আজঃ সোমবার ২৪ জুন 20২৪
শিরোনাম

ঈদে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কোরবানির ঈদ মানেই গরু, খাসির মাংসের নানা পদ খাওয়া। অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়ার কারণে অনেকেই উৎসবের এ দিনগুলিতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ সময় সুস্থ থাকতে খাদ্য গ্রহণে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চলা জরুরি।

ভেবেচিন্তে খাদ্যতালিকা তৈরি করুন :দিনের খাদ্যতালিকতায় প্রোটিন, শাকসবজি এবং গোটা শস্য যাতে থাকে তা নিশ্চিত করুন। শুধুমাত্র মাংস না খেয়ে শরীর যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় সেজন্য বাড়তি কিছু খাবার রাখুন।

চর্বিহীন মাংস বেছে নিন: গরু- খাসির মাংস খান তবে চর্বিছাড়া। মাংসে লেগে থাকা অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলুন। অস্বাস্থ্যকর চর্বি কমাতে ভাজার পরিবর্তে গ্রিলিং, বেকিং বা স্টিমিং করে মাংস খেতে পারেন। চর্বিহীন মাংস কেবল প্রয়োজনীয় প্রোটিনই সরবরাহ করে না বরং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

শাকসবজি যুক্ত করুন: শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। উৎসবের দিনগুলোতে মাংসের নানা পদের পাশাপাশি সবজির পদ, সালাদ রাখুন। এতে খাবারে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

ছোট প্লেটে খান: বেশি খাওয়ার লোভ এড়াতে খাওয়ার জন্য ছোট প্লেট ব্যবহার করুন।

পানি ও পানীয় : সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। হাইড্রেটেড থাকা হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। পানি, ভেষজ চা, ফলের রস রাখুন খাদ্যতালিকায়।

চিনিযুক্ত খাবার এবং ডেজার্ট সীমিত করুন: মিষ্টান্ন ঈদ উদযাপনের একটি প্রধান উপাদান। তবে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। খেজুর বা মধুর মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি দিয়ে তৈরি ডেজার্ট খেতে পারেন। শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে দই রাখতে পারেন।

মনোযোগ দিয়ে খাওয়া: ধীরে ধীরে ও মনোযোগ সহকারে খাওয়া অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করে। সুস্থ থাকতে ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শারীরিক কার্যক্রম বজায় রাখুন : ঈদ উৎসবের মধ্যে শরীরচর্চা করতে ভুলে যাবেন না। খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করুন। অন্য কাজকর্মে সক্রিয় থাকুন। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে ভূমিকা রাখে।


আরও খবর



ঈদে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ১২০০ পাকিস্তানি হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাজারো মানুষ। এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ১২০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি ঈদে অতিরিক্ত আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ৫০০ জন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনর।

লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ অসিম জানান, শুধু পেশোয়ারে ২৪ ঘণ্টায় পাকস্থলী ও অন্ত্রের রোগে ৬১০ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অতিরিক্ত খাবার ও মাংস খেয়েছেন।

আর পাঞ্জাব প্রদেশের ছয়টি বড় হাসপাতালে ঈদের ছুটির সময় দুই হাজার ২০০ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮০ জন পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা, ডায়রিয়া ও পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন।

একইভাবে লাহোরের জিন্নাহ হাসপাতালে ১৩০ জনেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। এ ছাড়া লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতাল, গঙ্গারাম ও মায়ো হাসপাতালেও ১০০ জনের বেশি করে রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত খাবার ও মাংস না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।


আরও খবর



উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটগুলোতে চলাচল করা লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযানের ব্যাপারে এখনও এমন কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

শনিবার বিকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন।

তিনি বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপটি সৃষ্টি হয়েছে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেজন্য উপকূলীয় এলাকায় সব ধরনের লঞ্চ এবং নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে নদীবন্দরগুলোতে চলাচল করা লঞ্চের জন্য এমন কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সেটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একইসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এবং সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থেকে আবহাওয়া অফিস, কর্তৃপক্ষের সকল নদীবন্দরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, বন্দরের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা, নদীবন্দরের বিভিন্ন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এবং ড্রেজার বেইজের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখবেন।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন নম্বর +৮৮০২২২৩৩৫২৩০৬ ও মোবাইল নম্বর ০১৯৫৮৬৫৮২১৩ ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের নৌযানকে আবহাওয়া সংকেত ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জারি করা নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন কারাবন্দী ৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের জেলে বন্দী থাকা ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। রোববার (৯ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তারা। এর আগে শনিবার (৮ জুন) সকালে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে শহরের জেলে বন্দী এসব নাগরিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসা মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ওই ৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সর্বশেষ ও বৃহত্তম প্রত্যাবর্তনে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতওয়ের কর্মকর্তাগণ রাখাইনের সিতওয়েতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এসব নাগরিকদের পরিচয় যাচাই ছাড়াও তাদের জন্য ভ্রমণের অনুমতি প্রদান (ট্রাভেল পারমিট) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করেন।

প্রসঙ্গত, এই দফায় ৪৫ জনসহ গত এক বছরে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস মোট ২৪৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় মো. সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার (৩ জুন) আদালত সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আদালতের তথ্যমতে রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি সিয়ামের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। নেপালে পলাতক সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি আক্তারুজ্জামানের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

এর আগে শনিবার (১ জুন) রাতে ডিবির একটি সূত্র জানায়, এমপি আনার হত্যায় জড়িত আসামি সিয়ামকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য অবস্থান বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবির মাধ্যমে কাঠমান্ডু পুলিশের এনসিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের অনুরোধ করা হয়েছে। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাঠমান্ডু পুলিশ কাজ শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে ডিবি।

ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত ১৩ মে কলকাতায় আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়ামও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি কলকাতা থেকে নেপাল চলে যান। এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ যে আক্তারুজ্জামান শাহীনের কথা বলছে, তিনিও ২০ মে ঢাকা থেকে দিল্লি হয়ে কাঠমুন্ডু যান। পরে সেখান থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

এদিকে, এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য শনিবার (১ জুন) সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। প্রতিনিধিদলে ডিবির দুজন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম দফা রিমান্ড শেষ হয় কয়েকজনের। এ কয়েকজন আসামি হলেন, সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলিস্তি রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৪ মে দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিন আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগের দিন ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলিস্তি রহমানকে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো। এছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। আমার বাবার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করেছে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাইনি।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. মাহফুজ (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত মাহফুজ হাওলাদার পৌর এলাকার বিকনা গ্রামের ষ্টেডিয়াম এলাকার আমির হাওলাদারের ছেলে। সে পেশায় ইজিবাইক চালক।

হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।

হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের মা মুক্তা বেগম এবং বাবা আমির হাওলাদার। রক্তাক্ত জখম হওয়া আমির ও মুক্তা দম্পত্তিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আমির হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো তারই চাচাতো ভাই কবির হাওলাদারের সাথে। গত কদিন পূর্বে আমিরকে মারধর করেছে ভাই কবির। ঐ সময় বাবা আমিরকে মারধরের প্রতিবাদ করে ছেলে মাহফুজ। ঐ ঘটনায় চাচা কবিরের সাথে তর্ক হয় মাহফুজের। সেদিন চাচা কবির হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলে ছিলো মাহফুজ তাকে মেরেছে। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকে ফিরে শনিবার ১ জুন সকাল ১১ টায় কবির তার চার সন্তান, মেয়ে, জামাতা এবং নাতীকে নিয়ে হামলা চালায় আমিরের উপর। আমিরকে মারধরের এক পর্যায়ে স্বামী এবং বাবাকে বাঁচাতে আসে আমিরের ছেলে মাহফুজ এবং স্ত্রী মুক্তা বেগম। তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। এতে মাহফুজ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় মুক্তা ও আমির।

আহতরা জানায় কবির হাওলাদার তার সন্তানসহ স্বজনদের নিয়ে লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই হামলাকারী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর