আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

দেশে বিয়ারের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ, আটক ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পায়রা বন্দর এলাকা থেকে ঢাকা নেয়ার পথে ২৬ হাজার ৮৮০ ক্যান চাইনিজ বিয়ারসহ ৩ যুবককে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) ভোররাতে পটুয়াখালী সেতুর টোল প্লাজা থেকে একটি কাভার্ডভ্যানসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত বিয়ারের বাজার মূল্য ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। চায়না থেকে নৌপথে এসব মাদক পায়রা বন্দর হয়ে কলাপাড়ায় এসেছে বলে ধারণ করা হচ্ছে।

আটককৃতরা হলো- বাসিরুল ইসলাম (২৮), মেহেদী হাসান রাব্বি (২৩) ও রুবেল মুন্সী (২৭)। এদের মধ্যে বাসিরুল ও মেহেদী পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল পার্লে বিভিন্ন পদে কর্মরত। রুবেল মুন্সী ওই কাভার্ডভ্যানের চালক।

পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পায়রা বন্দর এলাকা থেকে ঢাকায় পাচার কালে একটি কাভার্ডভ্যানকে ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোর প্লাজায় আটকে তা থেকে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। স্বাধীনতার পরে বরিশাল বিভাগে অবৈধ মাদকের এটাই সবচেয়ে বড় চালান বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



চট্টগ্রামে অপরাজিতা নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণমূলক অগ্রযাত্রা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অপরাজিতার সৃষ্টি। দীর্ঘ ৭ বছরের (২০১৮-২০২৪) পদযাত্রায় সোমবার (১০ জুন) প্রকল্পটির সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে অবস্থিত কারিতাস হল রুমে। যার প্রতিপাদ্য ছিলো নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অপরাজিতাদের সাফল্য শেয়ারিংয়ের গল্প।

অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সাল থেকে বাস্তবায়িত হয়ে এসেছিলো বাংলাদেশে। ৪টি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পটিতে অন্যতম সহযোগি ছিলো বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি) ও হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় সহযোগী সংস্থা ডেমোক্রেসিওয়াড, খান ফাউন্ডেশন, প্রিপ ট্রাস্ট ও রূপান্তর।

মূলত এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিলো, স্থানীয় সরকার তথা গভর্নেন্স প্রক্রিয়ায় নারীদের সমান অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্ব প্রসার এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা ও নারীর জন্য গৃহীত রাষ্ট্রীয় আইনগুলো নিশ্চিত করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব শাহিনা সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কামরুম মোয়াজ্জেম, জেলা সমাজ সেবা অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুল পাশা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি ও সিনিয়র নারী সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ, জনাব মাজেদা বেগম শিরু, এডভোকেসি এন্ড নেটওয়ার্কিং কো অর্ডিনেটর ইসমত আরা ইয়াসমিন, মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন কো অর্ডিনেটর মোঃ সায়েদুল ইসলাম, জেলা প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর মোঃ আসাদুজ্জামান লিওনসহ অনেকে।

জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলার নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চুমকি চৌধুরী, জুইদন্ডী ইউনিয়নের মোঃ ইদ্রিসসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে আগত নারী ইউপি সদস্যবৃন্দ।

এতদিন ধরে প্রায় নয় হাজার তৃণমূল নারী নেত্রীদের নিয়ে কাজ করে আসছে এ সংস্থাটি যার প্রত্যক্ষ সুবিধা ভোগী প্রান্তিক নারীরা। আর পরোক্ষ ভাবে যারা কাজ করে গিয়েছেন তারা অধিকাংশই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক, বর্তমান বা আগামীর সম্ভাব্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯ হাজার তৃণমূল নারী নেত্রী যাঁরা নিজেদেরকে অপরাজিতা বলে পরিচয় দেন অধিকতর আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার সাথে এবং দৃশ্যমান নেতৃত্বের ভূমিকায় ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের সাথে যোগ দেওয়া অন্যান্য পর্যায়ের নারী জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চট্টগ্রামে অপরাজিতা কর্ম এলাকায় ১১জন নারী চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য হার দেশের অন্যান্য এলাকায় চেয়ারম্যান পদে নারীদের জয়লাভের হারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে রাজনৈতিক দলসমূহের সকল কমিটিতে কমপক্ষে ৩৩% নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে অপরাজিতারা অভাবনীয় সাফল্যের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ রাজনৈতিক নেতানেত্রীকে (অধিকাংশই পুরুষ) সংলাপে যুক্ত করেছেন। অপরাজিতার কর্ম এলাকায় বাল্যবিবাহের পাশাপাশি লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধে ব্যপক কাজ করে গেছে।

অনুষ্ঠানে আগত অপরাজিতার সাথে যুক্ত নারীরা বলেন, অপরাজিতা আমাদের রাজনীতি শিখিয়েছে, ঘর থেকে বের হতে শিখিয়েছে, সমাজে কথা বলতে ও মাথা উচু করে চলতে শিখিয়েছে। আজ আমরা পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বাঁধা ডিঙিয়ে প্রত্যেকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল।

জনাব শাহীনা সুলতানা বলেন, নারীরা আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার খুবই নারী বান্ধব। তবুও প্রত্যেকটা জায়গায় প্রত্যেকটা বিষয়ে নারীদের আজও নিজেদের প্রমান করতে হয়, যেটা আমরা নারী অফিসার হয়েও রেহাই পাই না। একজন শিরিন শারমিন, একজন শেখ হাসিনা সবাই হতে পারেনা। তাই নারীদের মনেবল হারালে চলবেনা, এগিয়ে যেতে হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ বলেন, সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে আজও মেয়েরা এক পা এগুলো ২ পা পিছায়। এখানে যারা উপস্থিত আছেন প্রত্যেকে একেকজন আলোকবর্তিকা। প্রত্যেকের জন্য শুভ কামনা। নারীদের সমাজের জন্য অনেক কিছু করার আছে।

মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কামরুম মোয়াজ্জেম বলেন, যে নারীরা প্রত্যেকে নিজের চিন্তা করতে শিখেছেন, প্রত্যেকে অপরাজিতা। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই নিরাপদ কৃষিতে নারীদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের কৃষিতে মহিলাদের ৩০% অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

আনোয়ারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চুমকি চৌধুরী বলেন, মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নয়। তাই সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে দেশের অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে হবে।

সমাপনী বক্তব্য প্রদান কালে মাজেদা বেগম শিরু বলেন, নারীরা আজ অনেক বেশি এগিয়ে। অপরাজিতার প্রকল্প শেষ হলেও অপরাজিতা সকলের মধ্যে যে আন্তঃযোগাযোগ তৈরি করে গেলো তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমরা অপরাজিতার অনুপ্রেরণায় কাজ করে যাবো সারাজীবন।


আরও খবর



পাবনায় পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে ভাইবোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যাবার পথে পাবনা সদর উপজেলায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আহত আরও ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের ধোপাঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বেড়া পৌর এলাকার শালকিপাড়ার রাজকুমার হালদারের ছেলে প্রদীপ হালদার এবং নাটোরের দিনেশের স্ত্রী শম্পা রানী। তারা সম্পর্কে ভাই-বোন। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রদীপ কুমারের জন্য কনে দেখতে পরিবারের সদস্যরা মিলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গ্রাম থেকে পাবনা জেলা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পাবনা সদরের ধোপাদহ এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাক অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কেই অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এতে ঘটনাস্থলেই প্রদীপ কুমারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্যদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা সম্পা রানীকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রদীপের মামা পরিমল হালদার জানান, তাঁর ভাগনে প্রদীপ পড়ালেখা শেষ করে কিছুদিন হলো একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিতে ঢুকেছেন। তাঁর বিয়ের কথা চলছিল। বিয়ের জন্য কনে দেখতেই তাঁরা সবাই জেলা শহরে যাচ্ছিলেন। পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি এসেছেন।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, অটোরিকশাটি বেড়া থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিলো। পথে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের ধোপাঘাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৭ জন সিএনজি যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


আরও খবর



একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ রোববার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া গত ১৩ জুন শেষ হয়েছে। এ ধাপে আবেদন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখের বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আর প্রথম ধাপে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ফল রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টায় প্রকাশ করা হবে। তারপর শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন, কোন কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ জুন) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র ও একাদশে ভর্তি আবেদনের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, ২৩ জুন রাতে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হবে।  তারপর ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী যথাক্রমে সব শেষ হবে।

একাদশে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন করতে হবে। নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত। তারপর ৪ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হবে। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের চারদিন ধরে নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া চলবে।

এরপর আগামী ৯ ও ১০ জুলাই শূন্য আসন অনুযায়ী শুরু হবে তৃতীয় ধাপের আবেদন। এ ধাপের ফল আগামী ১২ জুলাই, রাত ৮টায় প্রকাশ করা হবে।

এভাবে তিন ধাপে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষ হলে আগামী ১৫ জুলাই থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। যা আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। আর ভর্তি কার্যক্রম শেষে সারাদেশে একযোগে আগামী ৩০ জুলাই শুরু হবে ক্লাস।


আরও খবর



সিলেটে ভারী বৃষ্টিতে ডুবল ঈদ আনন্দ

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটে ঈদের দিন ভোর থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ঈদগাহ ও সড়ক। পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এতে অনেকটাই মাটি হয়েছে ঈদুল আজহার আনন্দ। বৃষ্টির পানিতে ঈদগাহ ও মসজিদ ভেসে যাওয়ায় অনেকে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি। পশু কোরবানি করা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। এদিন সিলেটে ভোর ৪টা থেকে শুরু হয় বর্ষণ, টানা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

দেখা যায়, নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ঢুকেছে অনেকের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। শুকনা স্থান না পেয়ে অনেকেই কোরবানির গরু-ছাগল পানির মধ্যে বেঁধে রেখেছেন। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির।

বন্যা আক্রান্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৪৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়ানঘাট, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলায় ১০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল ৮টায় শাহী ঈদগাহে সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। শুধু শাহী ঈদগাহ নয়, প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহের অবস্থা ছিল একই। সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন জামে মসজিদে পানি প্রবেশ করায় একাংশে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।

একইভাবে মেজরটিলা, কদমতলী, বিমানবন্দর সড়ক, উপশহর, সুবহানিঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে পানি প্রবেশ করায় নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে।


আরও খবর



বন্ধ ক্যাম্পাসে চলছে গাছ কাটার মহোৎসব

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে গ্রীষ্মকালীন ও ঈদের ছুটি। বন্ধ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে গাছ কাটার মহোৎসবে মেতেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২ জুন) সকাল আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এক্সটেনশন ও নতুন প্রশাসনিক ভবনের পাশে কাটা হয় প্রায় দুই শতাধিক গাছ। এই দুই ভবন নির্মাণে আরো চার শতাধিক গাছ কাটা হবে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চারুকলা অনুষদের ভবন নির্মাণের জন্য সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের এক্সটেনশন অংশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় চারুকলা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। তাদের সহায়তায় ও প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে অন্দোলনের মুখে বন্ধ থাকা চারুকলা অনুষদের ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়।

অপরদিকে শিক্ষকরা সর্বসম্মতিক্রমে কলা অনুষদের পাশেই ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেও তাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের পাশে ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছগুলোর ঠিক পাশেই অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন বার্ডস খ্যাত লেক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবন প্রয়োজন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ চাই না। আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে ন‌ই কিন্তু আমরা চাই উন্নয়ন হোক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদে সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ছুটি হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ কাটার সংস্কৃতি বহু পুরোনো। এবারেও এর ব্যতিক্রম হয় নি। শিক্ষার্থীরা হলে নেই এই সুযোগে গাছ কাটার উৎসবে মেতেছে তারা। আজকে গাছ কাটার সময় চারুকলা বিভাগ নিজেদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। ভবন নির্মাণে আমাদের আপত্তি নেই, আমাদের একটাই দাবি মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক খোঃ লুৎফুল এলাহী বলেন, এভাবে ছুটির মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সুযোগে ভবন নির্মাণ করা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কলা ও মানবিক অনুষদে আমাদের চাওয়া ছিল ভবনটি বর্তমান ভবন সংলগ্ন স্থানে করার। এতে ভবন কিছুটা ছোট হলেও পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতির তেমন ক্ষতি হতো না। কিন্তু তারা সেদিকে কর্ণপাত না করে লেকের পাশে যে স্থান নির্ধারণ করেছে তাতে তৃতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পথকে উন্মোচন করলো।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম এম ময়েজ উদ্দিন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নির্ধারিত জায়গাতেই ভবন নির্মাণ করছি। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কিছুই আমরা করছি না। এছাড়া যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেই গাছগুলো আমরা নিজেরাই রোপন করে পরিচর্যা করব। সকল অংশীজনদের সুপারিশকে গ্রহণ করে এবং তাদের নিয়ে আমরা একটা টিম তৈরি করব যাতে তারা আমাদের অগ্রগতিতে লক্ষ্য রাখতে পারেন।


আরও খবর