এবং আমানত সংগ্রহের জন্য গ্রাহকদের ব্যাংকের নতুন পর্ষদ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য পুনব্যক্ত করেন। ঋণ আদায়ের ব্যাপারে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগের জন্য কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, খেলাপী ঋণ আদায়ের ব্যাপারে গ্রাহকদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ব্যবসা সম্প্রসারণ, গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি, শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যাংকের উত্তরোত্তর উন্নতি করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সংকল্পবদ্ধ হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

শনিবার দুপুরে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা প্রধানদের নিয়ে মত বিনিময় সভা ব্যাংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান।

এসময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীসহ পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. রিয়াজুল করিম, এরশাদ মাহমুদ, প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক ও ড. রত্না দত্ত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও মো. আব্দুল মতিন।

এতে ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং কৌশলগত কর্মপন্থা প্রণয়ন সহ সার্বিক প্রবৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।


আরও খবর



শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে বয়ে যায় আধা ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ঝড়ে সিলেট-শ্রীমঙ্গলের মাঝে রেললাইনের ওপর কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে বিকেল থেকে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে আটকে আছে ও ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে আটকে আছে। গাছ অপসারণের কাজ চলছে। শিগগিরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন দোকানের চাল উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ।

উল্লেখ্য, সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে রাত ১ টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৩টা থেকে দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলেরে উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



সোহেল চৌধুরীর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ফেনীর ছাগলনাইয়ার মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৯০ দিনের (তিন মাস) মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

৫ বছর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আদালত ৫ বছর আগে জারি করা রুল আজ (১৬ মে) নিষ্পত্তি করে সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন অবৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যে বেতন-ভাতা ও সুবিধা নিয়েছেন তা রায় পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ছাগলনাইয়া ফেনী

আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৬ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দুপুর ১টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর