আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

হিতকরীর অনন্য উদ্যোগ ‘ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

মায়ানী গ্রামের আফিয়া খাতুন। ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বহু কষ্ট করে গত সপ্তাহে খুজে নিলেন উপজেলার আবুতোরাবস্থ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েলকে। তাকে জড়িয়ে ধরে জানালেন নিজের অসুবিধার কথা। বললেন ছেলেরা কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। একজন আরেকজনের কাছে চলে যেতে বলেন। আজকে ৮ মাস প্রেসার বাত ব্যথায় নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি, হাঁটার শক্তিও নেই যে সরকারি ডাক্তারখানায় যাব, চিকিৎসা নেব, কেউ টাকা দেয় না যে ওষুধ কিনে খাবো!

তার শারীরিক অবস্থা দেখে হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল ইসলাম রয়েল সিদ্ধান্ত নেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে যাবেন তাঁর বাড়িতে। পরামর্শ নিলেন ওই সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদের। তাঁর শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও রাজি হলেন সেবা দিতে। তারা এই ক্যাম্পেইনের নাম দিলেন ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি

এবার তাঁরা চান আরেকটু বড় পরিসরে। প্রস্তুতি নিলেন ১০ জন দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসাপত্র, চেকাপ ও ওষুধ প্রদান করার। এর মাঝে বাঁচাই করতে গিয়ে দুইটি ইউনিয়নে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জন। মায়ানী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে এতগুলো রোগীকে ভালো করে ফলোআপ করা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় হিতকরীর স্থায়ী কমিটির সমন্বয়ক আলতাফ হোসেন জানালেন ডা. জয়নাল আবেদিনের কথা। বিষয়টা জানালে তিনি সদিচ্ছা প্রকাশ করেন।

তাঁরা দুইটি টিমে ভাগ হয়ে দুই ইউনিয়নে দিনব্যাপী রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন। ডা. জয়নাল আবেদিন মঘাদিয়া ইউনিয়নে ১০ জন চলাচলে অক্ষম বৃদ্ধ বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন। এবং মায়ানি ইউনিয়নে ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদ ১৪ জন ও সাহেরখালী ইউনিয়নের ১ জনসহ মোট ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন কথাগুলো বললেন হিতকরী-র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কমিটির পরিচালক শহিদুল ইসলাম রয়েল।

জানতে চাইলে হিতকরীর সভাপতি জহির উদ্দিন রনি বলেন, আমরা চাই দানবীরদের প্রতিটি টাকা মানুষের কাজে লাগুক। যেসব পদক্ষেপ নিলে আর্ত পীড়িত মানুষ দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হয়, আয়োজনে তা সীমিত হলেও হিতকরী নীতিগতভাবে সেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। রোগিদের প্রাথমিকভাবে এক মাসের ঔষধ দেয়া হয়। ইনশাআল্লাহ স্লিপের বাকি ঔষধগুলোও পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা হবে। আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মায়ানী মঘাদিয়া ইউনিয়নের আমাদের দুই গর্ব ডা. জয়নাল আবেদিন ও ডা. নুর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদকে।

হিতকরীর নির্বাহী পরিচালক নুরুচ্ছালাম ভূঁইয়া ফোরকান বলেন, স্বয়ং ডাক্তার নিজেই রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দেবে- এটি অনেক রোগীর জন্য সারপ্রাইজ ছিল। একজন বৃদ্ধা মাকে আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের পানি ফেলতে দেখে আমরাও আবেগাপ্লুত হয়েছি। অনেক রোগী হাত তুলে দোয়া করেছেন ডাক্তারের জন্য, সংগঠকদের জন্য, যারা নাম গোপনে অর্থায়ন করেছেন তাঁদের জন্য। এই আয়োজনে সম্পৃক্ত সবাইকে আল্লাহ যেন এর সর্বোত্তম বিনিময় দেন সেই দোয়া করি।

নিউজ ট্যাগ: ডাক্তার

আরও খবর



দুপুর গড়াতেই রাজধানীর অধিকাংশ পশুর হাট ফাঁকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র একদিন বাকি। ঈদকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে সরগরম হয়ে উঠলেও শেষ দিনে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানীর অধিকাংশ পশুর হাট। রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সর্বোচ্চ। ফলে বড় গরু ছাড়া মোটামুটি সবই বিক্রি হয়ে গেছে। যা আছে তা-ও সন্ধ্যার মধ্যে চলে যাবে বলে আশা তদের।

এতদিন রাজধানীর হাটগুলোতে কোরবানির পশুর কেনাবেচা তেমন একটা না হলেও শুক্র ও শনিবার একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অনেকেই তাদের পছন্দের পশু কিনে বাড়ি ফিরেছেন। কেনাবেচা বেশি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও।

গত দুদিনে তেজগাঁও হাটের জন্য নির্ধারিত মাঠ ছাড়া আশপাশের সড়ক ও গলিতে গরুর উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে আজ ফাঁকা হতে শুরু করেছে পশুর হাটটি। দুপুর ২টার মধ্যে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে কলোনি বাজার হাট। সড়ক থেকে মাঠ, গুটি কয়েক গরু ছাড়া তেমন পশু চোখে পড়েনি। যা রয়েছে তা-ও বড় সাইজের গরু।

রৌমারি থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এসেছিলেন আলী হোসেন। তার সব গরুই সকালের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মোট ১৬টা গরু নিয়ে এসেছিলাম। সবগুলোই মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু। আজকে সকালে সর্বশেষটা বিক্রি হয়েছে। বাজারে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদাই বেশি।

তবে এ সাইজের অবিক্রিত গরুও রয়েছে। ভালুকা থেকে মোট ৯টি মাঝারি সাইজের গরু নিয়ে এসেছিলেন জয়নাল মিয়া। তিনি বলেন, ৯টা গরু এনেছিলাম। এই মুহূর্তে ৪টা রয়েছে। দামে মিলছে না, তাই দামাদামি হলেও ছাড়িনি। বিকেল পর্যন্ত দেখব। এরপর যা আছে কপালে।

রাজধানীর মেরাদিয়া হাটের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে পর্যাপ্ত পশুর দেখা মিললেও এখন অনেকটাই ফাঁকা। এই হাটে গরু কিনতে এসে মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, এবার এ হাটে প্রচুর কোরবানির পশু এসেছে। ছোট, বড়, মাঝারি সব প্রজাতির গরু-ছাগল এসেছে। শেষ দিনে এতটা ফাঁকা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি মোট ৬টা বড় সাইজের গরু নিয়ে এসেছিলেন এর মধ্যে ৪টা বিক্রি হয়েছে। সবথেকে বড় দুইটা রয়ে গেছে।


আরও খবর



রাশিয়ায় কারাগারে ছয় জনকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী দুই কারারক্ষীকে উদ্ধারসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ গুলি করে হত্যা করা হয়।

রোববার (১৬ জুন) ওই দুই কারারক্ষীকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রসটভে কারাগারে জিম্মি করা হয়। দেশটির স্থানীয় মিডিয়ার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের কয়েকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসর সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়া এ বছরের মার্চে মস্কোর কনসার্ট হলে ভয়াবহ হামলার জন্য দায়ী ছিল এই গোষ্ঠীটি।

ছয় জিম্মিকারীদের মধ্যে একজনের মাথায় হেডব্যান্ড দিয়ে আইএসর পতাকা বাঁধা ছিল। যেখানে আরবিতে কিছু লেখা ছিল। কারারক্ষীদের উদ্ধার করতে গেল তারা রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

টেলিগ্রাম চ্যানেল ১১২ তে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ছয় জনের একজন ছুরি নিয়ে কারারক্ষীদের ওপর হামলা চালায় এবং কারাগার থেকে বের হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালায়। এ অবস্থায় রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী কারাগারে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। টেলিগ্রামে চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে স্বয়ংক্রিয় গুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ওই ভিডিওতে নিহত ছয় জনের রক্ত গড়িয়ে যেতে দেখা যায়।

রাশিয়ার ফেডারাল পেনিটেনশিয়ারি সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারে এক বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। তারা নিরাপদে আছে।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিম্মিকারীদের মধ্যে তিনজন রাশিয়ার দক্ষিণ প্রজাতন্ত্র ইংগুশেটিয়ার বাসিন্দা। ২০২২ সালে রুশ প্রজাতন্ত্র কারাচে-চের্কেসিয়ার আদালতে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



পৃথিবীতে এলিয়েন বসবাস নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন তথ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কি না, এ নিয়ে বছরের পর বছর গবেষণা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এলিয়েনের বাস্তব অস্তিত্ব কোনো গবেষণায় স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। এবার নতুন করে এলিয়েনের অস্তিত্বের বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীতে মানুষের মাঝেই এলিয়েনের বসবাস। তবে তারা লুকিয়ে বসবাস করে। খবর এনডিটিভি 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েল হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রামের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, অপরিচিত অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা (ইউএপি), যা সাধারণত ইউএফও এবং বহির্জাগতিক প্রাণী হিসেবে পরিচিত। তারা ভূগর্ভস্থ, চাঁদে কিংবা মানুষের মাঝে চলাফেরা করতে পারে। এছাড়া গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে- এলিয়েনের ব্যবহৃত স্পেশশিপের মাধ্যমে তারা পৃথিবীতে বসবাসকারী তাদের গোত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

গবেষণাটি তথাকথিত ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস এর ধারণা নিয়ে আরও গবেষণা করছে। তবে তাদের ধারণা, এলিয়েনরা হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মধ্যে বসবাস করছে। এরা পৃথিবীর ভবিষ্যৎ থেকে উদ্ভূত হতে পারে। কিংবা বুদ্ধিমান ডাইনোসর থেকেও আসতে পারে।

ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল ধারণা দিয়ে সেই সব ভিনগ্রহী প্রাণীকে বোঝানো হচ্ছে যেগুলো হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে বসবাস করছে। এই ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল চারটি রূপে আবির্ভূত হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

১.  হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা। এরা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু অবশিষ্ট আকারে বিদ্যমান আছে।

২.  হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা, যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত। এরা পৃথিবীতে গোপনে বসবাসের জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এগুলো একটি বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা অজানা বুদ্ধিমান ডাইনোসর এর বংশধরও হতে পারে।

৩.  এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এই প্রাণীরা মহাজাগতিক বা মানব ভবিষ্যত থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে পারে এবং চাঁদের মতো লুকিয়ে থাকতে পারে।

৪.  ম্যাজিকাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এমন সত্তা, যাদের মাঝে স্বদেশী এলিয়েনদের মতো বৈশিষ্ট কম রয়েছে। এই প্রাণীগুলো মানব জগতের সাথে সম্পর্কিত, তবে কম প্রযুক্তিগত। আর এরা বেশ যাদুকর, যেমন পরী।

গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই গবেষণা অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে। তবে তারা বিজ্ঞানীদেরকে জ্ঞান, নম্রতা ও খোলামেলা মনোভাব নিয়ে তাদের দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



কলাপাড়ায় ২৬ হাজার ৮ শ' ৮০ পিচ বিয়ারের চালান জব্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২৬ হাজার ৮ শ' ৮০ পিচ ক্যান বিক্রি নিষিদ্ধ চাইনিজ বিয়ার সহ ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। যা দেশ স্বাধীনের পর দক্ষিণাঞ্চলে এটাই প্রথমবারের মতো বৃহৎ বিয়ারের চালান বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। জব্দকৃত এসব বিয়ারের বাজার (অবৈধ) মূল্য ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।

শুক্রবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাপাড়া থেকে ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোল প্লাজা থেকে একটি কার্গোভ্যানসহ এসব মাদক জব্দ করা হয়।

আটককৃত বাসিরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রাব্বি পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাইনিজ ওরিয়েন্টাল পার্লে কর্মরত। এছাড়া রুবেল মুন্সী জব্দকৃত কার্গোভ্যানের চালক।

আটক চায়না ওরিয়েন্টাল পার্লর দোভাষী বাসিরুল ইসলাম ওরফে রাসেল জানান, নির্মাণাধীন পটুয়াখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চিনা নাগরিক ওমর ফারুক তাদের এই বিয়ার পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কার্গোভ্যানে কি মজুত করা ছিল তা তিনি জানতেন না।

একই কথা জানান গাড়ি চালক রুবেলও। তিনি বলেন, চায়নিজদের মালামাল প্রায় সময়ই ঢাকাতে পরিবহণ করতেন। তবে কি মালামাল থাকে তা জানেন না তিনি।

পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, গোয়েন্দা নজরদারীতে বৃহৎ এই মাদকের চালান জব্দ করতে সক্ষম হই। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছেন। তার নির্দেশেই আমরা কাজ করেছি।

তিনি বলেন, চায়না থেকে নৌ-পথে এসে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটি দিয়ে সিংথাও নামের এই বিয়ার খালাস হয়েছে। পরে কার্গোযোগে সড়ক পথে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। এই চালানে এখনো পর্যন্ত এক চায়না নাগরিকের সংশ্লিষ্টতার কথা বলছে আটককৃতরা। তবে মামলা শেষে অধিকতর তদন্ত করা হবে।


আরও খবর



নড়াইলে বজ্রপাতে প্রাণ গেল তিনজনের

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

নড়াইলে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের। এসময় আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার মধ্যরাতে উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের রামনগরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা সবাই মাঠে শুকর চরাতেন বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাজীয়াড়া গ্রামের রতন মণ্ডল (৫৫), খুলনার নিজগ্রাম এলাকার মিল্টন রায় ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নন্দ ঢালি (৫০)।

আহত চিত্ত মণ্ডল একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

জানাগেছে, গত ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে শুকর চরাতে বের হয়েছিলেন তারা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিন দিন আগে তারা নড়াইল সদর উপজেলার রামনগরচর বিলে এসেছিলেন। রোববার মধ্যরাতে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল। সকালে স্থানীয়রা মাঠে যাওয়ার সময় তাদের দেখতে পেয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

কলোড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রদিপ কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে স্থানীয়রা জানায় রাতে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। এসময় ১জন আহত হয়। আহতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি(তদন্ত) সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্থান্তর করা হবে।


আরও খবর