আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফায়ার সার্ভিসের ডিজির শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জুন 2০২2 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ জুন 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি, জি, এমফিল। ২ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০-০০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে তিনি ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন। জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর কাজী আফরিন তাঁকে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের স্মৃতিময় বিভিন্ন কক্ষ ঘুরিয়ে দেখান। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতার সাথে তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেয়া শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখার পর এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে জন্মেছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছি। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। তাঁর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না, আর আমরাও আজকে যেসব মর্যাদাজনক পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছি, সেটিও সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, ভাবতে ভালো লাগে, জাতির পিতা যে দেশ স্বাধীন করেছেন; তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সেই দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মতো সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে তাঁকে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন মে মাসের ২৫ তারিখ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। খবর-ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।

নিউজ ট্যাগ: ফায়ার সার্ভিস

আরও খবর



নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিন সাংবাদিকসহ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার সময় তিন সাংবাদিকসহ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়ালের ওপর হামলা হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জলের সমর্থক শৌলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা খান ও ইউপি সদস্য দেলোয়ার আকন, ইউপি সদস্য দুলাল মোল্যা, মামুন আকন ও ইউসুফ মুন্সীর নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শৌলপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভিডিও করতে গিয়ে ভোরের পাতার শরীয়তপুর ব্যুরো প্রধান জামাল মল্লিক, দেশ টিভি ও দৈনিক আমাদের সময়ের শরীয়তপুর প্রতিনিধি রোমান আকন্দ এবং দৈনিক প্রতিদিনের শরীয়তপুর প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হামলার শিকার হন।

হামলায় মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা ধাওয়া করে। এতে মোটরসাইকেল প্রতিকের সমর্থক ও তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

এর আগে বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল গাড়ি নিয়ে চন্দ্রপুর বাজার দিয়ে প্রচারণায় যাওয়ার সময় ঘোড়া প্রতিকের সমর্থকরা হামলার চেষ্টা করে। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়ালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নুরুল আমিন কোতোয়াল বলেন, চন্দ্রপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা বাঁধার সৃষ্টি করে৷ এরপর আমরা শৌলপাড়া বাজারে পৌঁছালে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক ও তিনজন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় হামলার শিকার সাংবাদিক জামাল মল্লিক, রোমান আকন্দ ও আশিকুর রহমান বলেন, শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচারণার সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা শিকার হয়েছি। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, সন্ধ্যায় শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার চলছিল। এ সময় ঘোড়ার সমর্থকরা বাধাঁ দেয়। এর সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তখন তিন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।


আরও খবর



সাত জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সাত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সেটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। তাপপ্রবাহ চলমান জেলাগুলো হচ্ছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পূর্বাভাসে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে। যার পরিমাণ ২০ মিলিমিটার।


আরও খবর



মুম্বাইয়ে বিলবোর্ড ভেঙে নিহত ১২, আহত অন্তত ৬০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের মুম্বাইয়ে ধুলিঝড়ের মধ্যে বিশালাকায় একটি বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার (১৪ মে) এ তথ্য জানা গেছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় একটি ফুয়েল স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাউস আকৃতির বিলবোর্ডটি ফুয়েল স্টেশনটির বিপরীতে ছিল। প্রবল ধূলিঝড়ের মাঝে বিলবোর্ডটি ভেঙে ঠিক ফুয়েল স্টেশনটির মাঝখানে এসে পড়ে। এতে মানুষের পাশাপাশি চাপা পড়ে পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও।

দুর্ঘটনার পর ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপ অনেকাংশে সরানো সম্ভব হয়। সংস্থাটির পরিদর্শক গৌরব চৌহান জানান, নিহতদের মধ্যে আটজনের মরদেহ ‍উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহরাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এ ঘটনায় বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।


আরও খবর



বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন রোববার এ আদেশ দেন।

এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। এদিন আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নাশকতার ১২ মামলায় ইশরাক হোসেন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, ১২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন ইশরাক। শুনানি শেষে ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে পল্টন থানার একটি মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবরে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগে ১২টি মামলা করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি আদালত

আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়- হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর