আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাজলকে নিয়ে বলিউডে গুঞ্জন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জোড়া ভুরু, শ্যামলা রং, প্রথাগত সুন্দরীও নন- তবু একটা সময় বলিউডে রাজত্ব করেছেন কাজল। ভক্তরা বলেন, তার সরল হাসি আর সহজ অভিনয়ই নাকি ছিল তার জনপ্রিয়তার কারণ। দিলওয়ালে দুলহনিয়া...র লাজুক পাঞ্জাবী তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন বলিউড ভক্তরা। সেই কাজলের নাকি এখন অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়ে না। এমন দাবি অবশ্য করেছেন বলিউডের ছবি শিকারিরা।

ছবি শিকারিদের দৌলতে বলিউডের তাবড় তারকারা খবরে থাকেন। তাদের জন্যই কখনও খবরের কাগজের বিনোদনের পাতায় কখনও টিভির পর্দায় দেখা যায় তাদের। শাহরুখ, হৃত্বিক, রণবীর, দীপিকা, আলিয়াদের মতো বড় তারকারাও তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন। সেই ছবি শিকারিদেরই অভিযোগ, কাজল ইদানিং প্রায়শই দুর্ব্যবহার করেন তাদের সঙ্গে। কথা তো বলেনই না। মাঝে মধ্যে ডাকলে সাড়াও দেন না।

বরাবর প্রচার চাওয়া বলিউডে এমন ধারা স্বাভাবিক নয়। তবে দুএকজন যে ব্যতিক্রম হন না তা নয়, বলিউডে অনেক প্রচারবিমুখ তারকাও আছেন। তবে তাঁরাও ক্যামেরার সামনে ন্যূনতম সৌজন্যবোধ দেখান। কিন্তু কাজল নাকি সেই সৌজন্যবোধটুকুরও ধার ধারেন না! ছবি শিকারিদের অভিযোগ, কাজলের মধ্যে এক অদ্ভুত বেপরোয়া ভাব আছে। কখনও সখনও তার আচরণ দেখে মনে হয় কে কী বলল, তিনি তা পাত্তাই দেন না। কাজলের আগে বলিউডে এই দুর্নাম ছিল জয়া বচ্চনের। সেই দুর্নাম এখনও রয়েছে। তবে ছবি শিকারিদের দাবি, কাজল এ ব্যাপারে জয়াকেও টেক্কা দিচ্ছেন।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছবি শিকারিদের সঙ্গে নাকি এমনই দুর্ব্যবহার করেছেন কাজল। অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে কাজলকে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কিন্তু কাজল তাদের দিকে ফিরেও তাকাননি। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি গাড়ি থেকে নেমে নাকি গটগটিয়ে চলে যান। সাংবাদিকদের দেখে মুখে সামান্য হাসিও ফোটেনি তার। বলিউডের ছবি শিকারিদের দাবি, এমনটা যে কাজল প্রথম বার করলেন তা নয়। এর আগেও বহু বার তাকে একই ভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে দেখা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের।

অভিযোগ, একবার তার ছবি তোলার জন্য না কি সাংবাদিকদের উপর রেগে গিয়ে তাদের ভর্ৎসনাও করেছিলেন কাজল। সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, কে তার ছবি তোলার অনুমতি দিয়েছে তাঁদের? ছবি শিকারিদের মতে, কাজল হঠাৎই একটু বেশি অহংকারী হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কেন? কাজলের সমালোচকদের প্রশ্ন, কী কারণে এক সময়ের লাজুক অভিনেত্রী এমন উদ্ধত হয়ে উঠলেন?

সমালোচকরা এমনও বলেছেন, কাজলের হাতে ভর্তি অভিনয়ের কাজ- এ কথা বলতে পারবে না কেউ। মূলত সংসার নিয়েই আছেন। তবে বলিউডের সব অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ থাকে অভিনেত্রীর। তার সমকালীন বহু অভিনেত্রী এখন বলিউডে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন। হারিয়েও গিয়েছেন অনেকে। যারা আছেন তাদের নাকি খবরে থাকতে রীতিমতো পরিশ্রম করতে হয় বলে দাবি ছবি শিকারিদের।

তারা জানিয়েছেন, শাহরুখ, করণ জোহরের মতো বলিউডের বড় মহলগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগই কাজলকে এখনও বলিউডে প্রাসঙ্গিক রেখেছে। কিন্তু সেই যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে এমন দুর্ব্যবহার করলে কি কাজল বলিউডে নিজের সম্মান শেষপর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারবেন?


আরও খবর



শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ: রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১১টার পর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেটা লিখিতভাবে সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে আমার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। কোনও তদন্ত ছাড়া এভাবে বহিষ্কার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাছাড়া এ ঘটনায় আমার কক্ষে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বহিষ্কারাদেশ অযৌক্তিক বলেছেন অন্য নেতারাও।

গত ১১ মে রাতে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের অতিথি কক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগ ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। অস্ত্রের মহড়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণে সাতজন আহত হয়। সেদিন রাতভর সংঘর্ষ চলে। গত ১৩ মে মধ্যরাতে ফের দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাতেই হলে তল্লাশি চালিয়ে অনাবাসিক ২০ জনকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ১৪ মে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর



দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা লাগিয়ে আগুন, নিহত ১১

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিলে কমপক্ষে ১১ মুসল্লি প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের ভেতরে ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে সব দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ মুসল্লি আটকা পড়েন।

উত্তরাধিকার এবং সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ। তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের আর্তনাদের আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য উঠে এসেছে।


আরও খবর



উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর