আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

গেটওয়ে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেলেন ইভ্যালির ১৪ গ্রাহক

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পেমেন্ট গেটওয়ে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির ১৪ গ্রাহক। এসএসএল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করা ১৪টি লেনদেনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ধাপে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ তারিখ থেকে রিফান্ড কার্যক্রম শুরু করেছে ইভ্যালি। ধাপে ধাপে বিকাশ, নগদ ও এসএসএলে আটকে থাকা টাকাগুলো গ্রাহকদের রিফান্ড করা হবে।

ইভ্যালির সবচেয়ে বেশি ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আটকে আছে নগদে। বিকাশে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ও এসএসএলে আছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ছোট কিছু অ্যামাউন্ট আছে বিভিন্ন সার্ভিসে, তবে সেটির পরিমাণ খুবই কম।

আরও জানা গেছে, প্রথম ধাপে এসএসএলের মাধ্যমে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আজ অথবা কালকের মধ্যে নগদে আটকে থাকা দেড় কোটি টাকার একটি বড় পেমেন্ট রিফান্ড করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এস্ক্রো নীতিমালা কার্যকর হয়। এরপর পণ্য কেনার জন্য পেমেন্ট গেটওয়েতে টাকা জমা দেওয়ার পর গ্রাহক তা বুঝে পেলে সেই টাকা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা হতো।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকের নামে সাইবার আইনে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও  রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা। দ্রুত সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

শনিবার (১১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সভাপতি শামসুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সাগর। এসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করবেন এবং সংবাদ প্রকাশ করবেন। প্রচলিত আইনে সংবাদের ভুল তথ্য বা সম্মানহানি হলে প্রতিবাদসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। কিন্তু একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে কালো আইনে সাইবার আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজী শাহেদ ওই সংবাদে অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য প্রচার করেছেন। সংবাদে কাজী শাহেদ নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার বা মতামত প্রদান করেননি। তবুও অতি উৎসাহী হয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো সংবাদে টিভি রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের প্রকৃত আইনের অপব্যবহার, যা না করার ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার আছে। দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অবিলম্বে সাইবার আদালতের উক্ত মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এ আইন দিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন। তিনি তাঁর অতীত ভুলে যেতে পারেন আমরা কিন্তু ভুলিনি। কোনো আইন দিয়ে সংবাদ কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না।

সুমনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনি সাংবাদিকদের এ কালো আইনে ভয় দেখাতে এবং নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছেন। সে সুযোগ আপনি পাবেন না, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। তা না হলে থলের কালো বিড়াল বের হয়ে যাবে। কতজনের নামে মামলা করবেন। এক এক করে সবাই যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু করবে তখন কোথায় যাবেন?


আরও খবর



সাবেক এমপি’র বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রতিরোধ করার হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজ্জাফ্ফর হোসেনের বিরুদ্ধে বিজন বাবুর (মোটরসাইকেল প্রতীক) বাইরে ভোট দিলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিহত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্র সমাবেশের তাঁর দেওয়া বক্তব্যের এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ভোটাদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ছাত্রলীগ আয়োজিত বাবু বিজন কুমার চন্দের (মোটরসাইকেল প্রতীক) নির্বাচনী ছাত্র সমাবেশে সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া কাচারি মাঠে তিনি এ বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন সদর (জামালপুর-৫) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজন কুমার চন্দ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ছাত্র সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম জাফর ইকবাল জাফু, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেনকে ভিডিও ক্লিপটিতে বলতে শোনা যায়- আমি বলতে চাই, বিজন বাবুকে ছাড়া তোমরা যদি আর কাউকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করো, তাহলে আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সর্বস্তরের জনগণ প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ। তাই বলতে চাই আর দেরি নাই, আর মাত্র দুটো দিন আছে, এখনো সময় আছে আসো। আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের পিছে আসো। বিজন বাবুর মোটসাইকেল মার্কা ভোট দাও, তা না হলে মানুষ ক্ষমা করবে না। আবার চেয়ারম্যানগিরী করতে চাও, করতে পারবা যদি বিজন বাবু উপজেলার চেয়ারম্যান হয় তাহলেই পারবা। না হলে পারবা না।'

ওই বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন প্রথমেই সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করলেও পরে তাঁকে ভিডিও রয়েছে বললে তিনি তাঁর কোন স্বদ্যোত্তর দিতে পারেননি।

এসব বিষয়ে জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের  বলেন-'এই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগও দিয়েছে কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন। বক্তব্য দেয়া ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কেনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মোজাফফর হোসেনকে।

মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার আরো বলেন- এই ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দের প্রার্থীতা বাতিল করতে কেনো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পত্র প্রেরন করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাবু বিজন কুমার চন্দকে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৮ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



পিরোজপুরে নির্মিত হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন জেলা সার্কিট হাউজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা শহর পিরোজপুরে আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শনের একটি সার্কিট হাউজ অচীরেই নির্মিত হতে যাচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এর তত্ত্বাবধানে এ জেলা সার্কিট হাউজটির নির্মাণ কাজ ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে সমাপ্ত হবে। ৬ তলা বিশিষ্ট এ সার্কিট হাউজে ৬টি অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধায় সুসজ্জ্বিত ভিভিআইপি শয়ন কক্ষ, ৮টি সুসজ্জ্বিত ভিআইপি শয়ন কক্ষ এবং ১৪টি শয়ন কক্ষ থাকবে। ১টি হাই ক্যাপাসিটির লিফটসহ মোট ৩টি লিফট ৬ তলা পর্যন্ত চলাচল করবে। ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের জন্য ১৬ সিটের ১টি অত্যাধুনিক ডাইনিং রুম এবং ৭০ সিটের অপর ১টি ডাইনিং রুমও থাকবে এ জেলা সার্কিট হাউজে।

এছাড়া ২টি সম্মেলন কক্ষ থাকবে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত। জিমসহ শরীর চর্চারও সব ধরনের সুব্যবস্থা থাকবে এ ভবনে। এ ভবনে ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব সিসি ব্লক লাগানো হবে। আরসিসি ফ্রেমও ব্যবহার করা হবে এ ভবন নির্মাণে। ভিভিআইপি ও ভিআইপি রুমে ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলিং সিস্টেমও তৈরী থাকবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধার্থে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সকল সুযোগ সুবিধা এ অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন ভবনে স্থাপন করা হবে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন বিভিন্ন কারণে দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা এইটি। ৪০ বছর পূর্বে নির্মিত সার্কিট হাউজে ভিভিআইপিদের থাকার সুব্যবস্থা নেই এবং সম্মেলন কক্ষ, ডাইনিং কক্ষসহ পুরো ভবনটি এখন অনেকটাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে একটি অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ নির্মিত হতে যাচ্ছে শুনে এ জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি আনন্দিত।

গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ সৈকত জানান, ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ১টি দৃষ্টিনন্দন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে গণপূর্ত বিভাগ গত মাসে বিচার বিভাগের নিকট হস্তান্তর করেছে। এ জেলা সার্কিট হাউজ ভবনটির নির্মাণ কাজ যথা সময়ে শেষ করে জেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

পিরোজপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান জানান পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন এ অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ নির্মাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, এখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।  


আরও খবর



সুন্দরবনের গহিনে এখনও জ্বলছে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পরও সুন্দরবনে লাগা ভয়াবহ আগুন নেভেনি। বাগেরহাটের শরণখোলায় পূর্ব সুন্দরবনের গহিনে এ আগুন এখনও জ্বলছে দাউ দাউ করে। তবে দুঘণ্টা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।

রবিবার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে তারা। তবে এখনও ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। সুন্দরবনের মাটির ওপরে থাকা বিভিন্ন গাছের পাতার স্তূপের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ৫০টি জায়গায় আগুন জ্বলছে; এর ব্যাপ্তি হবে দেড় কিলোমিটারজুড়ে।

এর আগে, শনিবার (৪ মে) দুপুর ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় এ আগুন লাগে। এরপর সন্ধ্যায়ও মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে বনের গহিনে ঘটনাস্থল পৌঁছাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাই আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিতে একটু সময় লেগেছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম।

তিনি বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের কথা শোনার পর বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সেখানে যায়। এখনও সেখানে আগুন জ্বলছে। সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছেন কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।

বনের মধ্যে কীভাবে আগুন লেগেছে বা কী পরিমাণ জায়গায় আগুন লেগেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগুন লাগার কারণ এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। তবে এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

বেল্লাল ফকির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, লোকালয় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আগুন ধরেছে। পাতার মধ্য থেকে আগুন ওপরে উঠছে। বড় বড় গাছ পুড়ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আমরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছায়। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যার কারণে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে সময় লেগেছে।’

আগুনের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বনের ভেতর প্রচুর পরিমাণ শুকনো পাতা রয়েছে; যার কারণে আগুনটা বাতাসে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। তবে আগুন নতুন এলাকায় যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’

আগুন নেভাতে যাওয়া সিপিজি সদস্য মণিময় মণ্ডল বলেন, বনভূমির বিভিন্ন স্থানে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুনের প্রচণ্ড তাপে ভেতরে প্রবেশ করতে কষ্ট হচ্ছে। কাছাকাছি কয়েকটি জায়গার আগুন আমরা নেভাতে পারলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন যাতে নতুন এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আমরা শুকনো গাছ অপসারণ করেছি। বিভিন্ন স্থানে ছোট ফায়ার লাইন কেটে রেখেছি।’


আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এস. এম. একরাম উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউনিটের (কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এবং পোষ্যকোটার প্রার্থীদেরকে বিষয় পছন্দক্রম এবং মেধাস্কোর-এর ভিত্তিতে তাদের রোল নম্বরের পাশে উল্লিখিত বিভাগে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১২ মে থেকে ১৪ মে (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে) মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটর-এর অফিসে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ডীনস্ কমপ্লেক্স) উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকারসহ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে ইউনিটে তাদের ভর্তির মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।

ভর্তি হওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের মেধাস্কোর ও বিভাগ পছন্দের ক্রমানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তনের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ভর্তি হওয়ার পর কোনো ছাত্র/ছাত্রী বিভাগ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাকে অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে স্বয়ংক্রিয় বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে প্রস্তুতকৃত তালিকা থেকে মেধানুসারে পর্যায়ক্রমে ভর্তির জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে আগামী ১৬ মে প্রকাশ করা হবে।


আরও খবর