আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঈদুল আজহায় কেমন পোশাক পরবেন?

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদুল আজহায় ঈদুল ফিতরের মতো কেনাকাটা না হলেও উৎসব বলে কথা! উৎসবে নতুন পোশাক পরতে, একটু পরিপাটি সাজে সাজতে চান সবাই। এবারের ঈদ বর্ষাকালে হলেও গরম কিন্তু রয়েছে। এই দুই বিষয় রাখতে হবে মাথায়। এছাড়া ঈদুল আজহায় কাজটা একটু বেশিই থাকে। ছেলেদের ক্ষেত্রে মাংস কাটা ও বিতরণ, মেয়েদের ক্ষেত্রে রান্নাবান্না ও অতিথি আপ্যায়নে অনেকটা সময় চলে যায়। তাই পোশাক ও সাজ বেছে নিতে হবে এসবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই।

খেয়াল রাখুন কাপড় ও রঙের প্রতি: বর্ষাকালে একটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও ভ্যাপসা গরম থাকে। তাই পোশাকের কাপড়ের ক্ষেত্রে সবার আগে স্বস্তি দেয় এমন কাপড় খুঁজে বের করুন। এসময় সুতি কাপড় বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এর পাশাপাশি লিলেন, ভয়েল, ধুপিয়ান ও তাতে কাপড় এসময় উপযোগী। বৃষ্টিতে বাইরে বের হলে সিল্ক বা জর্জেটের কাপড় পরা যেতে পারে। উৎসবের পোশাকে জমকালো ভাব আনতে বেছে নিতে পারেন চোষা কাতান বা কৃত্রিম মসলিন। এবার নজর দিন রঙের দিকে। বর্ষার সময়টা হালকা নীল, বেগুনি, জলপাই, গোলাপি এ ধরনের রংগুলো বেছে নিতে পারেন। গরম থেকে বাঁচতে চাইলে পরতে পারেন সাদা রঙের পোশাকও।

ভিন্নতা আনতে পারেন ফ্যাশনে: ঈদুল আজহায় যেহেতু খুব বেশি জমকালো পোশাক পরা হয় না তাই সাধারণ পোশাকেই ভিন্নতা আনতে পারেন। সাধারণ কামিজের ডিজাইনে ভিন্নতা এনে অনন্য করে তুলতে পারেন। বৈচিত্র্য আনা যায় হাতা এবং গলার ডিজাইনেও। বাড়িতে থাকাকালীন কামিজ বা শাড়ি, বাইরে বের হলে শাড়ি, গাউন, কামিজ ইত্যাদি পরতে পারেন। এ তো গেল মেয়েদের পোশাকের কথা। ছেলেরা কী পরবেন? প্রিন্টেড বা চেক কাপড়ের শার্ট তাদের জন্য আরামদায়ক। সুতি কাপড়ই এসময় বেশি ভালো। এসময় একটু ঢিলেঢালা শার্ট পরলে ঘামের কারণে কাপড় নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। বাড়িতে থাকাকালীন শার্ট, টিশার্ট কিংবা ফতুয়া আর বাইরে এবং নামাজের জন্য তো পাঞ্জাবি রয়েছেই!

মেয়েদের সাজ: ছেলেরা পোশাক পরে চুল একটু ঠিকঠাক করে, সুগন্ধী মেখে বের হয়ে গেলেই হলো। মেয়েদের সাজের থাকে অনেক উপকরণ। যদি এসময় মেকআপ করতে চান তবে অবশ্যই হালকা ধরনের মেকআপ নেবেন। নয়তো ভ্যাপসা গরমে ঘেমে আপনার সাজ তো নষ্ট হবেই, সেইসঙ্গে আপনাকে দেখতে লাগবে কিম্ভুতকিমাকার। হালকা মেকআপের পাশাপাশি গয়নাও বেছে নিন হালকা। বড় দুল কিংবা ভারী হার এসময় এড়িয়ে চলুন। চুল ছেড়ে রাখার বদলে বেঁধে রাখলেই বেশি স্বস্তি পাবেন।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



তীব্র গরমে গাজীপুরে বেঁকে গেছে রেললাইন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জের আড়িখোলা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আপ রেললাইনটি বেঁকে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত রেললাইন মেরামত কাজ শুরু করেছে।

পূবাইল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলমান দাবদাহে অতিরিক্ত গরমে পূবাইল আড়িখোলা এলাকায় অন্তত ১০ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা, কাঁদামাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ওই অংশ মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে গন্তব্যে চলে গেছে। এছাড়া ডাবল লাইনের অন্য একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে স্বস্তির খবর জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এপ্রিলের টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, যা অব্যাহত থাকবে আজও। তবে এর মাঝে স্বস্তির খবর জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (১ মে) সকালে ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, আগামীকাল দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কমতে পারে তাপমাত্রা।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে হতে পারে বৃষ্টিপাত। আর পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারো আসতে পারে তাপপ্রবাহ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ফলে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা সমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




বাসে যবিপ্রবি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

লোকাল বাসে বহিরাগত কর্তৃক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘটনার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভার্সিটির সকালের বাস মিস করায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ধর্মতলা থেকে চৌগাছাগামী লোকাল বাসে ওঠে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে চূড়ামনকাঠি থেকে মাসুদ নামের একটি ছেলে বাসে ওঠে। বাসে সিট খালি না থাকায় ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকে মাসুদ। বাসে ভিড় থাকার সুযোগে ওই নারী শিক্ষার্থীর শরীরে স্পর্শ করতে থাকে মাসুদ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ছেলেটিকে সরে যেতে বললে, কথা না শুনে পুনরায় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে মাসুদ। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীদের বিষয়টি অবহিত করলে তারাও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

একপর্যায়ে বাসটি ক্যাম্পাসের গেটে আসলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে নেমে পড়েন মাসুদ। তবে বিষয়টি ক্যাম্পাসে জানাজানি হবার পূর্বেই ছেলেটি পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঘটনাটি সহপাঠীদের জানালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এদিকে বিচারের দাবিতে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

বিষয়টি জানতে পেরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। ঘটনায় বিস্তারিত যবিপ্রবি উপাচার্য সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে, তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে এবং পুনরায় যেন এ রকম কার্যকলাপ না ঘটে সেই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হবে। আমরা যশোর বাস মালিক সমিতির সঙ্গেও আলোচনা করব যেন তারা এসব বিষয়ে এরপর থেকে আরও সচেতন থাকে।


আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে বিশ্বরোডের সবগুলো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক অবরোধ করেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি না হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং- দুই দিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।


আরও খবর



নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আজ (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সমাবেশ হবে।

এদিকে সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১০ মে বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।

ডিএমপির শর্তগুলো হলো—

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

৬. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১১. সমাবেশস্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।

১২. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৩. রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৫. জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।

১৬. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

১৭. সমাবেশস্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

১৮. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৯. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।


আরও খবর