আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দলে নির্বাচন বিরোধী সহিংসতা সমর্থন করি না: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৌকার প্রার্থী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী কারোই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো অধিকার নেই। নির্বাচন বিরোধী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আমরা সমর্থন করি না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা সেটাকেই সমর্থন করব।

আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা সব সময়ই থাকে। আমাদের এ অঞ্চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বিষয়টা সব সময়ই থাকে। তবে আমি বড় ধরনের কোনো সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা দেখছি না।

নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, সময়মতো আমরা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করব। সেখানে দেশি-বিদেশী অনেককেই আমন্ত্রণ জানাব।


আরও খবর



বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৮ দলই ঘোষণা করেছে নিজেদের বিশ্বকাপের দল। বাকি ছিল কেবল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার ১৯তম দল হিসেবে বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বেছে নিয়েছে বিশ্বকাপের ১৫ স্বপ্ন সারথি।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে সবকটি বিশ্বকাপে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের একমাত্র এবং সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন অর্জনে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন সাকিব। ভারতের রোহিত শর্মাও খেলেছেন সবকটি বিশ্বকাপ।

আইসিসির বেঁধে দেওয়া সূচি অনুযায়ী, পহেলা মের মধ্যে বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করতে হতো। অন্যান্য দলগুলোর মতো বিসিবিও নির্ধারিত সময়ে দল বাছাই করে আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। মঙ্গলবার সেই অপেক্ষা ফুরায়।

এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু একে একে ঘোষণা করেন ১৫ ক্রিকেটারের নাম। তবে এই স্কোয়াডেও পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। ২৫ মের মধ্যে স্কোয়াডে পরিবর্তন করা যাবে কোন কারণ ছাড়াই। এ সময়ের পরও পরিবর্তন করা যাবে। তখন প্রয়োজন হবে আইসিসির অনুমোদনের।

বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ডি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস ও নেপাল আছে বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পরের দুই ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে।

বৈশ্বিক ইভেন্টের আগে বিসিবি বেশিরভাগ সময় খেলোয়াড়দের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিরিজ, প্রস্তুতি ম্যাচ বা অনুশীলন পর্বের আয়োজন করে। অনুশীলনে কোনো ঘাটতির সুযোগ রাখে না। এবারও বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। হুস্টনে ২১, ২৩ ও ২৫ মে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্বকাপের ৫৫টি ম্যাচ দুই দেশের নয়টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং ক্যারিবিয়ানের ছয়টি। ডালাসের মেট্রো এরিয়ার গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে পহেলা জুন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। ২৯ জুন ফাইনাল ম্যাচ হবে বার্বাডোজে। দুটি সেমিফাইনাল হবে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও গায়ানাতে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাশ, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

রিজার্ভ খেলোয়াড়: হাসান মাহমুদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব


আরও খবর



ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর: মিলছে না পানির ন্যায্য হিস্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুকনো মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর উজান ও ভাটিতে পদ্মার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে এই অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা নদী, ইছামতি নদী ছাড়াও আরও অন্তত ১৭টি নদীর।

ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। এরই মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে এবং অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পদ্মাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এবারের ফারাক্কা দিবসের প্রাক্কালে এমন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মত করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষক ও পরিবেশবিদরা।

তাদের মতে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পদ্মাসহ সকল শাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে বছরের পর বছর ধরে হুমকির মুখে পড়ে আছে পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও হাইড্রোলজি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ বছর খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে ফারাক্কায় পানির প্রবাহ কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় পানির প্রবাহও কমেছে একই কারণে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার এখানে পানি পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, বুধবার ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ ও সুদীপ্তা মাহান্তিসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিনে পানি পরিমাপ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা পনির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পানির প্রবাহ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।

ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ বলেন, পানি কমের কারণে এখন ফারাক্কা প্রান্তে যে পানি প্রবাহ হচ্ছে তা দুই ভাগে ভাগ করে অর্ধেক বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এখনো হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার মনে হয় নতুন করে গঙ্গার পানি চুক্তি হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আমরা কম পানি পাচ্ছি।


আরও খবর



প্রথম ধাপে কাল যেসব উপজেলায় নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার ধাপে ৪৮১ উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮১টির ভোটের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এতে প্রথম ধাপে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি এবং শেষ ধাপে ৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম ধাপে যে ১৫৩ উপজেলায় ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়ার সারিয়াকান্দা, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোরের নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জের সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি; পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া।

রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোরিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর; নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রামের রৌমারী, চররাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা; ঝিনাইদহের সদর ও কালীগঞ্জ; যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর; মাগুরার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইলের কালিয়া; বাগেরহাটের সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল অঞ্চল : বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ভাণ্ডারিয়া।

ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জের সদর ও বন্দর; গাজীপুরের সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর; মাদারীপুরের সদর, শিবচর ও রাজৈর; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ; নরসিংদীর সদর ও পলাশ; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সীগঞ্জের সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জের সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুরের সদর ও সরিষাবাড়ী; শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট অঞ্চল : সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; সিলেটের সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।

কুমিল্লা অঞ্চল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল; কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম; চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর; ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর।

চট্টগ্রাম অঞ্চল : চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী; খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙা; রাঙামাটির সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবানের সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম।

এদিকে প্রথম ধাপ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ পুরুষ ও ৪ নারী আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসি তিনজন অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যরা অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।


আরও খবর



হামাসের রকেট হামলায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে ইসরাইলের ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।

এ হামলায় ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ইসরাইল জানিয়েছে।

নতুন করে হামলা প্রসঙ্গে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরাইলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বাহিনীটি আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরাইল হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে মিসরের রাজধানীতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস রবিবার জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিদলটি কায়রো থেকে গাজায় ফিরে যাচ্ছে। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধ বন্ধের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ’ করাটা পরাজয়ের সামিল।’

এক হামাস কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, মিসরীয় গোয়েন্দা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে। হামাস প্রতিনিধিদল আরও আলোচনার জন্য দোহায় ফিরে যাচ্ছে।’

নেতানিয়াহুর অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার মন্ত্রিসভা হামাসকে আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেবে না। ইসরাইল হামাসের দাবি মেনে নেবে না। তাদের দাবি মানার অর্থ হলো আত্মসমর্পণ করা। তারা তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

অন্যদিকে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। তারা জানায়, তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন করতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত (১৬ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী। মোট ৬১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১ টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।


আরও খবর