আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

লাদাখে ট্যাংকসহ নদীতে ডুবে পাঁচ ভারতীয় সেনার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীন সীমান্তবর্তী লাদাখে ট্যাংক দুর্ঘটনায় পাঁচ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটে লাদাখের দৌলতবেগ ওলদি এলাকার লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলএসি) কাছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এক সেনা কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।  ওই সময় একটি টি-৭২ ট্যাংক নিয়ে নদী পার হওয়ার অনুশীলন করছিলেন সেনারা। হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত পাঁচ সেনার সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ট্যাংকটি তোংসেতর দিকে যাচ্ছিল এবং নিহত সেনাদের মধ্যে একজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

লাদাখের স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি লেহতে কর্মরত আছেন, তিনি ইটিভি ভারতকে বলেছেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানকার সেনা চৌকিটি লেহ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে আসলে কী ঘটেছে সেটি জানা গেলে বিস্তারিত জানানো হবে।

অপর সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দৌলতবেগ ওলিদির মন্দির মোড়ে ট্যাংক নিয়ে বোধি নদী পার হওয়ার অনুশীলন করছিলেন সেনারা। যখন ট্যাংকটি নদীতে ছিল তখন হঠাৎ করে পানি বাড়তে থাকে। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ট্যাংক ও এর ভেতর থাকা সেনারা তলিয়ে যান।

ইটিভি ভারত পাঁচ সেনার মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানালেও এনডিটিভি বলেছে, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১৩৫ স্কোর নিয়ে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। বুধবার (০৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ পাকিস্তানের লাহোর ১৬৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা ১৫৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ভারতের দিল্লি আজ ১৫৮ স্কোর নিয়ে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



জাতীয় চা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় চা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প।’ মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস’-এর মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সারা দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সোমবার (৪ জুন) মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৮টি ক্যাটাগরিতে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন চা কোম্পানি বা ব্যক্তিকে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় চা দিবস

আরও খবর



সাংবাদিকরা রাষ্ট্র ও সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করে: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে রয়েছে সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা। তারা সমাজের অগ্রসর অংশ। রাষ্ট্র ও সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচিত করে। সমাজ, রাষ্ট্রসমাজপতি যেদিকে তাকান সেদিকে তাদের দৃষ্টি আবদ্ধ করেন। এমন অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো রাষ্ট্র দেখে না। রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে যারা যুক্ত, তারাও দেখে না। কিংবা সমাজ যারা চালায়, তারাও দেখে না, দেখার প্রয়োজনও মনে করে না। এমন অনেক বিষয় সাংবাদিকরা উন্মোচিত করে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২ বছর পূর্তি উৎসব এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধভাবে করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমন ভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক। ড. হাছান বলেন, আসলে বাংলাদেশে বিএনপি জামাতসহ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল আছে, আর কিছু গোষ্ঠি আছে, পদ্মাসেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপারে গিয়ে বলে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বলে এসব শুধু বড় লোকের জন্য। এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে কিন্তু পাবলিক বাসও চলে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। আজকে সংসদে প্রায় আট লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠি আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেন না। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না, এই বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাজেটের আকার গত ১৫বছরে সাড়ে ১১গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠি ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮.৭ শতাংশে নেমেছে। অতিদারিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫শতাংশে নেমেছে।

তিনি বলেন, বাজেট যদি গরীবের উপকারে না আসত, তাহলে দারিদ্রতা ও অতিদারিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অংকে, টাকার অংকে আরো বেশি। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

সভাপতির বক্তব্যে সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্বার্থে এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে আরো নানা উদ্যোগ গ্রহণে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

স্বাগত বক্তব্যে দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ আয়োজন সবার মধ্যে আরো বিশাল উৎসাহউদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। যা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করবে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্টানের বর্তমান অবস্থান। তাদের সন্মাননা জানাতে পেরে আজকের উদ্যোগ স্বার্থক মনে করছি।

সন্মাননা প্রাপ্ত সভাপতিরা হলেন- মতিউর রহমান (সিএসপি), কাজী জালালউদ্দিন আহমদ (সিএসপি), এম. নুরুল ইসলাম, বি.এ. আজাদ ইসলামাবাদী, এম. এ. মালেক, আব্দুল্লাহ আল ছগীর, আতাউল হাকিম, এম. ওবায়দুল হক, মুহাম্মদ ইদ্রিস, আবু সুফিয়ান, আখতার উন নবী, আলহাজ্ব আলী আব্বাস, কলিম সরওয়ার।

সন্মাননা প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- এম. আই. করিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, সৈয়দ শফিকউদ্দিন আহমদ, বি.এ. আজাদ ইসলামাবাদী, নূর সাঈদ চৌধুরী, ওসমান গণি মনসুর, নিজাম উদ্দিন আহমদ, আবু সুফিয়ান, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ফারুক ইকবাল, কলিম সরওয়ার, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, মহসিন চৌধুরী, শুকলাল দাশ, ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।

সন্মাননা প্রাপ্তদের উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে সন্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাদের মধ্যে অভিমত ব্যক্ত করেন- সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, কলিম সরওয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, শুকলাল দাশ ও চৌধুরী ফরিদ। বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শদিউল আলম ও দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জেড এম এনায়েতউল্লাহ।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, লায়ন আলহাজ্ব রফিক আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, হাজী সাহাব উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সহ সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুসহ প্রেস ক্লাবের সদস্যবর্গ।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এরপর শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার রাতে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা ও সন্মাননা প্রদানসহ অনুষ্ঠানমালা শুরু করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার।


আরও খবর



তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা ও সানিয়াজান নদী পাড়ের বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছেন। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার পানি ছিল, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারে ঘরবাড়িতে পানি উঠে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।

অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে সানিয়াজানে পানি বৃদ্ধিতে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চর সিন্দুর্নার বাসিন্দা মফিজার রহমান বলেন, গতরাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর এলাকার বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। পরিবারগুলো ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, গতকাল থেকে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুর নদী শাসনে ব্যয় বাড়ল আরও ২৪৯ কোটি

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পদ্মা বহুমুখী সেতুর নদী শাসন ব্যয় আরও একদফা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নতুন করে এ খাতে ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নতুন করে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ আগামীকাল (৩০ জুন) শেষ হচ্ছে। তার মানে আগামীকাল প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। তাদের কাজ সমাপ্তির তারিখ ছিল ৩০ জুন ২০২৩। ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে এক বছর। তার মানে তাদের কাজ শেষ হবে আগামীকাল।

তিনি বলেন, এ সময়ে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে হয়েছে। দুটি কারণে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছে। একটা হলো প্রকল্পের জাজিরা প্রান্তে নদী শাসন কাজের সীমানায় অবস্থিত কাঁঠালাবাড়ি ফেরি ঘাট, লঞ্চ ঘাট এবং আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে জায়গা পেতে বিলম্ব হয়েছে। এতে তিন বছরের বেশি সময় বিলম্ব হয়েছে।

দ্বিতীয় কারণ হলো, কাজ করতে যাওয়ার সময় ডিজাইন চূড়ান্ত হওয়ার পর মাওয়া প্রান্তে মূল সেতুর ওজনে নদী শাসন কাজের সীমানা বরাবর ২০১২ সালে নদীর প্রচণ্ড স্রোতে নদীভাঙন হয়ে ঠিকাদারের কাজের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ডিজাইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইন তৈরিতে বিলম্ব হয়। এ কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দাখিল করেছে জানান সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান।

পদ্মা সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৯৯৮-১৯৯৯ সময়ে। ২০০৩-০৫ সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করে জাপানের জাইকা। ২০০৬ সালে ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে। ২০০৯-১১ সময়ে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। নিউজিল্যান্ডভিত্তিক মনসেল এইকম সেতুর পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরি করে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর জন্য অর্থায়ন করে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকার।

২০১২ সালের জুনে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ বাতিল করে। একই বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৪ সালের ১৭ জুন মূল সেতু নির্মাণ কাজের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর সেতুর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর কাজ উদ্বোধন করেন।

এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান বসানো হয়। আর ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হয়।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতুর কাজ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২ দশমিক ১১৭ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৪৮ কিলোমিটার (সড়ক) এবং ৫৩২ মিটার (রেল)।

পদ্মা সেতু সংলগ্ন নদী শাসন কাজের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত দরপত্র গ্রহণ করা হয় ২০১৪ সালের ১৯ জুন। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদী শাসন কাজের জন্য চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।

প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ৪৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের লক্ষ্যে চুক্তিপত্র সই হয়। যার চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকা। পরে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় সময়। এই কাজ তদারকির জন্য কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নিয়োজিত রয়েছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহান চলাচল শুরু হওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নদী শাসনের ব্যয় ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৩ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এখন দ্বিতীয় দফায় পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানো হলো। এতে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা।


আরও খবর