আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী হিনা খান। বিষয়টির সত্যতা তিনি তার ইনস্টাগ্রামে নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি তার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে।

চিকিৎসা শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৮ জুন) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিষয়টি সত্য বলে নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী।

হিনা খান ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, চলমান গুঞ্জন আমার নজরে পড়েছে। যারা আমার ভক্ত, যারা আমাকে ভালোবাসেন সবার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর ভাগ করে নিচ্ছি। আমার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, এখন স্টেজ থ্রিতে রয়েছে। চ্যালেঞ্জিং একটি রোগ শনাক্ত হওয়ার পরও বলছি, আমি ভালো আছি। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। এরই মধ্যে আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা করার জন্যও আমি প্রস্তুত।

তার পোস্টের পর অনেকে তাকে সাহস দিয়েছেন। অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তবে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি হিনা খান। ভারতের একজন চিকিৎসক এক টুইটে জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

বেশ কয়েক মাস ধরে তাকে তেমন ভাবে ছোট পর্দা বা বড় পর্দার কোনও কাজে দেখা যাচ্ছে না। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান। ২০০৮ সালে ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলতা হ্যায় ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পান।


আরও খবর



নিজের নিরাপত্তারক্ষীর কাছেই হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালের তালিকায় আছে বালিকা বধূ। হিন্দি সিরিয়ালটিতে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা মিলেছিল অভিকা গোরের। প্রথম কাজ দিয়েই দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছিল অভিকা। এখন নায়িকা হিসেবে সিনেমা, সিরিয়াল আর ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন তিনি। সম্প্রতি হেনস্তার হওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন নিজের নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল এ অভিনেত্রীকে। কাজের জন্যই কাজাখস্তান গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে এই ঘটনা ঘটে।

কাজাখস্তানে একটি অনুষ্ঠান করতে যান অবিকা। মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এক জন দেহরক্ষী তাকে স্পর্শ করেছিলেন। প্রথমটায় বুঝতে পারেননি অবিকা। দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটে। পিছন থেকে তাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন তার নিরাপত্তাকর্মীদের একজন।

অভিকা গোর বলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে, কাজাখস্তানে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কেউ একজন আমাকে পিছন থেকে স্পর্শ করেছিলেন। পিছন ফিরে দেখি, আমার নিরাপত্তারক্ষীরাই রয়েছেন। আমি যখন মঞ্চে যাচ্ছিলাম, ফের সেই স্পর্শ। পিছনে ফিরতে ওই নিরাপত্তারক্ষীকেই দেখতে পাই।

অবিকা আরও বলেন, আমি ওই ব্যক্তির হাত চেপে ধরি। যখন ওই ব্যক্তির দিকে এটা কী হচ্ছে? তিনি ক্ষমা চেয়ে নেনে। তখন আর কী-ই বা করতে পারতাম অচেনা দেশে। ভাষাও জানি না সেখানকার। তাই বাধ্য ছেড়ে দিই তাকে।


আরও খবর



বিমানবন্দরে লাগেজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলেই লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী নিজের লাগেজ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে এবং তার লাগেজে থাকা পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য বহন করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

কাস্টমসের নতুন আইন-২০২৩ অনুসারে এমন বিধান রাখা হয়েছে; যা আগামী ৬ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে।

গত ৩০ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাস্টমস আইনের ১৫৪ ধারায় বলা আছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের কাছে তার লাগেজ সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। যাত্রী বা ক্রু লাগেজে রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে লিখিত বা মৌখিক ঘোষণা দিতে পারবেন ও কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। লাগেজ তল্লাশির আগে যাত্রী যদি রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন এবং তল্লাশিকালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে কাস্টমস আইন-২০২৩ পাস হয়। পুরোনো আইনে ২২৩টি ধারা ছিল। নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ ও বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, যেমন- অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও), পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ), ইলেকট্রনিক ঘোষণা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) ইত্যাদি নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী, পণ্যের ক্ষেত্রে অসত্য তথ্য দিলে বা কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার অথবা ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ওই পণ্য-মূল্যের অনধিক তিনগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।


আরও খবর



১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এর ফলে নাগরিকরা তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়েই তাদের অঘোষিত সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইন যা-ই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা ফ্ল্যাট, জমির পাশাপাশি নগদ অর্থসহ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ১৫ শতাংশ কর দিলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করায় বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের অজ্ঞতাসহ অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে অর্জিত সম্পদ প্রকাশে ত্রুটি থাকতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের এই ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেয়া এবং অর্থনীতির মূল ধারায় অর্থের প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর আইনে কর প্রণোদনার ওপর একটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বন্দরের পিসিটি টার্মিনালে কন্টেইনার জাহাজ বার্থিং দিয়ে পুরোদমে চালু হচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল (পিসিটি) টার্মিনালে কন্টেনার জাহাজ বার্থিং দিয়ে খালাস কার্যক্রম মাধ্যমে আগামী ৮ জুন থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে। সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি)  বাংলাদেশ লিমিটেডকে পিসিটিতে জাহাজ বার্থিং দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন এমভি মার্কস ডাবো জাহাজ বার্থিং দেওয়া হবে। শুরুতে শুধুমাত্র ক্রেন আছে এমন গিয়ার ভ্যাসেলই এখানে হ্যান্ডলিং করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৮টি শর্তে দেওয়া এই অনুমোদনপত্র পর আগামী শনিবার থেকে এখানে জাহাজ বার্থিং থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। 

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজস্ব বোর্ড পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করার সাময়িক অনুমতি প্রদান করেছে। পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড উক্ত টার্মিনালে বার্থিং নেওয়া জাহাজ থেকে লোডিং,  আনলোডিং,  ট্রান্সপোর্টিং, হ্যান্ডলিং, ইন্টারন্যাশনাল মুভমেন্ট, কন্টেনার খালাস ও ডেলিভারি, শেড ও ওয়্যারহাউজ থেকে পণ্য স্টাফিং এবং আনস্টাফিংসহ সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী ৬ জুন থেকে পিসিটিতে জাহাজের বার্থিং, আমদানিরপ্তানি ও ডেলিভারি সংক্রান্ত অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এনবিআর ৬ জুন থেকে জাহাজ বার্থিংয়ের অনুমোদন দিলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ৮ জুন থেকে জাহাজ বার্থিং দেওয়া শুরু করবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী ৮ জুন থেকে পিসিটি চালু হবে। রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে এই টার্মিনাল পরিচালনা করবে। টার্মিনালটি পরিচালনায় রেড সী গেটওয়ে বিভিন্ন ধরনের ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করবে।

টার্মিনালটি পুরোদমে চালু করতে ৪টি কী গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), ৮টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি (আরটিজি), ৪টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার, ৪টি রিচ স্ট্যাকার, ১টি রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরএমজি), ৪টি লো-মাস্ট ফর্ক লিফট, ২টি ফায়ার ট্রাক, ১টি ফায়ার কার, ৩টি নিরাপত্তা পেট্রোল কার, ১টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০ টনের দুটি টাগ বোট, ২টি পাইলট বোট, ২টি ফার্স্ট স্পিড বোটসহ অন্তত ৮শ কোটি টাকার ইকুইপমেন্ট লাগবে। চুক্তি অনুযায়ী পিসিটির প্রয়োজনীয় সব ইকুইপমেন্ট বিদেশি অপারেটর ক্রয় করবে। দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২২ বছর এই টার্মিনাল পরিচালনা করবে। এরপর ইকুইপমেন্টসহ বন্দরটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

 জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রাইভেট পোর্ট অপারেটরদের বিষয়ে নীতিমালা বা বিধিমালা চূড়ান্ত হলে তার আওতায় আরএসজিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে অবিলম্বে লাইসেন্স বা অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

 রাজস্ব বোর্ড এই টার্মিনালে কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আটটি শর্তগুলো হলো- চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের অর্থায়নে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে এসাইকোডা কানেক্টিভিটি স্থাপনের জন্য যাবতীয় আইটি ইকুইপমেন্ট, এঙেসরিজ, কম্পিউটার, রাউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ফটোস্ট্যাট মেশিন, ইন্টারনেট কানেকশনসহ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক কার্যক্রম, এঙামিনেশন ও আনস্টাফিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষ, যানবাহন ও নিরাপত্তা সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সকল লজিস্টিকস অপারেশনাল কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।

বন্দরে অবতরণীয় পণ্য চালানের বিল অফ ল্যাডিংয়ের (বিএল) কন্টেনার সেগমেন্টে পিসিটির জন্য বরাদ্দকৃত কন্টেনার লোকেশন কোড ব্যবহার করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়ান স্টপ সলিউশন সেন্টারের মাধ্যমে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল হতে পণ্য খালাসকালে নোট ইস্যু করতে হবে। শুল্ক-কর পরিশোধ ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পণ্য চালান পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল থেকে সাউথ কন্টেনার ইয়ার্ডে প্রেরণ করা যাবে না। পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে স্ক্যানার স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন অফডক ও ইপিজেডে গমনকারী কন্টেনারসমূহ কায়িক পরীক্ষণ সাপেক্ষে নিশ্চিত হয়ে প্রেরণ করতে হবে।

পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল হতে খালাসতব্য এলসিএল কার্গো বোঝাই কন্টেনারসমূহ শতভাগ কায়িক পরীক্ষণ করতে হবে এবং এফসিএল কার্গো বোঝাই কন্টেনারসমূহ কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে কায়িক পরীক্ষণ করতে হবে। পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে সকল পণ্য চালানের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় কায়িক পরীক্ষণ ও এসব সবকিছুতে রেড সী গেটওয়েকে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য,  বিমানবন্দর সড়কের উদ্ধার করা নদীপাড়ের ৩২ একর জায়গায় ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পিসিটি নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিসিটি নির্মাণ করে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইইঞ্জিনিয়ারিং এটির নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে লিমিটেডের সাথে গত ডিসেম্বরে চুক্তি সম্পাদনের পর তাদেরকে এই টার্মিনালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এই চ্যানেলে কোনো বাঁক না থাকায় পিসিটি বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা পাবে। এই টার্মিনালে বছরে প্রায় ৫ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। টার্মিনালটিতে ১৬ একর ইয়ার্ড ও ৫৮৪ মিটার দীর্ঘ জেটি রয়েছে। জেটি এলাকায় ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এই টার্মিনালে ১৯০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার ড্রাফটের ৩টি কন্টেনার জাহাজ একসাথে এবং ২২০ মিটার দীর্ঘ ডলফিন জেটিতে ১টি ভোজ্যতেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এতে ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটারের আরসিসি পেভমেন্ট (অভ্যন্তরীণ ইয়ার্ড ও সড়ক), ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কন্টেনার ফ্রেইট স্টেশন (সিএফএস) শেড, ৬ মিটার উঁচু ১ হাজার ৭৫০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, ৫ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের পোর্ট অফিস ভবন, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটারের যান্ত্রিক ও মেরামত কারখানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।


আরও খবর



জীবিত তিনজনকে মৃত্যু সনদ, ভাতা তুলছেন অন্যরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জীবিত তিন ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাদের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও খবিরুল আহসান।

ভুক্তভোগীরা হলেন খলিশাউড় ইউনিয়নের গড়ুয়াকান্দা গ্রামের হযরত আলী (৭১), হোগলা ইউনিয়নের জামিরাকান্দা গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ফকিরের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৭৭) ও পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর মেয়ে খাদিজা আক্তার (৬০)। তাদের মধ্যে হযরত আলী ও জহুরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মিলে তাদের মৃত দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিদের ভাতা সুবিধা করে দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানদের দাবি, তাদের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরাবর দেওয়া হয়েছে।

হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন তিনি। ভাতার দুই কিস্তি তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে না আসায় বিষয়টি জানতে সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারের দেওয়া প্রত্যয়ন মোতাবেক তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ বয়স্ক ভাতা অন্য ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, একই গ্রামের হযরত আলী নামে দুই ব্যক্তির একজন মারা গেলে ভুলবশত জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। এই ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে সমাজসেবা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

জহুরা খাতুনের অভিযোগ, তিনিও নিয়মিত বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন। হঠাৎ ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। পরে জানতে পারেন তাঁকেও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর পরিবর্তে হালিমা খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এক বছর ধরে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

তবে হোগলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের দাবি, তাঁর অজান্তে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভুলবশত এমনটি করেছেন। তবে ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার ২০১৯ সালে যাচাই-বাছাই শেষে বিধবা ভাতার কার্ড পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভাতা পান তিনি। এই ভাতার টাকায় নিজের ব্যয় বহন করতেন। গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকে ভাতা পাচ্ছেন না তিনি। কারণ জানতে সমাজসেবা অফিসে খবর নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয়, আপনি তো মারা গেছেন। তাই ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, বিধবা ভাতা না পাওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। এ ধরনের বিষয় অহরহ ঘটছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সমাধানের জন্য আমরা সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়ে দিই।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মৃত্যু সনদ দিয়ে সুপারিশ পাঠালে ভাতাভোগী দুজনকে মৃত দেখিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রকৃত বিষয়টি যেহেতু জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান জানান, জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দিয়ে ভাতা কেটে দিয়ে অন্যজনের নামে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে খাদিজা আক্তার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমাজসেবা বিভাগে বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতাসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর