আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

যশোরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শা উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে প্রান্তি খাতুন নামে (৬) বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার বেলা ১২ টার সময় খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। প্রান্তি নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের প্রাবাসী সোহাগ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় এসএম গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরে খাটের কাছে বসা ছিল প্রান্তি। এ সময় তার হাতে বিষধর একটি সাপ কামড় দিয়ে চলে যায়। প্রান্তি চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। তার হাতের ক্ষতস্থানের ওপরে বেঁধে তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে প্রথমে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান্তির মৃত্যু হয়।

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, ছোট মেয়েটি সাপের কামড়ে মারা গেল। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের পাশাপাশি সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি।


আরও খবর



কৈলাশটিলায় ফের এলপি গ্যাস উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্টে পুনরায় উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পেট্রোবাংলা এ তথ্য জানিয়েছে।

পেট্রোবাংলা জানায়, পেট্রোবাংলার মালিকানাধীন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় পরিচালিত কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের অপরিশোধিত গ্যাস, এলপিজির কাঁচামাল এনজিএল (ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড) সমৃদ্ধ। ১৯৯৫ সালে এই ফিল্ড থেকে উৎপাদিত গ্যাস থেকে এনজিএল আহরণের জন্য দেশের একমাত্র মলিকুলার সীভ টার্বো-এক্সপান্ডার (এমএসটিই) প্রসেস প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।

ওই প্ল্যান্টে উৎপাদিত এনজিএল পেট্রোবাংলার অপর কোম্পানি রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্টে ফ্র্যাকশনেশন করে এলপিজি ও পেট্রোল (অকটেন নম্বর ৮১) উৎপাদন করা হতো এবং বিপিসির মাধ্যমে বাজারজাত করা হতো।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিএসটিআই কর্তৃক বাজারজাত পেট্রোলের অকটেন নম্বর ৮৯ নির্ধারণ করায় এবং বিপিসি কর্তৃক এলপিজি প্ল্যান্টে উৎপাদিত পেট্রোল উত্তোলন না করায় প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখতে হয়। আরপিজিসিএল কর্তৃক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেও পেট্রোলের অকটেন নম্বর বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি।

এলপিজি প্ল্যান্ট না চালানোর কারণে এমএসটিই প্ল্যান্টটি ভিন্ন মোডে পরিচালনা করে এনজিএল-এর পরিবর্তে কনডেনসেট উৎপাদন করতে হতো। এজন্য এলপিজির উপাদানগুলো ফ্লেয়ার করতে হতো। ফলে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় হতো তেমনি অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতি হতো।

গত ৩০ মে কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্টটি এসজিএফএলের নিকট হস্তান্তর করা হয়। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ শেষে এসজিএফএল কর্তৃক ২ জুন এলপিজি প্লান্টটি চালু করা সম্ভব হয়। এই প্ল্যান্টে উৎপাদিত এলপিজি কৈলাশটিলায় অবস্থিত বিপিসির একটি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বটলিং প্লান্টে সরবরাহ করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুরে এসজিএফএলেএর দুটি কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্ট এবং একটি অকটেন উৎপাদনকারী ক্যাটালাইটিক রিফরমিং ইউনিট (সিআরইউ) রয়েছে। এলপিজি প্ল্যান্টে উৎপাদিত পেট্রোল (অকটেন নম্বর ৮১)-কে এসজিএফএল-এর ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্টে উৎপাদিত পেট্রোলের সঙ্গে মিশ্রণ করে অতঃপর সিআরইউ-এর মাধ্যমে অকটেন নম্বর বৃদ্ধি করে বিপিসির মাধ্যমে বাজারজাত করা হবে।

এতে এলপিজি উৎপাদন যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি কৈলাশটিলা এমএসটিই প্ল্যান্ট স্বাভাবিকভাবে চালানোর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় ও পরিবেশের ক্ষতি রোধ হবে। এছাড়া প্রতি বছর এলপিজি প্ল্যান্টে উৎপাদিত ৪০০০ মেট্রিক টন এলপিজি দেশের জ্বালানি খাতে যোগ হবে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর



৫১ কোটি টাকা লোপাট করেছেন ডাক বিভাগের কর্মীরা: পলক

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, রাজশাহীর তানোরের পারুল বেগমের ২ লাখ টাকা ছাড়াও ডাক বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকের অর্থ এবং ডাকের নিজস্ব তহবিল মিলিয়ে ৫১ কোটি টাকা লোপাট করেছে।

বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এটুআই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শুধু রাজশাহীর তানোরের পারুল বেগমের ২ লাখ টাকা আত্মসাৎই নয়, গ্রাহকের অর্থ এবং ডাকের নিজস্ব তহবিল মিলিয়ে মোট ৫১ কোটি টাকা লোপাট করেছে ডাক বিভাগের কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, এ রকম ১১টি অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব কাজে জড়িত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে পরিবার সঞ্চয়পত্রে পারুল বেগম নামের এক নারীর জমা রাখা দুই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে পোস্টমাস্টার মোহাম্মদ মোকসেদ আলীর বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না পাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পারুল বেগম।

ওই ঘটনার পর আর কোনো গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন কি না তা জানতে তানোরসহ সারা দেশের বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করে জানানোর উদ্যোগ নেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। এতে শুধু তানোরেই আরও ৫১ জন গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

এতে অনিয়ম বন্ধ করে বছরে ডাক বিভাগের ৭০০ কোটি টাকা লোকসান ঠেকাতে গাড়ি-জমি লিজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। যাতে ২০ টি প্রতিষ্ঠান সাড়া দিয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।


আরও খবর



আলু-পেঁয়াজের দামে নাভিশ্বাস, চড়া চালের বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

রাজধানীর বাজারে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশ চড়া। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে। বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাকে ডিমের ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। পাইকারিতে ডিমের পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পাড়া-মহল্লায় ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা।

রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছায় করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া আলুর দাম উঠেছে ৬৫ টাকা প্রতিকেজি, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। কমেনি কাঁচা মরিচের দামও, বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

বাজারের বেশিরভাগ সবজি চড়া দামে আটকে রয়েছে। প্রতিকেজি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কিছু। ওই দামের মধ্যে আছে পটল, ঢ্যাঁড়স, কাঁচা পেঁপে। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি। এছাড়া করলা ও বড় তালবেগুনের দাম ১০০ টাকা বা তার চেয়েও বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

এদিকে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।

ভিন্ন অজুহাতে চালের দাম বস্তায় ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিলমালিকদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।

রাজধানীর কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ার তথ্য মিলেছে।

জানা গেছে, খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি দেশি বাসমতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি মানের বিআর ২৮ ও ২৯ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ৫৪ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগে এসব চালের দাম কেজিতে মানভেদে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত কম ছিল।

বাবুবাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ জানান, চালের বাজার গত এক দেড় মাস ধরে স্থিতিশীল ছিল। কারণ এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে সরবরাহও ভালো ছিল। ঈদের পর হঠাৎ চালের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন কিছু মিলমালিক। এতে বাজারে চালের সরবরাহ কিছুটা স্থবির।


আরও খবর



কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তারা বলছে, আয়করের সর্বোচ্চ হার যেখানে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হলো, সেখানে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা নৈতিক ও অর্থনৈতিক, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা নিয়মিত কর দেন, এটার মাধ্যমে তাদের তিরস্কার করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৭ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ সিপিডির পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে এ বিষয় তুলে ধরা হয়।

সিপিডির পর্যালোচনা তুলে ধরে এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সৎ করদাতাদের প্রতি চরম অন্যায়। এটি নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় অগ্রহণযোগ্য।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে না। বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাও অর্জন করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগের প্রাক্কলন উচ্চাভিলাষী। এক্ষেত্রে বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যাংক ঋণের প্রতি নির্ভরতার কারণে বেসরকারি খাত প্রয়োজনীয় ঋণ পাবে কি না, তা চিন্তার বিষয়।

সিপিডির পর্যালোচনায় বলা হয়, এই অর্থবছরের বাজেট চলমান অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং দরিদ্র ও নির্ধারিত মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে নেওয়া পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত ও দুর্বল। সংকট সমাধানে বাজেটে বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই ‘তাপপ্রবাহের’ সতর্কতা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকার তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি নিঃসন্দেহে উষ্ণ আবহাওয়া হলেও গত এপ্রিল-মে মাসের তাপপ্রবাহের তুলনায় যেন কিছুই না। ওই সময় দেশের বিভিন্ন অংশ নিয়মিত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। খোদ রাজধানীতেও ৩৭-৩৮ ডিগ্রি ছিল রোজকার তাপমাত্রা।

সেই অভাবনীয় তাপ সহ্য করা মানুষদের সামনে যদি বলা হয়, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে ভয়ানক গরম, তাহলে হাসি তো আসতেই পারে! কারণ এ দেশে অনেকের এয়ারকন্ডিশনের (এসি) তাপমাত্রাই থাকে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ, যুক্তরাজ্যে তার থেকে মাত্র এক ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রাকে বলা হচ্ছে ভয়ংকর তাপপ্রবাহ!

গত সপ্তাহে আবহাওয়া সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের শিরোনাম ছিল, ইউকে ওয়েদার: ফোরটি এইট আওয়ার টোয়েন্টি সিক্স ডিগ্রি সেলসিয়াস হিটওয়েভ টু হিট অ্যান্ড ফাইভ ইংলিশ সিটিস উইল বি দ্য হটেস্ট। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপপ্রবাহ আঘাত হানবে এবং ইংল্যান্ডের পাঁচটি শহর থাকবে সবচেয়ে উষ্ণ।

খবরে বলা হয়, জুন মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে একটি তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ওই সময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকেই, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষজন। সেখানে উঠে এসেছে মজার মজার সব মন্তব্য।

একজন লিখেছেন, ভারতে এটি (২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এসির তাপমাত্রা। আরেকজন বলেছেন, আমার এসির তাপমাত্রা এখন যুক্তরাজ্যের তাপপ্রবাহের স্তরে রয়েছে। তৃতীয় এক ব্যক্তি লিখেছেন, কারও তাপপ্রবাহ, কারও ঘরের তাপমাত্রা।

দুই অঞ্চলের আবহাওয়ার এমন পার্থক্যের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন কেউ কেউ। যুক্তরাজ্যের শীতপ্রধান আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে এক ব্যক্তি লিখেছেন, সেখানে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আরামদায়ক উষ্ণতা অনুভূত হবে, কিন্তু ভারতে প্রচণ্ড ঠান্ডা মনে হতে পারে। একইভাবে, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ভারতে যেমন আনন্দদায়ক, তা যুক্তরাজ্যে একেবারেই অসহনীয়।


আরও খবর