আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

একনেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শুরু হয়।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আজকের প্রকল্পগুলোর মধ্যে মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে-

১. পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ

২. হিলি, বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ

৩. বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধিত)

৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রংপুর স্থাপন প্রকল্প

৫. অ্যাক্সিলেরেটিং অ্যান্ড স্ট্রেংথেনিং স্কিলস্ ফর ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন (অ্যাসেট)

৬. আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প

৭. সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা (১ম সংশোধিত)

৮. সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং ১৫ পুনর্বাসন

বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী; পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: একনেক

আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়- হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর



গ্রামাঞ্চলে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং না করে যত দ্রুত পারা যায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।

লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতে। এটা আমরা গত এক মাস যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করতেছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটা ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও এটা ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামে লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং।

তেলের যে সমস্যা ছিল সেটি কেটেছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটাই ব্যবস্থা চলছে।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম সে পর্যন্ত আমরা গেছি। তার ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থাপন। তবে সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।


আরও খবর



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বিএনপি ফের নৈরাজ্য করলে ডাবল শিক্ষা পেয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নৈরাজ্য করলে বিএনপি নেতারা আগে একটা শিক্ষা পেতেন, এবার থেকে ডাবল শিক্ষা পাবেন বলে জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সেটা সম্ভব হচ্ছে। তবে, বিএনপি আবার নৈরাজ্য করলে আগে তো একটা শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস বা অরাজকতা করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়ব।

প্রতিবেশী দেশকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে, ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতকে খুশি করার আমাদের দরকার নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়। তবে, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময় যে ভূমিকা নিয়েছিল, তখন কিন্তু ভারত কোনো কথা বলেনি, কোনো ভূমিকা রাখেনি। নিজের দেশকে এভাবে ছোট করা গয়েশ্বরের ক্ষেত্রেই মানায়।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কিছুই আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে বড় কথা বললেও নেতাদের ভেতরে হতাশা ভর করেছে। যতদিন ফিরে না আসবে, আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ চলছে, আমরা কয়েকবার বলেছি, দুষ্টু ছেলে ইসরায়েল এখন আমেরিকাকেও মানে না। হিটলার যে গণহত্যা চালিয়েছে, আজ নেতানিয়াহু গাজায় সেটিই করছেন। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র না দিলেও এখন একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি সারাবিশ্বের জন্য আতংকের বিষয়। সারাবিশ্ব এ নিয়ে সোচ্চার। আমেরিকা-ইউরোপে গাজার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে কর্মসূচি করছে। আমাদের ছাত্রলীগও বড় সমাবেশ করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই।

দলীয় কর্মসূচি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ সব শাখা ও সহযোগী সব সংগঠন কেন্দ্রীয় কার্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি নেবে। সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম হবে ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সারাদেশে আমরা ব্যাপকভাবে পালন করব।

যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।


আরও খবর



মূল্যবান খনিজ জমিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে শি জিনপিং প্রশাসন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ডংগিংয়ে গতবছর নতুন জ্বালানি তেলের একটি ডিপো নির্মাণের কাজ শেষ করেছে চীন। আর চলতি বছরের শুরু থেকেই সেখানে নজরে আসছে তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর ব্যস্ততা। কৌশলগত জ্বালানি মজুত হিসেবে অভিহিত ডংগিংয়ের এ বিশাল তেলের ডিপোর ধারণ ক্ষমতা ৩ কোটি ১৫ লাখ ব্যারেল। মূলত রাশিয়া থেকে ভর্তি হয়ে আসা ট্যাংকারগুলোই এখানে খালাস করছে তাদের তেল। দ্রুত খালাস করেই নতুন চালান ভরতে চীনা ট্যাংকারগুলো ফের ছুটছে রাশিয়ার বন্দরগুলোর উদ্দেশ্যে।

যেভাবে তেলের মজুত বাড়াচ্ছে চীন

দিন দিন রাশিয়া থেকে চীনের এ জ্বালানি আমদানি বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দিনে গড়ে ২১ লাখ ব্যারেল তেল মস্কো থেকে আমদানি করছে বেইজিং। টানা দুবছর ধরে বেইজিংয়ের জ্বালানি সরবরাহের প্রধান উৎস মস্কো। এতো বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কেনার মাধ্যমে চীনের কৌশলগত জ্বালানি তেলের মজুত বর্তমানে উঠানামা করছে ২৮ কোটি থেকে ৪০ কোটি ব্যারেলের মধ্যে।

যেখানে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত জ্বালানি মজুতের পরিমাণ ৩৬ কোটি ব্যারেলের আশপাশে। শান্তিপূর্ণ সময়ে চীনের দৈনিক জ্বালানি চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যারেল। এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময়ের তেলের মজুত নিজের হাতে ধরে রেখেছে চীন।

চীনের তেলের মজুত গড়ে তোলার এ পরিসংখ্যানই পশ্চিমা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক মহলকে উদ্বিগ্ন করে তোলার জন্য যথেষ্ট। তাদের ধারণা, সামনে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা আঁটছেন চীনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর অংশ হিসেবেই দ্রুত ডংগিংয়ের মতো এসব ডিপোকে তেলে ভর্তি করছে বেইজিং।

অন্যান্য খনিজের মজুতও বাড়াচ্ছে চীন

শুধু জ্বালানি তেলই নয়, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কৌশলগত প্রায় সব শিল্প কাঁচামালের মজুত গড়ে তুলছে বেইজিং। পশ্চিমা মহলের ধারণা, ভবিষ্যতে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি কিংবা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানকেই এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও বেইজিংকে সুযোগ করে দিচ্ছে ডিসকাউন্ট দরে মস্কো থেকে তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল কেনার ব্যাপারে। জ্বালানি তেলের পাশাপাশি অনেক সস্তায় মস্কো থেকে নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ কিনতে সক্ষম হচ্ছে চীনা কোম্পানিগুলো। আর চীনের এ মূল্যবান ধাতু কিনে মজুত করার প্রবণতার গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়ার নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার ওপর আরোপ করা সর্বশেষ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা।

বিশ্বব্যাপী লিথিয়ামের এক-তৃতীয়াংশই চীনের কব্জায়

এসব ধাতুর পাশাপাশি বেইজিংয়ের নজরে রয়েছে বর্তমান যুগের অন্যতম মূল্যবান খনিজ পদার্থ হিসেবে পরিচিত লিথিয়ামের ওপরও। ব্যাটারি শিল্পের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে চীন মজুত বাড়িয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না; বরং বিভিন্ন দেশে থাকা লিথিয়ামের খনি থেকে শুরু করে পরিশোধনাগার পর্যন্ত কিনে ফেলতে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইউবিএস গত মার্চে জানায়, এভাবে চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বের সব লিথিয়াম সরবরাহের তিন ভাগের একভাগই চলে যাবে চীনের কব্জায়।

অবশ্য চীন অনেক আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ধাতু ও বিরল মৃত্তিকার মতো খনিজ পদার্থের মজুত গড়ে তুলছে। এ ব্যাপারে মার্কিন খনি বিষয়ক দফতর ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীনের হাতে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, কপার, গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, ইরিডিয়াম, ট্যানট্যালাম, টিন, টাংগেস্টন, জিংক ও জিরকোনিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য বিরল মৃত্তিকা পদার্থের মজুত রয়েছে। এরপরের বছরগুলোতে চীন এসব খনিজ মজুত করার তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে।

চীন স্বর্ণের মজুদও বাড়াচ্ছে, টান পড়ছে সারা বিশ্বে

শুধু এসব খনিজ পদার্থই নয়, বরং স্বর্ণের মজুতও দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং। আর এ স্বর্ণ শুধু সরকারই কিনছে না, বরং চীনের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে বেড়ে গেছে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা। মূলত চীনাদের এ স্বর্ণ কেনার প্রবণতাই বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দামকে রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪শ ডলারে।

মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনেই চীনের এ স্বর্ণ কেনার উদ্দেশ্য বলে কেউ কেউ মনে করছে। তবে এর পেছনে দেশটির জনগণের একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। তাদের মতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা আঁচ করতে পেরেই চীনের এলিট সমাজ তাদের সম্পদ দেশের বাইরে জমা করার বদলে দেশেই নিজের হাতের নাগালে রাখতে চাইছেন। আর স্বর্ণ কিনে জমা রাখার মাধ্যমেই তা সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব। অর্থাৎ চীন যে তাইওয়ানকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে যাচ্ছে, সে বিশ্বাস দানা বাঁধছে চীনের সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

টার্গেট তাইওয়ান, ডেডলাইন ২০২৭

জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মজুত চীন যেভাবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে নিচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের সামরিক বাহিনীকেও ব্যাপকভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করছে বেইজিং। এমন এক সময়ে এই সামরিকীকরণ চলছে যখন তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বেরও উত্তেজনার পারদ বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। আর চীনের এসব প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন সামরিক মহল। মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন শি জিনপিং তাইওয়ান দখলে তার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। আর এজন্যই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কিছুটা দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং।

এ ব্যাপারে সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত নৌবাহিনীর সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুলিনো বলেন, অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকা সত্ত্বেও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে চীন সচেতনভাবে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। যা কিনা আমাকে উদ্বিগ্ন করছে।’

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি বিষয়ক ব্লগিং সাইট ওয়ার অন দ্য রকস’-এ নিজের এক লেখায় মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের পরিচালক অ্যাডমিরাল মাইক স্টুডম্যান বলেন, শি জিনপিং (চীনা প্রেসিডেন্ট) তার দেশকে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত করছেন। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য এক বিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য শি জিনপিং চীনা সমাজকে সামরিকীকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বর্মে মুড়িয়ে ফেলছেন।’

এর অংশ হিসেবেই চীনা কর্তৃপক্ষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামালের একটি কৌশলগত মজুত গড়ে তুলছে বলে মনে করেন মার্কিন এ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো, সেই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই বেইজিং এই মজুত গড়ে তুলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাইক স্টুডম্যান আরও বলেন, ২০২২ সালে চীনের শীর্ষে নেতৃত্বের যে রদবদল, সেখানেও শি জিনপিংয়ের এ যুদ্ধ প্রস্তুতির ইঙ্গিত রয়েছে। বেছে বেছেই তাইওয়ান সম্পর্কে অভিজ্ঞদের নিজের ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে চীনের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ পলিটব্যুরোর ২৪ সদস্যের মধ্যে ১৫ জনকেই মনে করা হয় তাইওয়ান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ।

এমনকি তাদের মধ্যে সামিল রয়েছেন এমন একজন সামরিক কর্মকর্তা, পলিটব্যুরোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে তার আগের ধাপ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না তিনি। তাইওয়ান বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতাই পলিটব্যুরোতে জায়গা করে দেয় তাকে। এ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের সাবেক কমান্ডার। আর তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের যেকোন সামরিক অভিযানের সার্বিক দায়িত্ব প্রথমে এই ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের ওপরেই বর্তাবে।

যুদ্ধের প্রস্তুতি চীনের, দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা বিশ্ব

তবে চীন যখন দ্রুত তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে, তখনও চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা মহল। জ্বালানি ও কাঁচামালের আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বেইজিংকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে এখনও দৃশ্যমান কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি তারা। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির মাইক্রো চিপ থেকে চীনকে বঞ্চিত করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত। বরং চলতি মাসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস চীন সফরের মধ্যদিয়ে এ বার্তাই দেয়া হচ্ছে যে, ইউরোপীয়রা চীনের সঙ্গে বর্তমান বাণিজ্যিক সহযোগিতা বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহী।


আরও খবর