আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রয়োগ নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (ডিএসএ) প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার।

১২ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসএ-এর প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক।

আরও পড়ুন: উগান্ডায় সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন

শ্যুটার বলেন, এ আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ২ হাজার চারশর বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অনেককে দীর্ঘ সময় আটক রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগের কারণে আটক করা হয়েছে। এ আইনের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন না হওয়া অবধি আইনটি স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক।

এ সময় বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন শ্যুটার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে খুব ভালো করছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তা এখনও টেকসই নয়। কেননা, যারা দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হতে পেরেছে পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনৈতিক কারণে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হতে পারে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে আজ কোন দল চ্যাম্পিয়ন

বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন জাতিসংঘের এই বিশেষ প্রতিবেদক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০০০ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল ৪৮.৯ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে ৩৪.৩ শতাংশ লোক। কিন্তু বর্তমানে এর সংখ্যা যথাক্রমে হচ্ছে ১৮.৭ শতাংশ ও ৫.৬ শতাংশ।

তৈরি পোশাকখাতে ন্যূনতম মজুরি ৫১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন শ্যুটার। তার মতে, বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে তৈরি পোশাক খাত অন্যতম। তাই এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে শ্রমিকদের ভালোভাবে মূল্যায়ন করা দরকার। তারা ন্যূনতম যে মজুরি দেওয়া হচ্ছে, বর্তমান বাজারের সঙ্গে এটি মোটেই সামঞ্জস্য নয়।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু গত বছর বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনীত কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুতর কারণে ভোটও দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ধনী দেশগুলোর অর্থায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শ্যুটার।

এখনই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অনুকূল পরিস্থিতি হয়নি বলে মন্তব্য করেন ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন হওয়া জরুরি। তবে রোহঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব চায়, তাদের আরও দাবি দাওয়া আছে। এসব নিশ্চিত না হলে তাদের প্রত্যাবাসন টেকসই হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত সম্ভব হবে। প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করা দরকার। যাতে রোহিঙ্গাদের প্রতি সঠিক আচরণ করে তারা।

আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়াকে জাপানের হুঁশিয়ারি

রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও তহবিল দেওয়ার আহ্বান জানান শ্যুটার । তিনি বলেন, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে জরুরি মানবিক প্রয়োজন মোকাবিলায় ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যৌথ পরিকল্পনার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দাতারা এতই কম অবদান রেখেছে যে চাহিদার মাত্র শতকরা ১৭ ভাগ অর্থায়ন জোগাড় হয়েছে। মার্চ ২০২৩ সাল থেকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে তার খাদ্য ভাউচারের মূল্য প্রতি মাসে ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করতে হয়েছে। এটি আগামী জুনে আরও কমিয়ে ৮ ডলার করা হবে।

বিশেষ প্রতিবেদক আগামী বছরের জুনে মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশ সফর নিয়ে তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।


আরও খবর



ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম কোনো ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। খুব সফল আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাজিল সফর করবেন তা এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বৈঠকে তুলা আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্যে শুল্ক কমানোর কথাও জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন এখন দুই দেশের বড় একটা সংকট। এটি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকায় অবতরণের পর দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। যেখানে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে পশু আনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।


আরও খবর



শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে বৈশাখের দাবদাহে। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরমে বিমর্ষ প্রাণ প্রকৃতি। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ ও তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নিজেদের আওতাধীন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছেটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি ২৫০টি ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে সাজিয়ে রাখা হয় ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের গাড়ি। পাশাপাশি খাবার পানির বিশেষ ভ্যান গাড়িও রাখা হয়। সেখানে আসবেন মেয়র, কার্যক্রমগুলো করবেন পরিদর্শন, দেবেন নির্দেশনা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে এমন সব স্প্রে ক্যানন এবং ব্রাউজারের গাড়ি দেখে আশপাশের এলাকার শিশু কিশোররা আগেই জোড় হয়েছিল সেখানে। মেয়রের আসা দেখে চালিয়ে দেওয়া হলো স্প্রে ক্যানন। চারিদিকে ঝর্ণার মত ছিটতে থাকলো পানি। এ পানিতে হইহুল্লোড় করে ভিজতে শুরু করলো উপস্থিত শিশু কিশোররা। যা দেখে মেয়র আতিকও যুক্ত হলেন শিশু কিশোরদের সঙ্গে, নিজেকে ভিজিয়ে নিলেন তিনিও।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করতে পারে। এটি বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে ৩ টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থার ভ্যান।


আরও খবর



বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় এক নারীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে রুমা উপজেলা সদরের কাছাকাছি গির্জাপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গির্জাপাড়ার তরুণী লালরিন ত্লোয়াং বম (২০), যুবক ভাননুয়াম বম (৩৭) ও ভানলাং থাং বম (৪৫)।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার তিনজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির তথ্য প্রদানকারী এবং ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ব্যাংক ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক মদন মিয়া আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে বলেছেন, ওই তিনজনকে যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের সবার বাড়ি গির্জাপাড়ায়। তিনজনকেই ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা চলমান সমন্বিত অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধি কেএনএফের কাছে আদান-প্রদান করেন বলে স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে।

গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংক ও পরেরদিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ। রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করলে টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে। এ সময় পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। তবে ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয় পাহাড়ের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে।


আরও খবর



সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে রোববার (৫ মে) স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন জেলায় বন্ধ থাকলেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার থেকে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

শনিবার (৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সর্বশেষ আজ শনিবারও দেশের ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে তাপমাত্রা কমায় আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিলে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন নং ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০২.০২ (অংশ)-২১৪ এর শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর