আজঃ মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

খুলে দেওয়া হচ্ছে বেনজীরের রিসোর্ট: আয় যাবে সরকারি কোষাগারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জ সদরে অবস্থিত আলোচিত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। দর্শনার্থীরা আগামীকাল থেকে ওই পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড চালু থাকলেও বন্ধ থাকবে কটেজ। ফলে অবকাশযাপন করতে পারবেন না কোনো দর্শনার্থী।

এদিকে পুলিশ, আনসার ও সাভানা ইকো রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা রিসোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে আনসার ভিডিপি ও রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন। আগামীকাল সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করবে জেলা প্রশাসন।

পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব এবং গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হবে। এতে দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কের বিভিন্ন রাইড খুলে দেওয়া হলেও কটেজ বন্ধ থাকবে। আর এ পার্ক থেকে সকল আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জমা হবে। পার্কের নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্য মোতায়েনের জন্য আবেদন জানানো হবে। আশা করি সকাল থেকেই  পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ইতোমধ্যে রিসোর্টের নিরাপত্তার জন্য আনসার ও সাভানার নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্বে আছেন।

ক্রোক আদেশের পর পার্কটি চালু থাকলেও গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে পার্কটি নিয়ন্ত্রণে নেয় জেলা প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।

অন্যদিকে ১২ জুন রাতে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের তিনটি কম্পিউটারের সিপিইউ ও একটি মনিটর চুরি হয়। পরদিন ১৩ জুন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পার্কের ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন।

এছাড়া গত ৭ জুন রাতে গোপনে পার্ক থেকে ধরা ৫৯০ কেজি মাছ বিক্রি করার সময় হাতেহাতে জব্দ করে দুদক। পরে মাছ বিক্রি করে ৮৩ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জুন দুপুরে গোপনে মাছ বিক্রির দায়ে পার্কের মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের গোপালগঞ্জে উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।


আরও খবর



পাহাড়তলী-দোহাজারী ডুয়েলগেজ নির্মাণে ব্যয় হবে ১১ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের সাথে ট্রেন চলাচলের সুফল পেতে পাহাড়তলী-ষোলশহর হতে দোহাজারী পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার মিটারগেজ (এমজি) রেলপথকে ডুয়েলগেজে উন্নীত করার কাজ শুরু হবে ২০২৫ সালে। তিন বছরের প্রকল্পে ২০২৮ সালে কাজ শেষ হবে। নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের সাথে সঙ্গতি রেখে এই পথ ডুয়েলগেজ করার উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এ প্রকল্পে ব্যয় বহুল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা উপরে। প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন আছে ৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, এডিবির ঋণ রয়েছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য বেশিরভাগ জায়গা রেলওয়ে রয়েছে। তবে ৫৬ একর জায়গা রিকুজেশন করা হবে, এতে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে নিরাপদ ও দ্রুতগতিসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ স্থাপনকল্পে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে দোহাজারী পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ রেলপথটি ব্রডগেজ রেললাইনে উন্নীতকরণের মাধ্যমে ট্রেনের গতিসীমা বৃদ্ধি এবং সেকশনাল ক্যাপাসিটি দৈনিক ২৬ জোড়া ট্রেনে উন্নীত করা হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে ঝাউতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ বাইপাস ট্র্যাক নির্মাণ, চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশন থেকে কালুরঘাট ব্রিজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাক নির্মাণ, গুমদণ্ডী থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ এবং ওই সেকশনের তিনটি রেলস্টেশন নতুন করে পুনঃনির্মাণ ও ১৪টি রেলস্টেশন সংস্কারকরণ করা হবে।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা-কক্সবাজার নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতিসম্পন্ন ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম-দোহাজারী সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ ট্র্যাকটি ব্রডগেজে রূপান্তরসহ বিভিন্ন রেলস্থাপনা ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়ে। আর এটি বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিরবচ্ছিন্নভাবে দ্রুতগতির ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে এবং এ অংশের সেকশনাল ক্যাপাসিটি (দৈনিক ২৬ জোড়া ট্রেন) বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও পাহাড়তলী-ঝাউতলায় বাইপাস নির্মাণ করা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোকে আর চট্টগ্রামে প্রবেশ করে অতিরিক্ত সময় অপচয় করতে হবে না। এতে এক ঘণ্টা রানিং টাইমও সাশ্রয় সম্ভব হবে। চট্টগ্রামের ষোলশহর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উচ্চগতির ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ঢাকা ও সিলেট এলাকা থেকে উচ্চগতির ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে।

 প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, দোহাজারী হতে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত নির্ধারিত ১০১ কিলোমিটার রেলপথটি সিঙ্গেল ট্র্যাক ডুয়েলগেজে নির্মিত হয়েছে। অন্যদিকে দোহাজারী হতে নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলপথটি মিটারগেজে নির্মিত রেলপথটি ডুয়েলগেজে উন্নীত করতে উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ।

গত ২০২৩ বছরের নভেম্বরে প্রকল্পটি সভায় অনুমোদন পায়। খুব শীঘ্রই প্রকল্পের টেন্ডার হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচলে জনসাধারণ সুফল ভোগ পেতে পাহাড়তলীষোলশহর হয়ে দোহাজারী পর্যন্ত মিটারগেজ (এমজি) রেললাইনকে ডুয়েলগেজে উন্নীত করা হবে। নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা উপরে। উক্ত প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন রয়েছে ৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকার উপরে। প্রকল্পে এডিবির ঋণ আছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর। ২০২৫ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে, প্রকল্পের টেন্ডার হলেও কাজ শেষ হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত লাগবে। পাহাড়তলীর ঝাউতলায় বাইপাস নির্মাণ করা হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী যে ট্রেনগুলো চলাচল করছে তা আর চট্টগ্রাম স্টেশনে অতিরিক্ত সময় থাকতে হবেনা। ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সবগুলো ট্রেন সরাসরি ঢাকা থেকে পাহাড়তলী হয়ে ঝাউতলা এবং ষোলশহর দিয়ে কক্সবাজার চলে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ষোলশহর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উচ্চগতির ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ঢাকা ও সিলেট এলাকা থেকে উচ্চগতির ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

 উক্ত প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো চট্টগ্রামের গোমদন্ডী-দোহাজারী মেইনলাইন রেলপথ ২৯ দশমিক ৩২ কিলোমিটার, পাহাড়তলীঝাউতলা বাইপাস রেলপথ ডুয়েলগেজ ডবল ট্র্যাক ৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, লুপ ও অন্যান্য লাইন ১০ দশমিক ৮৮ কিলোমিটারসহ মোট ৬২ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার ট্র্যাককে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তর করে  নতুন করে নির্মাণ করা।ষোলশহর থেকে কালুরঘাট ব্রিজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডবল ট্র্যাক নির্মাণ ১৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং ২৫ টি স্টেশন (পাহাড়তলী, ষোলশহর, পটিয়া, কাঞ্চননগর ও দোহাজারী) কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং (সিবিআই) সিগন্যাল ও ইন্টারলকিং পদ্ধতি চালু করা; তিনটি স্টেশন ভবন (পাহাড়তলী, ষোলশহর ও ঝাউতলা) পুনঃনির্মাণ এবং ১৪টি স্টেশন ভবনের সংস্কারকাজ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । প্রকল্পের মধ্যে ২০টি মেজর ও ৬৮টি মাইনর ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।  প্রকল্পে ৩টি রেল ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভও সংগ্রহ হবে জানায় কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে লঘুচাপ, বাড়ছে বাতাসের গতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উত্তাল রয়েছে নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর। বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। এ অবস্থায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ড. মল্লিক বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হতে পারে শনিবার

নিম্নচাপটি আগামীকাল শনিবার ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্য আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশীদ।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিকে বলেন, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

রবি-সোমবার আঘাত হানতে পারে রেমাল

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আগামীকাল শনিবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তখন নাম হবে রেমাল। ওমানের দেওয়া নামটির অর্থ বালি।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল ২৬ মে (রবিবার) বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ২৭ মে (সোমবার) রাত ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া সংস্থা আইএমডি।

সংস্থাটি জানায়, আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকবে।

চার বিভাগে বৃষ্টিপাতের আভাস

এদিকে সকাল ৯টার পর থেকে ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।

আট বিভাগেই বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ

এদিকে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিল বগুড়ায়, ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



কাশ্মীরে ওমর আবদুল্লাহ হার মানলেন কারাবন্দি নেতার কাছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভোট গণনার মাঝেই লোকসভা নির্বাচনে হার মেনে নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। কারাবন্দি নেতা সাবেক বিধায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রশিদের কাছে হার মেনে নিলেন তিনি। ফলাফলের শেষ খবর অনুযায়ী শেখ আবদুল রশিদের থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন আবদুল্লাহ।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহসভাপতি ওমর আবদুল্লাহ বারামুল্লা আসনে নির্বাচন করেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাবেক বিধায়ক শেখ আবদুল রশিদ। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে রয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছিল, এ আসনে জিততে চলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহ। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরুর কিছু সময় পর থেকেই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আবদুল রশিদের চেয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ভোটে পিছিয়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক টুইটে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমার মনে হচ্ছে এটা মেনে নেওয়ার সময় এসে গেছে। উত্তর কাশ্মীরে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রশীদের জয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন। তবে, এই জয়ের কারণে তিনি দ্রুত জেল থেকে ছাড়া পাবেন বলে মনে হচ্ছে না। এমনকি দ্রুতই কাশ্মীরবাসী তাদের নেতাকে পাবেন না। তবে, কাশ্মীরবাসী গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

এ পর্যন্ত যে হিসাব এসেছে তাতে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের ৬ আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স এগিয়ে আছে দুটি আসনে। আর বিজেপি ও স্বতন্ত্র এগিয়ে দুটি করে আসনে।

অনন্তনাগ-রাজৌরিতে হার মেনে নিয়েছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি হার মেনেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী মিয়া আলতাফের কাছে।


আরও খবর



সোমালি জলদস্যুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা নেই আইএমওর

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জাহাজ ছিনতাই বন্ধে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আইএমও সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, লোহিত সাগরে বিভিন্ন সময়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আক্রমণের মুখে পড়েছে জাহাজ। সম্প্রতি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের জিম্মি করা হয়েছে। লোহিত সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের প্রতিরোধে রাষ্ট্রগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। সে কারণে সমুদ্রে কার্বন নিঃসরণ কমালে বাংলাদেশেও প্রভাব পড়বে। আইএমও নৌখাতে টেকনোলজি উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে ধাপে ধাপে সমুদ্রে জিরো কার্বন নিঃসরণেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

চারদিনের সফরে গত বুধবার ঢাকায় আসেন আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আর্সেনিওকে স্বাগত জানান লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডিজি কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক শিপিং বিশ্বের অর্থনীতিকে সচল রাখে। পুরো বিশ্ববাণিজ্যের ৮০ শতাংশ বন্দর থেকে বন্দরে হয়ে থাকে। এ কারণে এ পথ ধরে যথেষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়। আশা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সামুদ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ তিনগুণ হবে। এর ফলে এ শিল্পটি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে নির্গমনও বাড়বে।

তিনি বলেন, শিল্পনেতারা এরই মধ্যে জলবায়ুবান্ধব বিকল্প জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমি বিশ্বাস করি নেট জিরো ভিশন অর্জনে আইএমও সব সদস্য রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করবে। গত বছরের জুনে বাংলাদেশ জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে সঠিক পুনর্ব্যবহার করার জন্য হংকং কনভেনশন অনুমোদন করেছে। আমরা এ কনভেনশনের বিধি ও আমাদের রিসাইক্লিং শিল্প অর্জনে আইএমওর অব্যাহত সমর্থন আশা করি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইমস অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম।


আরও খবর



এমপি আজীম হত্যা: ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পুলিশের দুই সদস্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড তদন্তে ভারতীয় পুলিশের দুই সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে আসছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টা নাগাদ ভারতীয় পুলিশের দুইজন সদস্য ঢাকায় পৌঁছাবেন। তারা আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন।

ভারতের পুলিশের ওই দুই সদস্য এমপি আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন তিন আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খ. মহিদ উদ্দিন।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান। প্রথম দুদিন যোগাযোগ থাকলেও ১৪ মে থেকে পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না।

পরে আনোয়ারুলের পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে ভারতের দিল্লি দূতাবাস ও কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে ওই সংসদ সদস্যের খোঁজে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সংস্থাটি জানায়, দিল্লি ও কলকাতা দূতাবাসের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরই তার খোঁজে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।

জানা গেছে, কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজিম তার কথিত বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেছিলেন। এরপর ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। গোপাল বিশ্বাস বুধবার (২২ মে) সকালে পুলিশের কাছ থেকে এমপি আজিমের হত্যার খবর পান বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।

৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর কলকাতার নিউ টাউনের বিলাসবহুল আবাসন সঞ্জিভা গার্ডেনে আনোয়ারুল হত্যার শিকার হন। এটিকে পরিকল্পিত খুন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এমপি আনার খুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।


আরও খবর