আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইমরানকে গ্রেফতারে নতুন সংকট, কোন পথে পাকিস্তান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে। গ্রেফতারের পর পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করলেও রাজধানীতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পিটিআই নেতারা অভিযোগ করেছেন, গ্রেফতারের সময় তাদের চেয়ারম্যানকে নির্যাতন করা হয়েছে। জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে সংকটের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ঋণ না পেলে পাকিস্তান ঋণখেলাপি হয়ে পড়বে বলে সতর্ক বার্তার মধ্যেই নতুন করে এই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তীব্রতা পেলো। সম্প্রতি ইমরান খান ওয়াজিরাবাদে তাকে হত্যার চেষ্টায় সেনা কর্মকর্তা ডিজি-সি মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসের জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। তার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

এর আগে কয়েক দফা তাকে গ্রেফতারে ব্যর্থ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। বিশেষ করে লাহোরে তার জামান পার্ক বাসভবনে দুই দফা অভিযানে গেলেও তাকে গ্রেফতার না করেই ফিরতে হয় পুলিশকে।

যত সংকট: সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান কখনোই একটি স্থিতিশীল দেশ ছিল না। দেশটির অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে, রাজনৈতিকভাবে মেরুকরণ করা হয়েছে সমাজকে। লাখ লাখ মানুষ এখনও গত বছরের বিধ্বংসী বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠায় ব্যস্ত। এসবের পাশাপাশি দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছেই। অনেকে নিজেদের এবং তাদের সন্তানদের খাবার নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করছেন। দেশের যখন এমন করুন দশা তখন পাকিস্তানের ক্ষমতায় কে থাকবেন তা নিয়ে রাজনীতিবিদ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চলছে টানাপড়েন।

সম্প্রতি স্বতন্ত্র মানবাধিকার গোষ্ঠী হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান (এইচআরসিপি) গণতান্ত্রিক রীতিকে অবমাননা করার জন্য বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করেছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক হারিস খালিক বরেছেন, শুধু রাজনীতি নয়, পুরো সমাজও গভীরভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে বসে এবং জাতীয় স্বার্থের খাতিরে সংলাপের মাধ্যমে নিজেদের বিরোধ মীমাংসা না করলে আমরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নোংরা লড়াইয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

সংকটের কারণ: প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, এই সংকটের জন্ম দিয়েছে রাষ্ট্রের ভেতরের রাষ্ট্র। এর মাধ্যমে তিনি মূলত দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করেছেন। তার কথায়, পাকিস্তান নজিরবিহীন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের মুখে। ইমরান খানকে উৎখাত ছিল ভুল এবং আমরা দেখছি জনগণ ও ক্ষমতাসীন জান্তার মধ্যে এক বিভাজন তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেহমাল সরফরাজ বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা পুরো ব্যবস্থাকে আরও কঠিন করে তুলছে। পাকিস্তানে পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। এতে রাজনৈতিক দল বা পাকিস্তানের জনগণ কেউ লাভবান হবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানকে ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করার পর থেকেই বর্তমান পরিস্থিতির জন্ম হয়।

উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ইমরান খান বিষয়টাকে মেনে নেননি। আবার এটাও সত্যি যে ইমরান খানের সক্রিয়তা এবং আন্দোলনকেও উপেক্ষা করবে না সরকার।

ইমরান খান পাকিস্তানজুড়ে একের পর এক সমাবেশ ও কর্মসূচির মাধ্যমে শাহবাজ সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছেন। প্রতিক্রিয়ায় ইমরানের বিরুদ্ধে আদালতের মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পিটিআই জানায়, সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং আদালত অবমাননাসহ শতাধিক মামলা ঝুলছে ইমরানের কাঁধে। তিনি অবশ্য এসবকে স্বাভাবিক রাজনীতি হিসেবেই দেখছেন। তিনিও সরকারকে আদালতে টেনেছেন। জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে তার দল পিটিআই দেশের দুটি প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেয়। এটির মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে চলছে।

এই চলমান আদালতের লড়াই বিচার বিভাগকে বিভক্ত করেছে। কয়েকজন বিচারকের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে। বিচার বিভাগে এই বিভাজন এবং তীব্র মতবিরোধ সাংবিধানিক সংকটের শঙ্কা তৈরি করছে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে বিভাজন: মঙ্গলবার ইমরানকে গ্রেফতারের পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ইসলামাবাদে পুলিশ প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, তিনি সংযম দেখাচ্ছেন এবং সতর্ক করে বলেছেন ১৫ মিনিটের মধ্যে ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান আদালতে হাজির না হলে প্রধানমন্ত্রীকে তলব করা হবে। আমের ফারুক বলেন, দ্রুত আদালতে আসুন এবং আমাদের জানান কোন মামলায় ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এতে বিচার ব্যবস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিভাজন আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধ আরও বাড়বে। বিচার ব্যবস্থা, রাজনীতি ও সাংবিধানিক সংকট আরও জোরালো হবে অর্থনৈতিক নিম্নমুখীতার কারণে।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের ফেলো মাদিহা আফজাল সতর্ক করে বলছেন, আমি দেখছি এই সংকট গভীর হচ্ছে। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুব কঠিন হবে। সেনাবাহিনী, আইনসভা ও বেসামরিক সরকার ও বিচারব্যবস্থা-সবাই কলঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী ও বিচার ব্যবস্থার রাজনীতিকরণ ও মেরুকরণ হয়ে পড়েছে। জনগণের আস্থা নেই তাদের প্রতি। তারা পাকিস্তানকে এই সংকট থেকে টেনে তুলতে পারবে না।

বিতর্কিত সেনাবাহিনী: পাকিস্তানের এমন দশার জন্য সামরিক এবং গোয়েন্দা পরিষেবাগুলোকে প্রায়শই দায়ী করা হয়। শুরু থেকেই দেশটির সেনাবাহিনী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কখনও কখনও সামরিক অভ্যুত্থানে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। অন্য সময়ে পর্দার আড়াল থেকে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে তারা। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ইমরান খান ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জয় পেয়েছিলেন। বিরোধীদলে থেকে সেই ইমরান এখন সেনাবাহিনীর সোচ্চার সমালোচক। বিশ্লেষকরা বলছেন, দিনে দিনে পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর জনপ্রিয়তা কমছে।

মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আমার মনে হচ্ছে সেনাবাহিনীর সিনিয়র নেতৃত্ব তাকে (ইমরান খান) রাজনীতিতে না দেখলে খুশিই হবে। আবার সেনাবাহিনীর নিম্ন ও মধ্যম পদের অনেকেই তার কট্টর সমর্থক। ইমরান খান রাজনীতির মেরুকরণ করেছেন। তিনি জনসাধারণ এবং সেনাবাহিনীকেও মেরুকরণ করেছেন। এটা বন্ধ করা কঠিন।

ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)-এর পরোয়ানার ভিত্তিতে। ১ মে সংস্থাটির চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব.) নাজির আহমেদ বাট এই পরোয়ানা জারি করেছেন। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৯৯-এর ৯এ ধারায় ইমরানকে কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে দেশটির সেনাবাহিনীর এখনও অনেক ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে। অনেক সময় দেশটির বিচারব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর মিত্রদের কারণে এই প্রভাব আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে সংকটের সময় বিচার ব্যবস্থা সাধারণত সামরিক কর্মকর্তাদের পক্ষ নেয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সাংবিধানিক ভূমিকার মধ্যে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে।

দেশটির এক আইনজীবী ইমান মাজারি বলছেন, রাজনীতিকরা একসঙ্গে বসে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিরোধিতা না করলে আমরা অতীতের মতো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এবার মেরুকরণ চূড়ান্ত খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। সামরিক-বিচারিক সংযোগের ফলে যে ভুলগুলো হয়েছে তার প্রতিকারের প্রয়োজন এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন। সম্পূর্ণ নৈরাজ্যের দিকে এগিয়ে যেতে না চাইলে নির্বাচন আয়োজনে বিলম্ব করা উচিত হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ইমরান খান

আরও খবর



হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর



সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর



খারকিভে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে: জেলেনস্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন দেশটির খারকিভ শহর ঘিরে কঠিন লড়াই চলছে। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এলাকাটির বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতেই খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবারও সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। নতুন করে খারকিভ সীমান্তে রাশিয়ার আকস্মিক হামলায় কিছুটা হকচকিত হয়ে পড়ে সেনা ও অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী।

২০২২ সালের মধ্য ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ভূখণ্ড দখলে বড় সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী। বুধবারও খারকিভের দুটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের তথ্য বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৯ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে রাশিয়া।

তবে ইউক্রেনের দাবি, কিছু কিছু স্থানে রুশ বাহিনীকে তারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজার ভলোশিন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, তাদের সেনারা রুশ দখলদার বাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। তবে শত্রুরা অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে। কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।


আরও খবর



দাম কমলো সোনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে এক লাফে ৩১৩৮ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকেই সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার দাম কমেছে তিন হাজার ১৩৮ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে ভালো মানের সোনা প্রতি ভরি (২২ ক্যারেট) বিক্রি হবে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকায়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা করা হয়েছে।

তবে দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তীত রেখেছে বাজুস।


আরও খবর