আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম
হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৭ শতাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ও সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে অবদান রাখার অঙ্গীকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পেরুতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি প্রাক্তন স্বামীকে প্রশংসায় ভাসালেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় দেশে ফিরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন তাসকিন আমিরাতে ১০ মিনিটে জুমার খুতবা ও নামাজ শেষ করার নির্দেশনা বাজারে প্রতিটি পণ্যের দামেই আগুন, ক্রেতাদের কপালে ভাঁজ রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত চিপস নিয়ে ফেরা হলো না দুই শিশুর, পুকুরে মিললো মৃতদেহ

‘ফ্লাগ গার্ল’ প্রিয়তার সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ গার্ল প্রিয়তা ইফতেখার অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) থেকে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। মাস্টার অব স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে (এক্সটেনশন) পড়েছেন তিনি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে যারা ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চান তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এটি। ডিজিটাল যুগে গবেষণা, মূল্যায়ন এবং নৈতিক তথ্য বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে উন্নত পাবলিক কমিউনিকেশন অনুশীলন করানো হয় এতে। এ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অধ্যয়নের পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করার অনুমতি রয়েছে।

প্রিয়তা ইফতেখার বলেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করলাম। স্নাতকোত্তর একাডেমিক এক্সিলেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ পেয়ে ২০২২ সালের আগস্টে স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে মাস্টার্স শুরু করি। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছে ইউটিএস কর্তৃপক্ষ। পরিবারে আমিই প্রথম কোনও বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর বিদেশি ডিগ্রি অর্জন করেছি।

প্রিয়তার পরিবার থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। ইউটিএস-এ অধ্যয়নের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে ও পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পেরেছেন তিনি। তার কথায়, আমার বাবা-মা উভয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে স্নাতক করেন। তবে তারা সমাবর্তন মিস করেছেন। তাই মা কোনও স্নাতকের ছবি দেখলেই ভাবতেন, আমাকে সমাবর্তনের গাউন পরা দেখে যেতে পারবেন কিনা।

প্রিয়তার মা জীবদ্দশায় মেয়ের সেই অর্জন দেখে যেতে পারেননি। তার বাবা-মা দুই জনই মারা গেছেন। তাদের স্মৃতি বহনের পরিকল্পনা থেকে ইউটিএস-এর সমাবর্তনে বিশেষ একটি শাড়ি পরে প্রিয়তা। ২০০৫ সালে তার মাকে তার বাবা এটি উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই শাড়িতে কালো, সাদা, সবুজ ও লাল প্যাটার্ন রয়েছে, যা যুদ্ধ ও গণহত্যার বার্তা তুলে ধরে। এর রঙ বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন উভয় দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গণহত্যার প্রতিবাদ এবং শান্তির আহ্বানে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হতে এই শাড়ি পরেন তিনি। এতে একইসঙ্গে ১৯৭১ ও ২০২৪ দুটি ভিন্ন সময়ের গল্প ফুটে উঠেছে।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি শহরে অবস্থিত ইউটিএস দেশটির সরকারের অর্থায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি মূলত ব্যবহারিক ও শিল্প-সংযুক্ত শিক্ষার ওপর কাজ করে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংস ২০২৪ অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় নবম এবং বিশ্বে ৮৮তম স্থানে রয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত নূরজাহান বেগমের নাতনি প্রিয়তা ইফতেখার। তার নানা কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা রোকনুজ্জামান খান (দাদাভাই)। ২০০৮ সালে দ্য ফ্ল্যাগ গার্ল নামের একটি নেটওয়ার্ক গড়েন তিনি। এর মাধ্যমে ভ্রমণ বিষয়ে নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসুরা এই নেটওয়ার্কের সদস্য।

শ্রীলঙ্কায় প্রথম বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন প্রিয়তা। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২০০রও বেশি শহরে বেড়ানো হয়েছে তার। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার ঝুলিতে রয়েছে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়, মালয়েশিয়ায় মিস ট্যুরিজম ওয়ার্ল্ড, মিস ল্যান্ডস্কেপস ইন্টারন্যাশনাল ও মিস মাল্টিন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা মাদক ও জুয়ার আসর

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদী থানার পৌর ৪নং ওয়ার্ডে তিন তলা কলা বাগানে প্রকাশ্যে চলছে লাখ লাখ টাকা জুয়া খেলা। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু জুয়াড়ী এসে কর্তাদের ম্যানেজ করেই এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

৫নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ওয়াকিল আলম বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে জুয়া খেলা চলছে প্রকাশ্যে। তরুণ সমাজ ও ব্যবসায়ীসহ বহু পরিবার জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকায় চুর, ছিনতাইয়ের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের প্রতি আমার আকুল আবেদন এই জুয়া ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

সরেজমিন দেখা যায়, ঈশ্বরদী থানার ৪নং ওয়ার্ডের তিনতলা কলা বাগান এলাকায় মাঠে তাবু টাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর। এলাকার চিহ্নিত জুয়াড়ী চক্রের চঞ্চলের নেতৃত্ব তিনতলা কলা বাগান মাঠে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তাশ ও জুয়ার আসর। ওই জুয়ার আসরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কুখ্যাত জুয়াড়ীরা এসে সমাবেত হচ্ছে। দুর-দুরান্ত থেকে আসা জুয়াড়ীরা এখানে লাখ লাখ টাকার হাত বদল করছে এবং প্রতিদিন এ চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই টাকা খুইয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব। অসাধু কর্তাদের নিরবতায় থাকা একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালাচ্ছে নিষিদ্ধ জুয়ার আসর। এ জুয়াকে কেন্দ্র করে স্পটে নেশা গ্রহণ সমান তালে চলায় জুয়া ও মাদকের মোহে পড়ে অনেকে পথে বসছেন। চলমান জুয়া ও মাদকের আসর নিয়ে এ অঞ্চলের অভিভাবক ও তাদের পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, প্রতিদিন হাজার টাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে জুয়াড়ীরা। অনেকে জুয়া খেলে শুন্য হাতে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। জুয়ার ও নেশার টাকা জোগাড় করতে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা চুরি, ডাকাতি পকেটমারাসহ নানারকম অপকর্মের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে রক্তক্ষয় সংঘর্ষ বেজে যায় দুই জুয়ারী মাঝখানে পরবর্তীতে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে দুই পক্ষকেই শান্ত করেন।

জাবেদের স্ত্রী জানান, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিকালে তিন তালা মাঠে কথা কাটাকাটি হয় দুইজনের। পরে ওখানে দুজনই বিদেশী মদ পান করে এলাকাতে এসে। ওই কথার রেস ধরে এই মারামারির সৃষ্টি হন। পুলিশ যদি সময় মত না আসতো তাহলে দুজনার ভিতর একজন নির্ঘাত মারা যেত।

এই ব্যাপারে জানতে বিষয়টি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড  কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এটার একটি প্রতিকার চাই যেহেতু আমি এত বড় পরিসরের নেতাও না শুধুমাত্র একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যারা আমাদের উপরে আছেন তাদের সহযোগিতা পেলে এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা করছি নিজেদের মধ্যে একজন মাদক ও জুয়া ব্যবসায়ী সে হয়তো লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হচ্ছেন। এতে শত শত পরিবারের ছেলেরা ঝরে পড়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে যদি প্রশাসন যদি এগিয়ে আসতো তাহলে মনে হয় একটা প্রতিকার করা সম্ভব হবে। আর এই যে জুয়ার আসরটাতে লোকালে নেতাদের ছত্রছায়ায় কেউ বড় ভাই সেজে এই জুয়ার পরিচালনা করছে। তাদের কাছে এই বিষয়ে প্রতিকার করতে গেলে তারা বলেন আমরা অমুক ভাইয়ের লোক এর জন্য এই বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। আর কি বলবো তখন দায় ছাড়া ভাব দেখায় চলে আসে। এ ছাড়াও আর কোন উপায় থাকে না।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা জানান, আমি নিজে জুয়া বন্ধে চেষ্টা করেছি। থানা পুলিশকে জানিয়েছি। বিষয়টি পুলিশ নলেজে আছে। এখানে ঈশ্বরদী থানা এলাকাসহ লালপুর ও পাবনা জেলার তরুণ সমাজ ও ব্যবসায়ীসহ বহু পরিবার জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, জুয়া খেলার বিষয়টা আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রাবিতে সকল বিভাগের সমন্বিত অনলাইন রেজাল্ট ব্যবস্থা উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনলাইনে একযোগে মিলবে সকল বিভাগের অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট। বুধবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এ রেজাল্ট ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, আমরা একটা নতুন যুগে পদার্পণ করতে চলেছি। আপনারা যে পদ্ধতিটা দেখলেন এটা চমৎকার একটি পদ্ধতি। এর পরেও আরও অনেক কিছু এটার সাথে যুক্ত করব। আমরা ট্রায়ালের মাধ্যমে শুরু করেছি। আমরা কাজ করব, কাজ করতে করতে বুঝব। আমাদের পক্ষে এটা করা সম্ভব কারণ আমাদের কাছে সার্পোটিং স্টাফ রয়েছে। আমাদের অ্যাকাউন্টস অটোমেশনে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি আইসিটিসহ সবকিছু 'আমব্রেলা' পদ্ধতির আওতায় চলে যাচ্ছে।

এখনও অনেক শিক্ষক রয়েছেন যাদের ই-মেইল নেই তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলকে বলে দিয়েছি যাদের ই-মেইল নেই তারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমরা যতই ডিজিটালাইজ করি না কেন আমাদের নিজেদেরও স্মার্ট হতে হবে। কারণ একজন শিক্ষার্থীর কোনো পাওনা আছে কিনা সেটা হল প্রাধ্যক্ষ ও বিভাগের চেয়ারম্যানের অনলাইনে জানাতে হবে। তাছাড়া হলগুলো ও বিভাগীয় যে কর্মকর্তারা রয়েছে তাদেরকেও স্মার্ট হতে হবে। কারণ এখন তাদের কাছে আগের মতো কোনো চিঠিপত্র যাবে না। তাদেরকে আমরা শুধুমাত্র মেইল করব এবং নির্দিষ্ট একটি সময় থাকবে ঐ সময়ের মধ্যেই তাদেরকে সাবমিট করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাবমিট করতে না পারলে তাকে ডিউ প্রসেসে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)  অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, সকল অনুষদের ডিনবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।


আরও খবর



মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

টানা তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামীকাল শুক্রবার (৭ জুন) ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর টানা তৃতীয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।

লোকসভা নির্বাচনে জয় পাওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের জনগণ ও তার পক্ষ থেকে এ অভিনন্দন জানান তিনি। কথোপকথনের সময় ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিমন্ত্রণ জানান মোদি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

দুই নেতার ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আপনার (নরেন্দ্র মোদি) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণে এনডিএর এই বিজয় সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই।’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবার মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। ২০১৯ সালে দলটি পেয়েছিল ৩০৩টি আসন।

সংবিধান অনুযায়ী ভারতে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে ২৭২টি আসনে জিততে হয়। এক্ষেত্রে মোদির দল এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না। এর জন্য জোটের ওপরই নির্ভর করতে হবে মোদিকে।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বারে এনপিও উদ্যোগে “উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল” বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) সহযোগিতায় এবং ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার সকালে চিটাগাং চেম্বারের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বক্তব্য রাখেন।

এনপিও উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ ফাতেমা বেগম কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মাহবুবুল হক মিয়া, এনপিও এর গবেষণা কর্মকর্তা ফারজানা হকসহ এনপিওএর কর্মকর্তা, বিকেএমইএ, বিএসআরএম, কেডিএসর কেওয়াইসিআর, সাইফ পাওয়ারটেক, রিয়ালেন্স শিপিং লিঃ, বনফুল, রাবার ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, আমাদের প্রতিযোগী দেশের চেয়ে উৎপাদনশীলতা এর ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে। আবার উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহারেও আমরা পিছিয়ে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। দেশের অর্থনীতিতে প্রাইভেট সেক্টর ভূমিকা রাখলেও গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কিভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে গবেষণা করা এই সেক্টরের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই উৎপাদনশীল শিল্পের চাহিদানুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনপিওকে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে গবেষণা করার দরকার।

জানা যায়, দেশের শিল্প কারখানার শ্রমিক এবং কর্মকর্তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আবেদনের ভিত্তিতে ফাইভএস টেকনিক, কাইজেন প্র্যাক্টিস, টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট, টোটাল প্রোডাকটিভ মেইন্টেন্যান্সসহ ২৮ ধরণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিনামূল্যে এইসব প্রশিক্ষণ নিতে পারে যেকোন শিল্প প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এনপিও।


আরও খবর



পাবনায় ওসির অপসারণের দাবিতে আ.লীগের হরতাল ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার আটঘরিয়ায় উপজেলা পরিষদে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আটঘরিয়া থানা পুলিশের ওসি হাদিউল ইসলামকে অপসারণে দাবিতে আগামী বুধবার (১২ জুন) আটঘরিয়ায় অর্ধদিবস হরতাল ঘোষণা করে।

রোববার (৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আটঘরিয়া বাজার হয়ে থানার সামনে দিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে নেতাকর্মীরা পাবনা-চাটমোহর মহাসড়ক অবরোধ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম রতন বলেন, আটঘরিয়া থানার ওসি হাদিউল ইসলাম আটঘরিয়ার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন। তার প্রত্যক্ষ মদদে কিছু সন্ত্রাসী আটঘরিয়ায় যা ইচ্ছে তাই করছে। উনার পছন্দ না হলে উনি কোনো মামলা নিতে চায় না। ওসির সাথেই সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এই ওসিকে আটঘরিয়ার মানুষ চায় না। তার অপসারণের দাবিতে আগামী ১২ জুন আটঘরিয়ায় অর্ধদিবস হরতাল পালিত হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দেবোত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাইমিন হোসেন চঞ্চল বলেন, আটঘরিয়ায় যোগদানের পর থেকেই আটঘরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে নিরপরাধ নেতাকর্মীদের নামে হয়রানি করছেন।

নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, নির্বাচনের দিন আমি বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম কিন্তু আমাকে নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষের অফিস ভাঙচুরের আসামি করা হলো, তাও ১০ দিন পর!  আটঘরিয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুয়েলের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর এবং নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করা হলো, তারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি। সেই জুয়েলের নামে যখন মামলা দেওয়া হলো সেই জুয়েলের অভিযোগের ভিত্তিতে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হলো। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলাকে প্রভাবিত করতেই আমার নামে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে আটঘরিয়ার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম বলেন, আমার অপসারণের বিষয়টি তাদের রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে। কেন তারা আমার অপসারণ চাচ্ছেন তার সুস্পষ্ট কারণ যদি উল্লেখ্য করতে পারেন তাহলে আমি আপনাদের সেই বিষয়ে বলতে পারব। আমি চেইন অফ কমান্ডে কাজ করি। তাই আমি বিশ্বাস করি, আমি যে কাজগুলো করেছি তার যথাযথ আইন দিকগুলো মেইনটেন করেই করেছি। আমি কারো প্রভাবে প্রভাবিত নই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং আইন যেভাবে বলে আমি সেইভাবেই কাজ করি।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থী তানভীর ইসলামের ৫ সমর্থককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ ওঠে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক জুয়েলসহ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর গতকাল শনিবার (৮ জুন) প্রধান অভিযুক্ত জুয়েলের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামসহ কয়েকজনের নামে নির্বাচনের দিন জুয়েলের কার্যালয় ভাঙচুরের মামলা দায়ের হয়।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর