আজঃ মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এবার প্রকাশ্যে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন রাজধানীর ব্যস্ত স্থানে প্রকাশ্যে হামলার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ জুন) কোপেনহেগেনে এক ব্যক্তি এই হামলা চালায় বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের কুলতোরভেটে (পাবলিক স্কয়ার) প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনকে এক ব্যক্তি সজোরে ধাক্কা মারেন। পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেটে ফ্রেডেরিকসেন হামলার ঘটনায় হতবাক’ হয়ে পড়েছেন। শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি চত্বরে এমন হামলা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন এটিকে ঘৃণ্য কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তারা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করছে। তবে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হয়নি। হামলার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

দুই প্রত্যক্ষদর্শী ম্যারি আদ্রিয়ান ও আনা রাভন স্থানীয় সংবাদপত্র বিটিকে বলেছেন, তারা হামলাটি প্রত্যক্ষ করেছেন। বিপরীত দিক থেকে এক ব্যক্তি এসে প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে জোরে একটা ধাক্কা দেয়। যার ফলে সে পাশে পড়ে যায়। এটি একটি শক্তিশালী ধাক্কা’ হলেও প্রধানমন্ত্রী মাটিতে পড়ে যাননি।

হামলার পর দেশটির পরিবেশমন্ত্রী ম্যাগনাস হিউনিক বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ, নির্বাচনী প্রচারণা যাই হোক না কেন, একে অপরের দেখাশোনা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমাদের সুন্দর, নিরাপদ এবং মুক্ত দেশে এ ধরনের কিছু ঘটতে পারে না। এটি কুৎসিত এবং অগ্রহণযোগ্য। আসুন আমরা দেখাই যে, ডেনমার্ক অনেক ভালো।

ডেনমার্কের মধ্য-বামপন্থী সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ফ্রেডেরিকসেন ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



এবারও বুক চিতিয়ে উপকূলকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবন যেন উপকূল এলাকায় প্রকৃতির দেয়াল। আর এই দেওয়ালের কারণে উপকূল এলাকায় বন্যার পানি, দমকা বাতাস ঢুকতে পারে না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ছোবল থেকে উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় সুন্দরবন যে ঢাল হিসেবে কাজ করেছে, এমনটাই বলছেন সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব ও পরিবেশবিদ অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহি।

অপরদিকে নিজের পর্যবেক্ষণ থেকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী ও মনে করেন সুন্দরবনের কারণেই বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এর কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে সাতক্ষীরা উপকূল। এই সুন্দরবন না থাকলে সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বড় ধরনের তাণ্ডব হতে পারতো বলে তিনি মনে করেন করেন।

আশেক-ই এলাহি বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলের জন্য সুন্দরবন যেন একটি দেয়াল। সুন্দরবনের জন্যই প্রতিবছর বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় সাতক্ষীরা উপকূল। তবে এই সুন্দরবন রক্ষার জন্য কারোর কোন মাথাব্যথা নেই। তিনি সুন্দরবন রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

রোববার (২৬ মে) রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরপর এটি সুন্দরবনের খুলনা, বাগেরহাট ও মংলাসহ কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায়।

তবে প্রবল শক্তির এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সুন্দরবনের গাছপালার কারণে সাতক্ষীরা উপকূলে সেভাবে পড়েনি। বনে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ যেখানে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছিল, সেটা বন পার হয়ে লোকালয়ে যেতে যেতে শক্তি হারিয়ে দমকা বাতাসে রূপ নেয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাস লোকালয়ে পৌঁছানোর আগে সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ঢেউয়ের উচ্চতা অনেক কমে যায়। এ কারণে উপকূলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি বা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তেমন থাকে না বলে বলছেন পরিবেশবিদরা।

উপকূলে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার, কিন্তু সুন্দরবনের গাছপালার কারণে সেটির প্রভাব ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের মত অনুভূত হয় বলে বলছেন পরিবেশবিদ অধ্যক্ষ আশেক-ইলাহী।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মূলত সুন্দরবনের উপর দিয়ে দুই ধরনের ধাক্কা যায়। প্রথমত তীব্রগতির বাতাস এরপর জলোচ্ছ্বাস। উপকূলীয় এলাকা থেকে বড় বড় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঠেকাতে এর আগেও ঢাল হিসেবে কাজ করেছে সুন্দরবন। বিশেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডব থেকে এই বন উপকূলকে রক্ষা করেছে। যদিও সেই দুর্যোগে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছিল বনাঞ্চল।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ধারণা করছেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বন্য প্রাণীদের ওপর বড় ধরনের কোনোন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। কেননা সুন্দরবনে যে সময়টায় জোয়ার হয়, সে সময়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেনি। যার কারণে এবার পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চাইতে খুব একটা বেশি ছিল না। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, এবারে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি তেমন একটা হয়নি।

তিনি বলেন, তবে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেগে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছপালা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বন কর্মকর্তারা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সুন্দরবনে জরিপ চালিয়ে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

বনে যত্রতত্র গাছ কাটা ঠেকাতে ও জীববৈচিত্র রক্ষায় বনের নিরাপত্তা বাড়ানো, সেইসঙ্গে বনায়নের জন্য বেশি বেশি গাছ লাগানোর সুপারিশ করেছেন উপকূলবাসী।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলি বলেন, সোমবার সকাল থেকে আশঙ্কা মুক্ত উপকূলীয় এলাকা। নতুন করে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবন নেই বলে জানান তিনি।


আরও খবর



নেপালে আটক সিয়াম কলকাতার গোয়েন্দা হেফাজতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আখতারুজ্জামান শাহীনের সহযোগী নেপালে আটক সিয়ামকে হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি)। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত সিয়াম নেপালে পালিয়ে ছিলেন। তাকে নেপাল পুলিশ আটক করে। কলকাতার সিআইডি তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সম্প্রতি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন মো. সিয়াম হোসেনকে নেপালে আটক করা হয়। আটক সিয়াম আজিমের লাশ গুমে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। তিনি আক্তারুজ্জামান শাহীনের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে।

এছাড়া হত্যার ঘটনা তদন্তে নেপাল সফর করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। নেপাল থেকে ফিরে তিনি বলেন, নেপাল থেকে সিয়ামকে নেওয়ার জন্য ভারতও চেষ্টা করছে, তাদের কাছেও সিয়াম মোস্ট ওয়ান্টেড। নেপাল কাঠমান্ডু অ্যাক্ট অনুযায়ী অপরাধের ধরণ এবং স্থান বিবেচনা করে ঠিক করবে সিয়ামকে কার কাছে দেওয়া হবে। যাকেই দেওয়া হোক, তদন্তে কোনো দেশেরই কোনো সমস্যা হবে না। সিয়ামকে পেলে আলামত উদ্ধারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



ঝড়ের রাতে ঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বসতঘরে ঢুকে দাদি ও নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরেক নাতনি।

সোমবার (২৭ মে) রাত ১টার দিকে বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন দাদি হামিদুন্নেছা ও নাতি আরাফাত হোসেন। আহত নাতনি হালিমা আক্তার মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার ভাই আরাফাত একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে বোরকা পড়া এক যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। দাদি হামিদুন্নেছা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর নাতি আরাফাত হোসেনকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. অরুণ জানান, ওই পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকেন। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ  পাওয়া গেছে।


আরও খবর



ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারি স্থাপনা ও জায়গা দখল, বিপাকে প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে এলজিইডির নিজস্ব এলএসডি ফুড গোডাউন এবং এর পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে শ্রীরামকাঠি-পাচপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন ও গোডাউন আঙ্গিনার অধিগ্রহনকৃত নিজস্ব ভুমি অবৈধ ভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি ও তার পরিবার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সম্পদ জনস্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া  সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে বারবার নোটিশ দিলেও কর্নপাত করছেন না অভিযুক্ত নারায়ন মিস্ত্রি। এক্ষেত্রে বিপাকে পরেছেন উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) দেখা যায়, শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন, এর গার্ড রুম, বাথরুম, ইয়ার্ড এবং পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা দখল করে একটি টিনের ঘর নির্মান করে স্বপরিবার নিয়ে বসবাস করছেন নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এলজিইডির প্রতিষ্ঠালগ্নে খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট ও গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিল। এজন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত গম/চাল সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য প্রকল্প চলমান উপজেলা সমূহে এলজিইডি ফুডগোডাউন নির্মাণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায়  আশির দশকের দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে একটি এলজিইডি কর্তৃক ফুড গোডাউন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই কর্মসূচির পরিবর্তে দরপত্র প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে বিধায় এই গোডাউনটি পরিত্যক্ত ছিল। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসলে উহার যথোপযুক্ত সৎব্যবহারের নিমিত্তে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের নিকট লিজ হিসেবে হস্তান্তর করেন। তখন থেকে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জনগণের সেবা প্রদানের জন্য তাদের সংগ্রহীত উন্নতমানের বীজ উপকরণ ও ঔষধপত্র এই গোডাউনে গুদামজাত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও নির্দেশনা রয়েছে।

মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই  স্থাপনার চতুর্দিকে বাউন্ডারি স্থাপনা ও সীমানা পিলার থাকা সত্ত্বেও নারায়ন মিস্ত্রি নামক একজন ভূমিদস্যু স্থানীয় আরও কতিপয় ভূমিদস্যুদের যোগসাজশে এই সরকারি স্থাপনা ও এর জায়গা জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বসবাস করছেন এবং সরকারি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। ইতিপূর্বে তাহাকে এই স্থাপনাস্থল থেকে একবার উচ্ছেদ করা হলেও তিনি পুনরায় অবকাঠামোটি দখল করেছেন। এমতাবস্থায় সরকারি স্বার্থ ও  জনগনের কাঙ্ক্ষিত সেবা পূনপ্রতিষ্ঠর লক্ষে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি নাজিরপুরের পক্ষ থেকে ভূমিদস্যু নারায়ণ মিস্ত্রিকে সরকারি স্থাপনা থেকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সেচ্ছায় সরকারি স্থাপনা ও জায়গা ছেড়ে না দিলে পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য নয়, আমি একজন ধর্মীয় নেতা এবং আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, দুই পক্ষই এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে। সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নির্বাচনের আগে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, সাজা ঘোষণা ১১ জুলাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে নিউইয়র্কের একটি আদালতে। ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট।

দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার ১২ জুরির উপস্থিতিতে আদালত ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা। এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় দোষী হয়ে সাজা পেতে যাচ্ছেন। আদালতের বিচারক জুয়ান মার্চান আগামী ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাঁকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।

৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তাঁর হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।

এমন সময় এই রায় ঘোষণা করা হলো, যার কয়েক মাস পরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার প্রেসিডেন্ট পদে আসতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে মামলার রায়ের কারণে তাঁর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাধা আসবে না।

অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি অপমানজনক। এটি একটা সাজানো মামলা, যেটি পরিচালনা করেছেন একজন দুর্নীতিবাজ বিচারক। রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটা তাঁর জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন।


আরও খবর