ব্যাটারিচালিত
অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ
করছেন চালকেরা। চার ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশ বাস চলাচল শুরুর অনুমতি দিলে বিক্ষুব্ধ
অটোরিকশা চালকরা তিনটি বাস ভাঙচুর করে।
রবিবার (১৯ মে)
বেলা আড়াইটার দিকে মিরপুর গোলচত্বরে তিন বাস ভাঙচুর চালায় অটোরিকশা চালকরা। এর আগে
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে
যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
সরেজমিনে, বেলা
আড়াইটার দিকে দেখা যায়, পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশাচালকেরা
লাঠি ও ইট দিয়ে বাস ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে বাস থেকে নেমে
পড়েন।
মিরপুর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির জানান, প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে
সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। আড়াইটার দিকে একপাশ দিয়ে বাস
চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাংচুর করে অটোরিকশা চালকরা। তবে পুলিশের বাধায় তারা সেখান
থেকে সরে যায়।
ব্যাটারিচালিত
অটোরিকশাচালক জামাল মিয়া বলেন, অটোরিকশা বন্ধ থাকায় তার কোনো উপার্জন নেই। কীভাবে
কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন, পরিবারের খরচ চালাবেন, তা নিয়ে উদ্বেগ। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায়
নেমেছেন তারা।
মিরপুর ট্রাফিক
বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্ল্যা বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১,
মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক
অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা কালশী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা
বেশ কয়েকজন প্যাডেলচালিত রিকশাচালককে মারধর করেন। মিরপুর-১১ এলাকায় বেশ কয়েকটি বাসের
গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে বিক্ষোভকারীরা মিরপুর-১০ মোড়ে জড়ো হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে
দেন।
তিনি বলেন, পুলিশ
ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার
জন্য বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গত ১৫ মে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেওয়ার
নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন
কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন,
ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়,
এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ
করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।