আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

‘জ্যাকলিন নির্দোষ’, জেল থেকে সুকেশের চিঠি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সুকেশ চন্দ্রশেখর কাণ্ডে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে। আদালতের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে বারবার। বলি অভিনেত্রীর এহেন দুর্ভোগে লজ্জিত জেলবন্দি সুকেশ। সম্প্রতি চিঠি লিখে জানালেন সেকথা। সুকেশের দাবি, অহেতুক জ্যাকলিনের নাম জড়ানো হয়েছে। শুধু শুধু হেনস্থা করার জন্য। এত কিছুর দরকার ছিল না। সমস্ত বক্তব্য চিঠিতে লিখে নিজের আইনজীবী মারফত গত সপ্তাহেই আদালতে পেশ করেছেন সুকেশ। সেই চিঠির উত্তরে প্রতিক্রিয়া জানালেন জ্যাকলিনের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল। তার দাবি, মক্কেল নির্দোষ। অভিনেত্রীর সম্মান বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত লড়বেন বলেও জানান।

জ্যাকলিন কোনোভাবেই ২০০ কোটি টাকার তহবিল তছরুপ-কাণ্ডে জড়িত নন। আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর। সুকেশের দাবি, বহুমূল্য গাড়ি থেকে শুরু করে উপহার, যা কিছু আর্থিক লেনদেন, সবটাই ভালোবেসে জ্যাকলিনকে দেওয়া। তারা সম্পর্কে ছিলেন। সেখানে উপহার দেওয়া কি অস্বাভাবিক? দীর্ঘ সেই চিঠিতে আরও অনেক কিছুই ফাঁস করেছিলেন সুকেশ।

সেই চিঠির প্রেক্ষিতে জ্যাকলিনের আইনজীবী বলেন, যদি এই চিঠি সুকেশের লেখা হয়, তা হলে তার দাবি অনুযায়ী জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ পুনরায় তদন্ত করে দেখা উচিত। ইডি সেটা করুক। প্রয়োজনে সুকেশের রেকর্ড করা বক্তব্য প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হোক। সত্যের পথে তো যেতেই হবে! তদন্তের উদ্দেশ্য তো সত্য উদ্ঘাটন। তিনি নিশ্চিত ভাবে জানেন, জ্যাকলিন নির্দোষ।

ওই চিঠিতে সুকেশ জানিয়েছেন, জ্যাকলিনের এতে জড়িয়ে পড়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আগেও বলেছি, আমরা সম্পর্কে ছিলাম। ওকে আর ওর পরিবারকে উপহার দিয়েছি। এটা কি তাদের দোষ হতে পারে? আমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া কিছুই কখনও চায়নি জ্যাকলিন। বলেছিল, পাশে থাকতে। প্রতিটি পাই-পয়সা, যা আমি ওদের উপহার দিতে খরচ করেছি, তা বৈধ আয় থেকেই। তার প্রমাণ আমি আগেও আদালতে দিয়েছি।


আরও খবর



মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

এখন এই প্রস্তাবে সই করবেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটিই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট।

আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে এবার বাজেটে খরচের লাগাম টানা হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আকার বাড়ানো হলেও এবার মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

গত জুনে চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল তার থেকে এই বাজেট মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



ভারি বর্ষণে ফুঁসছে তিস্তা, বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেড অ্যালার্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে বাংলাদেশের উপরদিকে থাকা ভারতের জলপাইগুড়ি, সিকিমসহ উত্তরের জেলাগুলো। পাহাড় ও সমতলে অবিরাম বর্ষণে ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকাসহ অন্যান্য নদী। দ্রুত পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজে। তিস্তার দুপাড়ে লাল সতর্কতা বা রেড এলার্ট জারি করেছে ভারত সেচ দপ্তর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থিত ভারতের মেখলিগঞ্জ শহর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নদীর দুপাশে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে চলবে ভারি বৃষ্টিপাত। শনিবার রাত থেকেই তার সাক্ষী হয়েছে জলপাইগুড়িসহ সিকিম এবং উত্তরের জেলাগুলো। অবিরাম বৃষ্টিতে একদিকে যেমন পাহাড় থেকে নেমে আসছে বিশাল জলস্রোত সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সমতলের বৃষ্টির পানি।

হঠাৎ এই ভারি বর্ষণে কার্যত ভয়ংকর মূর্তি ধারণ করেছে তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সাসহ ডুয়ার্সের বুক চিরে বয়ে যাওয়া লিস, ঘিস, নেওরার মতো খরস্রোতা নদীগুলো।

তিস্তা তীরবর্তী ও গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড এলার্ট জারির পাশাপাশি হলুদ সংকেত দেখানো হয়েছে অন্য নদীগুলিতে। আবহাওয়া অফিস বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৬ মিলিমিটার।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: এগিয়ে দেব, পিছিয়ে হিরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বাচনি কার্যক্রম শেষে এবার চলছে লোকসভার ভোট গণনা। গণনার প্রথম তিন ঘণ্টায় এখনো এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট।

তবে পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ওই রাজ্যের ৪২টি আসনে ৫০৭ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা চলছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইভ আপডেটের (বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ৩০ মিনিট) তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৩২টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ওই রাজ্যে ১০টি আসনে বিজেপি।

এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই কেন্দ্রেই। একদিকে ঘাটালে তৃণমূলের প্রার্থী দেব ও বিজেপি প্রার্থী হিরণ। অন্যদিকে, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে টানটান প্রতিযোগিতা চলছে জুন মালিয়া এবং অগ্নিমিত্রা পালের। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে ঘাটালে দেবের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৪২৫। হিরণ পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৫৩৩ ভোট। প্রায় ২১ হাজার ভোটে এগিয়ে দেব। মেদিনীপুরে অগ্নিমিত্রা ১৫৭৩ ভোটের ব্যবধানে পিছনে ফেলে দিয়েছেন জুনকে। ঝাড়গ্রামেও ২১ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভোট পর্ব। শেষ হয় ১ জুন। আজ একযোগে গোটা ভারতের ৫৪৩ আসনে ফল ঘোষণা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



স্ত্রীসহ পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা শামসুদ্দোহার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বর্তমানে তারা দুজনেই জামিনে আছেন।

অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আক্কাস আলী।

২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎসের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার ১৮২৯ টাকা জমা করে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় উত্তোলন করে তার অবস্থান প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।

দালিকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধনে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর (২৬(২) ২৭(১) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় চার্জশিটে, যেখানে মো. শামছুদ্দোহা খন্দকারকে সহযোগী আসামি করে তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাকে প্রথম আসামি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌসী সুলতানা গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস নেই।

শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে বসেন। ২০১৯ সালে ২১ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। ২০২১-২২ সালের পরিষদে শামসুদ্দোহা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বন্দরের পিসিটি টার্মিনালে কন্টেইনার জাহাজ বার্থিং দিয়ে পুরোদমে চালু হচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল (পিসিটি) টার্মিনালে কন্টেনার জাহাজ বার্থিং দিয়ে খালাস কার্যক্রম মাধ্যমে আগামী ৮ জুন থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে। সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি)  বাংলাদেশ লিমিটেডকে পিসিটিতে জাহাজ বার্থিং দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন এমভি মার্কস ডাবো জাহাজ বার্থিং দেওয়া হবে। শুরুতে শুধুমাত্র ক্রেন আছে এমন গিয়ার ভ্যাসেলই এখানে হ্যান্ডলিং করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৮টি শর্তে দেওয়া এই অনুমোদনপত্র পর আগামী শনিবার থেকে এখানে জাহাজ বার্থিং থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। 

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজস্ব বোর্ড পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করার সাময়িক অনুমতি প্রদান করেছে। পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড উক্ত টার্মিনালে বার্থিং নেওয়া জাহাজ থেকে লোডিং,  আনলোডিং,  ট্রান্সপোর্টিং, হ্যান্ডলিং, ইন্টারন্যাশনাল মুভমেন্ট, কন্টেনার খালাস ও ডেলিভারি, শেড ও ওয়্যারহাউজ থেকে পণ্য স্টাফিং এবং আনস্টাফিংসহ সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী ৬ জুন থেকে পিসিটিতে জাহাজের বার্থিং, আমদানিরপ্তানি ও ডেলিভারি সংক্রান্ত অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এনবিআর ৬ জুন থেকে জাহাজ বার্থিংয়ের অনুমোদন দিলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ৮ জুন থেকে জাহাজ বার্থিং দেওয়া শুরু করবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী ৮ জুন থেকে পিসিটি চালু হবে। রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে এই টার্মিনাল পরিচালনা করবে। টার্মিনালটি পরিচালনায় রেড সী গেটওয়ে বিভিন্ন ধরনের ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করবে।

টার্মিনালটি পুরোদমে চালু করতে ৪টি কী গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), ৮টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি (আরটিজি), ৪টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার, ৪টি রিচ স্ট্যাকার, ১টি রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরএমজি), ৪টি লো-মাস্ট ফর্ক লিফট, ২টি ফায়ার ট্রাক, ১টি ফায়ার কার, ৩টি নিরাপত্তা পেট্রোল কার, ১টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০ টনের দুটি টাগ বোট, ২টি পাইলট বোট, ২টি ফার্স্ট স্পিড বোটসহ অন্তত ৮শ কোটি টাকার ইকুইপমেন্ট লাগবে। চুক্তি অনুযায়ী পিসিটির প্রয়োজনীয় সব ইকুইপমেন্ট বিদেশি অপারেটর ক্রয় করবে। দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২২ বছর এই টার্মিনাল পরিচালনা করবে। এরপর ইকুইপমেন্টসহ বন্দরটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

 জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রাইভেট পোর্ট অপারেটরদের বিষয়ে নীতিমালা বা বিধিমালা চূড়ান্ত হলে তার আওতায় আরএসজিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে অবিলম্বে লাইসেন্স বা অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

 রাজস্ব বোর্ড এই টার্মিনালে কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আটটি শর্তগুলো হলো- চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রেড সী গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের অর্থায়নে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে এসাইকোডা কানেক্টিভিটি স্থাপনের জন্য যাবতীয় আইটি ইকুইপমেন্ট, এঙেসরিজ, কম্পিউটার, রাউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ফটোস্ট্যাট মেশিন, ইন্টারনেট কানেকশনসহ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক কার্যক্রম, এঙামিনেশন ও আনস্টাফিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষ, যানবাহন ও নিরাপত্তা সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সকল লজিস্টিকস অপারেশনাল কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।

বন্দরে অবতরণীয় পণ্য চালানের বিল অফ ল্যাডিংয়ের (বিএল) কন্টেনার সেগমেন্টে পিসিটির জন্য বরাদ্দকৃত কন্টেনার লোকেশন কোড ব্যবহার করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়ান স্টপ সলিউশন সেন্টারের মাধ্যমে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল হতে পণ্য খালাসকালে নোট ইস্যু করতে হবে। শুল্ক-কর পরিশোধ ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পণ্য চালান পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল থেকে সাউথ কন্টেনার ইয়ার্ডে প্রেরণ করা যাবে না। পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে স্ক্যানার স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন অফডক ও ইপিজেডে গমনকারী কন্টেনারসমূহ কায়িক পরীক্ষণ সাপেক্ষে নিশ্চিত হয়ে প্রেরণ করতে হবে।

পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল হতে খালাসতব্য এলসিএল কার্গো বোঝাই কন্টেনারসমূহ শতভাগ কায়িক পরীক্ষণ করতে হবে এবং এফসিএল কার্গো বোঝাই কন্টেনারসমূহ কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে কায়িক পরীক্ষণ করতে হবে। পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে সকল পণ্য চালানের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় কায়িক পরীক্ষণ ও এসব সবকিছুতে রেড সী গেটওয়েকে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য,  বিমানবন্দর সড়কের উদ্ধার করা নদীপাড়ের ৩২ একর জায়গায় ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পিসিটি নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিসিটি নির্মাণ করে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইইঞ্জিনিয়ারিং এটির নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে লিমিটেডের সাথে গত ডিসেম্বরে চুক্তি সম্পাদনের পর তাদেরকে এই টার্মিনালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এই চ্যানেলে কোনো বাঁক না থাকায় পিসিটি বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা পাবে। এই টার্মিনালে বছরে প্রায় ৫ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। টার্মিনালটিতে ১৬ একর ইয়ার্ড ও ৫৮৪ মিটার দীর্ঘ জেটি রয়েছে। জেটি এলাকায় ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এই টার্মিনালে ১৯০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার ড্রাফটের ৩টি কন্টেনার জাহাজ একসাথে এবং ২২০ মিটার দীর্ঘ ডলফিন জেটিতে ১টি ভোজ্যতেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এতে ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটারের আরসিসি পেভমেন্ট (অভ্যন্তরীণ ইয়ার্ড ও সড়ক), ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কন্টেনার ফ্রেইট স্টেশন (সিএফএস) শেড, ৬ মিটার উঁচু ১ হাজার ৭৫০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, ৫ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের পোর্ট অফিস ভবন, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটারের যান্ত্রিক ও মেরামত কারখানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।


আরও খবর