চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদকর্মীর মাথায় চায়ের কাপ ছুড়ে মারার ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চবিসাস।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হান।
এদের মধ্যে খালেদ মাসুদ আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী; আরাফাত সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে খালেদ মাসুদ এর আগে ২০২১ সালেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হয়েছিলেন।
ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার বলেন, বহিষ্কার আদেশ আজ থেকে পরবর্তী ছয় মাস কার্যকর থাকবে।
এদিকে এ সিদ্ধান্তকে সম্পন্ন লোক দেখানো বলে দাবি করেন চবিসাস। সংগঠনটির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ‘ছয় মাসের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত আমাদেরকে বেশ আশাহত করেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন বিচার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভুক্তভোগী সাংবাদিক এখনও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। শাস্তির নামে মূলত অপরাধীদেরকে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।
বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনের একটি দোকানে সোমবার রাতে চায়ের দোকানে চেয়ারে বসা নিয়ে বিতণ্ডার জেরে মারধরের শিকার হন একটি অনলাইল পোর্টালে ক্যাম্পাস প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদ।
জানা যায়, ১৯ জুন রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে চায়ের দোকানে চেয়ারে বসা নিয়ে দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করেন চবি শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, উপদপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে দলবেঁধে উপর্যুপরি তার পেটে লাথি মারতে থাকেন ঘটনাস্থলে থাকা তাদের ১০-১২ জন সহযোগী।
পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী সাংবাদিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।