আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেল স্লোভেনিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে স্লোভেনিয়া। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সাংবাদিক ও আইনজীবী নাতাসা পিরক মুসার। যিনি সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের আইনজীবী ছিলেন। তিনি স্লোভেনিয়ার বামপন্থী সরকারের সমর্থন নিয়ে এই নির্বাচনে লড়েছিলেন। সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নাতাসা পিরক মুসার দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনজে লোগারকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। নাতাসা পিরক মুসার ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনজে লোগার পেয়েছেন মাত্র ৪৬ শতাংশ ভোট বলে জানিয়েছেন দেশটির নির্বাচন কমিশন। স্লোভেনিয়ার প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে উপস্থিতি ছিল মাত্র ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ।

জয়ের পর পিরক মুসার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকেই স্লোভেনিয়া তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কঠিন সময়ের মুখোমুখি। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্ম যাতে একটি সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাস করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।


আরও খবর



সিভাসুর গবেষকরা তৈরি করলো প্রোটিনসমৃদ্ধ কাঁঠালের চিপস

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাজারের হরেক রকম মুখরোচক চিপসের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে মানুষ যখন দুশ্চিন্তায়, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা জাতীয় ফল কাঁঠাল থেকে তৈরি করলেন প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস।

সিভাসুর ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপস ১০০ গ্রামের প্যাকে পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে স্থাপিত সিভাসু ফুড আউটলেট

সিভাসুর এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ও কাঁঠালের চিপসের প্রধান প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুল হক জুয়েল বলেন, 'আমাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। কিন্তু বাজারে প্রচলিত যেসব চিপস পাওয়া যায় তা মূলত কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ। কাঁঠাল যেহেতু প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল, তাই চিপসের মাধ্যমে মানুষের প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করার প্রয়াসে আমাদের এ উদ্যোগ।

তিনি আরও বলেন, কাঁঠাল একটি দ্রুত পচনশীল মৌসুমি ফল। কিন্তু এই চিপস তৈরির ফলে কাঁঠালের অপচয় যেমন রোধ হবে, তেমনি সারাবছরব্যাপী কাঁঠালের পুষ্টিও পাওয়া যাবে। এছাড়াও অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ চিপসে যেখানে অ্যাক্রিলামাইড (কারসেনোজেনিক পদার্থ-যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়) থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, সেখানে এই কাঁঠালের চিপসে অ্যাক্রিলামাইড থাকার চান্স একেবারেই নগন্য।

চিপসটি সম্পর্কে সিভাসুর কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল বলেন, কাঁঠাল একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মাঝে কাঁঠাল খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা যাচ্ছে। আশাকরি, কাঁঠালের চিপসের মতো এমন আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে এই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফলটি মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতার বলেন, 'খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা চেষ্টা করে আসছি। আর কাঁঠাল থেকে প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস তৈরি আমাদের সেই প্রচেষ্টারই অংশ। আশাকরি, ভবিষ্যতেও আমরা উদ্ভাবনী ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখতে পারবো।

সম্প্রতি সিভাসু ফুড আউটলেট-এ প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপসের যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল। ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটি অ্যান্ড নিউট্রিশন) প্রফেসর ড. শিরীন আক্তার, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস এবং পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম।


আরও খবর



শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উড়োজাহাজে আগুন লাগলে তা কীভাবে নেভানো হয়, সেটির ভেতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা, নিরাপদ জায়গায় নেওয়া এবং যারা আহত হন তাদের কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় তা অনেকেই জানেন না। তাই এসব বিষয়ে ধারণা দিতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে আয়োজন করা হয়েছিল অগ্নিনির্বাপক মহড়া। এতে দেখানো হয় প্লেনে আগুন লাগার পর থেকে আদ্যোপান্ত।

রোববার (২ জুন) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন একটি মহড়ার আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।

শাহজালাল বিমানবন্দরের সকল সংশ্লিষ্ট বিভাগ, বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং জাহানারা ক্লিনিকের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের অগ্নি নির্বাপণ মহড়া ছিল এটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমান বলেন, এ ধরনের প্রত্যেকটি মহড়ায় আমরা আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো ধরার চেষ্টা করি। আমাদের সিস্টেমগুলোকে আমরা রিভিউ করি। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ইকোনমিতে এ ধরনের মহড়া ক্যাটালিস্ট ভূমিকা রাখতে পারে। আর সেই ভূমিকাটা পালন করার জন্য আমাদের দক্ষতার প্রয়োজন আছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা গ্রাউন্ডে আছি, আমাদের এয়ারলাইন্স গুলো আকাশে, যারা সাপোর্ট সংগঠন আছে, প্রত্যেককেই কিন্তু তাদের ক্যাপাসিটির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আমরা যদি এসব না করি তাহলে আমরা ওই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না।

মহড়ার শুরুতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। তিনি এয়ারপোর্ট ইমার্জেন্সী এক্সারসাইজ ফায়ার-২০২৪ এর সাজানো কাল্পনিক চিত্রটি বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, আজকের এ মহড়ার উদ্দেশ্য হলো, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যাচাই করা। সেই সঙ্গে মহড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের কোনো ঘাটতি থাকলে সেটি ঠিক করা। প্রকৃতপক্ষে আসল দুর্ঘটনার দৃশ্যটি মঞ্চায়ন করা খুবই দূরুহ কাজ। তবে, আমরা একটি দৃশ্যপট সাজিয়েছি সকলকে অবহিত করার জন্য।

প্রতি দুই বছর পর পর এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো, বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজের দ্রুততার সাথে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অগ্নিনির্বাপণ এবং যাত্রীদের উদ্ধার কাজের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে কিভাবে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালিত হয় তা নির্ণয় এবং মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এয়ার কমোডর এ এফ এম আতিকুজ্জামান। এছাড়া সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, এয়ারলাইন্স এর প্রতিনিধিরা এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পাঁচ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিচ্ছেন বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনের আগে ৫ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ প্রযোজ্য হবে। আসন্ন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রশাসনের এমন নীতিকে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিছুদিন আগেও হান্টার বাইডেনের আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় সরগরম ছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এবার নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করে আলোচনায় এলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ‍জুন) হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা দেশটি বসবাস করছেন এমন ৫ লাখ দম্পতিকে কাজের অনুমতি দেবে প্রশাসন। এই পদক্ষেপ তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে যারা কোনো মার্কিন নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করেছেন।

'প্যারোল ইন প্লেস' নামে এ পদক্ষেপটি অভিবাসীদের জন্য গ্রীন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরো সহজ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, তাদেরও আনা হবে এ নীতির আওতায়। বৈধ হতে খুব দ্রুতই প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 বেশ কয়েক বছর ধরেই অনথিভুক্ত অভিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন অভিবাসন আইনজীবীরা। নতুন নীতির বিষয়ে তারা বলেছেন, এটি বাইডেন প্রশাসনের একটি বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ। আসন্ন নির্বাচনে নেভাডা ও অ্যারিজোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে লাতিন ভোটারদের সমর্থন পেতে মরিয়া বাইডেন। এর অংশ হিসেবেই তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন বলে মত বিশ্লেষকদের।


আরও খবর



বানের জলে ভাসছে সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

বানের পানিতে থৈ থৈ সুনামগঞ্জের আশপাশের সব এলাকা। ডুবে আছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। যে সড়ক দাপিয়ে বেড়িয়েছি অটোরিকশা, রিকশাসহ সব মোটরযান আজ সেই রাস্তায় চলছে নৌকা। যাদেরকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে তারা ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। নিম্নআয়ের মানুষ, দিনমজুররা আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, আর যাদের অবস্থা কিছুটা ভালো তারা উঠেছেন আবাসিক হোটেলে। কেউ কেউ আছেন প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের বাসায়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার চারটি পৌরসভা এলাকাসহ ৭৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৮টি গ্রামের ছয় লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যা পরিস্থিতির শিকার।

সুনামগঞ্জ জেলার পুরোটাই বন্যাকবলিত হলেও সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর ও ছাতক উপজেলার মানুষ। ছাতক উপজেলার পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করার কারণে সুনামগঞ্জের অনেক হাওর এখন পানিতে টইটুম্বুর। আর এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। ইতিমধ্যে মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৭ হেক্টর জমির সবজিখেত পানিতে নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার কায়েতকান্দা, রাজধরপুর, কাকিয়াম মৌলভীপাড়া, আলমপুর দোয়াদুর রহমান ও দক্ষিণ রূপনগরের মোট পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বন্যায় তলিয়ে আছে সকল উপজেলার স্থানীয় সড়ক। জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর এবং ছাতক উপজেলার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বুধবার (১৯ জুন) এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দিরাইয়ে সুরমা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে উজান থেকে ব্যাপক পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে।

লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লতিফুন্নেছা বলেন, আমার ঘরের ভেতর গলা সমান পানি। ঘরে ছেলে বউ আর এক আট বছরের এক নাতি ছিল। ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসের চাকরি করে। পানি যখন ঘরে প্রবেশ করতে শুরু করে আমি আমার নাতি আর বউকে নিয়ে এখানে চলে আসি। সাথে নিয়ে এসেছি দুটি বালিশ আর একটা কম্বল। ঘরে তালা দেওয়ার সময়ও পাইনি।

একই আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, খুব কষ্টে আছি ভাই। তিন দিন ধরে কাজে যাই না। বউ, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে আছে। ১ কেজি চাল আর ২০০ গ্রাম ডাল এনেছিলাম। খেয়ে শেষ হয়ে গেছে। এখন কেউ দিলে খাই আর না হয় খালি পেটে থাকি। বাচ্চাদের জন্য বিস্কুট নিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার বাচ্চারা ভাত খাবে বলে আবদার করছে।

বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া রফিকুল বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য ৯ জন। আমরা দুই আশ্রয়কেন্দ্রে মিলিয়ে থাকছি। দিনের অর্ধেক সময় এখানে বাকি সময় লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে কাটে। আমাদের দিকে আল্লাহ কবে যে সুনজর দেবেন তা তিনিই ভালো জানেন। আমাদের আর এই কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।

সেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আম্মার বলেন, ২০২২ এর বন্যায় আমরা দেখেছি বন্যা কতটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। আর সেই ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ৫-৭ জনের টিম করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। অনেকে আমাদের কাছে ফোন দিয়ে জরুরি ঔষুধ এবং খাবার চাচ্ছেন। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যা আক্রান্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।সুনামগঞ্জের বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি কোনো কোনো স্থানে সামান্য কমেছে আবার কোন স্থানে বাড়ছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী, অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পানি আরও বাড়তে পারে। যদি উজানে বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে।আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বের প্রতিটি দেশে পালিত হয় দিবসটি। দিবসটির মূল লক্ষ্য পরিবেশ দূষণের কারণ ও দূষণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা। এ ছাড়া মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তোলাও এ দিবসের অন্যতম একটি লক্ষ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা।’

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন উপলক্ষে সরকারিভাবে নেওয়া কর্মসূচি সর্ম্পকে জানাতে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন। পলাশ ও বেলগাছের দুটি চারা রোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তিনি।

তিনি বলেন, শেরেবাংলা নগরের এই পরিবেশ মেলা চলবে ৫ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩ এবং সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠানো হবে।

সাবের চৌধুরী বলেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর একশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়াও রোপণ করা বৃক্ষের যত্ন বৃদ্ধির জন্য এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ।’


আরও খবর