আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশে নভেম্বরে ৩৭৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে নভেম্বর মাসে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪১৩ জন এবং আহত ৫৩২ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭ জন এবং শিশু ৫৮ জন।

শনিবার (০৪ নভেম্বর) সামাজিক সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৪ জন। দুর্ঘটনায় ৯৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন। এছাড়া এ সময়ে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১১টি পৃথক রেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ২ জন, সেনাসদস্য ১ জন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ১১ জন, চিকিৎসক ৩ জন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ার ১ জন, সাংবাদিক ৪ জন, ইমাম ২ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৭ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ২৩ জন, পোশাক শ্রমিক ৭ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৪ জন, ইটভাটা শ্রমিক ২ জন, ধানকাটা শ্রমিক ৩ জন, জুতা কারখানার শ্রমিক ৫ জন, রাজমিস্ত্রি ১ জন, কাঠমিস্ত্রি ১ জন, ইলেকট্রিশিয়ান ১ জন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ৩ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ৭ জন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নটরডেম কলেজের ২ জনসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। এই বিভাগে ৮৩টি দুর্ঘটনায় নিহত ১০৪ জন। সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে। ২২টি দুর্ঘটনায় নিহত ২৪ জন।

একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। এ জেলায় ২১টি দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত। সবচেয়ে কম লালমনিরহাটে। এখানে ২টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, অক্টেবর মাসে ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৭ জন নিহত হয়েছিল। নভেম্বর মাসে ১৫৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৪ জন। এই হিসেবে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বর মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৯.৭২ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১০.১৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩৩৪ জন।

দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও এটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



বিশ্বকাপে পাকিস্তানি উগ্রবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও বাকি নেই। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন।

বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)।

পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো।

এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠগুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদের প্রধান লক্ষ্য।

চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর



ফের অনিরুদ্ধ রায়ের সিনেমায় দেখা মিলবে জয়া আহসানের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের আলোচিত নায়িকা জয়া আহসান। দুই বাংলাতেই নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। গত বছর বলিউডের আলোচিত সিনেমা পিংক এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর কড়ক সিং সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন জয়া। আর এবারে এই নির্মাতা বাংলা সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।  সিনেমার  নাম ডিয়ার মা

নতুন সিনেমাটির খবর শেয়ার করেছেন জয়া আহসান নিজেই। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কড়ক সিংয়ের পর আবার আমাকে সিনেমায় সুযোগ দেয়ার জন্য অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীকে ধন্যবাদ। চন্দর রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্চি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেহপুরিয়া ও পদ্মপ্রিয়াদের মতো চমৎকার অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করব ভেবেই আমি উচ্ছ্বসিত। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক। নির্মাণ করেছেন অনুরণন, অন্তহীন, অপরাজিতা তুমির মতো সিনেমা। এরপর বলিউডে নির্মাণ করেছেন পিংক, লস্ট ও সর্বশেষ কড়ক সিং। ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন বুনোহাঁস। এরপর আর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করেননি তিনি। ১০ বছর পর  মা-মেয়ের গল্প নিয়ে আংলা সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। আগামী মে মাস থেকে ডিয়ার মা নামের এই ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে। কলকাতা থেকে দেশের একটি সংবাদপত্রকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।  

নতুন সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, অনিরুদ্ধদার সঙ্গে সিনেমা করব বলে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম। আমিও অপেক্ষা করছিলাম, কখন ডাকবেন তিনি। এর মাঝে হিন্দি সিনেমাটা করা হলো।  এই বাংলা সিনেমাটা যখন তৈরি হলো, আমাকে শোনালেন, তখন ভাবলাম, তিনি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এমনটা ভাবছেন। আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। অবশেষে সব চূড়ান্ত হলো।

ডিয়ার মা সিনেমাটার গল্পটা অন্যরকম। সিনেমাটার গল্প এবং নিজের চরিত্র  নিয়ে জয়া বলেন, এটা সম্পর্কের গল্প। অনিদা তো মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প বলেন, তেমনই একটা গল্প। মা, মায়ের সন্তান, সম্পর্ক, পরিবার এগুলো নিয়ে এগোবে সিনেমাটা। আমাকে একজন মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে। প্রথমবারের মতো মায়ের কোনো চরিত্রে অভিনয় করব।

কলকাতায় ডিয়ার মা শুটিং শুরু হবে আগামী মাসে। আর এখনো কলকাতার  প্রেক্ষাগৃহ এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে জয়া অভিনীত ভূতপরী। সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে প্রদর্শনের ৭৫ দিন পেরিয়ে গেছে। এই যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জয়া। কেক কেটে করলেন উদ্‌যাপনও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ভিডিও। 


আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর



শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি।

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা, রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর