আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জয়পুরহাটে পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়া বিএনপি নেতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার রাত ২টার দিকে সদরের জামালপুর পূর্ববাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (৪৫)। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার পূর্ব রুকিন্দিপুর গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। মাসুদ থানা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার বিরুদ্ধে পিকআপে আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।


আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপিল শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচাই-বাছাইতে বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে অস্থায়ী ক্যাম্পে এই আপিল আবেদন শুরু হয়। যা চলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার পর ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে। আপিল করার জন্য ১১টি অঞ্চলকে ভাগ করে ১১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আপিল দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নোটিশ জারি করে ইসি।

ইসি জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে আপিল দায়ের করতে পারবেন। সঙ্গে আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেট জমা দিতে হবে।


আরও খবর
কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




৮২ শতাংশ কার্যকারিতা হারিয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ৮২ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতা হারিয়েছে। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ৭১ শতাংশ। সেই হিসাবে পাঁচ বছরের মধ্যে এ ওষুধের অকার্যকারিতার হার বেড়েছে ১১ শতাংশ। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে সেফট্রিয়েক্সন গ্রুপের ওষুধ। সম্প্রতি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের পরিস্থিতি কী তা জানতে ২০১৭ সাল থেকে গবেষণা করছে আইইডিসিআর। এ বছর জুন পর্যন্ত চলে এ গবেষণা। দীর্ঘ সাত বছরে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার নমুনা নিয়ে এ গবেষণায় পরিচালনা করা হয়।

বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ (১৮-২৪ নভেম্বর) উপলক্ষ্যে বুধবার মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) জাতীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ সার্ভেইলেন্স নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে আইইডিসিআর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. জাকির হাবিব গবেষণাটি উপস্থাপন করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিদের অতিরিক্ত ব্যবসায়ী মনোভাব, অপ্রয়োজনে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লেখার প্রবণতা এবং ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধের দোকানে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্য দায়ী। সমাধান পেতে সংবেদনশীলতা পরীক্ষা ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। গবেষণা বলছে, ৮২ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতা হারিয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। যা গেল পাঁচ বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। এবছর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে সেফট্রিয়েক্সন গ্রুপের ওষুধ। গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি ৬১ শতাংশ রোগীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আইসিইউ রোগী ২৬ শতাংশ ও বহির্বিভাগ চিকিৎসা নেওয়া ১৩ শতাংশ রোগী।

আরও পড়ুন>> ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয় শুকনো টমেটো

আইইডিসিআর-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. জাকির হাবিব বলেন, দেশে তিন শ্রেণির অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। এর মধ্যে ওয়াচ গ্রুপ ও রিজার্ভ গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর বেশি হচ্ছে। যা ডায়রিয়া, মূত্রনালি ও ফুসফুসের ইনফেকশনসহ, শরীরের বিভিন্ন ক্ষত সাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। এর মূল কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে সাধারণ রোগেও ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার। এজন্য ফার্মেসিগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। ফার্মেসিগুলোর নিবন্ধন অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে দিতে হবে। এতে করে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

অনুষ্ঠানে অন্য একটি গবেষণা তুলে ধরে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক চিকিৎসক ডা. ফরহাদ মারুফ বলেন, বিশ্বজুড়ে এ সুপারবাগ ইনফেকশনে বছরে মারা যাচ্ছে ৫০ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে প্রায় ২ লাখ মানুষ এ রোগে মারা গেছেন। বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে ভোগা রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বেশি হচ্ছে।

আরেক গবেষণা তুলে ধরে চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ এমএ সামাদ বলেন, সবচেয়ে বেশি খুঁজে পাওয়া জীবাণু ই-কোলাইয়ের বেলায় পোলট্রি শিল্পে ব্যবহৃত ১২টি অ্যান্টিবায়োটিকের আটটিই অকার্যকর হয়েছে অন্তত ৪০ ভাগ। অ্যাম্পিসিলিন, টেট্রাসাইক্লিন ও সিপ্রোফ্লোক্সাসিলিনের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৯০ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া বলেন, দেশে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। সঙ্গে মানুষের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে উঠেছে। এজন্য অবশ্যই রোগীরা হাসপাতালে এলে আগে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। এ ছাড়াও আমাদের দেশে কার্যকর ল্যাব বৃদ্ধি করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক হয়ে ওঠা একটি নীরব ঘাতক। তাই আমাদের এ সমস্যা থেকে উত্তরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। রোগ প্রতিরোধে যেসব নিয়ম মানা উচিত সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন রেফারলে সেন্টার, আইইডিসিআর, সিডিসিসহ ল্যাবগুলোকে আরও সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় সামজিক চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা বিপজ্জনক আমরা সবাই জানি। তবে মানি না। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন। এগুলো অবশ্যই ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ব্যবসায়ী মনোভাবের কারণেও হচ্ছে। স্বাস্থ্য সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহার কমাতে ল্যাব সুবিধা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় আবেদন করলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর



ডলার সংকটে কমেছে গাড়ি আমদানি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

আর্থিক সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির কারণে কমে গেছে গাড়ি বিক্রি। পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে চাহিদা ও সময়মতো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না আমদানিকারকরা। ফলে মোংলা বন্দর দিয়ে কমেছে গাড়ি আমদানি। এ অবস্থায় গাড়ি আমদানি খাত থেকে বন্দরের রাজস্ব আয়ও কমেছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমদানি যাতে বাড়ে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয়েছিল ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে। ওই বছর আসে ২৫৫ টি গাড়ি। এরপর এই বন্দর দিয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরে গাড়ি আমদানি হয়েছিল ১৪ হাজার ৪৭৪ টি। ২০২১-২২ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১ হাজার ৪৮৪ টিতে। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গাড়ি আমদানির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৫৭৬টিতে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে এসেছে ৪ হাজার ৩৬৮টি। নগরীতে গাড়ি বিক্রির শোরুম রয়েছে ৮ থেকে ১০টি।

নগরীর মজিদ স্মরণির এএসপি ড্রিম কার হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী মিশন বলেন, গাড়ির দাম আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি। গাড়ির প্রকারভেদে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এ কারণে ক্রেতাদের আগ্রহ কম, ক্রেতা কম পাচ্ছি। গাড়ি বিক্রি তুলনামূলকভাবে কমে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ডলারের রেট বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও কেউ-কেউ গাড়ি কিনছে না। এছাড়া আগে ১০ থেকে ২০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে এলসি খোলা যেতো, এখন শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেইক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসানুর রহমান আরজু বলেন, সব গাড়ির দাম-ই বেড়ে গেছে, এ কারণে বিক্রি এখন কম। সারাদেশে বিক্রি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়া ডলার সংকট এবং এলসি খুলতে জটিলতার কারণে গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। সার্বিক পরিস্থিতিতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এদিকে এ পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে জটিলতা ও অর্থনৈতিক মন্দাকে দায়ী করছেন। বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, বিলাসবহুল পণ্যের মধ্যে গাড়িও পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে আমদানিকারকরা যথাসময়ে এলসি খুলতে পারছে না। আগে যেখানে দশটা এলসি খুলতে পারতো, এখন সেখানে খুলছে তিনটা। গাড়ি বিক্রিও কমে গেছে। অনেক মানুষের পকেটে গাড়ি কেনার মতো টাকা নেই।

এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে গত বছর গাড়ি আমদানিতে আমরা কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। চলতি অর্থবছরে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। আমদানিকারকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।


আরও খবর



হবিগঞ্জে মালবাহী ট্রাকে পেট্রোল ঢেলে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পুরো ট্রাকটি। সেই সাথে ট্রাকে থাকা সব মালামালও পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ বাইপাস সড়কের ধুলিয়াখাল এলাকায় (কবির কলেজের কাছে) এ ঘটনাটি ঘটে।

ট্রাকচালক আব্দুস সাত্তার জানান, ট্রাকটি প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর। মিরপুর থেকে ট্রাকটি বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিক পণ্য নিয়ে হবিগঞ্জ শহরের আলম বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ বাইপাস সড়কের ধুলিয়াখাল এলাকায় কবির কলেজের কাছে পৌঁছলে ২০/২৫ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে তাদের ট্রাকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে ট্রাকটির গতিরোধ করে ভাংচুর চালায়। পরে তারা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ট্রাকচালক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভান। তবে এর আগেই পুরো ট্রাকটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সাথে ট্রাকে থাকা ৪ লাখ টাকার মালামালও পুড়ে গেছে।

পরে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ও আরএফএল কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেন।


আরও খবর



দেশের ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

আরও পড়ুন>> হরতালে ৩৬ ঘণ্টায় ট্রেনসহ ১৯ গাড়িতে আগুন

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে।


আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মিগজাউম’ শক্তি হারাচ্ছে, জেঁকে বসবে শীত

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩