আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে নারী পাচার চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাম্প্রতিক সময়ের চাঞ্চল্যকর মানবপাচার মামলার সাথে সম্পৃক্ত দুইজন আসামিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। গ্রেপ্তারকৃত ঝুমু (৩০) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জালিয়া পাড়া গ্রামের মো. তারেকের স্ত্রী। আর পারভিন আক্তার (২৫) বায়েজিদ বোস্তামীর বালুচড়া এলাকায় থাকেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পরিচালক শরীফ-উল আলম।

র‍্যাব জানায়, ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়ার পর একজন ভুক্তভোগী নারী পালিয়ে আসে নিজ দেশে। তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ কথা। এই চক্রে সক্রিয় দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি ঝুমু এবং পারভিন আক্তার বায়েজিদ বোস্তামী থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনে অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা মাধ্যমে বেশি বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল। মানবপাচার মামলার প্রধান আসামি মো. তারেককে গত ২৪ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আসামীদের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



বাবা ডেকেও ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাট পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ির হযরত ফাতেমা (র:) কওমি হাফেজিয়া মহিলা মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সির (৬০) বিরুদ্ধে।

রোববার (২৩ জুন) বিকেলে জয়পুরহাট শহরের মাছুয়া বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আজিজুল সদর উপজেলার পৌর এলাকার কাশিয়াবাড়ি মহল্লার ব্যবসায়ী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হযরত ফাতেমা (র:) কওমি হাফেজিয়া মহিলা মাদরাসাতে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার এক শিক্ষার্থী। ঈদের ছুটি হলেও মাদরাসাতে বেতন বাকি থাকায় ওই শিক্ষার্থীকে ছুটি দেয়া হয়নি। তাকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সির বিরুদ্ধে। পরে রোববার মেয়েটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বান্ধবীর বাবাকে সব ঘটনা জানান। পরে তিনি তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে জয়পুরহাট সদর থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আজিজুলকে গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বলেন, আমি চতুর্থ শ্রেণিতে মাদরাসায় পড়াশোনা করি। আমার বাবা সময়মত মাদরাসার বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। ইতিমধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাদরাসা ছুটি ঘোষণা করা হয়। মাদরাসায় আমার টাকা বাকি ছিল। বাড়ি গিয়ে যদি আর না আসি সেজন্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সি আমাকে বাড়িতে যেতে দেয়নি। পরে তিনি আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি তাকে বাবা ডেকেও রেহাই পাইনি। একপর্যায়ে রোববার সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে আমার এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। আমার সর্বনাশকারীর বিচার চাই।

গ্রেপ্তারের আগ মুহূর্তে আজিজুল হক ফেন্সি কখন বলেন তার ভুল হয়েছে। আবারও কখনও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়পুরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবেল জানান, রোববার দুপুরে দুইজন মহিলা ও একজন পুরুষ ছোট এক মেয়েকে থানায় আসে। এরপর তাদের কাছ থেকে জানতে পারি শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকায় একটি বালিকা কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সি। তিনি ওই ছাত্রীর মাদরাসার বেতন পরিশোধ না করায় তাকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে শিশুটি পালিয়ে এসেছে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজিজুল হক ফেন্সিকে মাছুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর আজিজুল হক ফেন্সি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে এবং তিনি শিশুটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।


আরও খবর



ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারি স্থাপনা ও জায়গা দখল, বিপাকে প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে এলজিইডির নিজস্ব এলএসডি ফুড গোডাউন এবং এর পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে শ্রীরামকাঠি-পাচপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন ও গোডাউন আঙ্গিনার অধিগ্রহনকৃত নিজস্ব ভুমি অবৈধ ভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি ও তার পরিবার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সম্পদ জনস্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া  সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে বারবার নোটিশ দিলেও কর্নপাত করছেন না অভিযুক্ত নারায়ন মিস্ত্রি। এক্ষেত্রে বিপাকে পরেছেন উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) দেখা যায়, শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন, এর গার্ড রুম, বাথরুম, ইয়ার্ড এবং পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা দখল করে একটি টিনের ঘর নির্মান করে স্বপরিবার নিয়ে বসবাস করছেন নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এলজিইডির প্রতিষ্ঠালগ্নে খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট ও গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিল। এজন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত গম/চাল সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য প্রকল্প চলমান উপজেলা সমূহে এলজিইডি ফুডগোডাউন নির্মাণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায়  আশির দশকের দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে একটি এলজিইডি কর্তৃক ফুড গোডাউন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই কর্মসূচির পরিবর্তে দরপত্র প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে বিধায় এই গোডাউনটি পরিত্যক্ত ছিল। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসলে উহার যথোপযুক্ত সৎব্যবহারের নিমিত্তে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের নিকট লিজ হিসেবে হস্তান্তর করেন। তখন থেকে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জনগণের সেবা প্রদানের জন্য তাদের সংগ্রহীত উন্নতমানের বীজ উপকরণ ও ঔষধপত্র এই গোডাউনে গুদামজাত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও নির্দেশনা রয়েছে।

মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই  স্থাপনার চতুর্দিকে বাউন্ডারি স্থাপনা ও সীমানা পিলার থাকা সত্ত্বেও নারায়ন মিস্ত্রি নামক একজন ভূমিদস্যু স্থানীয় আরও কতিপয় ভূমিদস্যুদের যোগসাজশে এই সরকারি স্থাপনা ও এর জায়গা জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বসবাস করছেন এবং সরকারি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। ইতিপূর্বে তাহাকে এই স্থাপনাস্থল থেকে একবার উচ্ছেদ করা হলেও তিনি পুনরায় অবকাঠামোটি দখল করেছেন। এমতাবস্থায় সরকারি স্বার্থ ও  জনগনের কাঙ্ক্ষিত সেবা পূনপ্রতিষ্ঠর লক্ষে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি নাজিরপুরের পক্ষ থেকে ভূমিদস্যু নারায়ণ মিস্ত্রিকে সরকারি স্থাপনা থেকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সেচ্ছায় সরকারি স্থাপনা ও জায়গা ছেড়ে না দিলে পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য নয়, আমি একজন ধর্মীয় নেতা এবং আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, দুই পক্ষই এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে। সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



সড়কের ওপর রাখা হচ্ছে বাস, চলাচলে দুর্ভোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

সড়কে নৈরাজ্য ও দুর্ঘটনার কারণে চালকদের বদনামের শেষ নেই। ইচ্ছেমতো চালানো, গাড়ির ছাল বাকল না থাকা, বাড়তি ভাড়া আদায়, চালকের লাইসেন্স না থাকা, রেষারেষিসহ চালকদের বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ। আছে আলোচনা, সমালোচনা। তবুও বদনাম একটুও কমেনি, বরং বাড়ছে। নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে দিনের পর দিন। এসবকিছুর সঙ্গে যোগ হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়  বিভিন্ন এলাকার সড়কে ইচ্ছেমতো বাস পার্কিং করে রাখার ঘটনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ছত্তারহাট-মুরালী সড়কের ওপর সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বাস। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে পড়ে অনেক সময়। গত ৫ বছর পূর্বে মাহাতা নাথ পাড়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তবে সড়কে এলোপাতাড়ি গাড়ী রাখায় ফায়ার সার্ভিস আসতে পারেনি। এসব স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী, পথচারী ও সচেতন মহল।

পথচারী আব্দুল্লাহ আল মুহামিন বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়। নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্র বাস, ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা বাস-অটোরিকশার কারণে দুটি যানবাহনের পাশাপাশি চলাচলের জায়গা থাকে না। যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। আমরা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

জানতে চাইলে পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুল বলেন,আপনারা লিখেন এগুলি আমাদের কাজ না।আমি ঐদেরকে সড়কে পার্কিং না করার জন্য বললে ওরা গাড়ি কোথায় রাখবে? ঐ জবাবটা কে দিবে আপনি বলেন? পূর্বে সড়কে বাস, সিএনজি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে না রাখার জন্য চালকদের অনেকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বাস চালকরা আমাকে বলেন,আমাদের একটা বাসস্ট্যান্ড ঠিক করে দিন আমারা ঐখানে চলে যাবো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখছি।

নিউজ ট্যাগ: আনোয়ারা

আরও খবর



বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি কেন্দ্রের (ময়মনসিংহ) উদ্যোগে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৩-২৪) ও গবেষণা পরিকল্পনা (২০২৪-২৫) প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) সকালে বিএফআরআই অডিটরিয়ামে আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আলী রেজা ফারুক, মৎস্য অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম। এছাড়াও কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) ড. অনুরাধা ভদ্র।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। নদীমাতৃক ছোট আমাদের এই দেশ মাছ উৎপাদনে চীনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে সেকেন্ড পজিশনে চলে এসেছে। দেশের মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। মাছ উৎপাদন, আহরণ, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিসহ মৎস্য খাতে এ মানুষরা কাজ করেন। এক সময় মাছ চাষে অনেকের অনাগ্রহ ছিল। এখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মাছ চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে সম্পৃক্ত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, ২০৩০ সালে আমাদের মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


আরও খবর



ক্যাসপারস্কি সফটওয়্যার নিষিদ্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

রুশ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ক্যাসপারস্কি সফটওয়্যার নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো এমনটি জানান।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্যাসপারস্কি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সফটওয়্যার বিক্রিসহ কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না, এমনকি ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো আপডেটও করা যাবে না।

তবে এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালানোর ঘোষণা দিয়ে ক্যাসপারস্কি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়, এমন কোনো কার্যকলাপে তারা জড়িত নয়।

বাইডেন প্রশাসনের এই নিষেদ্ধের ঘোষণাটি কার্যকর হবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে। ওইদিন থেকে ক্যাসপারস্কি সফটওয়্যার আপডেট, পুনরায় বিক্রি এবং লাইসেন্সিং বন্ধ হয়ে যাবে। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে নতুন ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী বিক্রেতাদেরকে বাণিজ্য বিভাগের জরিমানার মুখ পড়তে হবে।

রুশ সামরিক গোয়েন্দাদের সহযোগিতার অভিযোগে ক্যাসপারস্কির আরো দুটি রুশ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি ইউনিটের নামও নিষেধাজ্ঞার তালিকা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে আছে রাশিয়ার এই সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৭ সালে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ফেডারেল নেটওয়ার্কগুলোতে ক্যাসপারস্কির ফ্ল্যাগশিপ অ্যান্টিভাইরাস নিষিদ্ধ করেছিল।

এ নিয়ে মার্কিন রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি রয়টার্স। এর আগে রুশ কোম্পানি ক্যাসপারস্কি জানিয়েছিল যে, তারা বেসরকারি কোম্পানি এবং তাদের সঙ্গে রুশ সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

নিউজ ট্যাগ: ক্যাসপারস্কি

আরও খবর