দেশীয় ব্রান্ডের
পোশাকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আকর্ষনীয় ডিজাইন, দেশীয় আবহাওয়ার দিকে দৃষ্টি রেখে পোশাক
তৈরির কারণে ক্রেতা-চাহিদায় শীর্ষে এখন দেশীয় ব্রান্ড। উদ্যোক্তারা ধারণা করছেন, এবারের
নববর্ষ ও ঈদে বিক্রি ছাড়িয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা।
একসময় বিদেশি
ব্রান্ডের চাহিদা ছিল আকাশ ছোঁয়া। কিন্ত সময়ের ব্যবধানে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। ক্রেতারা
এখন দেশীয় ব্রান্ডের দিকেই ঝুঁকছেন। আকর্ষনীয় ডিজাইন, উৎসবের তাৎপর্য বিবেচনায় রংয়ের
ব্যবহার, দেশীয় আবহাওয়ার দিকে দৃষ্টি রেখে পোশাক তৈরি করায় গ্রাহকদের মন কাড়ছে দেশী
ব্রান্ড।
ক্রেতারা জানান, ব্রান্ডগুলো দেশের আবহাওয়াকে মাথায় রেখে কাপড়গুলো সেভাবে তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: আগুনে পোড়া টাকা ফিরে পেতে যা করবেন
এবারের ঈদেও
বাজিমাত করেছে দেশীয় ব্রান্ড। পোশাকের দাম ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়লেও বিক্রি মন্দ হয়নি।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারের চাপ সত্ত্বেও অনেকেই ঈদের পোশাক কিনছেন।
আন্তর্জাতিক
মানের দেশীয় ব্রান্ড ইয়েলো, অঞ্জনস, টুয়েলভ, দেশীদশ, আড়ং, সারা, ইনফিনিটি, সেইলরসহ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শো রুমে ক্রেতাদের ভিড়।
এক ক্রেতা জানান,
দেশীয় ছাড়া বাইরেরগুলো ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। বিদেশি পণ্যের ডিজাইন ও দামের
তুলনায় দেশীয় পোশাক অনেক মানসম্মত বলছেন ক্রেতারা।
বিক্রেতারা
বলছেন, গ্রাহকের পছন্দের ডিজাইনের কারণে জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেশীয় ব্রান্ডের। দেশের অর্থনীতিকে
এগিয়ে নেয়ার বিষয়তো আছেই।
বিক্রেতারা জানান, দেশীয় প্রোডাক্টগুলো সবাই নিজস্ব ডিজাইনার ও টিম নিয়ে কাজ। সেক্ষেত্রে প্রোডাক্ট নকল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রি খুব এটা বাড়েনি বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। পোশাকের বাৎসরিক চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশই পূরণ হয় ঈদে।
অঞ্জনসের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহমেদ বলেন, ছোট ছোট উদ্যোক্তারাই এই বাজারটা তৈরি করেছেন। এখন আমরা দেখছি, বড় বড় বিনিয়োগকারীরাও এই ফ্যাসন ইন্ডাস্ট্রিতে আসছেন। তবে দাম কিছুটা কমালে বিক্রি আরও বাড়বে বলছেন ক্রেতারা।