আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গুর দাপট থাকবে সেপ্টেম্বর জুড়ে

প্রকাশিত:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। কিন্তু আগস্ট মাস থেকে ডেঙ্গু সংক্রমণ চেপে বসে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে। এরই মধ্যে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গু সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে পারে।

এই অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মশা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশন বলছে, ডেঙ্গুরোধে সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে। অন্যথায় শত অভিযান চালিয়েও সুফল মিলবে না। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৯৫২ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সেপ্টেম্বরে সংক্রমণ বাড়বে, অক্টোবরে কমে আসবে: ডেঙ্গু সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল ডা. মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই মাসে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়বে। তবে মাসের শেষের দিকে আশা করছি কমে আসবে। এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের পিক টাইম। এরপরও আমরা যদি গতবারের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে বলব, তুলনামূলক ভালো আছি। গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৬৯৮ জন। আর এই আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৩৭০ জন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৪১ জন। আর এই সেপ্টেম্বরে হয়তো সর্বোচ্চ হাজার চারেক রোগী হতে পারে।

গত মাসের তুলনায় এই মাসে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখছি সে হিসেবে বলা যায়, গত মাসের তুলনায় এ মাসে সংক্রমণ কিছুটা বাড়বে। ডেঙ্গুর সংক্রমণের ট্রেন্ড যেটা বলে, আগস্ট মাস থেকে বাড়া শুরু হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করে এবং অক্টোবর মাসে ধীরে ধীরে নেমে আসে। গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে। ২০১৯ সালে তো আমাদের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়েছিল। সেই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু সংক্রমিত হয়েছিল ১৬ হাজার ৮০০ জন। এরপর অক্টোবর মাসে নেমে আসে ৮ হাজারে। সব মিলিয়ে বলব যে সেপ্টেম্বর ও আগস্ট মাস আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।

কনস্ট্রাকশনের কাজে নজরদারির পরামর্শ: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর খান বলেন, ডেঙ্গু রোগ মূলত যে মশার কামড়ে হয়, সেই মশাটিকে বলা হয় শহুরে মশা। গ্রামের মশার আবাসস্থলের সঙ্গে শহরের মশার আবাসস্থলের অনেক পার্থক্য। শহরে আমরা দেখি যে খুবই অল্প পানিতে মশাগুলো ডিম পাড়ে এবং জন্মাতে পারে। যেমন- ডাবের খোসা, ফুলের টব। এগুলোতে খুব অল্প পরিমাণ পানি থাকলেও এর মধ্যেই মশা জন্মাতে পারে। আর গ্রামের মশাগুলো জন্মায় আবদ্ধ পুকুর, ডোবা, নালায়। ঢাকা শহরে বাড়ি নির্মাণসহ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। যখন কনস্ট্রাকশনের কাজ করা হয়, তখন ওই জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়। সেখানে ড্রামসহ বিভিন্ন কৌটা আর খানাখন্দে পানি জমে থাকে। এসব বিষয় খুব বেশি তদারকি করা হয় না। ফলে সেখানে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি হয়।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের মেয়রেরা বাসা বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছেন। বাসাবাড়িতে তো আপনি সবসময় ঢুকতে পারেন, কিন্তু কনস্ট্রাকশনের জায়গাগুলো তো টিন দিয়ে ঘিরে রাখা, ওসবে সাধারণ মানুষও যায় না, সিটি করপোরেশনও যায় না। যে কারণে সবসময়ই ডেঙ্গু মশা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

এভাবে তো অভিযান পরিচালনা করে কোনো লাভ নেই। অভিযান পরিচালনা করতে হবে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। রাতে বৃষ্টি হয়েছে, আমি দেখলাম রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে আছে। এই পানিগুলোই কিন্তু এক/দুইদিন পর্যন্ত জমে থাকে। ভালো করে দেখলে দেখা যাবে এগুলোতেই মশা ডিম ছাড়ছে এবং নতুন করে মশার জন্ম নিচ্ছে, বলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর খান।

যেখানে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেশি, সে জায়গাগুলোই অবহেলিত: ডা. সবুর খান বলেন, যে জায়গাগুলোতে সবসময় ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেশি, সে জায়গাগুলোই সবসময় অবহেলিত থাকে। মিরপুর এলাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি, সেখানে গিয়ে দেখবেন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িও বেশি। গুলশান এলাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হলে যত দ্রুত সময়ে সেগুলো বন্ধ করা হয়, মিরপুর এলাকায় সেটা হয় না। প্রায় সময়ই দীর্ঘদিন এভাবে চলে যায়। এছাড়া সেই এলাকাগুলোতে রাস্তাঘাটের আশেপাশের ড্রেনগুলো ঠিক কতদিন পরপর পরিষ্কার হয় সেটা বলা মুশকিল। দিনের পর দিন সেই জায়গাগুলোতে জমে থাকা পানি, ময়লা আবর্জনাতেও মশা ডিম পাড়ে, সেগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত অসংখ্য মশার জন্ম হচ্ছে।

ডেঙ্গু মশা সকালে কামড়ায়, স্প্রে দেওয়া হয় বিকেলে: ডেঙ্গু সংক্রমণ কমছে না, আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে- দায়টা আসলে কার জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসার দায়দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু মশা কেন হলো বা ডেঙ্গু কেন বাড়ল সেজন্য জবাবদিহি করবে সিটি করপোরেশন। এখন আমরা দেখছি সিটি করপোরেশনের অভিযান সব মানুষের বাসাবাড়ি কেন্দ্রিক। হঠাৎ তারা ডেঙ্গু মশা বাড়ার পেছনে সাধারণ মানুষকে দায়ী করতে চায়। কিন্তু পাড়া-মহল্লায়, এলাকায়-এলাকায়, রাস্তাঘাটে যে পানি জমে আছে, সেটার দায় কি সাধারণ মানুষের?

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের অভিযান মানে কিছু এলাকায় গিয়ে স্প্রে করে আসা। কিন্তু এই স্প্রেগুলোতে কখনোই ডেঙ্গু মশা মরে না। যে মশাগুলো উড়ে বেড়াবে, সেগুলো স্প্রেতে মরবে। আরেকটা বিষয় হলো সিটি করপোরেশন সাধারণত স্প্রে করে বিকেল বা সন্ধ্যায়, কিন্তু ডেঙ্গু মশা তো সকালে কামড়ায়। আর ম্যালেরিয়া মশা সাধারণত বিকেলে বা সন্ধ্যার পর কামড়ায়। সেজন্য আমি বলব যে, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে যদি স্প্রে বা অভিযান পরিচালনা করতে হয় তাহলে তা সকালে করতে হবে।

ড্রেনের নোংরা পানি নয়, এডিস জন্মায় অল্প ও স্বচ্ছ পানিতে: ডা. সারওয়ার বলেন, নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি তো অবশ্যই উদ্বেগের। এখন পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এই সংখ্যা হয়তো কিছুই নয়। তারপরও যে পরিবার থেকে একটি লোক হারিয়ে গেছে তাদের জন্য এটা বিশাল কিছু। আমরা চাই না একটি মানুষও ডেঙ্গুতে প্রাণ হারাক।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে তিন/চার হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হোক, এটি আমরা চাই না। সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এমনকি গত বছরের তুলনায় কিছুটা সফলও হয়েছি। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মিডিয়াগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

রাস্তাঘাটের ময়লা আবর্জনা ও ড্রেনের নোংরা পানিতে এডিস মশা জন্মায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অনেকেই হয়তো জানি না রাস্তাঘাটের ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি ও ড্রেনের পানিতে এডিস মশা জন্মায় না। এই মশা জন্মায় অল্প ও স্বচ্ছ পানিতে। নোংরা পানিতে জন্মায় কিউলেক্স জাতীয় মশা, যেগুলো শুধু মানুষকে বিরক্ত করে, কিন্তু এর কামড়ে কোনো ক্ষতি হয় না।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ তখন বাড়ে, যখন মশার সংখ্যা বাড়ে। অথবা মশাকে মেরে ফেলা না যায়। ডেঙ্গুবাহী মশা যদি কাউকে কামড়ায়, তাহলে তার ডেঙ্গু হতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র সেই রোগীগুলোর খবর পাই, যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে বা ভর্তি হয়।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ভালো। হাসপাতালে থাকলে একটা সেবার মধ্যে থাকে এবং তার মৃত্যু ঝুঁকিটা কমে যায়। আর যদি ঘরে থেকে নিজে নিজেই পাড়া মহল্লা থেকে ওষুধ খায়, তখন কিন্তু বিপদের আশঙ্কাটা বাড়ে। এই অর্থে আমরা খুশি যে রোগীগুলো কেয়ারে আছে, ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নিচ্ছে এবং ঠিকমতো ওষুধ পাচ্ছে। এতে করে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাটা কমে যায়। এই মুহূর্তে সবার আশঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসপাতালগুলোতে রোগী বেড়ে যাওয়া। এখন মশা না মারলে রোগী কীভাবে কমাবেন? শুধু মশা মারলেই হবে না, সঙ্গে সঙ্গে মশার উৎপত্তিস্থল নষ্ট করতে হবে এবং সবাইকে এই কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা জানি যে, স্থানীয় সরকার এই কাজটি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে, এখন এই কাজটি আরেকটু জোর দিয়ে করলেই হয়ে যাবে।

মশা কমলে রোগীও কমে যাবে: ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, যে কারণে এই সময়ে মশার বংশ বিস্তারটাও তাড়াতাড়ি ঘটে। আর এমনিতেও তো কোভিডের জন্য যেসব কাজকর্ম বন্ধ ছিলো, এখন সেগুলো পুরো গতিতে চলছে। কাজেই স্বাভাবিক যে উন্নয়ন কাজ চলছে, সেটি চলবে। মশা এই সময়ে একটু বেড়েও যায়। আমাদের বক্তব্য একটাই, মশা কমলে রোগীও কমে যাবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোধে দুটি কাজ করে। প্রথমত হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তৈরি করে, সেই ক্যাপাসিটি আমাদের তৈরি করা আছে। আমাদের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী যারা আছে, তাদেরকে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা আপডেটেড রাখছি। দ্বিতীয়ত যেই কাজটি করি তা হলো, বিভিন্ন মৌসুমে আমরা ঢাকা মহানগরীতে সার্ভে করি। সেই রিপোর্টটি আমরা স্থানীয় সরকারের কাছে হস্তান্ত করি। আমাদের নতুন সার্ভে অনুযায়ী উত্তর-দক্ষিণ দুই সিটিতেই সমানভাবে মশার উপদ্রব পেয়েছি।

ডেঙ্গুরোধে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সবসময় মনে করি, রোগ তৈরি যেন না হয়, সেই কাজটাই করা উচিত। তাহলে যারাই সামান্য কোনো কারণে রোগী হন, তারা অনেক ভালো মেডিকেয়ার পাবেন। এজন্য আমরা চাইব রোগীর সংখ্যাটা দিন দিন না বাড়ুক। এক্ষেত্রে সমন্বিত ভেক্টর ব্যবস্থাপনা, মশকের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা, মশকের বংশবৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করা- এই কাজগুলোতে আরও বেশি শক্তি সামর্থ্য ব্যয় করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। একইসঙ্গে এসব কর্মসূচিতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগীর ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থাপনায় আমরা গাইডলাইন আপডেট করে দিয়েছি। আমাদের পাঁচটি হাসপাতাল তৈরি আছে। এর বাইরেও প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা চলছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কোনো হাসপাতালই না বলে না। এরইমধ্যে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তিও হচ্ছে, চিকিৎসাও পাচ্ছে। সেই জায়গাতে আমাদের ডাক্তার, নার্সসহ সেবাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করারও সুযোগ দিচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: ডেঙ্গু জ্বর

আরও খবর



শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ, শঙ্কায় নিপুণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক ঘোষণার মাধ্যমে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এরপর আর সেভাবে সমিতিতে দেখা যায়নি জায়েদকে। গত ১৯ এপ্রিলে মিশা সওদাগর ও ডিপজল পরিষদের জেতার পর শোনা যাচ্ছিল সমিতিতে সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ। অবশেষে সেটাই হয়েছে।

জায়েদ খানের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছে সমিতির বর্তমান কমিটি। গেল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব জানান, জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপনেও বিষয়টি জানিয়েছে শিল্পী সমিতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশা সওদাগর বলেন, সর্বসম্মতিক্রমেই জায়েদ খানের পদটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমিতির নতুন মুখপাত্র করা হয়েছে অভিনেতা রুবেল ও ডি এ তায়েবকে। এ কারণে বিষয়টি প্রথমে জানিয়েছেন তায়েব।

এর আগে ২০২৩ সালে জানানো হয়েছিল, কোনো রূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। এ কারণে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিপুণের এমন সিদ্ধান্তকে দ্বৈতনীতি বলে অ্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।

জায়েদ এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভাশেষে ডিএ তায়েব বলেন, নিপুণের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।


আরও খবর



উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির দাবি রাবি অধ্যাপকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ বা ড্রাগ টেস্ট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক উন্মুক্ত বার্তায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও সরকারের কাছে এ দাবি জানান তিনি ।

ব্যক্তিগত এক সাক্ষাৎকারে এই অধ্যাপক তার দাবি সম্পর্কে বলেন, ২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট আইন হচ্ছে। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। শিক্ষার্থীরা যদি ড্রাগে আসক্ত হয়ে যায় তারা দেশের সেবা কিভাবে করবে? তারা পিতা-মাতার স্বপ্নও পূরণ করতে পারবে না। তারাই তো ভবিষ্যৎ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ৩য় তলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগটির অবস্থান। বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিসের পাশেই  শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম। গত এক সপ্তাহ আগে সেখান থেকে ৮-১০টি ফেনসিডিল উদ্ধার করেন তিনি।

তারপর গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, 'ডোপ টেস্টের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ টেস্ট করানোর বিষয়টা কি আলোর মুখ দেখবে না? ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপের বিষয়টা যেমন গৃহীত হয়েছে তেমনি ডোপ টেস্টের বিষয়টাও ভেবে দেখা দরকার।'

নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের শঙ্কা প্রকাশ করে  তিনি জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ আগে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক  ভবনে ছিল। সেখান থেকে ২০১৪ সালে এই (সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী) ভবনে আসি। তখন থেকেই এখানের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা ওয়াশরুমটি অপরিষ্কার ছিল। সবাই তাদের অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ এখানে ফেলে রাখত।  শিক্ষার্থীদের আবদারে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পরে থাকা ওয়াশরুমটা পরিষ্কার করার চিন্তা করি। এই ওয়াশরুমের ছাঁদ পরিষ্কার করার সময় যারা কাজ করছিলেন তারা এখানে মাদকের আলামত পায়। আমি তখন অবাক হয়ে যাই।

অফিসের পিয়ন তারেকুর রহমান জানান গত সপ্তাহে পরিষ্কার করার সময় সেখানে ৮-১০ টা ফেনসিডিলের বোতল দেখতে পান তিনি। এগুলো সরিয়ে জায়গা পরিষ্কার করেছেন।

এই অধ্যাপক আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রফেসনাল ও সার্বক্ষণিক লোক রাখতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ডাটাবেইজ থাকবে। যেন র‍্যান্ডম সিলেকশন করে শিক্ষার্থীদের চেক করা যেতে পারে। সময়ে সময়ে আপডেট নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ জুন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য আইন তৈরি হচ্ছে (সংশোধন)। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। তবে, ২০২২ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করেছিল। এবং গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এমভি জাহান মনি-৩।

এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি।

পরে ২৩ নাবিককে বরণ করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় নাবিকদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। বন্দরে পৌঁছার পর সেখানে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান নাবিকরা। বন্দরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে নাবিকদের রওনা দেয়ার কথা।

এর আগে, দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়ে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম। এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছে নতুন ২৩ নাবিক।

এর আগে, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা পরিবহন করে আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ১৪ এপ্রিল ভোরে মুক্তিপণ পাওয়ার পর জলদস্যুমুক্ত হয় জাহাজটি।

পরে জাহাজটি ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর আরেকটি বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করার পরে জাহাজটি ৩০ এপ্রিল ভোরে আরব আমিরাত ত্যাগ করে।


আরও খবর



দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিলাসবহুল জীবনযাপনের শহর দুবাই। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে পলাতক ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী এবং অপরাধীরা সেখানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এসব সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকল্প দুবাই আনলকড-এ। এই তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুবাই আনলকড শিরোনামে প্রতিবেদনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। সেখানে উঠে এসেছে, কীভাবে দুবাই সারা বিশ্বের ধনীদের জন্য শীর্ষ পছন্দের শহর হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ গড়েছেন কিছু পাকিস্তানি নাগরিক। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির তিন সন্তান, প্রয়াত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলের মতো লোকেরা এই তালিকায় রয়েছেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে দৌড়াদৌড়ি চলছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক নেতাদের নগদ অর্থের সংকট নেই।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে ১৭ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক দুইবাইয়ে তালিকাভুক্ত সম্পদের মালিক। শহরটিতে আবাসিক সম্পত্তির পাকিস্তানি মালিকের প্রকৃত সংখ্যা ২২ হাজার। এটি পাকিস্তানের এমন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে- যখন দরিদ্ররা আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ধনীরা অভিনব অ্যাপার্টমেন্টগুলো নিয়ে উচ্চ জীবন উপভোগ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দুবাই বর্তমানে ধনীদের পছন্দের শীর্ষে পরিণত হয়েছে। অপরাধী, পলাতক ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বৈধ ব্যক্তিরাও সেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে দুবাইয়ের এসব মালিকদের অনেকেই অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্রাট।

উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন আফগান সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আসাদুল্লাহ খালিদ দুবাইকে বাড়ি বানিয়েছেন। তাছাড়া বাশার আল-আসাদের চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ ও তার ভাই ইহাবও সেখানে সম্পত্তির মালিক। উরুগুয়ের গ্যাং স্টার সেবাস্তিয়ান মার্সেত, যাকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে মাদক পাচারের জন্য খোঁজা হচ্ছে- তিনিও দুবাইয়ে বাড়ির মালিক।

এছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ৩২ বছর বয়সী জোসেফ জোহানেস লিজডেকার্স, যিনি 'নিটোল জোস' নামেও পরিচিত- তারও দুবাইয়ে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের গ্র্যান্ডিউর রেসিডেন্সে একটি বাড়ি রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে আবাসিক সম্পত্তির হওয়ার দিক দিয়ে ভারতীয়রা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। এই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সামরিক নেতা থেকে শুরু করে আমলারাও রয়েছেন।

দুবাইয়ে গোপন সম্পদের বিষয়ে ফাঁস হওয়া তথ্যে ৩৯৪ বাংলাদেশির তালিকা থাকলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্ট বলছে, শহরে গোপনে সম্পদ গড়েছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় থাকা এসব সম্পত্তির মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারেরও বেশি।

দুবাইয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়- ভারতের মুকেশ আম্বানির রয়েছে ১১ হাজার ২০ কোটি ডলারের সম্পদ, ভারতের এম এ ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৭৮০ কোটি ডলার, ভারতের শামশীর ভায়ালিলের রয়েছে ৩৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, ওমানের সুহাইল বাহওয়ানের আছে ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদ, রাশিয়ার আন্দ্রেই মলচানভ ও তার পরিবারের ১৩০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের বিনোদ আদানির ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদ, কানাডার চ্যাংপেং ঝাওয়ের ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ, যুক্তরাজ্যের সকেট বর্মনের ১৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগোর মাকারোভের ২১০ কোটি ডলারের সম্পদ এবং মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের ৩৮০ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ধনকুব দুবাই

আরও খবর



এসএসসিতে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে ডিজিটালি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তবে পাসের হার বাড়লেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১ হাজার ৪২৬ জন।

এদিকে, ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড, আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪