আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম
প্রতিদিন ৩ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে চড়ছেন: ওবায়দুল কাদের বেনজীর দম্পতির আরও সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ ঢাকার ৯৫ শতাংশ বাড়িঘর অনুমোদনহীন: গণপূর্তমন্ত্রী ৬ মাস করে সাজা স্থগিত করা সরকারের আরেক খেলা : ফখরুল ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিকারুননিসার ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিলের রায় প্রকাশ সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হয়ে আসতে হবে : পরিকল্পনা সচিব এমপি আনার হত্যা: ৬ দিনের রিমান্ডে ফয়সাল-মোস্তাফিজুর ‘খালেদা জিয়ার সময় বন্যায় ১ লক্ষের বেশি লোক মারা গিয়েছিলো’ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম, ইলিশ ও মিষ্টি উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের বিষয়ে কাউন্সিলরদের সতর্কতা দিল চসিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে বুধবার (১৯ জুন) থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রয়েছে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রয়েছে পাহাড়ধস বা ভূমিধসের শঙ্কাও।

তাই পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকি নিয়ে বাস করা বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনাও।

বুধবার (১৯ জুন) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানান চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন।

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুসারে, আগামী তিন দিন সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া ওই সতর্ক বার্তায় চট্টগ্রাম বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা অনুযায়ী জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিধসের বিষয়ে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাউন্সিলরদের জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা প্রদান করেছে চসিক।

নিউজ ট্যাগ: চসিক

আরও খবর



চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পিআইবি'র দুই পর্বে ৬ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে ৬ দিনব্যাপী দুই পর্বের প্রশিক্ষণ কর্মশালা বুধবার সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথম পর্বে ৩১ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।  দ্বিতীয় পর্বে ৩ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

৩ থেকে ৫ জুন অনুষ্ঠিত মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক রুশো মাহমুদ, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ এবং শাহনেওয়াজ রিটন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সমাজের ভুল দেখিয়ে দিতে পারেন সাংবাদিকরা। সত্য সংবাদ দ্রুত পৌঁছে দিতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অপরিহার্য। শিক্ষার শেষ নেই। সারাজীবন শিখতে হবে। হাতে-কলমে শিক্ষাই কর্মশালা। কর্মশালা জ্ঞানকে পরিশীলিত ও শাণিত করে। প্রযুক্তির অযৌক্তিক নয়, যৌক্তিক ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তিগত জ্ঞান পেশাগত মানোন্নয়নে সহায়ক হয়।

দুই পর্বের প্রশিক্ষণে ৩৫ জন করে ৭০ জন নবীণ-প্রবীণ সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে রেমালের অজুহাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের পর নিত্যপণ্যের বাজারে এবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের অজুহাত। দাম বেড়ে গেছে সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের। তবে সামান্য কমেছে মুরগির দাম। ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

শুক্রবার (৩১ মে) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমনটি দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে সবজির দাম। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাজারে কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে বেড়ে গেছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে দাম কমেছে কাঁচা মরিচের। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা, কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছেন আড়তদাররা।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, আমদানির ভয়ে দাম কমাচ্ছেন আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমে আসবে।’

স্বস্তির খবর নেই ডিম ও গরুর মাংসের বাজারেও। তবে দাম কমেছে সব ধরনের মুরগির। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা ও কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৭০০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে মুরগির বাজারে। তীব্র গরমের কারণে প্রচুর মুরগি মারা গেলেও এর হার এখন কমে এসেছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

তবে ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা কারণ বা অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় নিত্যপণ্যের। যদিও দাম কমার সময় কমে খুবই সামান্য।

মশিউর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোনো একটি পণ্যের দাম ১০ টাকা বাড়লে, কমার সময় কমে মাত্র ১-২ টাকা। আবার যখন বাড়ে, তখন বাড়ে ৫-১০ টাকা। তাহলে ২ টাকা কমিয়ে লাভ কী!

আদনান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার এখন ব্যবসায়ীদের খেয়াল-খুশিমতো চলে। চাহিদা-যোগানের কোনো ভিত্তি নেই। কোনো একটা ছুতো পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, ইলিশ বাদে স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারে। নতুন করে না বাড়লেও দাম কমেনি। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। এর প্রভাবে মাছের দাম একটুও কমেনি।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাছ বিক্রেতা জয়ন্ত বলেন, মাছের দাম একটু চড়াই। এ সপ্তাহে নতুন করে খুব একটা দাম বাড়েনি। কোনো কোনো মাছের দাম হয়তো ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মাছের ঘেরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সামনে দাম বাড়তে পারে।’

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। এ মুহূর্তে প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। যদিও ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৫০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকায়।

উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলার বাজারও। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজারে দাম বাড়ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর আদা কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর



বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা (কুরবানির ঈদ) যত ঘনিয়ে আসছে, মসলার বাজার ততই অস্থির হয়ে উঠছে। দুই মাস ধরেই ধাপে ধাপে বাড়ছে বিভিন্ন মসলার দাম। সর্বশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুনের দাম। পাশাপাশি এলাচ, লবঙ্গ ও জিরাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক পণ্যমূল্যের তালিকা পর্যালোচনা করেও মসলার মূল্যবৃদ্ধির চিত্র লক্ষ করা গেছে। টিসিবি বলছে, সাতদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি ও আমদানিকরা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬.৯০ থেকে ৬.৪৫ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ২.১৩ শতাংশ, দেশি রসুন ২.৪৪ শতাংশ, জিরা ৬.৬৭ শতাংশ, লবঙ্গ ৪.৭৬ শতাংশ এবং ছোট দানার এলাচ ৫.৮৮ শতাংশ।

খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। এ পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগেও ৮০ টাকা ছিল। এছাড়া রাজধানীর খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৯০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করা আদা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৬০ টাকা, যা সাতদিন আগে ২০০-২৫০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৯০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৬৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা। সেই একই লবঙ্গ সাতদিন আগেও কেজি ছিল ১৬৫০-১৭০০ টাকা। প্রতি কেজি ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০০ টাকা, যা আগে ৩৭০০-৩৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে মসলার ক্রেতা আনসার আলী বলেন, কুরবানির ঈদ এলেই বিক্রেতারা মসলার দাম বাড়িয়ে দেন। এবার একই কাজ করা হয়েছে। প্রতিবছর একইভাবে ভোক্তার পকেট কাটলেও তদারকি সংস্থা কিছুই করছে না। তাহলে কি তদারকি সংস্থাও ভোক্তার মতো শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি? যদি জিম্মি হয়ে থাকে, তাহলে আমরা ভোক্তারা কোথায় যাব?

একই বাজারের মসলা বিক্রেতা মো. শাকিল বলেন, পাইকারি দোকান থেকে পণ্য কিনে এনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করি। দাম বাড়তি থাকলে আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হয়। বিক্রিও করতে হয় বাড়তি দামে। কিন্তু ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। অভিযান পরিচালনা হলেও আমাদের এসে জরিমানা করে। আমরা অনেক সমস্যায় আছি।

এদিকে কাওরান বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রেতারা জানান, সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি পর্যায়ে খরচ বেড়ে গেছে। যে কারণে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। এখানে কুরবানির ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট করা হয়নি।

এদিকে ডিমের বাজারও চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে বেশি বেচাকেনা হয় বাদামি রঙের ডিম। খুচরায় এ ধরনের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে। হালি হিসাবে (৪টি) কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া সাদা রঙের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতিবছর রোজা ও রোজার ঈদ এমনকি কুরবানির ঈদে ব্যবসায়ীরা একেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যেখানে ধর্মীয় উৎসবে ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে অন্যান্য দেশ পণ্যের দাম কমায়, আর এ দেশে ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা করতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করে। এটা কোনোভাবেই ঠিক না। আর এগুলো দেখার যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে, তারাও বাজারে তদারকি করছে। কিন্তু দাম কোনোভাবে ক্রেতাসহনীয় করা যাচ্ছে না। এজন্য দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তা প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে এবং ঈদ ঘিরে বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে তদারকি করা হচ্ছে। এমনকি আসলের নামে ভেজাল পণ্য তৈরি ও সরবরাহ নজরদারি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। তদারকি চলমান আছে। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায়ও আনা হচ্ছে।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় কৃষি কর্মকর্তাসহ নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পিকআপ ভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়েকের উপজেলার কদমতলি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের গারট্র গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও একই ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের জুয়েল রানা। জুয়েল গোপালপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী কদমতলি থেকে ঘাটাইলের দিকে যাচ্ছিল। এসময় মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে আহতাবস্থায় আলমগীরকে ঘাটাইল ও জুয়েলকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, লাশ হাসপাতালে রয়েছে। চালককে আটক করা হয়েছে। পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



গোয়েন্দা নজরদারিতে টিকিট কালোবাজারিরা: র‍্যাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন, টিকিট কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। এ বছরের পর কালোবাজারি আর থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, এ বছর দূরপাল্লার (আন্তঃনগর) ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া যাত্রার দিন ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি চলছে।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রতিটি স্টেশনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিং চালু রাখা হয়েছে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে কাজ করছে র‍্যাব।

র‍্যাব জনগণের পাশে আছে জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, প্রতিটি বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশনে আমাদের ওয়াচ টাওয়ার, কন্ট্রোল রুম রয়েছে, মোবাইল টিম রয়েছে। যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনাদের যেকোনো অভিযোগ থাকলে জানান, র‌্যাব আপনার পাশেই আছে।

এ র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে আছেন। যাত্রীদের হয়রানি বিশেষ করে নারী হয়রানি যেন না হয় সে বিষয়ে র‌্যাব কাজ করে যাবে। বিভিন্ন অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। যাত্রাকালে আপনারা অপরিচিত কারও সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলবেন না।


আরও খবর