আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ফের রাজপথে আ’লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রায় দুই মাস পর ফের রাজপথে মুখোমুখি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আজ শনিবার (২৯ জুন) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে দুই দল। আওয়ামী লীগ প্লাটিনাম জয়ন্তীর আলোচনা সভা এবং বিএনপি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের মাধ্যমে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্ষমতাসীন এবং রাজপথের সরকারবিরোধী প্রধান দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সব মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনেক দিন পর কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সমাবেশটি বড় করতে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতারা।

বর্তমানে ঢাকা মহানগরে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। তাই কেন্দ্রীয় বিএনপির ব্যানারে এই সমাবেশ হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এতে প্রধান অতিথি থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে ঢাকা মহানগর ও জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকায় শনিবার সমাবেশ ঘোষণা করেন তারা। এছাড়াও আগামী ১ জুলাই সব মহানগর ও ৩ জুলাই সব জেলায় সমাবেশ হবে।

বিএনপি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্বশীল দুটি সূত্রে জানা যায়, শনিবার নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য বিএনপিকে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

অপরদিকে, বিএনপির এ কর্মসূচি ঘোষণার দুই দিন পর বরাবরের মতো এবারও রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দিল আওয়ামী লীগ। দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা করবেন তারা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হঠাৎ করেই শুক্রবার বিকেলে আলোচনা সভার কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তবে এ বিষয়ে আগে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না।


আরও খবর



হেনস্তার ঘটনায় মানহানি মামলা করলেন রবিনা ট্যান্ডন

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের রাস্তায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। এ সময় অভিনেত্রীর ড্রাইভার তিন পথচারীকে আঘাত করে বলে অভিযোগ তোলেন এক ব্যক্তি। তিনি আরও দাবি করেন যে অভিনেত্রী মদ্যপ অবস্থায় বেরিয়ে এসে তাকে লাঞ্ছিত করেন।

আর এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে অনুরাগীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এবার নেটিজেনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করলেন রবিনা ট্যান্ডন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রী বলেন,ভালবাসা এবং সমর্থন দেওয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে শেষ পর্যন্ত এই গল্পের মূল কথা কী দাঁড়াল জানেন? ড্যাশক্যাম ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখুন।

রবিনার আইনজীবী বলেন,সম্প্রতি অভিনেত্রী রবিনাকে মিথ্যে অভিযোগে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে অভিযোগটি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে একজন ব্যক্তি, যে নিজেকে সাংবাদিকে বলে দাবি করেছেন। তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে এক্স হ্যান্ডেলে মিথ্যে তথ্য প্রচার করছে। যা বাস্তবিকভাবে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর।

পুলিশ জানায়, সাংবাদিকের মিথ্যে খবরের এই প্রচারটি উদ্দেশ্যমূলক রবিনার নামকে বদনাম করার একটি প্রচেষ্টা ছিল। তারা বর্তমানে এই সমস্যাটির সমাধান করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। পাশাপাশি রবিনার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, রবীনা ট্যান্ডনের পাত্থর কে ফুল দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। ছবিটি বক্স অফিসে হিট হয় এবং এই অভিনয়ের জন্য তিনি লাক্স বর্ষসেরা নতুন মুখ হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।

নিউজ ট্যাগ: রবিনা ট্যান্ডন

আরও খবর



বাতিল হচ্ছে ট্রাম্পের অস্ত্রের লাইসেন্স

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত ৩০ মে ৩৪টি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। মার্কিন আইন অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি নেই। তাই নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ ট্রাম্পের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে।

এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্র ট্রাম্পের সঙ্গে রাখার যে অনুমতি ছিল, তা ২০২৩ এর এপ্রিলে ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের পর স্থগিত করা হয়।

তিনি ৩টি নিবন্ধনকৃত পিস্তলের মালিক ছিলেন। দুইটি পিস্তল ২০২৩ এর ৩১ মার্চ নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অপর অস্ত্রটি আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে ফ্লোরিডায় স্থানান্তর’ করা হয়।

ট্রাম্প এখনও ফ্লোরিডার বাসভবনে পিস্তলটি সংরক্ষণ করে থাকলে, তা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব পায়নি সিএনএন।

পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নিউইয়র্ক পুলিশের আইন বিভাগ একটি তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যার পর খুব সম্ভবত ট্রাম্পের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’ তবে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ ট্রাম্পের সুরক্ষায় ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকে। তাই তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হলেও তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই।


আরও খবর



ঈদের পর মন্ত্রিসভায় রদবদলের আভাস, বাড়তে পারে আকারও

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে। একই সঙ্গে জোর গুঞ্জন রয়েছে বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার বৃদ্ধির। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে চলছে আলোচনা।

মন্ত্রিসভার কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতা এবং ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, মন্ত্রিসভার আরেক দফা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। ঈদুল আজহার পর এ প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েকজন নতুন মুখ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কয়েক নেতার নামও রয়েছে। এর বাইরে অর্থ, পরিকল্পনাসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে রদবদল হতে পারে। তাতে বর্তমান মন্ত্রিসভার কারও কারও পদোন্নতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পায় আওয়ামী লীগ।

১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরপর ১ মার্চ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাতজন। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ বর্তমান মন্ত্রিসভা দাঁড়ায় ৪৪ জনে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ মন্ত্রী ও ১৮ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী আছেন দু’জন।

অবশ্য সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাচ্ছেন, তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। জানতে চাইলে দায়িত্বশীল নেতাদের প্রায় সবাই একবাক্যে বলেছেন, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ কিংবা রদবদলের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঈদুল আজহার পর মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীই এটি গঠন করবেন। অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন, জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের পরে মন্ত্রিসভায় অদল-বদল হতে পারে।

সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বর্ষীয়ান এই দুই নেতা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় সামলাতে দক্ষতার পরিচয় দিলেও, বয়সজনিত কারণে তাদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। ওই দুই মন্ত্রণালয় থেকেই দায়িত্বশীলরা অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আসবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। বিশেষ করে দলের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষপদে থাকা ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’জনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে কেউ বাদ পড়ছেন না। তারপরও মন্ত্রিসভার কারও কারও মধ্যে এক ধরনের দুশ্চিন্তা কাজ করছে। আবার প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ পেতে পারেন পদোন্নতি। অন্তত একজন প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি সম্ভাব্য সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নাম শোনা গেলেও, উড়িয়ে দিচ্ছে না নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ ছাড়া নতুন কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নীতিনির্ধারক নেতারা জানিয়েছেন, বর্ধিত মন্ত্রিসভায় ক্লিন ইমেজ ও অভিজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। দলের ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রাধান্য পেতে পারেন। তবে প্রবীণ ও তারুণ্যের সমন্বয় রাখা হলেও এগিয়ে থাকবেন একাধিকবার নির্বাচিত এমপিরা।

২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম সংসদের মতো ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বার সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। দ্বাদশ সংসদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের রেকর্ড গড়েছেন।


আরও খবর



বানের জলে ভাসছে সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

বানের পানিতে থৈ থৈ সুনামগঞ্জের আশপাশের সব এলাকা। ডুবে আছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। যে সড়ক দাপিয়ে বেড়িয়েছি অটোরিকশা, রিকশাসহ সব মোটরযান আজ সেই রাস্তায় চলছে নৌকা। যাদেরকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে তারা ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। নিম্নআয়ের মানুষ, দিনমজুররা আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, আর যাদের অবস্থা কিছুটা ভালো তারা উঠেছেন আবাসিক হোটেলে। কেউ কেউ আছেন প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের বাসায়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার চারটি পৌরসভা এলাকাসহ ৭৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৮টি গ্রামের ছয় লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যা পরিস্থিতির শিকার।

সুনামগঞ্জ জেলার পুরোটাই বন্যাকবলিত হলেও সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর ও ছাতক উপজেলার মানুষ। ছাতক উপজেলার পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করার কারণে সুনামগঞ্জের অনেক হাওর এখন পানিতে টইটুম্বুর। আর এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। ইতিমধ্যে মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৭ হেক্টর জমির সবজিখেত পানিতে নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার কায়েতকান্দা, রাজধরপুর, কাকিয়াম মৌলভীপাড়া, আলমপুর দোয়াদুর রহমান ও দক্ষিণ রূপনগরের মোট পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বন্যায় তলিয়ে আছে সকল উপজেলার স্থানীয় সড়ক। জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর এবং ছাতক উপজেলার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বুধবার (১৯ জুন) এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দিরাইয়ে সুরমা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে উজান থেকে ব্যাপক পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে।

লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লতিফুন্নেছা বলেন, আমার ঘরের ভেতর গলা সমান পানি। ঘরে ছেলে বউ আর এক আট বছরের এক নাতি ছিল। ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসের চাকরি করে। পানি যখন ঘরে প্রবেশ করতে শুরু করে আমি আমার নাতি আর বউকে নিয়ে এখানে চলে আসি। সাথে নিয়ে এসেছি দুটি বালিশ আর একটা কম্বল। ঘরে তালা দেওয়ার সময়ও পাইনি।

একই আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, খুব কষ্টে আছি ভাই। তিন দিন ধরে কাজে যাই না। বউ, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে আছে। ১ কেজি চাল আর ২০০ গ্রাম ডাল এনেছিলাম। খেয়ে শেষ হয়ে গেছে। এখন কেউ দিলে খাই আর না হয় খালি পেটে থাকি। বাচ্চাদের জন্য বিস্কুট নিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার বাচ্চারা ভাত খাবে বলে আবদার করছে।

বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া রফিকুল বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য ৯ জন। আমরা দুই আশ্রয়কেন্দ্রে মিলিয়ে থাকছি। দিনের অর্ধেক সময় এখানে বাকি সময় লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে কাটে। আমাদের দিকে আল্লাহ কবে যে সুনজর দেবেন তা তিনিই ভালো জানেন। আমাদের আর এই কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।

সেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আম্মার বলেন, ২০২২ এর বন্যায় আমরা দেখেছি বন্যা কতটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। আর সেই ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ৫-৭ জনের টিম করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। অনেকে আমাদের কাছে ফোন দিয়ে জরুরি ঔষুধ এবং খাবার চাচ্ছেন। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যা আক্রান্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।সুনামগঞ্জের বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি কোনো কোনো স্থানে সামান্য কমেছে আবার কোন স্থানে বাড়ছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী, অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পানি আরও বাড়তে পারে। যদি উজানে বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে।আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



এনবিআর থেকে সরানো হলো ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তাঁর বর্তমান পদ থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে কেন এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মতিউর রহমান কিছুদিন ধরে আলোচনায় আসেন তাঁর ছেলের কারণে। কোরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি খামার থেকে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এর পর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকার বিষয়ে একের পর এক খবর প্রকাশিত হতে থাকে।

এনবিআরের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত রাজস্ব ভবনের ১১ তলায় একটি অফিস কক্ষে বসেন। আজ রোববার তাঁর দপ্তরে গিয়ে দেখা যায় যে তিনি অফিসে আসেননি। তাঁর দপ্তরের কর্মচারীরা জানান, ঈদের পর মতিউর রহমান আর অফিসে আসেননি।

এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, তাঁকে ছুটিতে থাকার জন্য মৌখিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওপর মহল থেকে এই অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।

আলোচিত এই কর্মকর্তা রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির একজন পরিচালক। তবে আজ রোববার সকালে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে মতিউর রহমানকে উপস্থিত না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে তাঁকে অপসারণও করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে সোনালী ব্যাংককে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মতিউর রহমান যেন পর্ষদে উপস্থিত না হন। ব্যাংকও মতিউর রহমানকে উপস্থিত না হওয়ার পরামর্শ দেয় এবং তিনি তা মেনে নেন।


আরও খবর