নির্বাচন আসে, সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি মেলে। ভোট যায়, জনপ্রতিনিধিদের দেখা মেলে না। এভাবে কেটে গেছে দুই যুগের ও বেশি। এবার নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রম ও সমাজসেবক হাসান জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর অর্থায়নে সড়ক সংস্কার করলেন এলাকাবাসী। আর ওই সড়কটি হল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা (রহঃ) কানেকটিং সড়ক।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কৈখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা (রহঃ) কানেকটিং সড়ক থেকে শুরু করে ৯নং ওয়ার্ডের মামুরখাইন পর্যন্ত সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সব ইট আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাঁদায় ডুবে। অথচ এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করে গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। তাছাড়া সড়কটি মামুরখাইন গ্রামের একমাত্র রাস্তা। বিকল্প সড়ক না থাকাতে ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
এলাকাবাসী জানান, রাস্তাটি মামুরখাইন জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। এ রাস্তা দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার পথচারী যাতায়াত করেন। রাস্তাটি এক সময় হাঁটা পথ থাকায় যানবাহন প্রবেশ করতে পারত না। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু, রোগী ও বৃদ্ধদের চলাচলে অসুবিধা হতো। যান চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় রাস্তাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দূর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার লোকজন। বিশেষ করে বর্ষার দিনে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হতো তাদের। এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে হাঁটা পথটি প্রশস্ত করে ইটের রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেন সমাজসেবক হাসান জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্তে ৩৫০ফুট সড়কটি সংস্কার করা হয়।
স্থানীয় সাইফুর রহমান মুবিন বলেন, বর্তমানে সড়কটি দেখলে আঁতকে উঠবে যে কেউ! গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের হাঁটাচলাও। এসব প্রতি দিনকার চিত্র হলেও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কোন মাথাব্যথা নেই। দীর্ঘ দুই যুগের ও বেশী পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই সড়কে। পরৈকোড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুৎসুদ্দি পাড়া কৈখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা (রহঃ)কানেকটিং সড়কটির প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দ বড় বড় গর্ত। কিছুদিন পূর্বে টানা ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় সড়কে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি।
সড়ক নির্মাণের উদ্যোক্তা হাসান জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, সড়ক সংস্কারের অভাবে বছরের পর বছর গ্রামের মানুষ কষ্টে যাতায়াত করছিলেন। এরমধ্যে বড় দূর্ভোগে ছিল স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাচল। বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলি কিভাবে গ্রামীণ সড়ক সংস্কার করা যায়। গ্রামবাসীর পরামর্শে আমার নিজস্ব অর্থায়নে ৩৫০ফুট সড়ক সংস্কার করা হয়।