আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

হালদা মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী মানবসৃষ্ট দূষণ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে সম্প্রতি বেড়েছে মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা। হালদায় দূষণের ফলে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ৫টি মৃত মাছ ও ১টি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি হালদায় মানবসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড জন্য মরছে মা মাছ ও ডলফিন বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষকরা।

তারা জানায়, হালদা সরাসরি ফেলা হচ্ছে ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্য ও অন্যান্য শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য, পোল্ট্রি বর্জ্য, গৃহস্থালী, মানববর্জ্য, হালদা ও শাখা খালে অবৈধভাবে জাল, বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে মাছ নিধন, অবৈধ বালু উত্তোলন ইত্যাদি। এতে হালদা নদীকে মা মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণির নিরাপদ আবাসস্থল দূষিত পানি জন্য প্রায় হাজার একর জমি নষ্ট হয়ে গেছে।

রবিবার (৩০ জুন) হালদা নদীর আজিমারঘাটে একটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে ওঠে। মাছটির দৈর্ঘ্য ১১৮ সেমি. ও ওজন প্রায় ১৯ কেজি ৩০০ গ্রাম।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ জুন হালদা নদীর উত্তর মাদার্শার কুমারখালী ঘাটে একটি মৃত কাতলা মা মাছ ও সুলতানা বাপের ঘাটে আরেকটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে ওঠে। বিগত এক সপ্তাহে হালদা নদী থেকে ৫টি মৃত মা মাছ ও ১টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। যা হালদা নদীর জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এমতাবস্থায় হালদা নদীকে মা মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণির নিরাপদ আবাসস্থল করতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগে এক সময় হালদায় প্রতিমাসে কমপক্ষে দুই তিনটি অভিযান হত, যা এখন আর চোখে পড়ছে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে হালদা নদীতে ৪৩টি ডলফিন এবং ২৫-৩০টি বড় মা মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর পেছনে মূলত শনাক্ত করা হচ্ছে- আঘাত, শ্বাসকষ্ট ও দূষণ।

এদিকে, হালদা নদীর প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দূষণ, বিষ প্রয়োগ, মাছ ডিম ছাড়া নিয়ে তদারকি করা হবে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।

তিনি বলেন, হালদা নদীর দূষণ নিয়ে আমরা হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ময়েদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এরপর দূষণের কারণ নির্ধারণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ময়েদুজ্জামানকে বলেন, আমরা সম্প্রতি হালদায় নদীতে মা মাছ ও ডলফিন মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দূষণে মূলত হালদা নদীতে মাছের মৃত্যু ঘটনা ঘটছে মনে করছি। হালদায় মানবসৃষ্ট জন্য জন্য নদীর পানি দূষণ হচ্ছে।

হালদা নদীর প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি আবারও বেড়েছে মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা। গত এক সপ্তাহে নদীতে মৃত মা মাছ  ডলফিন ভেসে উঠেছে, যা উদ্বেগজনক। হালদার দূষণ নিয়ে মৎস্য দপ্তর থেকে থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী। ৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটির জলজ প্রাণি রক্ষায় সরকার ২০০৭ সালে নদীর কর্ণফুলীর মোহনা থেকে ফটিকছড়ি, নাজিরহাট পর্যন্ত এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে নদীর সব স্থানে বালুর ইজারা মহাল তুলে নিয়ে বালু উত্তোলন এবং বালুবাহী ড্রেজার, যান্ত্রিক নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এসব উদ্যোগের কারণে মা মাছের মৃত্যু কমে এসেছিল।


আরও খবর



আজকের তরুণরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর: চবি উপাচার্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) উদ্যোগে একটি নতুন আগামী শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক বক্তৃতা।

মঙ্গলবার সকালে চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেব বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ বিজ্ঞানী ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. হাসিনা খান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম ও আবুল খায়ের গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার এ এন এম ওয়াজেদ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইউআরএইচএস এর মডারেটর ও চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিইউআরএইচএস এর উপদেষ্টা এবং চবি ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. অলক পাল এবং সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ শরীফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লিড অর্গানাইজার এবং কিউরেটর নুসরাত আফরিন এবং সিলভিয়া নাজনীন। অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক বক্তৃতার আয়োজন করায় চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান চবি উপাচার্য। তিনি বলেন, দেশের বিখ্যাত ব্যাক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বক্তৃতার আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে সরাসরি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শোনার সুযোগ পায়। যা থেকে তরুণরা নিজেদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পাবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর। দেশের দিকপালদের বর্ণাঢ্য জীবনাদর্শ অনুসরণ করে তরুণরা যুগোপযোগী আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে মানব কল্যাণে ছড়িয়ে দিয়ে দেশ-জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে।

টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রিয় আটজন দিকপাল বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে নিজেদের জীবনের স্মৃতিচারণ করে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং উদ্ভাবক প্রফেসর ড. হাসিনা খান, বিশিষ্ট মিডিয়া কর্মী ও বিতার্কিক ডাঃ আবদুন নুর তুষার, প্রখ্যাত গীতিকার ও কর্পোরেট প্রফেসনাল আসিফ ইকবাল, প্রখ্যাত শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ বাসনা মুহুরী, প্রখ্যাত লেখক, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, প্রখ্যাত পরিবেশ এক্টিভিস্ট চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল কিবরীয়া, এভারেস্ট পর্বত আরোহী ডাঃ বাবর আলী এবং মডেল, অভিনেতা, উদ্যোক্তা ও আইনজীবি জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বক্তারা উদ্ভাবনী ধারণার অনুপ্রেরণামূলক গল্প এবং সৃজনশীল আলোচনা করেন। এ বৈচিত্র্যময় কথোপকথনে বিজ্ঞানের আলোচনা থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের বিষয় উঠে আসে। একটি নতুন আগামী প্রতিপাদ্যে বিজ্ঞান, গবেষণা, পরিবেশ, অটিজম, বাকস্বাধীনতা, সঙ্গীত, সাহিত্য, পর্বত আরোহণ, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বক্তারা।

চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির ডেপুটি মডারেটর ড. সুমন গাঙ্গুলি, ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ড. মোঃ মাহবুব হাসান, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ড. অনুপম দাশ গুপ্ত এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ড. ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাবেরী দাশ, টেড-এক্স এর আতকিয়া সুবাত ও আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজনের মূল পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো আমা কফি। পাশাপাশি সহযোগিতায় ছিলো এমবিএ এসোসিয়েশন চিটাগং ইউনিভার্সিটি, কনফিডেন্স সল্ট, স্টেলার ও হাবিব তাজকিরাজ। বেভারেজ পার্টনার হিসেবে ছিলো পুষ্টি, হোয়াইট রেবিট, লোণস্টার স্টেক হাউজ, চিলক্স। সহযোগিতায় একাডেমিক পার্টনার হিসেবে ছিলো দি ইংলিশ একাডেমী এবং ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউট, হেলথকেয়ার পার্টনার হিসেবে এসপেরিয়া হেলথকেয়ার, ট্রাভেল পার্টনার হিসেবে ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজ। এছাড়া মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো সময় টিভি, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্ট্যাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস) গবেষণা ও উচ্চশিক্ষামূলক বিভিন্ন সেশন, সেমিনার, কর্মশালা, প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জাতীয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের টেডএক্স চিটাগং ইউনিভার্সিটির আয়োজন করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে নারী পাচার চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাম্প্রতিক সময়ের চাঞ্চল্যকর মানবপাচার মামলার সাথে সম্পৃক্ত দুইজন আসামিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। গ্রেপ্তারকৃত ঝুমু (৩০) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জালিয়া পাড়া গ্রামের মো. তারেকের স্ত্রী। আর পারভিন আক্তার (২৫) বায়েজিদ বোস্তামীর বালুচড়া এলাকায় থাকেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পরিচালক শরীফ-উল আলম।

র‍্যাব জানায়, ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়ার পর একজন ভুক্তভোগী নারী পালিয়ে আসে নিজ দেশে। তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ কথা। এই চক্রে সক্রিয় দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি ঝুমু এবং পারভিন আক্তার বায়েজিদ বোস্তামী থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনে অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা মাধ্যমে বেশি বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল। মানবপাচার মামলার প্রধান আসামি মো. তারেককে গত ২৪ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আসামীদের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



এনবিআরের প্রথম সচিবের ১৬ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্য মোস্তাফিজ অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের জন্য ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ ও স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার নিজ নামে ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালীন জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রয় করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন হতে অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।


আরও খবর



৯৫০ কেজির 'জায়েদ খান'র সঙ্গে ছাগল ফ্রি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

ওজন প্রায় ৯৫০ কেজি। ডিগবাজি দেয় বলে নাম রাখা হয়েছে জায়েদ খান। লাল রঙের শাহিওয়াল জাতের জাহেদ খান নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ষাঁড়টির সঙ্গে একটি ছাগল ফ্রি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালিক। তবে দরকষাকষির মাধ্যমে দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। আরও রয়েছে চাঁদ রাতে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা।

তিন বছর ধরে জায়েদ খান (ষাঁড়) কে লালন-পালন করছেন রমজান আলী বাচ্চু ও আনোয়ার হোসেন। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ পরাগলপুর গ্রামে নিরব এগ্রো ফার্মে প্রস্তুত করা হয়েছে এই ষাঁড়টি।

রমজান আলী বাচ্চু বলেন, গম, ভুট্টা, সবুজ ঘাস ও ফলমূল খাওয়ানোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে ষাঁড়টি। সময়মতো খাবার না পেলে রেগে যায় জায়েদ খান। গরম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে সবসময় ফ্যানের বাতাস দিতে হয় তাকে। না হলে শুরু হয় পাগলামি। শরীর ঠান্ডা রাখতে দুবেলা গোসল করাতে হয়।

বিশেষ নামের এই ষাঁড়টির খাবার ও দেখাশোনার জন্য দৈনিক প্রায় ৫০০ টাকা খরচ করতে হয় তার মালিককে। সর্বদা দেখভালের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন একজন কর্মচারী।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, আমার ইউনিয়নের নিরব এগ্রো বিগত কয়েক বছর ধরে গরু মোটাতাজা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও গরু প্রস্তুত করেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ জানান, খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার ৫০ হাজার ৭৩৯টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ২২ হাজার ৪১৩টি ষাঁড় ও বলদ, ১৪ হাজার ১৫২টি গাভি, চার হাজার ৬১১টি মহিষ, ৯ হাজার ৫৬৩৫টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হবে।


আরও খবর



হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত সারা বিশ্বের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান শুক্রবার মিনায় পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। মিনায় অবস্থান করা হজের অংশ।

সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে রওনা হন হজযাত্রীরা। মিনামুখী পুরো রাস্তায় ছিল হজযাত্রীদের স্রোত। বাসে, গাড়িতে এমনকি হেঁটেও মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন মুসল্লিরা। খবর গালফ নিউজ।

শুক্রবার ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এরপর প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।

হাজিরা মিনায় বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডন করবেন। তারপর মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।

প্রত্যেক শয়তানকে ৭টি করে পাথর মারতে হয়। মসজিদে খায়েফের দিক থেকে মক্কার দিকে আসার সময় প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, এরপর জামারায় ওস্তা বা মেজ শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে পাথর মারতে হবে। মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা বিদায়ী তাওয়াফ নামেও পরিচিত।


আরও খবর